নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিয়ে ও বেকার সমস্যাঃ আমাদের উদ্ভট মানসিকতা
-------------------------------
বর্তমান সময়ে বিয়ে করা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ফল স্বরূপ যেনা ও অশ্লীলতা হয়ে গেছে সহজ। বিয়ে কঠিন হওয়ার পিছনে অন্যতম কারন হচ্ছে পুরুষের জীবিকা কঠিন হয়ে যাওয়া। আগে পুরুষরা ২০ বছর বয়সেই উপার্জন শুরু করে দিত। সহজে কাজ পেত। ফলস্বরূপ বিয়ে হত তারাতারি। এখন পুরুষরা ৩০ বছরেও কাজ পায় না। তাইত ৩৫ করার অন্দোলনও চলে। চিন্তা করুন তারা কবে বিয়ে করবে? ৩৫ বছর বা ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করা আসলেই সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ।
---------------------------------
অথচ এই সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যায়। মনে করুন ১ লক্ষ বেকার আছে। যাদের মধ্যে ৫০ হাজার নারী আর ৫০ হাজার পুরুষ। আপনি কেবল ৫০ হাজারকে চাকরী দিতে পারবেন। কারন শূন্য পদ ৫০ হাজার। প্রচলিত সিস্টেমে কি করা হবে? তারা ২৫ হাজার ছেলে ও ২৫ হাজার মেয়েকে চাকরী দিবে। অর্থাৎ ২৫ হাজার ছেলে বেকার থাকতে বাধ্য হবে। এই ২৫ হাজার ছেলে বিয়ে করবে না। ফলস্বরূপ ২৫ হাজার নারীও অবিবাহিতা থেকে যাবে। অর্থাৎ এইভাবে ৫০ হাজার নারী পুরুষ সমস্যায় থেকে যাবে। অথচ যদি ৫০ হাজার পুরুষকে চাকরী দেয়া হত তাহলে তারা ঠিকই ৫০ হাজার বেকার নারীকে বিয়ে করে নিত। অর্থাৎ ১ লক্ষ নারী পুরুষের সমস্যার সমাধান। কিন্তু বাস্তবতা আরও ভয়ংকর। পুরুষদের অধিক সুযোগ দুরের কথা উল্টা নারীদেরকে অধিক সুযোগ দেয়া হয়। বিভিন্ন জবে তাদের জন্য রয়েছে কোটা। যেমন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে ৬০% নারী শিক্ষিকা নেয়া বাধ্যতামুলক(অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৭)। চিন্তা করেন সমাজকে আমরা কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আমরা সবাইকে কাজ দিতে পারব না। আমাদের সিমাবদ্ধতা আছে। তাই লক্ষ রাখতে হবে কিভাবে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। অথচ আমরা উল্টা পথেই হাটছি।
----------------------------------
আমরা যখনই ইসলাম থেকে সরে যাই তখনই আমরা ভয়ংকর সমস্যায় পরি। হয়ত আমরা বুঝতে পারি না। ইসলাম অর্থ উপার্জন ও পরিবারে অর্থ যোগান দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছে পুরুষকে। আর নারী পরিবার দেখাশোনা করবে। চিন্তা করুন কত সুন্দর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। অথচ সেকুলার সিস্টেম এই ইসলামিক নিয়মকে বুড়া আঙুল দেখিয়েছে। তারা আমাদের উল্টা পথে হাটা শিখাচ্ছে। আমরাও তাদেরকে গ্রহন করে নিচ্ছি। যার কারনে আমরা ভয়াভহ এক সমস্যায় উপনিত হয়েছি।
----------------------------------
এই সমস্যা সমাধানে আমাদের প্রয়োজন গণ-ইসলামী-জাগরন। ইসলামী শিক্ষা ও প্রচার। একই সাথে প্রয়োজন এমন এক শাসক যিনি দেশে ইসলাম প্রয়োগ করবেন সমাজে যেভাবে উমার (রাঃ) করেছিলেন। একজন বে দ্বীন কিভাবে মুসলিমের কাছে শাসক হিসেবে অধিক গ্রহণযোগ্য হতে পারে???
©somewhere in net ltd.