নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নৈ:স্বর্গিক নি:সঙ্গতায়...

আমি বেশ চুপচাপ!!

কালাম আজাদ বেগ

চাতক পাখি হও, চিল হইয়োনা....................

কালাম আজাদ বেগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘বাকসু’র পূর্ণাঙ্গ অর্থ জানেন না বিএম কলেজ ছাত্র নেতারা:D:DB-);)

২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

বরিশাল বিএম কলেজের বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী ছাত্র নেতারা জানেন না বাকসূর পূর্নাঙ্গ নাম। দক্ষিণাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ’র ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম ‘বাকসু’। এখানে থেকেই ভিপি, জিএস, এজিএস নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেক রাজনীতিবিদই।

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন আমু, সাবেক শিল্প মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ আসম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন, আলী আজগর, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য।

বর্তমান ছাত্রনেতারাও চান, বাকসুতে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে স্থান করে নিতে। সে কারণে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র সংসদ ‘বাকসু’ নির্বাচনের দাবিতে গোটা ক্যাম্পাসকে অস্থির করে রেখেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। প্রতিদিনই চলেছে আন্দোলন-সংগ্রাম। অথচ তাদের কেউই বলেতে পারেন নি ‘বাকসু’-তে কী হয় বা এর পূর্ণাঙ্গ নাম! তবে বাকসু’র সাবেক নেতারা ঠিকই বলতে পেরেছেন এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ। ‘বাকসু’ ইংরেজি শব্দ। এর পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে- ব্রজমোহন ইউনিভার্সিটি কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (BUCSU)।



এই সোজা কথাটি যারা প্রতিদিন বাকসু নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল করছেন, ভাঙচুর করছেন, অধ্যক্ষকে আটক রাখছেন, জোর করে স্বাক্ষর নিচ্ছেন, কলেজ বন্ধ করতে বাধ্য করছেন অথচ তাদের কেউই এটির পূর্ণাঙ্গ বলতে পারলেন না! এ লজ্জা কাদের? দেশবাসীর না ছাত্রনেতাদের যারা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবেন? দেশবাসী এই ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে তা হলে কী আশা করতে পারে!

সবচেয়ে দুঃখের কথা হলো, এখন যারা বাকসু’র ভিপি, জিএস, এজিএস হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তারা কেউই উত্তরটি দিতে পারেন নি। এ নিয়ে বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্রশিবিরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা যা উত্তর দিয়েছেন, তা জেনে দেশবাসী থমকে যাবেন ।

প্রথমেই কথা হয় ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গাজী তৌকির আতাহার শুভ-র সঙ্গে। তার কাছে বাকসু’র পূর্ণাঙ্গ অর্থ জানতে চাইলে তিনি সরাসরি এক কথায় বলেন, ‘আমার জানা নেই’। তবে তিনি বলেন, ‘এর অর্থ “বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ” হতে পারে।’ এর কারণ হিসেবে গাজী শুভ বলেন, ‘যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদকে “ঢাকসু” বলা হয়, তেমনি বিএম কলেজ ছাত্র সংসদেরও “বাকসু” নাম দেওয়া হয়েছে। এর কোনো পূর্ণাঙ্গ অর্থ নেই।’



১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক শুভ সেন বলেন, ‘বাকসু’র অর্থ “বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ” হবে। এর বেশি বাকসু-র সংবিধানেও লেখা নেই।’ তার কাছে ১৯৬৫ সালের সংবিধানের একটি কপি রয়েছে বলে দাবি করেন। ‘বাকসু’ বাংলা না ইংরেজি শব্দ জানতে চাইলে শুভ সেন কোনো কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই বলেন, ‘বাংলা’।



এ ফোনালাপের কিছু পরেই শুভ সেন আবার ফোন করেন। তখন তিনি জানান, ‘বাকসু’র পূর্ণাঙ্গ রূপ “ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ”।



এরপরে একইভাবে মুঠোফোনে কথা হয়, বিএম কলেজ ছাত্রলীগের একমাত্র মহিলা নেত্রী অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দা ফাতেমা মমতাজ মলির সঙ্গে। তার কাছে ‘বাকসু’র পূর্ণাঙ্গ রূপ জানতে চাইলে তিনি ‘বিএম কলেজ কর্মপরিষদ’ পর্যন্ত বলে থেমে যান।



এরপর তিনি কাগজপত্র দেখে জানাবেন বলে ফোন লাইন কেটে দেন। কিছু সময় পর ফোন করে জানান, ‘বাকসু অর্থ বিএম কলেজ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (BCSU)।’



বাকসু’র ভিপি পদের অন্যতম দাবিদার ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈন তুষারও বলতে পারেননি ‘বাকসু’র পূর্ণাঙ্গ অর্থ।

তিনি জানান, ‘এর অর্থ হচ্ছে, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ।’ ‘বাকসু’ বাংলা না ইংরেজি শব্দ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলা’।

এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, বাকসু’র ‘সু’-তে কী হয়? এর উত্তরে মঈন তুষার বলেন, ‘ওরা হয়ত ইংরেজিতে লিখেছে।’ তবে এই ‘ওরা’ কারা তা বলতে পারেননি তিনি। পরে আবার ফোন করে জানান, ‘বাকসু বাংলা শব্দ।’ অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাতও অন্য সবার মতো জানালেন, ‘বাকসু অর্থ “বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ”।’ “ঢাকসু” থেকেই “বাকসু”র আর্বিভাব। “বাকসু”র অর্থ বরিশাল কলেজ সংসদ। এ কথাগুলো জানান, অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিক সেরনিয়াবাত।



কিন্তু কীভাবে বাকসু-র অর্থ বরিশাল কলেজ সংসদ হলো, এমন প্রশের জবাবে তিনি পরে জানাবেন বলে ফোন রেখে দেন। কিছু সময় পর ফোন করে জানান, ‘বাকসু অর্থ ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ।’



এরপর ৩য় বারের মতো ফোন করে তিনি সৈয়দা ফাতেমা মমতাজ মলির শেষ উত্তরের মতোই বলেন, ‘বাকসু অর্থ বিএম কলেজ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (BCSU)।’



বাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি বা কমিটি গঠনের কথা শুনলেই বরিশালে ছুটে আসেন অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক মাকসুদুল ইসলাম মাসুদ। এছাড়া সারা বছরই ঢাকায় থাকেন তিনি। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাকসু অর্থ বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ। আর এর ইংরেজি নাম হলো BAKSU।’ এরপরই তিনি আবার বলেন, ‘আমার ঠিক তেমন মনে নেই। আমি জেনে জানাচ্ছি।’



নিজেকে সব সময় বাকসু’র ভিপি প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন বাকসু’র সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল বিন ইসলাম। একবার বাকসু-র সম্পাদক পদে থাকার পরেও এর সম্পূর্ণ রূপটি বলতে পারেননি তিনি।



ফয়সাল বিন ইসলাম বলেন, ‘বাকসু অর্থ বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ।’ আর এর অর্থ এভাবেই তিনি ব্যাখ্যা দেন- ‘বা - বিএম, ক - কলেজ এবং সু -সংসদ।’ ছাত্রলীগ নেতাদের মতোই ছাত্রদল নেতাদেরও জ্ঞানের ভাণ্ডার একই রকম। কথা হয়, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও বাকসু-র সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান মঞ্জুর সঙ্গে। প্রথমবার তাকে ফোন করে বাকসু-র পূর্ণাঙ্গ রূপ জানতে চাইলে তিনি ফোন লাইন কেটে দেন। এরপর অনেক সময় তার মোবাইল ফোনটি ব্যস্ত ছিল। অন্তত এক ঘণ্টা পর তিনি ফোন করে জানান, ‘বাকসু অর্থ ব্রজমোহন কলেজ সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন।’

ভালো জানেন না অকপটে স্বীকার করে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর বারী চয়ন বলেন, ‘বিএম কলেজ ছাত্র অর্গানাইজেশন, এমনই একটা হবে।’



ছাত্র ইউনিয়নকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের অন্যতম সংগঠন। এর নেতাদের একসময় ‘তরুণ বুদ্ধিজীবী’ বলা হতো। খুবই আশ্চর্যের বিষয়, সেই সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা অহিদুজ্জামান অহিদও বলতে পারেন নি বাকসু-র অর্থ। তিনিও অন্য সবার মতো বলেন, ‘ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ হবে।’



ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শামিল শাহরুখ তমাল বলেন, ‘বাকসু ইংরেজি শব্দ। তবে আমি এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ ভুলে গেছি। জেনে জানাবো।’



কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শহিদুল ইসলামের কাছে একই প্রশ্ন করা হলে তিনিও এর উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এ ব্যাপারে সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত বাকসু-র সাবেক জিএস অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বাবলু বলেন, ‘বিষয়টি লজ্জার এবং দুঃখজনক!’



বর্তমান ছাত্রনেতারা বাকসু-র অর্থ জানেন না শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন বাকসু-র একমাত্র মহিলা এজিএস (সাবেক) বিলকিস জাহান শিরিন। তিনি বলেন, ‘যারা ভিপি, জিএস, এজিএস হবেন, তারা বাকসু-র ফুল মিনিং জানেন না, এটা সত্যিই দুঃখজনক!’ ।





সূত্র- Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৮

বাতাসের রূপকথা বলেছেন: বেশীর ভাগ অছাত্র আর পিছনের সারিতে বসা ছেলেগুলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ । তা আবার বি এম কলেজের ছাত্রনেতা বলে কথা। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেতাগুলোর শিক্ষা দেখেন - সুলতান মো: মনসুর, ইলিয়াস আলী, নাজিমউদ্দিন আলম ......এরা সবাই পাস কোর্সের ছাত্র থেকে মাস্টার্স নামধারী ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রনেতা। আমান, খোকন, পংকজ থেকে ধরে সবগুলো পড়ত কলাভবনের কোন বিষয়ে পিছনের সারির নামে মাত্র ছাত্র হিসাবে। বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ তৈরীর জন্য কোন যোগ্যতা লাগে না । সেক্ষেত্রে বি এম কলেজ থেকে ভবিষ্যতে আরো বড় নেতা আসতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.