নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ হোসেন আবির

সহজ পথই শ্রেষ্ঠ পথ।

ব্যর্থ মানব

সর্বদা হারতে চাই। কারন, কখনো জয়ী হতে শিখি নাই।

ব্যর্থ মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদারে গনতন্ত্র জে.এস.সি. মেডামের কাছে দেশের একজন সাধারণ নাগরিকের খোলা বিবৃতিঃ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭


১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল যে পবিত্র সংবিধান নির্মানে, সেই সংবিধানে যখন পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হল। তখন আপনারা উচ্চ আদালত কিংবা আন্তর্জাতিক আদালতে রিট না করে কয়েকদিন হরতাল দিয়ে নাকে তেল ঢেলে ঘুমাচ্ছিলেন। সাজঘরে মেকআপ নিচ্ছিলেন।
সুতরাং আজকের প্রতিটা পেট্রোলবোমার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। বার্ণ ইউনিটের ঐ আহাজারী আপনাদের কাঁধেই বর্তাবে।
৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে এক সম্মেলন থেকে যখন ঘোষণা দিলেন যে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মাঝে যদি সংলাপের কোন ডাক না আসে, তবে ৭২ ঘন্টার হরতাল। কিন্তু ৩০ ঘন্টা পরে যখন ফোনের মাধ্যমে সংলাপের ডাক আসল আপনাদের কাছে। তখন শুধু ঐ একটি গুজরাটি শব্দ 'হরতাল' বলে উড়িয়ে দিলেন সংলাপের সম্ভাবনার সকল দুয়ার।
সুতরাং মুর্খতার দন্ড হিশেবে নির্বাচনে যেতে হলে আরো ৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আর তখন নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যেতে পারবেন কিনা সেটা সময় বলে দিবে।
যখন আপনার ছেলে মারা গেলো, তখন গাড়ী নিয়ে আপনার বাসার গেইট থেকে ফিরে আসতে হল।আর আপনি ইনজেকশনের স্বপ্নে বিভোর। তখন প্রশ্ন উঠে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে।
সুতরাং আপনি একজন জেনারেল এর স্ত্রী হলেও আপনার চারপাশের লোকজন নিয়ে জাতি সন্দিহান।
আর আমরা ধরে নিয়েছিলাম যে, যদিও আপনার একাধিক জন্মতারিখ পাওয়া যায় এবং আপনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বলে বিবেচিত। এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কিংবা সাধারণ দেশবাসীর খানিকটা ভালোবাসা অর্জনের জন্য হলেও পরীক্ষার মাঝে হরতাল দিবেন না। বরং শেষ পরীক্ষা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়ে বলবেন যে, এর মাঝে সংলাপ না হলে টানা হরতাল হবে। সংলাপ না হলেও টিভি টকশোতে আপনাদের সূনাম আসত।
কিন্তু এখন পরীক্ষা হচ্ছে, গাড়ী চলছে,দোকান খোলা হচ্ছে। সবকিছু হচ্ছে। এভাবেই সবকিছু হবে। মানুষের মনে এখন খানিকটা আতঙ্ক আছে। এটা এক সময় গণধোলাইয়ের মুখে কেটে যাবে। কিন্তু "সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ব’লে মনে হয়।" -হুমায়ন আজাদ স্যার।
ঠিক তেমনি হরতাল কম দিতে হয়। বার বার দিলে এর উদ্দেশ্য উলটো দিকে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও একই হবে। ঠিক যেমন থুথু উপড়ে ছুঁড়লে তা নিজের মাথায় পরবে। সাথে সাথে এদেশের সাধারণ জনগণ এক সময় এভাবে চলতে থাকলে আপনাদের মুখে থুথু দিবে।
সুতরাং স্বাধীনতার ৪৪ বছরে পা দিয়েও আপনি যখন সেই যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান, আপনি যখন ইসলামী জঙ্গী সংগঠন শিবিরের মাথায় লবণ রেখে বড়ই খেতে চান। তখন এদেশের দেশপ্রেমিকেরা বসে থাকবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত থেমে থাকবে না। আপনার ঠিকানা যেন পাকিস্তান না হয়, সেটা মাথায় রেখে আর তালেবান কায়দায় কোন হরতাল দিয়ে বাংলার খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা করবেন না। বীরের জাতি বাঙ্গালীরা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু কৌশল ভুলেনি।
সারা বিশ্ব যখন শিক্ষা,দীক্ষা ও প্রযুক্তি দিয়ে অর্থনীতির চাকাকে ত্বরান্বিত করছে। আর আপনি সেখানে ৬৫ ভাগ শিক্ষার হার যে দেশে সেখানে ৫ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনকে থমকে দিয়েছেন। আপনি নিজে যে মানের বার বার ঐ একই মানের পরিচয় দিয়ে জনগণ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
পিপীলিকার পাখা গজায় নাকি মরিবার তলে। আপনাদের অবস্থা কি এদিকে যাচ্ছে? কিন্তু দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদল হিশেবে বাংলার মানুষ সেই জিয়াউর রহমান যিনি স্বাধীন দেশে রাজাকারদের আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যিনি খাল কেটে অমর হয়ে আছেন। তার সংগঠনের উত্তরসূরি হিশেবে আপনাদেরই চায়। কারন, এদেশের অধিকাংশ মানুষের বুকের জমিনে আজও একটি করে আফগানিস্তান, একটি করে কাবুল বসবাস করে।
ইতি
একজন সাধারণ নাগরিক

