নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

হাবীবুল্লাহ নকীব

আমার মন থেকে তোমাকে খুঁজে নাও।

হাবীবুল্লাহ নকীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীসের‬ আলোকে নামাযের ১০টি জরুরী মাসআলা

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

#‎হাদীসের‬ আলোকে নামাযের ১০টি জরুরী মাসআলা

আহলে হাদীসরা সরলমনা লোকদেরকে বলে তাদের নামায হয়না; তাদের নামায হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী নয়। এটি আবু হানীফার মনগড়া পদ্ধতি। এখানে দশটি মাসআলা বিলকুল হাদীসের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। অতএব ফিতনাবাজ আহলে হাদীসদের কথায় কর্ণপাত করবেন না।

১। তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাবে কাঁধ পর্যন্ত নয়।

দলীল:

عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ»

অর্থ্: হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরিস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন তখন উভয় হাত এতটুকু উঁচু করতেন যে, হাত দু‘টি কান বরাবর হয়ে যেতো। (সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৩৯১)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ৭৪৫; সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ১০২৪, ১০৫৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৫৯, সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী, হাদীস নং ২৩০৬, ২৩০৭, ২৩০৯, ২৩২৩, ২৫১৩; ত্বাহাভী হাদীস নং ১১৭৩; সুনানে দারাকুতনী হাদীস নং ১১০৯, ১১১১; মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং ৭৮১; মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং ৫৮৪৩, ৬১৬৩, ৬১৭৫]

২। রফয়ে ইয়াদাইন শুধুমাত্র তাকবীরে তাহরীমার সময় করবে। অর্থাৎ দু‘হাত শুধুমাত্র তাকবীরে তাহরীমার সময় উঠাবে।

দলীল:

قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: ” أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلَّا مَرَّةً “

অর্থ্: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. একদা লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূল সা. যেভাবে নামায পড়েছেন সেভাবে নামায পড়ে দেখাবো? এ কথা বলে তিনি নামায পড়লেন এবং পুরো নামাযে দু‘হাত স্রেফ তাকবীরে তাহরীমার সময় তুললেন। (রুকূতে যাওয়ার সময়, রুকূ থেকে উঠার সময়, সিজদায় যওয়ার সময় দু‘হাত তোলেন নি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৭৪৮)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩০; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৫৭; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১০৫৮; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ৭৫২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ২৪৪১, ২৪৪২, ২৪৪৩, ২৪৪৪, ২৪৪৯, ২৪৫১, ২৪৫২, ২৪৫৪; সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী হাদীস নং ২৫৩১; ত্বাহাভী হাদীস নং ১৩৪৯, ১৩৫৩, ১৩৫৭; জামিউল মাসানীদ হাদীস নং ১০৬২৭; আছারুস সুনান, আল্লামা নিমাভী ১/১০৯]

৩। তাকবীরে তাহরীমা বলে কব্জির উপর হাত বেঁধে নাভির নীচে রাখবে।

দলীল:

عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: قُلْتُ: لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ يُصَلِّي، قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا أُذُنَيْهِ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ،

অর্থ্: হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি মনে মনে ভাবলাম রাসূল সা. কিভাবে নামায পড়েন তা আমি দেখবো। অতপর আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি কিবলামূখী হয়ে দাঁড়িয়ে উভয় হাত কান বরাবর তুললেন এবং তাকবীরে তাহরীমা বলে ডান হাত বাম হাতের পিঠ, কব্জি এবং বাহুর উপর রাখলেন। (সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ৭২৬-৭২৭)

عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»

অন্য রিওয়ায়াতে ওয়াইল হুজর রা. বলেন, আমি রাসূল সা.কে নামাযের মধ্যে ডান হাতকে বাম হাতের পিঠের উপর রেখে নাভীর নিচে বাঁধতে দেখেছি। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৩৯৩৯)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৪০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৮৮৯; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ৭৫৬; মুসনানে আহমাদ, হাদীস নং ৮৭৫; সুনানে দারিমী, হাদীস নং ১২৭৭; বাইহাকী, হাদীস নং ২৩৪১; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং ১০৮৯, ১১০২]

৪। ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণ সূরা ফাতিহা পড়বেনা বরং চুপ থাকবে।

দলীল:

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

অর্থ্: যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। (সূরা আ‘রাফ, আয়াত নং ২০৪)

মুসলিম শরীফের হাদীস:

وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا

হযরত আবু মূসা আশ‘আরা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. ইরশাদ করেন, …. ইমাম সাহেব যখন কেরাত পড়বে তখন তোমরা চুপ থাকবে। (সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪০৪)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৮৩; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৩১৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৪৬; মুওয়াত্তা মালেক, হাদীস নং ২৭৬, ২৮৩; সুনানে কুবরা লিল বাইাহাকী, হাদীস নং ২৯০১; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৩৩৫৫]

৫। সূরা ফাতিহার পর আমীন জোরে নয় বরং আস্তে বলবে:

দলীল:

عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ: {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ} ، فَقَالَ: آمِينَ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ.

