![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান — সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
ভূমিকা
ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান গত এক দশকে অভূতপূর্ব গতিতে শক্তিশালী হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি, ইন্টারনেটের বিস্তার এবং তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নের প্রতি আগ্রহের ফলে বাংলাদেশ এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০২৫ সালের “Payoneer Global Gig Economy Index” অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্স আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে এবং ভারত তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের তুলনায় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্স আয়ে প্রায় ৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৮ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ডেটা এন্ট্রি এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সের মতো বিভিন্ন সেবায় কাজ করছে। এই ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাতের উত্থানের পেছনে বেশ কয়েকটি মূল কারণ কাজ করছে:
১. প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতি
দেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তার ফ্রিল্যান্সিং খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে ৫০% এর বেশি মোবাইল ডেটা ব্যবহারকারী। এছাড়া ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও ফ্রিল্যান্সিংকে সহজতর করেছে।
২. যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন
বাংলাদেশের তরুণ সমাজ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, যেমন “লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (LEDP)” এবং বিভিন্ন আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, লাখ লাখ তরুণকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (BCC) এবং ICT Division-এর উদ্যোগে পরিচালিত প্রোগ্রামগুলো যুবকদের কোডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
৩. আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে সুনাম
Upwork, Fiverr, এবং Freelancer.com-এর মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা তাদের মানসম্মত কাজ এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে ইতিবাচক সুনাম অর্জন করেছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের রেটিং এবং রিভিউ আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করছে। উদাহরণস্বরূপ, Upwork-এর ২০২৪ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা গ্রাফিক ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে।
৪. অর্থনৈতিক অবদান
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৫%। এই আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের চ্যালেঞ্জ
যদিও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত দ্রুত প্রসার লাভ করছে, তবুও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
১. পেমেন্ট সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গ্রহণে সীমাবদ্ধতা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। PayPal বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর না হওয়ায় অনেক ফ্রিল্যান্সারকে Payoneer, Wise, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মতো বিকল্প পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা প্রায়শই বেশি খরচ এবং সময়সাপেক্ষ। এছাড়া, কিছু ক্লায়েন্ট এই বিকল্প পদ্ধতিগুলো ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করে, যা কাজ পেতে বাধা সৃষ্টি করে।
২. ভাষাগত ও পেশাগত দক্ষতার ঘাটতি
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব এবং পেশাগত যোগাযোগ দক্ষতার ঘাটতি অনেক ফ্রিল্যান্সারের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টরা প্রায়শই উচ্চমানের যোগাযোগ এবং প্রফেশনাল আচরণ আশা করে, যা অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতার অভাব কিছু ফ্রিল্যান্সারের কাজের মানকে প্রভাবিত করে।
৩. প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা
যদিও ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, তবুও গ্রামীণ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট এখনো সীমিত। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহের অনিয়ম এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের উচ্চমূল্য ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও অটোমেশনের প্রভাব
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অটোমেশন প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে কিছু ফ্রিল্যান্স কাজের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ডেটা এন্ট্রি, বেসিক গ্রাফিক ডিজাইন এবং কন্টেন্ট রাইটিংয়ের মতো কাজগুলো এখন AI-চালিত টুলের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষায়িত দক্ষতা অর্জন করা এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা ক্রমশ জরুরি হয়ে উঠছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সুপারিশ
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাতের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল, তবে এই সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে হলে কিছু কৌশলগত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
১. দক্ষতা উন্নয়ন ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য AI, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন, এবং সাইবারসিকিউরিটির মতো উদীয়মান প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে।
২. পেমেন্ট সিস্টেমের উন্নতি
PayPal-এর মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের পূর্ণাঙ্গ প্রবেশ এবং অন্যান্য পেমেন্ট সিস্টেমের খরচ হ্রাস করা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে পারে।
৩. ইংরেজি ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি
ইংরেজি ভাষা এবং পেশাগত যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল ও কলেজ পর্যায় থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্টের উপর স্বল্পমেয়াদী কোর্স চালু করা যেতে পারে।
৪. গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন
গ্রামীণ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা ফ্রিল্যান্সিং খাতকে আরও সম্প্রসারিত করবে। সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” উদ্যোগের আওতায় এই অবকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যেতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত বিশ্ববাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে এবং এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করছে। তবে, পেমেন্ট সিস্টেমের উন্নতি, দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর সম্প্রসারণের মাধ্যমে এই খাতের সম্ভাবনাকে আরও বাড়ানো সম্ভব। সরকার, বেসরকারি খাত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং ফ্রিল্যান্সারদের নিজস্ব উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থান দখল করতে পারে।
তথ্যসূত্র
Payoneer Global Gig Economy Index, 2025.
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC), ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিসংখ্যান, ২০২৫।
বাংলাদেশ ব্যাংক, রেমিট্যান্স প্রতিবেদন, ২০২৪।
Upwork Global Freelancer Insights Report, 2024.
