![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের বিশ্বাসী, মিথ্যাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি
بسم الله الرحمن الرحيم
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আজ আমাকের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করার তৌফিক দান করেছেন। এবং লক্ষ কোটি দরুদ আমাদের প্রিয় নবী
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর।
প্রশ্নঃ আল্লাহ তাআলা কুরআনউল কারীম এ বলেছেন "আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত গাছের একটি পাতা পর্যন্তও নড়ে না।" অর্থাৎ পৃথিবীতে যা কিছু হয় সব আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়। তাহলে তো চোর চুরি করে আল্লাহর ইচ্ছাতেই, সকল খারাপ কাজও আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়।
অপরদিকে কুরআনে আরও বলা আছে, "মানুষের ভাগ্য তার ইচ্ছা ও কর্মের উপর নির্ভরশীল।" এখন প্রশ্ন হলো কথা দুটি কেমন জানি পরস্পর বিরোধী হয়ে গেল না? সব কাজই যদি আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় তাহলে মানুষের ইচ্ছা বা কর্মের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে আর কোনো খারাপ কাজ করলেও মানুষের দোষই বা কোথায়? সব তো আল্লাহর ইচ্ছাতেই হচ্ছে। সেই দিক থেকে তো আমরা কেউই অপরাধী নয়।
উত্তরঃ প্রথম কথা হলো আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কুরআনে কোনো পরস্পর বিরোধী কথা নেই। আমরা আপাতঃ দৃষ্টিতে কুরআনের যে কথাগুলোকে পরস্পর বিরোধী বলে ভেবে থাকি তা মোটেও পরস্পর বিরোধী নয়। আমাদের জানার অভাব ও জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই আমাদের এরকম মনে হয়ে থাকে। এই জন্য আল্লাহ তাআলা বারবার আমাদেরকে কুরআন নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে বলেছেন।
আসুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ইচ্ছা কত প্রকার ও কি কি?
ইচ্ছা ২ প্রকার -
১। তাৎক্ষণিক ইচ্ছা এবং
২। অতাৎক্ষণিক ইচ্ছা।
তাৎক্ষণিক ইচ্ছা হলো সেইসব ইচ্ছা যেই ইচ্ছাগুলো আমরা তৎক্ষণাৎ প্রকাশ করে থাকি আর সেই অনুযায়ী কাজ করি। যেমন: এইমাত্র আপনার বই পড়ার ইচ্ছা হলো তাই আপনি বই পড়তে শুরু করলেন । এটা হলো আপনার তাৎক্ষণিক ইচ্ছা ও সে অনুযায়ী কর্ম।
এবার আসুন অতাৎক্ষণিক ইচ্ছায়,
আপনার বাসাতে যে টিভি আছে তার অবশ্যই একটা রিমোট আছে। আর এই রিমোট অবশ্যই একজন ইঞ্জিনিয়ার প্রোগ্রামের সাহায্য নিয়ে তার ইচ্ছা মতো তৈরি করেছেন। ধরুন তিনি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার ইচ্ছা অনুযায়ী সেট করে দিয়েছে রিমোটের সবুজ বোতামটি টিপলে টিভি চালু হবে এবং লাল বোতামটি টিপলে টিভি বন্ধ হয়ে যাবে। এখন আপনি রিমোটটি সহ টিভি কিনে বাসাতে এনেছেন । আপনি টিভি চালু করতে গিয়ে বারবার রিমোটের লাল বোতামটিতে চাপ দিচ্ছেন কিন্তু টিভি চালু হচ্ছে না। যেইমাত্র আপনি সবুজ বোতামে চাপ দিলেন সঙ্গে সঙ্গেই টিভি চালু হয়ে গেল। এখন বলুন তো টিভিটি কি শুধু আপনার নিজের ইচ্ছাতেই চালু হলো, নাকি ইঞ্জিনিয়ার তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে বোতামটি টিভি চালু হওয়ার জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিল সেই বোতামে চাপ দেওয়ার ফলে টিভি চালু হলো? ঠিক একই ভাবে আপনি যদি ওই বোতামটিতে চাপ না দিতেন তাহলে কিছুতেই টিভি চালু হতো না। অর্থাৎ আপনার তাৎক্ষণিক ইচ্ছা যখন ইঞ্জিনিয়ারের অতাৎক্ষণিক ইচ্ছার সঙ্গে মিলে গেছে তখনই টিভিটি চালু হয়েছে।
এখন ভেবে দেখুন তো কাজটি তো আপনিই করলেন কিন্তু পরোক্ষ ভাবে কাজটি হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের ইচ্ছায়। এখানে ইঞ্জিনিয়ার তার ইচ্ছা মতো আপনার জন্য দুটি অপশনই সেট করে রেখেছিল একটি ছিল টিভি চালু হওয়ার সঠিক বোতাম আর অন্যটি ছিল চালু হওয়ার জন্য ভুল বোতাম।
