নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি ও তৃতীয় লিঙ্গ(হিজড়া) ৯ম পর্ব।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২



দুই হাতে উড়াই পোড়া স্বপ্নের ছাই, পিরিতি কাকন আর যেত আকুলতা। একান্তে প্রেম ভেঙ্গে গেলে পড়ে থাকে ঝড়ু ঝড়ু স্মৃতি আর বিষাক্ত চুল কাঁটা। পান্তিক রেখায় উড়ছে মেঘদল, ওদের চিনাবো বদ্ধ ভূমির ফাঁস। চার পাশে পুরুষ নেইতো কোন, যুথচার সব নৃপংশুকের নাচ। এই দুর্ভিক্ষে তুই আমি এক সুখী, চল যাই ভেসে দুহানিও মিলে দুর্ভাগ। বেপরোয়া নদী দ্বিধাহীন অস্নানোত, নিচু ফেলে মাটি আমরা পরস্পর।

সকাল হতে ছুটে চলে শহর সাথে ছুটে চলছি আমরাও। আমাদের সাথে ছুটে চলে কিছু অন্য লোক যাদের পরিচয় আছে সামাজিক স্বীকৃতি নেই। আসলে আধুনিকতার মোড়কে প্রগতিশীল হলেও সামাজিক হীনমন্যতা হতে বের হতে পারিনি আমরা।বয়ঃসন্ধি কালের পর হতে শুরু হয় লড়াই, তার বেড়ে উঠা বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি ফেলেও বেঁচে থাকা খুব সহজ নয়। আমি রুপালী রূপান্তর হয়েছি যে দশ বছর হয়েছে তবুও যেন অস্বিত্ব সংকটে আছি অথচ আমি শিক্ষিত মানুষ অভিনয়ও করি। এই লড়াই যে কতটা কন্টক তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে।

এক কথায় বলে বুঝানো যাবে না, প্রতি মুহুর্ত নিজেকে জাস্টিপাই করা, সমাজ তোমাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে তুমি খারাপ, তুমি ভুল, তুমি যা করছো সেটা ভুল করছো অন্যায় করছো, এবং সাথে সাথে সমাজ দন্ডের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে। যদি সমাজের নিয়ম অনুযায়ী চলতে না পারি সমাজ প্রতিনিয়ত শাস্তি দিবে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আর সেখানে দাড়িয়েই সবসময় নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করা এবং কখনো কখনো বলা যদি নিজের প্রতি নিজের বলার সেই আত্নবিশ্বাসটা থাকে তাহলে বলা তোর চেয়ে আমি সত্য, এই বিশ্বাসে প্রাণ দিব দেখো।

আচ্ছা রুপালী রূপান্তরিত হতে হবে এই সিদ্ধান্তটা কেন।
আসলে আমার যেটা মনে হয় অন্তর আর বাহিরের এই দুইটো জায়গার মিল না থাকলেতো একটা মানুষ সম্পূর্ণ হয় না। অন্তত আমি, বাকিদের কথা বলতে পারবো না আমার নিজের ক্ষেত্রে আমার সে রকম অনুভূতি ছিল, যে আমার হৃদয়ের সাথে আমার শরীরের বাহিরের যদি মিল না হয় তাহলে আমি কখনো নিজেও স্বস্তিবোধ করছিলাম না যে সম্পূর্ণ নারী হিসাবে। যে কারণে বার বার মনে হয়েছে যে আমার বাহিরের গঠনটা পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এখনো মনে পড়ে সে বাড়ি, সেই বাড়ির ছাদ যেখানে আমি একা একা বসে আকাশ দেখতাম।

বসে বসে হাঁটুর ভিতর মুখ লুকিয়ে কাঁদতাম, কাউকে কিছু বুঝানো যেত না বুঝাতে পারতাম না। আর এই না পারাটা নিজের সাথে ছাড়া পৃথিবীর কারো সাথে বলা যেত না।
মা কি বলতেন?
(কান্না) মা.....মাতো এসমাজের একটা অংশ ছিলেন, তারপরও সন্তান হিসাবে কখনো অবহেলা ছিল না। শুধু পরিবারের সবার এক কথা ছিল আমাকে তাদের সমাজের একজন হতে হবে, আমি যদি সমাজের মত হতে না পারি নিন্দার শেষ নাই, লজ্জার শেষ নাই।

আমাদের সমাজে পুরুষকে সিংহের মত মনে করা হয়, পুরুষ যেন একটা প্রতুল।
তুমিতো অনেক পরিচিত মুখ, যখন রাস্তাঘাটে বাহির হও অন্যরা কি তীর্যক দৃষ্টি ফেলে।
কিছু কিছু জায়গায় এখনো হয়। একটা ঘটনা বললে বুঝতে পারবে। আমিতো অভিনয়নের পাশাপাশি মডেলিংও করি তাই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনের সাথে মিশতে হয়। সেই রকম এক জায়গায় এক মহিলা খুব তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ব্যবহার করে ছিল।তখন তাকে আমি বলি কেন আপনি এমন করছেন তখন সে অত্যন্ত চিড়-খাত্তয়া ভাষায় বলে---।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই ওদের কষ্ট দেখে খারাপ লাগে। এদের পুনর্বাসন করা দরকার

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আস্তে আস্তে কিছুটা হচ্ছে । ধন্যবাদ

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা বড্ড অগোছালো। মনে হয় খুব তাড়াহুড়া করেছেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০

রামিসা রোজা বলেছেন:
পরিবার ও সমাজ থেকে বঞ্চিত এই মানুষগুলোর জন্য
অনেক খারাপ লাগে । এদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য
কর্মসংস্থান করা খুবই প্রয়োজন ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একদম সত্য কথা

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি মানুষ শৃষ্টি করেছি পুরুষ ও নারী রূপে।এগুলি তাহলে কি?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এদের খুবই করুণ জীবন বাধ্য হয়ে বাজে কাজ করে। কারণ বাঁচতে হবে, খেতে হবে

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এদের জন্য দুঃখ হয়, কষ্ট হয় আবার বিরক্তও লাগে মাঝে মাঝে।

হায়রে সাধের জীবন কেন হইল নষ্ট ?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাই খারাপ না এদের সাথে চললে বুঝা যাবে। পরিবার সমাজ দায়ী

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

মোড়ল সাহেব বলেছেন: ওদের জীবনের সার্থকতা নিয়ে আমিও অনেক ভেবেছি

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার এই সিরিজের শেষের তিনটা পর্ব আমার পড়তে বাকি ছিলো৷ এখন পড়লাম। সবগুলো পর্বেই অত্যন্ত মানবিক ভাষায় এদের নিয়ে লিখেছেন। এদের মূল স্রোতে আনা উচিত এটা ঠিক। তবে এদের উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রশাসনে এদের কাউকেই নিয়োগ দেওয়া উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এদের বিশেষ ক্লাস করার সুবিধা দেওয়া উচিত। এদের বয়সন্ধির আগে চিকিৎসা করলে অনেক ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বুঝে এই চিকিৎসার পুরোটা অথবা আংশিক ব্যয়ভার সরকারের বহন করা উচিত। জোর করে যারা ক্যাস্ট্রেশন করে হিজড়া তৈরি করছে, অথবা যারা নিজেরাই এসব করছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে৷

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবচেয়ে জরুরী ভিত্তিতে এদের কাছে শিক্ষার সুযোগ সহজলভ্য করে দিতে হবে। আর তার পরে দিতে হবে সমাজে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা, মেলামেশা করার সুযোগ ও অধিকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.