নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাসাফাদ্দৌজা নোমান

আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি।

নোমান নমি

এই শহর ব্যাস্ততার রোষানলে, সভ্যতা গড়ছে নাগরিক। আমি তখন অলস মস্তিস্কে শয়তানের কারখানার একনিষ্ঠ শ্রমিক। ফেসবুক: https://www.facebook.com/kasafaddauza

নোমান নমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: জোছনা প্রাচীর

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩





বিরাট আয়োজন। একটাই সমস্যা মুনা কিছুতেই ড্রেস বাছাই করতে পারছেনা।জোছনার আলোতে ঠিক কোন রংয়ের ড্রেসটা মানাবে সে ব্যাপারে সে কনফিউজড। মায়ের উপর রাগ হচ্ছে,এত বড় একটা আয়োজনে সে এখনও বসে বসে হিন্দী সিরিয়াল দেখছে,অন্যদিকে বাবা অফিস থেকে এখনও ফিরেইনি।বেলতলা মাঠে আজ জোছনা দেখার প্ল্যান তাদের। বিকালের দিকে বেশ ভীড় থাকলেও রাতের দিকে একদম ফাঁকা হয়ে যায়।আকাশভরা জোছনা,মুনার পাশে তার বাবা মা। ভাবতেই চমকে উঠছে সে।পুরো পরিকল্পনাটা বাবা শেখর ফরিদের। মায়ের ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়লো,সিরিয়াল বোধহয় শেষ হয়েছে “তোমার আব্বু ফোন করেছিলো,সে আসছে”। মায়ের কথা শুনেই লাফিয়ে উঠলো মুনা।ড্রেসের সমাধানও করে দিলো মুনার মা মৌরি ফরিদ।মায়ের স্মার্টনেসে ভীষন হিংসা হচ্ছে তার। আম্মুটা এত জানে কেন?



কলিংবেলের শব্দ হল,বাবা আসার আওয়াজ পেয়েই দৌড় দিলো মুনা। শেখর ঘরে ঢুকেই মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে স্ত্রীকে বলল “ শোন আমরা ডিনার সেরেই বের হব,এক ফ্লাক্স কফি,দুটো মগ,বিছানার চাদর,সিডি প্লেয়ার আর আমার আম্মুর জন্য দূরবীনটা নিতে হবে” মৌরির গাল লাল হয়ে গেছে,খুশীর লাল “এই বয়সে এত ঢং পাও কই? শেখর কোল থেকে মেয়েকে নামাতে নামাতে বলল “ঢং! কই?তোমার হাত ধরে জোছনায় ভিজবো আর আমার আম্মুটা দূরবীন চোখে লাগিয়ে হলুদ একটা আকাশ দেখবে,তুমি বুঝতে পারছো?

-কি যে তুমি করনা।

মুখের আহ্লাদ লুকাতে পারেনি মৌরি, সারাদিন খেটেখুটি সব ঠিকঠাক করে রেখেছে।কেবল নিজেরটানা স্বামীরটাও ঠিক করে নিয়েছে,জোছনার আলোর সাথে ঠিক কোন কালারটা যাবে এই ভেবেইতো সারাদিন গেল।হালকা নীল শাড়ীর সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ,খোপায় বেলী ফুল নাকি খোলা চুল এটা নিয়ে বেশ দ্বন্ধেই পড়েছিলো। শেষমেষ শেখরকে ফোন দিতেই হলো

-আচ্ছা খোপায় বেলী ফুল নাকি খোলা চুল

-খোলা চুল

-কেন?