ঠিক আল্লাহর ইচ্ছায় সকল কাজ হওয়ার ব্যাপারটিও ইঞ্জিনিয়ারের ইচ্ছা অনুযায়ী রিমোটটি কাজ করার মতোই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করার আগেই নিজের ইচ্ছামত সকল নিয়ম কানুন তৈরী করে রেখেছেন। কোন কোন কাজ গুলো করলে আমরা সফল হবো অর্থাৎ জান্নাতে যেতে পারবো আর কোন কাজ গুলো করলে আমরা বিফল হবো অর্থাৎ জাহান্নামে যাবো তা আল্লাহ পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। আপনার সামনে আল্লাহর ইচ্ছায় তৈরি করা সঠিক পথ এবং ভুল পথ দুইটায় খোলা আছে। এখন আপনি যদি সঠিক কর্মের দ্বারা সঠিক পথে চলেন তাহলে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন অর্থাৎ সঠিক পথ সংক্রান্ত আল্লাহর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছার সঙ্গে যদি আপনার তাৎক্ষণিক ইচ্ছা ও কর্ম মিলে যায় তবেই আপনি জান্নাতে যাবেন। একই ভাবে ভুল পথ সংক্রান্ত আল্লাহর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছার সঙ্গে আপনার তাৎক্ষণিক ইচ্ছা মিলে গেলে আপনার ঠিকানা হবে জাহান্নামে।
এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় আপনার সফলতা আপনার কাজের উপরেই নির্ভরশীল। আপনি আপনার সাধ্য মতো কাজ করার পর আল্লাহর কাছে দোআ করুন , "হে আল্লাহ আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি, সকল ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তুমি আমাকে সফল করো।" আল্লাহ অবশ্যই আপনার মনের নেক ইচ্ছা পূরণ করবেন। কিন্তু আমরা যদি কোনো কর্ম না করেই শুধু ভাগ্যের উপর নির্ভর করি আল্লাহ কখনই আমাদের সফল করবেন না।
প্রকৃতি যে নিয়মে চলে সবি আল্লাহর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছার ফল। আগুনের ধর্ম পোড়ানো, পানির ধর্ম শীতল করা, তাপের ধর্ম গরম করা এসবকিছু তিনি পূর্বেই নির্ধারন করে দিয়েছেন । আমরা নিজের ভাগ্যকে নিজের মতো করে গড়তে পারবো কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম পাল্টানো সাধ্য আমাদের নেই । এই ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। যেমন ইব্রাহিম (আ: ) কে যখন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন আগুন শীতল হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ সেই মুহূর্তে আল্লাহর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছা তার তাৎক্ষণিক ইচ্ছার দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল।
সারকথাঃ আমরা ভালো, মন্দ যা কিছু করি সবই আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়, কিন্তু তা হলো আল্লাহর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছা। সুতরাং আমাদের সফলতা আমাদের কর্মের উপরই নির্ভরশীল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত করেন এই বিষয়টিও ঠিক একই রকম। আমাদের চেষ্টা করতে হবে আর আল্লাহ সেই চেষ্টার ফল দেবেন।
আমি আপনাদের বিষয়টি কতটুকু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি জানি না। তবুও আশা করি, এই আলোচনাটি সামান্যটুকু হলেও আমাদের সকলের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক ভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। "আমিন"
লেখাটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছে আমার নিজস্ব ইসলামিক ব্লগে
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: যাযাক আল্লাহ।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭
গ্রিন জোন বলেছেন: আরে বাবা আগে দরকার আয়াত দুটি কোন সুরার কোন আয়াত।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, এইমুহূর্তে বলতে পারতেছি না আয়াত ২ টি কোন কোন সূরার। আমি কোন আলেম বা জ্ঞানী ব্যক্তি নয়। আলোচনাটি আমি গতকাল টিভিতে একটি ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে শুনেছি। শুধু আপনাদের কাছে সেই আলোচনাটি তুলে ধরেছি মাত্র।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল চিন্তা। এগুলো নিয়ে মাথা খাটানো ভাল। তবে আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে আপনার কি যুক্তি আছে বলেন দেখি?