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: আরও জোরে বলতে হবে ভাই,এমন মিনমিন করে বললে ম্যাডাম শুনতে পায়না।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

ব্যর্থ মানব বলেছেন: মিন মিন কি ?

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: মিন মিন বুঝেন না ভাই? মিনমিন মানে আস্তে আস্তে। ম্যাডামের কানের পর্দা বিরাট ভারীতো তাই তিনি এসব শুনেন না। দেখেন না সবাই চিল্লা-বিল্লা কইরা আমাদের কানের পর্দা ফাটায়া ফেলতেছে। বাট গোলাপী ম্যাডামের কিছুই হইতাছে না। :D

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

ব্যর্থ মানব বলেছেন: সেটা ঠিক আছে। মেডামের হচ্ছে না, এটা কিভাবে বলা সম্ভব ?

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক কথা

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ব্যর্থ মানব বলেছেন: ধন্যবাদ সাহেব

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আমার পথ চলা ১ বলেছেন: লেখককে বলছি -
যুদ্ধাপরাধীদের কোলে নিয়ে বসিয়ে আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৪-৯৬ সালে আন্দোলন করেছিলেন তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
৯৬ সালে অসহযোগের নামে বর্তমান তান্ডবের চেয়ে বড় তান্ডব আওয়ামী লীগ চালিয়েছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন?
৯৬ সালে অসহযোগের নামে তান্ডব চালানের সময় এসএসসি পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে ছিল তখন আপনি কই ছিলেন?
১৯৯১-৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল (এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড), ২০০১-০৬ সালে ১২৩ দিন হরতাল দিয়েছিল আওয়ামী লীগ তখন অাপনি কই ছিলেন?
২০০৬ সালে যখন লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তখন আপনি কই ছিলেন?
মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার সময় আপনি কোথায় ছিলেন?
বর্তমান সরকারের চারপাশে থাকা কিছু মন্ত্রীদের অতীত ইতিহাস আওয়ামী লীগের জন্য কি রকম ছিল তা কি আপনি জানেন?
মনে রাখবেন - থুথু উপড়ে ছুঁড়লে তা নিজের মাথায় পড়ে। তাই আয়নায় আগে নিজের চেহারাটা দেখবেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০১

ব্যর্থ মানব বলেছেন: মনে রাখবেন,
অতীত দিয়ে বর্তমান ঢাকা যায় না।
কিন্তু আপনার বক্তব্য দিয়ে আপনি স্বীকার করে নিলেন যে, আপনি যাদের পক্ষে কথা বলছেন, তারা চরম ভুল, ভন্ডামী করছে এবং ব্যররথতার দিকে আগাচ্ছে।।

সুতরাং চেহারা দেখতে হলে গোলাপীর মেকআপের আয়নায় না দেখে নিজের চোখের আয়নায় দেখুন।

তাহলেই বলতে পারবেন যে, বাংলাদেশ নিয়ে আপনার ভাবনা কতটুকু।



৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১০

মিতক্ষরা বলেছেন: ম্যাডামকে এত কথা বলে কোন লাভ নেই। তার কোন ক্ষমতা নেই। বলতে হয় তাকে যার ক্ষমতা রয়েছে।

আজ দেখলাম ভারতে ভোটের ফলাফল হয়েছে। এক সময় আমাদের দেশেও নির্বাচন হত আর মানুষ ভোট দিতে যেত। বাংলাদেশের মানুষের এইটুকু মূল্য ছিল। কিন্তু এইটা এখন শুধুই ইতিহাস। এর দায়ভার ম্যাডামের কাধে চাপালেন না যে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.