নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কিছু কথা ....আমিও বলতে চাই

আমি

এ কে রায়

সমাজটাকে পাল্টাতে চাই.....

এ কে রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য কথা, গাঁজা খেয়ে লিখছি না -- (পার্ট-২)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

১৯৫২ সালে কি হয়েছিলো ? কেন হয়েছিলো ? কারা করেছিলো ? এই তিনটি প্রশ্ন দেখে হাঁসি পায় হয়তো, হয়তো মনে হয় এতো সহজ প্রশ্নের উত্তর না পারার কি আছে? “১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলন হয়েছিলো” এর বাইরে প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আর কী কিছু জানি !! প্রথম প্রশ্নের উত্তরের মতই বাকি দুইটা উত্তর ও আমরা জানি, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কতটা জানি!!



আমার জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানায়, যেখানে জন্মেছিলেন ভাষা শহীদ রফিক। আন্দোলনের সময় তার সাথে আরও ২-৩ জন ছিলেন সিঙ্গাইর থানা থেকে। তাদের নাম আমারও এখন মনে পড়ছে না, তবে যতদূর মনে পরে একবার ২১শে ফেব্রুয়ারীতে তাদের সবাইকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিলো শহীদ রফিক স্মৃতি যাদুঘরে। তাদের অনেকই এখন বেঁচে নেই। সেদিন প্রথম সেই বীরদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। তাদের মুখে শুনেছিলাম সেই দিনগুলোর কথা। তবে একটা বিষয় নিয়ে তারা সকলে খুব দুঃখিত ছিলেন আজ আমি ও দুঃখিত। এতগুলো বছর কেটে গেল কিন্তু আজও সরকারী উদ্যোগে শহীদ রফিকের বাড়িতে গড়ে উঠেনি কোন শহীদ মিলার। শহীদ রফিক যে ঘরটিতে ঘুমাতেন তার ঠিক পাশে পারিবারিক উদ্যোগে ছোট একটি শহীদ মিলার স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারী এলাকার কিছু মানুষ “শহীদ রফিক স্মৃতি যাদুঘরে” একত্রিত হন, মানসম্মানের ভয়ে হয়তো কিছু রাজনীতিবিদদেরও আসতে হয়। এলাকার মানুষের প্রত্যাশার মুখে কিছু রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বুলি শোনান, তার পর কোনমতে একবার জায়গা ত্যাগ করতে পারলে পরবর্তী ৩৬৪ দিনে ওইদিকে আর ফিরে তাকান না!



মানিকগঞ্জ জেলার একটি অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানানো হয়েছিলো শহীদ রফিকের বাড়িতে সরকারী উদ্যোগে একটি শহীদ মিনার করার জন্য, আর একটি দাবী ছিল শহীদ রফিকের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মানিকগঞ্জের সন্তান হিসেবে অনেক বার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাত্ততা প্রকাশ করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত বছর পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানেও তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।( তিনি গতবছর ২১শে ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকা আসেন)।

আমাদের দেশে চারিদিকে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। যেদিকে তাকাই দেখি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের নামে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নামকরন করা হচ্ছে। হয়তো তারা ভয় পান যদি কোন প্রতিষ্ঠানের নামে তাদের নাম যুক্ত না হয় তাহলে ক্ষমতা থেকে চলে গেলে কেউ তাকে মনে রাখবে না, তাই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যত পারা যায় নিজের নামকে ছড়িয়ে দিতে হবে জনতার মাঝে।



কিন্তু এই শহীদদের রক্তের কোন দাম নেই, নেই সেদিনের সেই বীরদের কাজের স্বীকৃতি, আজ শুধু তাদের নামেই বড় বড় প্রতিষ্ঠান জন্ম নেয় যারা দেশটাকে চুষে খাচ্ছে। আজকাল সম্মান হয় চোষার ক্ষমতার উপর, যে যত বেশি চুষতে পারবে, সে দলের কাছে তত মূল্যবান।



মহান সংসদে বসা ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম বলুন, হয়তো দু একটা বলতে হিমশিম খাবে, কিন্তু প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নাম বলুন, দেখবেন এমন কিছু নামও শুনবেন যারা এখনও ব্যবসায় শুরুও করেননি, সবে মাত্র দোকান ভাড়া নিয়েছেন, তাদের নামও লিস্টে থাকবে। হায়রে রাজনীতি...



