![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পার্ট : ২
প্রথম আলোচনার পর :
তবে এ রাস্তা কিন্তু মোটেই আরাম দায়ক নয় । আপনাকে পাড় হতে হবে গাছ ও বাঁশ দিয়ে নির্মিত ৩ থেকে ৪ টি সাঁকো ।
সাঁকো ছাড়াও পাড় হতে হবে গাছ ও বাঁশের বেশ ক’টি বেড়া ও খাল ।
আর বনের ভিতরে হারিয়ে যা্ওয়া খুব সহজ । অবশ্য এগুলো না থাকলে আপনি যেমন পৌছতে পারতেন না আবার আসল মজাটাও পেতেন না । লোকাল জেলেদের আনাগোরায় বনের মাঝখান দিয়ে ছিলা রাস্তা তৈরী হয়েছে । এই রাস্তাই আপনাকে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাবে। এর পর বেশ খানিকটা পথ হেঁটে হঠাৎ করে কানে আওয়াজ আসবে সমুদ্রের ।
একটু এগিয়ে গেলেই পাথরঘাটা সমুদ্র সৈকত । টানা সাড়ে ৪ ঘন্টার কষ্ট এক নিমেষেই শেষ হয়ে যাবে ।
পরামর্শঃ
***পাথরঘাটা সমুদ্র সৈকত এ তিন নদীর মোহনা, নদী সাগরের মিতালি এবং সমুদ্রের তীরের দৃশ্য আপনার মন কাড়বেই ।
***যারা ঢাকা থেকে যাবেন তারা রাতে রওনা দিয়ে সকালে পাথরঘাটা সমুদ্র সৈকত দেখে রাতের বাসেই ঢাকা চলে আসতে পারবেন ।
***বনের রাস্তায় জেলেরা চলাচল করে, তারা ফ্রি তে আপনাকে সাহায্য করবে ।তাছাড়া বন কর্তৃপক্ষও খুব আন্তরিক ।
***বনে প্রবেশ দ্বারের দোকান থেকে সামান্য খাবার ও পানি কিনে নিতে পারেন ।
যেখানে ভূখন্ড শেষ, তাই একটু প্রশান্তির আমেজ
সকর্কতাঃ
***এখানে লোক বসতি তেমন নেই, সুতরাং একা না যাওয়াই ভালো । তবে টিম করে গেলে ভালো হয় ।
***ভাটার সময় সমুদ্রে নামবেন না, পাথরঘাটা সমুদ্র সৈকতের গভিরতা অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের চেয়ে বেশি।
***মূল সৈকত দেখতে হলে কমপক্ষে ২ টি খাল পাড়ি দিতে হবে, ভাটার সময় সর্বো্চ্চ হাটু পানি থাকে ।তাই এসময় হেটেই পাড় হতে পারেন । তবে সাধারণত ওখানে পাড় হওয়ার নৌকা পাবেন না, তাই জোয়ার আসার আগেই অর্থাৎ ভাটার সময়ই দেখে চলে আসুন । পরবর্তী পোস্টে বাকি কথা হবে ।
আমার পাথরঘাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ সঙ্গি আমার বড় ভাই, কে এম হিরু
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মামুন (প্রচার সম্পাদক, ‘মুক্তমঞ্চ নির্বাক দল’, চেয়ারম্যান, ‘আনসার ভিডিপি ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস্ ক্লাব’ ও সদস্য, ‘লিও ক্লাব অব লিবিয়া বাংলা ফ্রেন্ডশীপ’)
চলবে...
©somewhere in net ltd.