![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের বীরঙ্গনারা
মাতাহারীর নাম শুনেছেন?
ইতিহাসের বিখ্যাত নারী গুপ্তচর বা স্পাই। ১ম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানির পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৯১৭ সালের ১৫ অক্টোবর, ফ্রান্স তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাসে এমন এক সাহসী বীরাঙ্গনা রয়েছেন,যার নয় মাসের গুপ্তচরবৃত্তি আর সশস্ত্র যুদ্ধের কাহিনী ইতিহাসের বিখ্যাত গুপ্তচর মাতাহারীর চেয়েও বীরত্বময়। জানেন সেই বীর অগ্নিকন্যার নাম?
জানলে ভালো, না জানলে ভাবতে থাকুন।
আর এই ফাঁকে তাঁর বীরত্বের কিছু গল্প শুনুন :
(কি ভাবছেন? আজ ১৬ ডিসেম্বর বা ২৬শে মার্চ কিংবা অন্য কোন বিশেষ দিন কি না? নাহ্, সেরকম কোন বিশেষ দিন নয় আজ। তবুও বলতে ইচ্ছে হলো,নিজেদের রক্তাক্ত ইতিহাসের এক সূর্যচোখ- বীরাঙ্গনার গল্প!)
১৯৭১সাল,জুন মাসে দোয়ারাবাজার সীমান্তে পাকবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যকার তুমুল লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনী হেরে গেলে অনেকের সাথে এই মহিয়সী নারীকেও আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদাররা।
দিনের পর দিন চলতে থাকে পাকি নরপিশাচ আর রাজাকার আলবদর কর্তৃক তাঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন। ভেঙে না পড়ে প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসে উঠতে থাকেন এই বীরাঙ্গনা।
একপর্যায়ে হানাদার বাহিনী ছেড়ে দিলে পরিচয় হয় মুক্তিযোদ্ধা রহমতের সাথে। তিনি নিয়ে যান সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলীর কাছে। শুরু হয় প্রতিশোধের এক নতুন অধ্যায়। জীবনের রঙ্গমঞ্চে জীবন বাজি রেখে,যেমন খুশি তেমন সাজে, কখনো পাগল কখনো ভবঘুরের বেশে পাকবাহিনীর গতিবিধির খবর পৌঁছে দিতেন মুক্তিবাহিনীর কাছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি অপারেশন সফল করতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধারা।
কিন্তু জীবন তাঁর আরও ত্যাগের! আরও কণ্টকময়! গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে একদিন বাংলাবাজারে পাকবাহিনীর হাতে আবারও ধরা পড়েন এই বীরাঙ্গনা।
শুরু হয় নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার । একটানা ৭ দিন বিবস্ত্র করে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। লোহার রড গরম করে তাঁর নরম আদুরে শরীরটার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় নরক চিহ্ন এঁকে দিতে থাকে হায়েনারা। যা আজও তাঁকে নাড়া দেয়! আজও শরীরে সেই নরক চিহ্ন বয়ে বেড়ান!
অজ্ঞান অবস্থায় একসময় মৃত ভেবে পাকিস্তানিরা তাঁকে ফেলে যায়। ৭ দিন পর জ্ঞান ফিরে এলে মুমূর্ষু এই বীরাঙ্গনাকে বালাট সাব সেক্টরে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হয়।
কী ভাবছেন,এখানেই শেষ?
ভুল করছেন। অসম সাহসিনী এই নারী সুস্থ হবার পর আমুল বদলে যান! চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেই পাকিস্তান বধের নেশায় আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, আরও অবিচল লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নেন অস্ত্র চালনার। শুরু হয় অস্ত্র হাতে জীবনের আরেক অধ্যায়। পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস, টেংরাটিলায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন এই বীরাঙ্গনা । বিদ্ধ হন গুলির আঘাতে। সুস্থ হয়ে আবারো অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। মুক্তিবাহিনীর সাথে একে একে অংশগ্রহণ করতে থাকেন আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বলিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূর্বিনটিলা,আধারটিলা সহ প্রায় ৯টি সম্মুখযুদ্ধে।
এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন,কে ছিলেন একাত্তরের এই অকুতোভয় গুপ্তচর আর বীর নারী যোদ্ধা? হ্যাঁ, তিনি আমাদের কাকন বিবি। খাসিয়া সম্প্রদায়ের মুক্তির বেটি বলে পরিচিত আমাদের অগ্নিকন্যা কাকন বিবি।
স্বাধীনতার পর অভিমানে বেছে নেন এক নিভৃত জীবন। চলে যান লোকচক্ষুর সম্পূর্ণ অন্তরালে। ১৯৯৬ সালে সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু বাংলার এই মাকে আবিষ্কার করেন ভিক্ষারত অবস্থায়।
তাঁর বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বীর প্রতীক উপাধি দেবার সিদ্ধান্ত নিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও তা গেজেটেড আকারে প্রকাশিত হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের হাজারো গল্প অজানাই থেকে যাচ্ছে এই প্রজন্মের কাছে। কাকন বিবির মতো অন্যান্য বীর সন্তানদের সংগ্রাম আর ত্যাগের ইতিহাস জানার আগ্রহ ও সদিচ্ছা নেই বলেই আজ পাকিস্তানি লোনে শরীর ঢাকতে চায় এ দেশের তরুনীরা।
আমাদের বীরাঙ্গনাদের রক্তাক্ত শরীর মনে রাখার কোনই প্রয়োজন নেই।
আসুন, তারচেয়ে বরং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দিয়ে এই বীরঙ্গনাদের আরও বেশি অবহেলা করা সুযোগ করে দিই। ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করি।
উৎসবগুলোকে নিজেদের রাঙাতে পাকিস্তানি মেহেদি কিনি বেশি করে। খেলার মাঠে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে প্লেকার্ড হাতে আরো চিৎকার করে বলতে থাকি love u! want you! marry me!