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: দয়া করে এই লিংক গুলো থেকে পরে নেবেন
goo.gl/VHJv0Q
http://www.somewhereinblog.net/blog/funhappy/29360749
http://www.somewhereinblog.net/blog/smraihan/28949393
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: ভাই প্রমাণ তো অবশ্যই আছে। যা আপনি এই লিংক গুলো থেকে পড়ার পর মাথা খাটালেই বুঝতে পারবেন। তারপরও একটা কথা বলি , সব সময় সবকিছু প্রমাণ দিয়ে হয় না। আপনি যাকে বাবা বলে ডাকেন তার কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে তিনিই আপনার বাবা। হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন DNA টেস্ট করলেই প্রমাণ হয়ে যাবে। এখন আমি যদি বলি আমি DNA টেস্ট বিশ্বাস করি না। DNA টেস্টের রিপোর্ট জ সঠিক তার কি প্রমাণ দিতে পারবেন? আপনি কোনো প্রমাণ দিয়ে নয় মন থেকে বিশ্বাস করেন তিনিই আপনার বাবা।
ঠিক তেমনি অনেক গুলো বিষয় আছে যে জিনিসের প্রমাণ লাগে না। যার অস্তিত্ব অন্তর দিয়ে অনুভব করা যায়।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: যুক্তির খাতিরে ধরুন আল্লাহ যে আছেন তার সঠিক কোন প্রমাণ নেই, আল্লাহ যে নেই তার ও কিন্তু কোন প্রমান আপনি দিতে পারবেন না।
এখন কথা হলো কুরআনে যে কথাগুলো বলা হয়েছে সেই কথাগুলো আপনি মানলেন না। আল্লাহ যদি নাই থেকে থাকে তাহলে তো মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের কোন প্রশ্নই আসে না। কিন্তু যদি সত্যিই থেকে থাকে তাহলে কোরআনে বর্ণিত যে শাস্তির কথা গুলো বলা আছে সেই শাস্তিগুলো তো আপনাকে পেতে হবে। তারচেয়ে আল্লাহ আছেন এটা বিশ্বাস করা বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি? আপনি গাণিতিক ভাবে হিসাব করলেও তো বুঝতে পারবেন সম্ভাবতা অনুযায়ী নাস্তিক হওয়ার থেকে আস্তিক হওয়া বেশি লাভবান।
উদাহরণটি শুধু আপনাকে বোঝানোর জন্য দিলাম। তাই বলে যেন ভেবে নিয়েন না আমারও আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপারে কোনো doubt আছে।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে। তবে বিসমিল্লাহর বা নাই এডিট করে দিয়েন।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভুলটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
মুসাফির নামা বলেছেন: এটাই সঠিক।জলে এবং স্হলে সকল বিপর্যয়ের জন্য মানুষ দায়ী। তবে আল্লাহ না চাইলে কিছুই ঘটত না।
ভাই, নাস্তিকদের যুক্তি কমে আসছে। গভেষণা করুন। আমরাও সাথে আছি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আমার খুব ভালো লাগলো যে আপনি আমার লেখাটি সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি ঠিক কথা বলেছেন। আসলে ঘুমন্ত মানুষকে জাগানো যায় কিন্তু যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো মুশকিল। তারপরও ইনশাল্লাহ আমরা ভবিষ্যতে আরো দৃঢ যুক্তি দিয়ে সবাইকে ইসলামের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবো
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১
মুসাফির নামা বলেছেন: ইনশাল্লাহ
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০১
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: আল্লাহ আপনার সহায় হোন। যাযাক আল্লাহ
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
সপ্নীল অভি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, দারুন যুক্তি। উদহারণটাও বেশ যুক্তিযুক্ত ও চমৎকার। অনেক ভালো হইছে। লিখতে থাকেন পাশে আছি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩
সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: লেখার প্রশংসা করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪
মিউজিক রাসেল বলেছেন: ♥ ♥ পড়ে ভালো লাগলো। যাযাক আল্লাহ্ খায়ের