ICT Division, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (LEDP), ২০২৪।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে আলেম-ওলামাদের জড়িত হওয়া জায়েজ আছে কি না, সেইটা আগে কন। তারপরে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব। আপনি তো আমাকে মোল্লা শফি উপাধি দিয়ে প্রশান্তি লাভের চেষ্টা করছেন।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
আপনার পড়ালেখা কোন বিষয়ে?
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আমার পড়ালেখা জেনে আপনার কী লাভ? এর আগে শুধু বলেছিলাম আমি ঢাবির শিক্ষার্থী। সেটা শুনেই আপনার বদ হজম লক্ষ্য করা গেছে। আরও শুনতে চান? এরচেয়ে বেশি শুনলে তো আপনার ঈমান রাখা দায় হবে। তারপরেও আপনার কৌতুহল দূর করার জন্য, আরেকটু বলি- আলহামদুলিল্লাহ, আমি মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড ইঞ্জিনিয়ার।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ,যা আমাদের দেশের তরুণ তরুণীর জন্য খুব জরুরী দরকার ।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
দেশের লক্ষ লক্ষ কর্মক্ষম তরুণ-তরুণী, যারা শিক্ষিত ও উদ্যমী হওয়া সত্ত্বেও বেকারত্বের কারণে জীবনের গতিপথে হোঁচট খাচ্ছেন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে স্বপ্ন পূরণের এক সুবর্ণ সুযোগ। আধুনিক ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং কেবল একটি পেশা নয়, বরং স্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং আর্থিক স্বাবলম্বিতার এক অনন্য পথ।
ফ্রিল্যান্সিং তরুণদের নিজেদের দক্ষতা ও প্রতিভাকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং—এমন অসংখ্য ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে তরুণরা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। এই পেশায় কোনো নির্দিষ্ট অফিস বা সময়সূচির বাঁধন নেই; বরং নিজের সুবিধামতো সময় ও স্থান বেছে নিয়ে কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে।
তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং তরুণদের উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি তাদের নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করতে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা লাভ করতে উৎসাহিত করে। এই প্রক্রিয়ায় তারা কেবল আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয় না, বরং আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভরতাও অর্জন করে।
তবে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, নিষ্ঠা এবং ক্রমাগত শেখার মনোভাব। তরুণদের উচিত তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অনলাইন কোর্স, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া। সেই সঙ্গে, নেটওয়ার্কিং এবং ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের পরিচিতি বাড়ানো জরুরি।
দেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবদানও ক্রমশ বাড়ছে। এটি কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্পই নয়, বরং দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই, তরুণ-তরুণীদের উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়া। ফ্রিল্যান্সিং তাদের হাতে তুলে দিতে পারে সফলতার সেই চাবিকাঠি, যা দিয়ে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে।
অনেক অনেক শুভকামনা।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২১
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
সময়োপযোগি পোস্ট।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক দিন পরে আপনাকে পেয়ে সত্যি আপ্লুত! কেমন আছেন, বলুন। মাঝখানে কিছু দিন পূর্বে আপনাকে কেন যেন খুব মনে পড়েছিল। যদিও আপনার ব্লগে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আসা হয়নি। আশা করছি, পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে নিশ্চয়ই ভালো ছিলেন। শুভকামনা সবসময়।
আসলে আমার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি উৎসাহিত করা কেবল প্রয়োজন নয়, এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। ফ্রিল্যান্সিং লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত তরুণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি তরুণদের আর্থিক স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ দেখায়, যেখানে তারা নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে আয় করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম সুবিধা হলো এর নমনীয় কাজের পরিবেশ। তরুণরা নিজেদের সুবিধামতো সময় ও স্থান বেছে নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান। এটি তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি, ফ্রিল্যান্সিং তরুণদের নতুন দক্ষতা অর্জন ও বিদ্যমান দক্ষতার উন্নয়নের সুযোগ দেয়, যা তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে।
সর্বোপরি, ফ্রিল্যান্সিং বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এটি কেবল তরুণদের স্বনির্ভর করে না, বরং জাতীয় উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এককথায়, ফ্রিল্যান্সিং তরুণদের জন্য স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা তাদের স্বাধীন, স্বনির্ভর এবং সফল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
আবারও কৃতজ্ঞতা।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
পোষ্ট দিয়ে চা-সিংগারা খেতে গেলেন?
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
নামাজ-কালাম, ইবাদত বন্দেগীরও তো কিছু প্রয়োজন রয়েছে - আপনার কী অভিমত? ও আচ্ছা, ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকায় সিংগারা পাওয়া যায়?
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
মাইক্রোসফট'এর সার্টিফিকেট এর পরীক্ষার জন্য "ঢাকা ইউনিভার্সিটির" ট্রেনিং নিয়েছেন, এই তো?