-চাঁদের জন্য,আমার জন্য

-হিহি আচ্ছা

খোলাচুলে ভোট দিয়ে খোলাচুলকে চাঁদের আলোয় জিতিয়ে দিলো।শেখরের জন্য অবশ্য ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী ঠিক করে রাখা হয়েছে।

ডিনার শেষে রওনা দিলো পুরো পরিবার। মাঠটা একদম কাছেই। গাড়ীর প্রয়োজন নেই,রাস্তা প্রায় শূণ্য রাত বাজে এগারোটা। তিনজন হাঁটছে,পিছনে সরঞ্জাম নিয়ে কুজো হয়ে হাঁটছে দারোয়ান রহিম মিয়া।



****

মুরাদ উন্মুখ হয়ে বসে আছে চুলার পাশে। আজকে একদম স্পেশাল রাত। কতদিন পর চুলোয় ভালো খাবার চড়েছে।ডাল চড়চড়ির ঘ্রাণে খিদাটাতো দ্বিগুন হয়ে গেল।কোন বেলা আধপ্লেট ভাত,কোন বেলা ভেজা মাড় কিংবা কোন বেলা কোন কিছুহীন কেটে যাবার আজকের ডাল চড়চড়ি,মরিচ পোড়া সাথে গরম ভাততো রীতিমত উৎসব।অস্থায়ী ইট দিয়ে বানানো চুলা যেন মুরাদের প্রতীক্ষা বুঝতেই পারছে না।

মুরাদের বাবা ইটভাঙ্গার কাজ নিয়ে এখানে এসেছে পনের দিন হল,আজ বেতন পেয়েছ।বেলতলা মাঠের এক কোনায় ছেড়া পলিথিনের তাবুতে আজ কে কুপি বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়েনি। আসমান ভাঙ্গা জোছনার কাছে কুপিবাতি নিতান্তই ঠুনকো। তাই কুপিবাতির আজ বিশ্রাম।মুরাদের তর সইছে না। এরকম দিনে তর সয় না। ঘুম চোখ খেয়ে ফেলছে। বেশ চালাক সে,চালাকি করে চুলার পাশ থেকে উঠে গেল। মাঠটা চক্কর দিলে ঘুমটা কাটবে। কি সুন্দর আলো,পুরো মাঠ ঝকঝকে।না মাঠে মনযোগ দিতে পারছে না। চুলার পাশে বসে ঘ্রাণ নেয়া তারচেয়ে ভালো কাজ। মুরাদ আবার চুলার পাশে এসেই বসলো। কতক্ষন আর কতক্ষন করতে করতে ঘুমে ঢলে পড়লো। “বাপ আমার মুরাদ,বাপ আমার উঠ,খাবি উঠ”। ধড়ফড় করে উঠে যায় মুরাদ।কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। সামনে সাজানো ভাতের প্লেট দেখে হামলে পড়ে।

ফাঁকা মাঠে আলোর বন্যা নেমেছে।ঠিক মাঠের মাঝখানে বসে কফি খাচ্ছে শেখর আর মৌরি।মুনা মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে।সিডিঁ প্লেয়ারে একে একে বেজে চলেছে জোছনার গান।আকাশ বোধহয় আসক্ত,বোধহয় সেও তাকিয়ে আছে বেলতলা মাঠের দিকে।



মাঠের অন্য এক কোণে গোল হয়ে বসে ভাত খাচ্ছে মুরাদ এবং তার মা-বাবা।চোখ মুখে পরম তৃপ্তি।পৃথিবীর কোন তৃপ্তি যেন ছুঁতে পারেনা।তারা আকাশ দেখছে না,এ আকাশ প্রতিদিনকার আকাশের মত,বাড়তি কিছু ভাতের প্লেটে, জোছনায় না।বরং আজ আকাশেরই বিশেষ দিন,ভাতের প্লেটে ভিন্নতা দেখছে সে প্রাণ খুলে।কেউ খেয়াল করছে না জোছনা এঁকে দিয়েছে অদ্ভুত প্রাচীর!



মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: চমৎকার লাগলো নোমান ভাই।

একই পরিবেশে এই দু- টুকরো ঘটনায় কতটা ভিন্ন অনুভূতির আমেজ পাওয়া যায় তা উপলব্ধির প্রকাশ দেখলাম।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৯

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস ফয়সাল ভাই।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৯

তরুন সৈনিক বলেছেন: এডিট করে দেয়ার সময়েই বলছিলাম ভালো গল্প । তোমার হবে ।


অনেকদিন পর ব্লগে আনলেন , ধন্যবাদ ।

ব্লগে আনার জন্য সাথে দুঃখ -সুখ মাখা গল্পের জন্য ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৯

নোমান নমি বলেছেন: হা হা হা
অনেক ধন্যবাদ শোভন।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩২

রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: ভালো লাগছে। তয় পড়তে পড়তে শেষের দিকে ভাবছিলাম মনে হয় মুরাদের সাথে মৌরির কিছু একটা হবে। ২৩০০ শব্দের সেইটা ভাবছিলাম কিনা। :P

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১০

নোমান নমি বলেছেন: মুরাদের সাথে মৌরির?/ কসকি
ওইটা পরে দিমু। এডিট বাকি আছে।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সামাজিক স্তরের দুই মেরুর দুই বাসিন্দার গল্প । কেউ জোছনা যাপন করে শখের বসে , কেউ করে বেঁচে থাকার দাবীতে ।

চমৎকার ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১০

নোমান নমি বলেছেন: জোছনাটা আসলেই এমনই। ধন্যবাদ মন্ত্রী

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মুক্তিকামী বলেছেন: ইয়ে মানে একটু হুমায়ুন আহমেদের গন্ধ পাওয়া গেলেও মালো লাগল । পিলাচ লন

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

নোমান নমি বলেছেন: এটা ২০০৫ সালের লেখা। তখন হুমায়ূন বেশ প্রভাব বিস্তার করছিলো আমাকে। হুমায়ূন প্রভাব কাটাতেই এডিট করলাম। আরও এডিট করবো :D
ধন্যবাদ মুক্তিকামী।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা ছোট্ট করে বেশ বড়সড় আবেগ ও অনুভীত ধারণ করেছে।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১২

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস সায়েম ভাই।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো। তবে একটু কি ছোট হয়ে গেছে? ফেসবুকে বেশি সময় দিতাসো ইদানিং। ফিনিশিংয়ের কথাগুলো অনেক সুন্দর হৈসে।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৩

নোমান নমি বলেছেন: একজন ব্লগারকে নষ্ট করবার জন্য ফেসবুকই যথেষ্ঠ। আবার ব্লগে নিয়মিত হচ্ছি। আজকে থেকে ব্লগে নিয়মিত। গল্পটা ২০০৫ সালের লেখা। একদম ছোটই।হুমায়ূনের প্রভাব ছিলো। কেবল প্রভাবটুকু সরিয়ে দিয়েছিলাম বলেই ছোটই আছে। আজ রাতে আপনার ব্লগেও ঢু মারবো। বহুদিন নতুন গল্প পড়া হয় না।
ভালো থাইকেন

৮| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৬

স্বপনবাজ বলেছেন: জোছনা কথাটা ই জানি কেমন!
গল্প ভালো লেগেছে!

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৪

নোমান নমি বলেছেন: জোছনা মায়া!
ধন্যবাদ স্বপনবাজ।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২২

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: গল্পতো জানাই ছিল। আগের লেখাটার চাইতে ভালো হইছে :)

মজা পাইলাম নিপুনের কমেন্ট পইড়া :D

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪

নোমান নমি বলেছেন: হাহা নিপুন কট।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

চারকল বলেছেন: "এত্তকোনা হাড়ি টুমটুমা ভরি" -মানে গল্প ছোট হলেও ওজনদার।

ভালো লাগলো।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভালো হইছে নোমান ভাই :)

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫

নোমান নমি বলেছেন: থ্যংকস স্বপ্নবাজ।

১২| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পটা চমৎকার লাগলো ভাইয়া।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৬

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: ভালো লাগলো। সুন্দর হয়েছে :)

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৭

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস প্রিন্স হেক্টর।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাল গপ- শেষের দিকে দারুণ লাগলো

