![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
( লেখাটি গতরাত ২টার, অনেকরই চোখে পড়েনি তাই পূণরায় দিলাম। জানিনা পোস্ট টি স্টিকি করা হবে কিনা, তবে আশা রাখব বিশ্বখ্যাত এই বাংলাদেশীর সন্মানে পোস্ট টি স্টিকি করা হবে।)
আজ ৩রা এপ্রিল।
বাংলাদেশের বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি ও পুরকৌশলী ফজলুর রহমান খান এর জন্মদিন। তিনি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার (বর্তমানে উইওলস টাওয়ার) এর নকশা প্রণয়ন করেন। ১৯৭৪ সালে নির্মিত এই ভবনটি প্রায় ৩০ বছর ধরে বিশ্বের উচ্চতম ভবন ছিলো। এছাড়া ১৯৬৯ সালে নির্মিত জন হ্যানকক সেন্টার এর স্থাপত্য প্রকৌশলী ছিলেন ফজলুর রহমান খান আর প্রধান ডিজাইনার ছিলেন ব্রুস গ্রাহাম।
সিয়ার্স টাওয়ার (Sears Tower)এই ভবনটির নকশা করেছিলেন ফজলুর রহমান। ভবনটি তৈরীর ৩০বছর পর্যন্ত বিশ্বের উচ্চতম ভবন হিসাবে এক নাম্বারে ছিল।
জন হ্যানকক সেন্টার এই ভবনটির স্থাপত্য প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
এক নজরে ফজলুর রহমান খান
ফজলুর রহমান খান ১৯২৯ সালের ৩রা এপ্রিল মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে আরমানিটোলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর) ভর্তি হন। ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে পঞ্চাশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তিনি ঢাকায় ফিরে এলে তৎকালীন আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বাকি পরীক্ষা সমাপ্ত করেন ৷ কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার এবং আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষার উভয় ফলের ভিত্তিতে তাঁকে বিশেষ বিবেচনায় ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয় ৷ এ মূল্যায়নে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। জনাব এফ আর খান ১৯৫২ তে সরকারী বৃত্তি ও ফুল ব্রাইট বৃত্তি নিয়ে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন ৷ সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তত্ত্বীয় ও ফলিত মেকানিক্স-এ যুগ্ম এম এস করেন।
মেধাবী এই ব্যাক্তি ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পরপরই আহসানউলাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপকের পদে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি শিকাগো শহরের স্কিডমোর, ওউইং ও মেরিল নামের প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৫৬ সালে দেশে ফিরে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পূর্ব পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে আমেরিকার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিড মোর এর আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে এ কোম্পানীর শিকাগো অফিসের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন ৷ পাশাপাশি তিনি আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এর স্থাপত্য বিভাগে অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত হন ।
শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার তার অনন্য কীর্তি। তিনি ১৯৭২ সনে 'ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ড'-এ ম্যান অব দি ইয়ার বিবেচিত হন এবং পাঁচবার (৬৫,৬৮,৭০,৭১,৭৯) স্থাপত্য শিল্পে সবচেয়ে বেশী অবদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবার গৌরব লাভ করেন ৷ ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সনে আমেরিকার 'নিউজ উইক' ম্যাগাজিন শিল্প ও স্থাপত্যের উপর প্রচ্ছদ কাহিনীতে তাঁকে মার্কিন স্থাপত্যের শীর্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে ৷ স্থপতি ডঃ এফ, আর, খান আন্তর্জাতিক গগনচুম্বী ও নগরায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ৷ তাঁর অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে শিকাগোর জন হ্যানকক সেন্টার, জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের হজ্ব টার্মিনাল এবং মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য মডেল অংকন৷
১৯৯৮ সালে তার সৃতি স্বরূপ শিকাগো শহরের সিয়ার্স টাওয়ারের পাদদেশে অবস্থিত জ্যাকসন সড়ক পশ্চিম পার্শ্ব এবং ফ্রাঙ্কলিন সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগস্থলটিকে নামকরণ করা হয় "ফজলুর আর. খান ওয়ে"।
মহান এই ব্যাক্ত ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবাসে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন ৷ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।
১৯৮২ সনের ২৬শে মার্চ তিনি জেদ্দায় মৃত্যুবরণ করেন ৷ মৃত্যুর পর তার দেহ আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শিকাগোতে তাকে সমাহিত করা হয়।
১৯৯৯ সালে তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।
সুত্র-উইকিপিডিয়া
০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: লেখাটা দুইবার হয়ে গেছে। বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের জন্য অনুপ্রেরণা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখাটি ঠিক করে দিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল । লেখকের কাছ থেকে এরকম আরও লেখা আশা করছি ।