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ঢাবি থেকে কোনো ট্রেইনিং ফ্রেইনিং আমি নেইনি, ঢাবিতে পড়ালেখা করেছি ঢাবির একজন নিয়মিত স্টুডেন্ট হিসেবেই। বয়সের এই পর্যায়ে এসে পড়ালেখা নিয়ে আপনার কাছে নতুন করে ইন্টারভিউ দেওয়ার কিছু নেই। আর তাছাড়া, আমি এমন বিখ্যাত কেউ নই যে, আমার সম্মন্ধে বলার মত কিছু আছে। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। কোনো দিনই চাইনি যে, অনেক অনেক আমাকে মানুষ জানুক কিংবা বড় বলুক। এখনও চাই না। তারচেয়ে বরং চলুন, আপনার সম্মন্ধে জানতে অন্যদের সাহায্য করি। আপনি হয়তো বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একজন ব্যক্তি। কারণ, আপনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তাই আপনার সম্মন্ধে জানাতে অনুরোধ করছি, বলুন, আপনি কোথায় পড়েছেন? মুক্তিযোদ্ধার জীবন, পড়াশোনা ইত্যাদি ঘটনা এই প্রজন্মের তরুনদের হয়তো উদ্দীপ্ত করবে।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
আলেম ওলেমাদের যা করার ১৯৭১ সালে তাঁরা সেটা করেছেন।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সকল আলেমই কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন?
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
এখন আমেরিকা হচ্ছে ভারত ও মালয়েশিয়ার রেডিমেট সিংগারা, চমুচা ও পরোটার বাজার; মুল ক্রেতা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানীরা।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বলেছেন। আপনার কথাবার্তা গুলিয়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে।
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
৭০ ভাগ বাংগালী ও আলেমদের মাঝে ১০ ভাগ স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
এটা কি নিছকই আপনার ধারণা? না কি, কোনো জরিপের ফলাফল?
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৮
বিজন রয় বলেছেন: দারুন উত্তরে আমিও খুশি ও আপ্লুত। আপনাদের সাথে অনেক দিন কথা হয় না।
আশা করছি এখন থেকে অল্প করে হলেও ব্লগে যোগাযোগ হবে।
অনেক শুভকামনা রইল।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আশা করছি এখন থেকে অল্প করে হলেও ব্লগে যোগাযোগ হবে।
-ধন্যবাদ। একান্তভাবেই চাই আপনার সাথে ব্লগে যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ। আপনি দীর্ঘদিনের আপনজন। আপনার জন্য সবসময়ই শুভকামনা রাখি।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৪৩
লোকমানুষ বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করছে। শহর ছাড়িয়ে মফস্বল ও গ্রামে এর প্রসার তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, যা দারিদ্র্য হ্রাস ও স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তবে, এই খাতের সাফল্যের পাশাপাশি কিছু অসাধু কোচিং ব্যবসায়ী ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে অতিরঞ্জিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের বিভ্রান্ত করছে, যা এর সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে দক্ষতা উন্নয়ন, পেমেন্ট সিস্টেমের সহজীকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই খাতকে আরও সুগঠিত করা জরুরি। এটি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, বাংলাদেশের তরুণদের স্বপ্ন পূরণের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনার মূল্যবান বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। আপনার লেখায় যেমনভাবে ফ্রিল্যান্সিং খাতের অবদান, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবভিত্তিক। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব এবং অসাধু কোচিং ব্যবসায়ীদের বিষয়টি উল্লেখ করে আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছেন। আপনার মতামত নিঃসন্দেহে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নীতিনির্ধারকদের জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আবারও ধন্যবাদ।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হুজুর আসসালামু আলাইকুম।
গতকাল রাতে ভয়াবহ এক স্বপ্ন দেখেছি।
স্বপ্নটা এই রকমঃ আছরের ওয়াক্ত। কতিপয় হুজুর আমার পেছনে লেগেছে। তাদের হাতে দা-বটি-চাপাতি। হুজুররা ধরতে পারলে আমাকে কুপিয়ে মারবে। আমি জীবন হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছি।
সামনে একটা মসজিদ ছিলো। আমি বেঁচে থাকার নিমিত্তে মসজিদে ঢুকে গেলাম। নামাজ শুরু হয়ে গেছে। ভাবলাম নামাজটা পড়ে নিই। ওজু করলাম। নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি- কেউ পশ্চিম দিকে নামাজ পড়ছে। কেউ পূর্ব দিকে নামাজ পড়ছে। তবে পূর্ন দিকে নামাজির সংখ্যা কম। আমি বুঝতে পারছি না, আমি কোন দিকে নামাজ পড়বো?
এরকম স্বপ্ন দেখার মানে কি?
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনার এই স্বপ্নের মানে খুবই পরিষ্কার- আপনি দিন-রাত যেসব আকাম কুকাম নিয়ে অযথা জল্পনা-কল্পনা করে থাকেন, স্বপ্নেও সেটাই দেখেছেন।
আপনার জন্য দোআ করি এবং প্রত্যাশা রাখি, আপনি অবশ্যই ভালো পথে ফিরে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আরও বেশি সরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন এ খাতে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, একদমই সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ, আপনার সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য। আসলে ফ্রিল্যান্সিং খাতকে আরও এগিয়ে নিতে সরকারি উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন।
সরকার যদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সহজীকরণ, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ব্র্যান্ডিংয়ের মতো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এ খাত আরও দ্রুত বিকশিত হবে।
আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা রাখতে চাই, সরকার এই খাতের উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে সামনে অগ্রসর হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
আপনি ফ্রি-ল্যান্সিং'এর সাথে কোনভাবে জড়িত?