![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোটারের ভোট দেওয়ার অধিকার তো নিশ্চিত করা হচ্ছে কিন্তু ভোট দিতে গিয়ে যদি সেই কালোবাজারি, গুন্ডা মাস্তান বা চোর দের মাঝথেকে যে কোন একজন কেই বেছে নিতে হয় !! তাহলে কী লাভ ভোটের অধিকার দিয়ে !!
ভোটারকে নিরাপদে ভোট দেবার অধিকার দেওয়ার পাশাপাশি-কালোবাজারি, গুন্ডা মাস্তান বা চোরদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না।
আমি একজন সচেতন ভোটার হিসেবে আমার সচেতনতা কিভাবে কাজে লাগাবো? বর্তমানে “না ভোটের” যে ব্যবস্থা আছে তার সত্যিকার অর্থে কোন কার্যকারিতা নেই। এই পদ্ধতিতে “না ভোট” দেওয়া যা ব্যালট পেপার নষ্ট করে ফেলাও তা। “না ভোট” কোন প্রাথীর বিজয়ী বা পরাজিত হওয়ার পথে কোন গুরুত্ব রাখে না।
সত্যিকার অর্থে মোট প্রদত্ত ভোট থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ভোট যেমন বাদ পরে ঠিক তেমনি “না ভোট” বাদ দিয়ে বাকি ভোটেই যে বেশি পায় সে বিজয়ী !! তাহলে “না ভোট” দিয়ে লাভ কি??
আমার এলাকা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর। বিগত ১০ বছরে যারা যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি- “আপনারা এলাকার উন্নয়নে একটি কাজও করেন নি, যার জন্য আগামীতে ভোট চাইতে পারেন ”। কিন্তু আগামী নির্বাচন আপনারাই করবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- “আপনারা প্রত্যেকে কম করে হলেও ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
কিন্তু আমাদের তাতে কি লাভ... !!!
গাবতলি থেকে ১০ কিঃমি দূরে যে ব্রিজ দুটো ৬ মাস আগে ভেঙে পরে ছিল আজও সেটা সেভাবেই আছে...
গাবতলি থেকে ১৯ কিলোমিটারের বাস ভাড়া “শুকতারা” ৩৫ টাকা নিত, এখনও তাই আছে...
সিঙ্গাইর থেকে কোন CNG Auto ভাড়া করতে গেলে আপনাদের নিয়োজিত দালালরা ৪০০ বা ৫০০ টাকার কমে গাবতলি আসতে দিতো না... এখনও দেয় না...
বাড়িতে ঘর প্রতি ৫০০ টাকা পৌরসভার কাছে জমা দেই... বিনিময়ে কী পাই... রাস্তায় বাতি নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই, এমনকি কারো কারো বাসায় বিদ্যুৎও নেই !!
ট্র্যান্সফরমার জ্বলে গেলে আমাদের চাঁদা তুলে পল্লী বিদ্যুতে দিতে হয়...
আগে রাতে বাসায় চুরি হত না, এখন শুনেছি থানাতেও নাকি চুরি হয়...
শুনেছি আমার এলাকায় একজন নাকি “ভাষা শহীদ” আছেন, তার বাড়ি কোন দিন যাইনি! যাব কিভাবে? রাস্তাটাইযে ঝুঁকিপূর্ণ !!!
তবে হ্যাঁ, একটা জিনিস আগেও নামকরা ছিল এখনও আছে... শুনেছি পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় “সিঙ্গাইর থানায়” পোস্টিং নিতে !!! ভালই না... ডিমান্ড আছে...
এত কিছুর পরেও নির্বাচন আসলে ভোট তো আপনাদের কাউকে না কাউকেই দিতে হবে। কারন আমাদের হাত পা যে বাঁধা...
“আমাদের সোনার বাংলায় আমরা সবাই আপনাদের গোয়াল ভরা গরু”,
আমাদের মুখে টুনা লাগিয়ে জমিতে চাষ দিবেন, আমাদের গোবরে জমি উর্বর করে ফসল ফলাবেন, আবার মুখে টুনা দিয়ে ফলস মারাবেন, কিন্তু ফসলে একটু মুখ দিলেই...... “শালা মারবো এখানে, লাশ পড়তে শ্মশানে”
©somewhere in net ltd.