![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুমআর দিনের ফজীলত ও বৈশিষ্ট
==========================
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর দিনকে খুব সম্মান করতেন।
তিনি এইদিনের বেশকিছু বৈশিষ্ট বর্ণনা করেছেন।
১) জুমআর দিনের ফজরের
নামাযে তিনি সূরা আলিফ-লাম-মীম সিজদাহ ও সূরা দাহর পাঠ করতেন। কারণ এই সূরা দু’টিতে জুমআর দিনে যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা সংঘটিত হবে তা বর্ণিত হয়েছে।
২) জুমআর দিনে ও রাতে নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি দরুদ পাঠ করা মুস্তাহাব।
কারণ তাঁর মাধ্যমেই উম্মত দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
অর্জনে ধন্য হয়েছে। জুমআর দিনেই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান অর্জিত হবে।
কেননা এতেই তাদেরকে জান্নাতে তাদের ঘরসমূহে স্থান দেয়া হবে।
তাতে প্রবেশের পর এ দিনেই তাদেরকে অতিরিক্ত নেয়ামতটি (আল্লাহর দর্শন) দান করা হবে। অতিরিক্ত পুরস্কারটি পাওয়ার সময় তারা তাদের প্রভুর নিকটবর্তী হবে। আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে হতে যারা জুমআর দিন দ্রুত জুমআয় উপস্থিত হবে ও ইমামের নিকটবর্তী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে সেই অনুপাতেই তারা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হবে এবং অতিরিক্ত নিয়ামত প্রাপ্ত হবে।
৩) জুমআর দিন গোসল করার
বিশেষ তাকিদ রয়েছে।
৪) জুমআর মিসওয়াক করা ও শরীরে খুশবু লাগানো মুস্তাহাব।
এ দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করা অন্যান্য দিনে তা ব্যবহারের চেয়ে অধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ।
৫) জুমআর উদ্দেশ্যে সকাল সকাল বের হওয়া, আল্লাহর যিকিরে মশগুল
থাকা এবং ইমাম উপস্থিত হওয়ার
পূর্ব পর্যন্ত নামাযরত থাকাও জুমআর দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট।
৬) খুতবার সময় চুপ
থাকা এবং মনোযোগ দিয়ে তা শোনা জুমআর দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইমাম কর্তৃক খুতবা দেয়ার সময় চুপ
থাকা ওয়াজিব।
সূরা জুমআ, মুনাফিকুন, আ’লা এবং গাশিয়া দিয়ে জুমআর নামায পড়াও জুমআর দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৭) জুমআর দিন সুন্দর পোশাক
পরিধান করা মুস্তাহাব।
৮) জুমআর দিনের
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- পায়ে হেঁটে জুমআর নামাযে গমণকারীর জন্য প্রতিটি পদক্ষেপের
বিনিময়ে একবছর
দিনের বেলা নফল রোযা রাখা ও
রাতের বেলা তাহাজ্জুদ
নামাযের ছাওয়াব রয়েছে।
৯) জুমআর দিনে বান্দার গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
১০) এই দিনে রয়েছে দুআ কবুলের কয়েকটি বিশেষ মুহূর্ত। এক্ষেত্রে মাগরিবের আযানের পূর্ব মুহূর্তটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.