এই না হলে আমরা বাঙালি!
সেই একাত্তরে কি হয়েছে, না হয়েছে এইসব খুঁজে খুঁজে জানার, চোখের জল ফেলার কোন মানে হয়!
চেতনা এখন এ্যালকোহলিক ঘুমে আচ্ছন্ন!
ঘুমাক!
বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||পোস্ট করেছেনঃ বাংলার নবাব লিকু
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা, কাকন বিবিরা হেরে গেছে তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবের ভুলে; উনারা ২ জন বুঝতে পারেননি যে, কাকন বিবি ও মুক্তিযোদ্ধারাই উনাদের সব স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছিলেন।
উনারা ২ জনেই ভুল করে, ভুল মানুষের সাথে চলে প্রাণ হারায়েছেন।
০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩২
৩ তারকা বলেছেন: হয়তবা আপনার কথাই টিক...@চাঁদগাজী ভাই
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: নতজানু হয়ে শ্রদ্ধা জানাই এই মহান বীরের প্রতি। স্যালুট কাকন বিবি।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের বীরাঙ্গনাদের রক্তাক্ত শরীর মনে রাখার কোনই প্রয়োজন নেই।
আসুন, তারচেয়ে বরং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দিয়ে এই বীরঙ্গনাদের আরও বেশি অবহেলা করা সুযোগ করে দিই। ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করি।
এই কথাগুলোর সাথে দ্বিমত করার কন উপায় নেই।
আর একজন বীরাঙ্গনার বীরত্ব গাঁথা বলি। বরিশালের বীরাঙ্গনা ভাগীরথী। না তাঁকে কাঁকন বিবির মত অবহেলায় জীবন পার করতে হয় নি। কারণ পাকিস্তানী পশুরা তাঁকে বাঁচতেই দেয় নি। ষ্টাদশী ভাগীরথী ছিল বরিশাল জেলার পিরোজপুর থানার বাঘমারা কদমতলীর এক বিধবা পল্লীবালা। বিয়ের এক বছর পর একটি পুত্র সন্তান কোলে নিয়েই তাকে বরন করে নিতে হয় সুকঠিন বৈধব্য।স্বামীর বিয়োগ ব্যাথা তখনও কাটেনি। এরই মধ্যে দেশে নেমে এল ইয়াহিয়ার ঝটিকা বাহিনী। গত মে মাসের এক বিকালে ওরা চরাও হল ভাগীরথীদের গ্রামে। হত্যা করলো অনেককে জাকে যেখানে যেভাবে পেলো।এ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যেও ভাগীরথীকে ওরা মারতে পারল না। অর দেহলাবন্য দস্যুদের মনে যে লালসা জাগিয়েছিল তাতেই হার মানল তাঁদের রক্তপিপাসা। অকে ট্রাকে তুলে নিয়ে এল পিরোজপুরে। তারপর ক্যাম্পে তার উপর চালানো হল হিংস্র পাশবিক অত্যাচার। সতি নারী ভাগীরথী । এ পরিস্থিতিতে মৃত্যুকে তিনি একমাত্র পরিত্রানের উপায় বলে ভাবতে লাগ্লেন। ভাবতে ভাবতেই এক সময় এল নতুন চিন্তা হ্যাঁ মৃত্যুই যদি বরন করতে হয় ওদেরই বা রেহাই দেব কেন?ভাগীরথী কৌশলের আশ্রয় নীল এবার। এখন আর অবাধ্য মেয়ে নয় দস্তুরমত খানদের খুশি করতে শুরু করল, ওদের আস্থা অর্জনের আপ্রান চেষ্টা চালাতে লাগাল।
বেশি দিন লাগল না অল্প কদিনেই নারীলোলূপ সেনারা ওর প্রতি দারুণ আকর্ষণ অনুভব করল। আর সেই সুযোগে ভাগীরথী ওদের কাছ থেকে জেনে নিতে শুরু করল পাক বাহিনীর সব গোপন তথ্য।এক পর্যায়ে বিশ্বাস ভাজন ভাগীরথীকে ওরা নিজের ঘরেও যেতে দিত। আর কোন বাঁধা নেই। ভাগীরথী এখন নিয়মিত সামরিক ক্যাম্পে যায় আবার ফিরে আসে নিজ গ্রামে।এরি মধ্যে চতুরা ভাগীরথী তার মুল লক্ষ্য অর্জনের পথেও এগিয়ে গেল অনেকখানি। গোপনে মুক্তিবাহিনীর সাথে গড়ে তুলল ঘনিস্ট যোগাযোগ।