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৮

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকসস

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

সাদরিল বলেছেন: আমিও এই কয়দিন ফেসবুকে সময় দিয়ে বুঝলাম টুকটাক স্ট্যাটাস পড়ে আর পিক দেখে ঐখানে কাজের কাজ কিছুই হয় না।এই কারণে গত পরশূ একটা চেষ্টা করা ছোটগল্প পোস্ট দিয়ে ব্লগে ফেরার চেষ্টা করছি। তবে পাঠক হিসেবে আমার ক্ষুধা আরো বেশী।এই গল্পটা লিখে সেই ক্ষিধের বেশ খানিকটা মিটিয়ে দিলেন নোমান ভাই।গপ্পটা দারু হয়েছে।বিশেষ করে শেষের লাইনটা

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৯

নোমান নমি বলেছেন: ফেসবুকটা নষ্ট কইরা দিছে। আপনার গল্প পড়ছি। থ্যাংকস সাদরিল।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পেটে ভাত না থাকলে মনে সাহিত্য আসে না - এই আপাতঃদৃষ্ট কাঁচা কথাটার গল্পীয় সংস্করণ মনে হল। ভাল লিখেছেন।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২০

নোমান নমি বলেছেন: হুম হতে পারে। থ্যাংকস স্যার শঙ্কু

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুই মেরুর দুই বাসিন্দা চমৎকার উপস্থাপনা

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২১

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ অথর্ব ভাই।

১৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: দারুন লেখা

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২২

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস

১৯| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
তারা আকাশ দেখছে না,এ আকাশ প্রতিদিনকার আকাশের মত,বাড়তি কিছু ভাতের প্লেটে, জোছনায় না।বরং আজ আকাশেরই বিশেষ দিন,ভাতের প্লেটে ভিন্নতা দেখছে সে প্রাণ খুলে।কেউ খেয়াল করছে না জোছনা এঁকে দিয়েছে অদ্ভুত প্রাচীর!

কথাগুলো অনেক ভালো লাগলো নোমান ভাই।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৩

নোমান নমি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই।

২০| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মাক্স বলেছেন: প্লাস!

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৪

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের বুনন শক্তিশালী না হলেও শেষাংশটায় বাস্তবতার মিশেলে চমৎকার হয়েছে।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৪

নোমান নমি বলেছেন: পরেরবার আলো ভালো চেষ্টা করবো।

২২| ১৫ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শীলা শিপা বলেছেন: কেউ খেয়াল করছে না জোছনা এঁকে দিয়েছে অদ্ভুত প্রাচীর!

দারুন লিখেছেন।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৫

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: শেষের দিকের কথাগুলো ভালো লাগছে । অনেক দিন পরে আপ্নার পোষ্ট পড়লাম ।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৬

নোমান নমি বলেছেন: অনেকদিন পর পোষ্ট দিছি। ভালো থাইকেন পাইলট।

২৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: দেয়াল ঘড়ি আর হাওয়া ঘরের পর জোছনা প্রাচীর। পরপর তিনটা গল্পই চমৎকার লাগলো। পরবর্তীটাও আশা করছি, এভাবেই ভালো লাগবে।

শুভরাত।

১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

নোমান নমি বলেছেন: ইনশাল্লাহ। ভালো থাইকো।

২৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

সোহাগ সকাল বলেছেন: আর আপনি আবারো ব্লগে নিয়মিত হবেন জানতে পেরে ভালো লাগলো।

বেশি বেশি গল্প দিবেন! :|

১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

নোমান নমি বলেছেন: ইনশাল্লাহ। আরেকটা পোষ্ট দিছি কিন্তুক :D

২৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: পুরান গল্প মনে হইতেছে ??
আপনার প্রথম প্রকাশিত গল্প ।

১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

নোমান নমি বলেছেন: হুমম পুরান গল্প নতুন রুপে!

২৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লেখা! তোমার লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগে।
তবে মনে হয় একটু ছোট হইয়া গেসে গা!