শুনেছি কোনএক এলাকার এমপি সাহেব ৫ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন আর গত নির্বাচনে তার আনুমানিক ব্যয় ছিল ১১ কোটি টাকা। আমি ভেবে পাইনা যে লোক আজ পর্যন্ত নিজের পকেটের ১ লক্ষ টাকা খরচ করে এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেন নি, তিনি হঠাৎ জনগণের উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি হতে এতো টাকা ব্যয় কেন করলেন!!! নাকি জনসেবার বাইরে অন্য কোন Financial Calculation ও কাজ করে !! (মিটিং মিছিলে গেলে ছেলে-পেলে দের দেন, কিন্তু সেটা কিন্তু এলাকার উন্নয়নে ব্যয় হয় না, যদিও তারা ওইটাকে সেবাই বলে, আসলে সেটা নির্বাচনের জন্য ইনভেস্টমেন্ট)।



আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যেদিন সংসদে ১০০ জন হলেও ভাল জনপ্রতিনিধি থাকবেন যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মানুষকে ভালবাসেন। টাকার জন্য না, জনগণের জন্য রাজনীতি করেন......

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২

ফয়সালরকস বলেছেন:
এই শহীদদের রক্তের কোন দাম নেই, নেই সেদিনের সেই বীরদের কাজের স্বীকৃতি, আজ শুধু তাদের নামেই বড় বড় প্রতিষ্ঠান জন্ম নেয় যারা দেশটাকে চুষে খাচ্ছে। আজকাল সম্মান হয় চোষার ক্ষমতার উপর, যে যত বেশি চুষতে পারবে, সে দলের কাছে তত মূল্যবান।

মহান সংসদে বসা ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম বলুন, হয়তো দু একটা বলতে হিমশিম খাবে, কিন্তু প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নাম বলুন, দেখবেন এমন কিছু নামও শুনবেন যারা এখনও ব্যবসায় শুরুও করেননি, সবে মাত্র দোকান ভাড়া নিয়েছেন, তাদের নামও লিস্টে থাকবে

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

বিড়ি বলেছেন: :-(

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যেদিন সংসদে ১০০ জন হলেও ভাল জনপ্রতিনিধি থাকবেন যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মানুষকে ভালবাসেন। টাকার জন্য না, জনগণের জন্য রাজনীতি করেন......

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০

অজানাবন্ধু বলেছেন: শুনেছি কোন এক এলাকার এমপি সাহেব ৫ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনেছেন আর গত নির্বাচনে তার আনুমানিক ব্যয় ছিল ১১ কোটি টাকা। আমি ভেবে পাইনা যে লোক আজ পর্যন্ত নিজের পকেটের ১ লক্ষ টাকা খরচ করে এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেন নি, তিনি হঠাত জনগণের উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি হতে এতো টাকা ব্যয় কেন করলেন???

ভাইজান সব দুষ কি রাজনীতিবীদের ? আমরা কি তাদের ভোটদেইনা?

***জনগন তাদের যোগ্যতা অনুসারে বিচারক পাবে।*** এটা কোন এক গুনিজনের কথা।

আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। নিজে কে জানতে হবে। কি করব? কেন করব? কি করছি? কেন করছি?
এই ধরনে প্রশ্নগুলি নিজেকে সব সময় করতে হবে।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

আইপি খান বলেছেন: ফয়সালরকস আপনি সত্য কথা বলছেন

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ফয়সালরকস বলেছেন:
এই শহীদদের রক্তের কোন দাম নেই, নেই সেদিনের সেই বীরদের কাজের স্বীকৃতি, আজ শুধু তাদের নামেই বড় বড় প্রতিষ্ঠান জন্ম নেয় যারা দেশটাকে চুষে খাচ্ছে। আজকাল সম্মান হয় চোষার ক্ষমতার উপর, যে যত বেশি চুষতে পারবে, সে দলের কাছে তত মূল্যবান।

মহান সংসদে বসা ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম বলুন, হয়তো দু একটা বলতে হিমশিম খাবে, কিন্তু প্রশ্ন করুন আপনার এলাকার শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নাম বলুন, দেখবেন এমন কিছু নামও শুনবেন যারা এখনও ব্যবসায় শুরুও করেননি, সবে মাত্র দোকান ভাড়া নিয়েছেন, তাদের নামও লিস্টে থাকবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.