![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক বান্ধবী বোনের বিয়ে।কাল সন্ধায় হলুদ।আদিবাকে খুব করে যেতে বলেছে।খুব ভালো বান্ধবী তার।সে না হয় যাওয়া যাবে কিন্তু কি পড়ে যাবে সে ভাবনায় পড়ে গেল আদিবা।সবাইকে শাড়ি পড়ে যেতে বলছে।হাতের কাছে তো কোন শাড়ি নেই,হলের সিনিয়র বিথি আপুটাও বাড়িতে চলে গেছে তার কাছে হয়তো থাকতে পারে।বিশাল ভাবনায় পড়ে গেল আদিবা।রাত প্রায় আড়াইটা।ঘরের ফ্যান টা জোরে জোরে আওয়াজ করে ঘুরছে।আজ বেশ গরমও পড়েছে।রুমের আরো দুজন ঘুমুচ্ছে।একটু পর পর তরু গরমে ছটফট করছে।আদিবার ঘুম নেই একই ভাবনা শাড়ি কোথায় পায়।
সকাল বেলা তরুর চেচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে আদিবার।বেশ বেলা হয়ে গেছেসকাল ৯টা।তরু তর কাছেকি কোন শাড়ি আছে?
-না রে।ও একটা কিনে দিছিল সেটা ছোট বোন কে দিয়ে দিছি।আমি শাড়ি পড়তে পারি না।
ভাবনাটা জটিল হতে থাকে।আদিবা ফোন দেয় আরেক বান্ধবীকে।সেও যাবে হলুদে।ওরা ধনীর মেয়ে।তুমিকরে ডাকে।
-হ্যালো নীতু,তোমরা কি শাড়িই পড়বে ?
-হ্যাঁ ।
-না বলছিলাম কি অনেক গরম তো শাড়ি পড়ে গেলে আরো অস্বস্হি লাগে কিনা।
-তা ঠিক।কিন্তু হলুদের অনুষ্ঠান তো শাড়িটাই পারফেক্ট হবে।তুমি কোন কালারের পড়বা আমি অনেক গুলা বের করেছিলাম কোনটা পড়বো ঠিক চয়েজ করতে পারতেছিনা।
-আচ্ছা রাখি,আদিবা ফোন রেখে দিল
নিজের অসহায়ত্বের কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক ফোটা চোখের জল ও ফেললো আদিবা।আদিবার মতো কিছু মেয়ের জন্ম নেয়াটা হয়তো পাপ।সবার সাথে চলাটা খুব দুস্কর হয়ে উঠে মাঝে মাঝে।
একটা টিউশনি করে হাজার তিনেক টাকা পায় ঐটা দিয়ে তাকে চলতে হয়।পরিবারের অবস্হা ভালো না।মোবাইল টারেখে ব্যাগটা হাতে নেয়।৭০০ টাকা আর কিছু খুচরো নোট।নিষ্ঠুর এক হাঁসি দিয়ে ব্যাগটা খাটেরদিকে ছুড়ে মারে।
সকালের নাস্তা করা এখনো হয় নি।ঘড়ির কাটাটা চলছে তো চলছেই থেমে নেই।দুপুর প্রায় কাছাকাছি।দুপুর গড়িয়েই বিকেল।
টাং থেকে একটা জামা বের করলো,নতুনই গত ঈদে মামা দিয়েছে পড়া হয়নি।তুলে রেখেছে কোথাও গেলে পড়ে যাবে।বিকেল ৫টা।নতুন জামাপড়েছে আদিবা।ছোট গ্লাসে নিজেকে বারবার দেখছে।কপালে একটি টিপ ও পড়েছে।খুব কাছের বান্ধবী তাই যেতে হচ্ছে।না হয় খুব রাগ করবে।কিন্তু আজ সবার থেকে আলাদা।সবাই যেখানে শাড়ি পড়বে সেখানে সে শুধু জামা।বের হবে ব্যাগটা হাতে নিল ঠিক এমন সময় ঐবান্ধবীটার ফোন।
-কিরে কৈ তুই?সবাই তো এসে পড়েছে।
-হুম বের হচ্ছি।
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয় আর শাড়ি কিন্তু মাস্ট পড়ে আসবি।আজ আমরা সবাই শাড়ি পড়েছি।
-হুম আচ্ছা।
তবুও আদিবা সেদিন বের হয়।
সন্ধে ৭টা।আদিবার ফোনটা অফ।
২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
ফারজানা শিরিন বলেছেন: শুরু হওয়ার আগেই তো শেষ করে দিলেন ??!!!
প্লাস ।
৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৭
সখা লিলিরাশ পথিক বলেছেন: জীবন ভাই @ ধন্যাদ।
জীবনটাই এমন শুরু না হতেই শেষ@ ফারজানা
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
বহুরুপি জীবন বলেছেন: বাহ ! সুন্দর লেখা ।