সর্বনাসা ফেসবুক।

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৯

নোমান নমি বলেছেন: আসলেই সর্বনাশা ফেসবুক।

২৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো...

:)
শুভেচ্ছা~~

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:২০

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ বটবৃক্ষ।

২৯| ০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

এরিস বলেছেন: এক আকাশের নীচে, একই বেলতলার মাঠে পুরোপুরিভাবে ভিন্ন দুটি জীবনযাপনের ছবি। মাঠের অন্য এক কোণে গোল হয়ে বসে ভাত খাচ্ছে মুরাদ এবং তার মা-বাবা।চোখ মুখে পরম তৃপ্তি।পৃথিবীর কোন তৃপ্তি যেন ছুঁতে পারেনা।তারা আকাশ দেখছে না,এ আকাশ প্রতিদিনকার আকাশের মত,বাড়তি কিছু ভাতের প্লেটে, জোছনায় না।বরং আজ আকাশেরই বিশেষ দিন,ভাতের প্লেটে ভিন্নতা দেখছে সে প্রাণ খুলে।কেউ খেয়াল করছে না জোছনা এঁকে দিয়েছে অদ্ভুত প্রাচীর! কথাগুলো মনে দাগ কেটে গেলো। প্রাসাদতুল্য অট্টালিকায় মুনার জীবন, আর ছেঁড়া পলিথিনের তাঁবুতে মুরাদের জীবন হয়তো উপরে ছাদ আর চালের জন্যে দেখা যায়না, এই বেলতলার ফাঁকা মাঠে চাওয়া পাওয়ার এই অসীম দূরত্ব কি বিধাতা দেখতে পান???

০৩ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

নোমান নমি বলেছেন: হয়ত দেখতে পান না।
কিভাবে যেন আপনার কমেন্টটি মিস হয়ে গিযেছিলো। ভালো থাকবেন।

৩০| ০৩ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: মাঠের অন্য এক কোণে গোল হয়ে বসে ভাত খাচ্ছে মুরাদ এবং তার মা-বাবা।চোখ মুখে পরম তৃপ্তি।পৃথিবীর কোন তৃপ্তি যেন ছুঁতে পারেনা।তারা আকাশ দেখছে না,এ আকাশ প্রতিদিনকার আকাশের মত,বাড়তি কিছু ভাতের প্লেটে, জোছনায় না।বরং আজ আকাশেরই বিশেষ দিন,ভাতের প্লেটে ভিন্নতা দেখছে সে প্রাণ খুলে।কেউ খেয়াল করছে না জোছনা এঁকে দিয়েছে অদ্ভুত প্রাচীর


বেশ ভালো লাগল। বিশেষ করে এই শেষের কথাগুলো।

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩০

নোমান নমি বলেছেন: থ্যাংকস। ভালো থাকবেন।

৩১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শেষটার কারণেই পুরো গল্পটা অনেক ভাল লাগল । পারফেক্ট , অল্প কথায় গভীর ভাব , জীবনদর্শন। সংক্ষিপ্ত অবয়বে সুন্দর বুননের কারণেই গল্পটা অনবদ্য । ভাল থাকুন নোমান ভাই । :)

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৭

নোমান নমি বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ।

৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

একলা চলো রে বলেছেন: ইদানিং আপনার লেখাগুলো সংক্ষিপ্ত মনে হচ্ছে।
যাই হোক, ++++++++++++

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৮

নোমান নমি বলেছেন: এটা ঠিক এখনকার লেখা না। ৯ বছর আগের লেখা। আমার প্রথম গল্প। একটু এডিট করে দিলাম কেবল।
ভালো থাকবেন।

৩৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আপনার লেখা এই প্রথম পড়া হলো।এবং পড়ে মনে হলো যে এতদিন পরে কেন আপনার ব্লগে ঢুকলাম।অনেক সুন্দর গল্প।ভালো লাগলো ভাইয়া :)

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫

নোমান নমি বলেছেন: এবার থেকে নিয়মিত আসবেন :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.