এরপরই এল আসল সুযোগ। জুন মাসের একদিন ভাগীরথী খান সেনাদের নিমন্ত্রন করল তার নিজ গ্রামে। এদিকে মুক্তিবাহিনীকেও তৈরি রাখা হল যথারীতি। ৪৫ জন খানসেনা সেদিন হাসতে হাসতে বাঘমারা কদমতলা এসেছিল কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ৪/৫ জন ক্যাম্পে ফিরতে পেরেছে বুলেটের ক্ষত নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে। বাকিরা ভাগীরথীর গ্রামেই শিয়াল কুকুর শকুনের খোরাক হয়েছে। এরপর আর ভাগীরথী ওদের ক্যাম্পে যায় নি। ওরা বুঝেছে এটা তারি কীর্তি। কীর্তিমানরা তাই হুকুম দিল জীবিত অথবা মৃত ভাগীরথীকে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে নগদ এক হাজার টাকা পুরুস্কার দেয়া হবে।
কিন্তু ভাগীরথী তখনও জানত না ওর জন্য আরও দুঃসহ ভবিস্যত অপেক্ষা করছে। একদিন রাজাকারদের হাতে ধরা পরল ভাগীরথী। তাকে নিয়ে এল পিরোজপুর সামরিক ক্যাম্পে।
খান সেনাদের এবার ভাগীরথীর উপর হিংস্রতার পরিক্ষার আয়োজন করলো। এক হাটবারে তাকে শহরের রাস্তায় এনে দাঁড় করানো হলো জনবহুল চৌমাথায়। সেখানে প্রকাশ্যে তার অঙ্গাবরন খুলে ফেলল কয়েকজন খান সেনা। তারপর দুগাছি দড়ি ওর দুপায়ে বেঁধে একটি জীপে বেঁধে জ্যান্ত শহরের রাস্তায় টেনে বেড়ালো ওরা মহাউৎসবে। ঘণ্টা খানিক রাজপথ পরিক্রমায় পর আবার যখন ফিরে এল সেই চৌমাথায় তখনও ওর দেহে প্রানের স্পন্দন রয়েছে।
এবার তারা দুটি পা দুটি জীপের সাথে বেঁধে নিল এবং জীপ দুটিকে চালিয়ে দিল বিপরীত দিকে। ভাগীরথী দু ভাগ হয়ে গেল। সেই দুভাগে দুজীপে আবার শহর পরিক্রমা শেষ করে জল্লাদ খানরা আবার ফিরে এল সেই চৌমাথায় এবং সেখানেই ফেলে রেখে গেল ওর বিকৃত মাংসগুলো।
একদিন দুদিন করে মাংসগুলো ঐ রাস্তার মাটির সাথেই একাকার হয়ে গেল এক সময়। বাংলামায়ের ভাগীরথী এমনি ভাবেই আবার মিশে গেল বাংলার ধূলিকণার সাথে ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৯
৩ তারকা বলেছেন: প্রবাসী পাঠক: ভাই জান আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ..আর সালাম জানাই সেই সব মা দের কে যাদের ইজ্জত ও প্রানের বিনিময়ে আজ.................................???? ( সালাম মা তোমায় হাজার সালাম )
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৪
আমি শঙ্খচিল বলেছেন: পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ , মুক্তিযুদ্ধের অনেক কিছুই আমরা জানি না , জানি ততটুকুই যতটুকু আমাদের জানতে দেওয়া হয় । এ বিষয়ে অনেক কিছু বলার থাকলে ও বলতে ইচ্ছা হয় না কারন আমার বলাতে কিছু বদলে যাবে না । শুধু এই মহৎ প্রান মুক্তিযোদ্ধা দের জানাই সালাম , আমরা আপনাদের ঋণ হয়ত কোন দিন ই শোধ করতে পারব না ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১২
৩ তারকা বলেছেন: আমি শঙ্খচিল: ভাই আপনাকে ও ধন্যবাদ. আমরা ই বা কি জানি সবার তো এক ই অবস্তা.।তার পর ও যকন ই কিছু জানতে পারবো ইনশা আল্লাহ সবার মাজে শেয়ার করবো..।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
সুমন কর বলেছেন: বিন্রম শ্রদ্ধা জানাই উনাকে। চমৎকার তথ্যটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৩
৩ তারকা বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
আবু শাকিল বলেছেন: বিন্রম শ্রদ্ধা জানাই ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৩
৩ তারকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ও
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
৩ তারকা বলেছেন: মা তোমায় সালাম.।