অর্থ্: ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন একদা রাসূল সা. আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন এবং “গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়লাদ্দাল্লীন” বলার পর রাসূল সা. আমীন আস্তে বললেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৪৮)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৮২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১০, ৪১৫; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৯২৭; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ৭৮০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৮৮৫৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ২৯১৩; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং ১২৭০; সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী, হাদীস নং ২৪৪৭; তাবারানী কাবীর, হাদীস নং ৯৩০৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ২৬৩৫]

৬। বিতির নামায তিন রাকাত, এক রাকাত পড়লে হবেনা।

দলীল:

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ؟ فَقَالَتْ: «مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا»
অর্থ্: হযরত আবু সালামা রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত আয়েশা রা.কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, রমাযান মাসে রাসূল সা.-এর নামায কেমন হতো? হযরত আয়েশা রা. উত্তরে বললেন, রাসূল সা. রমাযান মাস এবং রমাযান ছাড়া অন্যান্য মাসেও এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্যতা ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করোনা। এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্যতা ও দীর্ঘতা সম্পর্কে প্রশ্ন করোনা। অতপর তিন রাকাত বিতির পড়তেন। (অর্থাৎ আট রাকাত তাহাজ্জুদ তিন রাকাত বিতির মোট এগারো রাকাত পড়তেন)। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৪৭)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৮; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ১৩৪১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৫১৫৯, ৩২৭১; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১৬৯৯, ১৭০৪, ১৭০৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৩৬১; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৪৬২, ৪৬৩; ত্বাহাভী ১৬৯৫; সুনানে দারিমী, হাদীস নং ১৬২৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৬৮২২, ৬৮২৪, ৬৮২৬, ৬৮২৯, ৬৮৩০, ৬৮৩১; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ৪৬৬১]

৭। বিতির নামায এক সালামে তিন রাকাত, দুই সালামে তিন রাকাত নয়।

দলীল:

عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يُسَلِّمُ فِي رَكْعَتَيِ الْوِتْرِ»

অর্থ্: হযরত সা‘দ ইবনে হিশাম রহ. বলেন। হযরত আয়েশা রা বলেছেন, রাসূল সা. বিতির নামায তিন রাকাত পড়তেন এবং শুধুমাত্র শেষ রাকাতে সালাম ফিরাতেন, ‍দু‘রাকাতের পর সালাম ফিরাতেন না। (সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১৬৯৮)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৬৮৩১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ১১৪০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১৭০১]

৮। বিতির নামাযে দু‘আয়ে কুনূত তৃতীয় রাকাতে রুকূতে যাওয়ার আগে পড়বে; রুকূ থেকে উঠার পরে নয়।

দলীল:

حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ القُنُوتِ فِي الصَّلاَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، فَقُلْتُ: كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: قَبْلَهُ، قُلْتُ: فَإِنَّ فُلاَنًا أَخْبَرَنِي عَنْكَ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَهُ، قَالَ: كَذَبَ «إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا

অর্থ্: হযরত আসিম রহ. বলেন। আমি হযরত আনাস রা.কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন কুনূত পড়ার বিধান রয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম রুকূর আগে না পরে? তিনি বললেন রুকূর আগে। আমি বললাম, এক ব্যক্তি আমাকে বলেছে আপনি রুকূর পরে কুনূত পড়ার কথা বলেন। তিনি বললেন সে ভুল বলেছে। রুকূর পরে তো রাসূর সা. শুধুমাত্র এক মাস কুনূত পড়েছেন, (যা ছিল কুনূতে নাযিলা)।(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪০৯৬)
এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১৬৯৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১১৮২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৬৮৩৫, ৬৯০০, ৬৯০৩, ৬৯০৪, ৬৯০৯, ৬৯১০, ৬৯১১, ৬৯১৩, ৬৯৪২; ইরওয়াউল গালীল ২/১৬৪; মুশকিলুল আছার ১/৬৩]

৯। জুমার আগে ও পরে সুন্নাত রয়েছে। যারা বলে জুমার আগে সুন্নাত নেই তাদের কথা সঠিক নয়।

দলীল:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنِ اغْتَسَلَ؟ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ، فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ أَنْصَتَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَعَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، وَفَضْلُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ»

অর্থ্: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার নামাযের উদ্দেশ্যে আসে এবং তাওফীক অনুযায়ী নফল নামায পড়ে, এরপর ইমামের খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে ও ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করে আল্লাহ তা‘আলা তার পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেন। (সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৮৫৭)

عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَأْمُرُنَا أَنْ نُصَلِّيَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا، وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا،

অর্থ্: হযরত আব্দুর রহমান সুলামী রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. আমাদেরকে জুমার আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত সুন্নাত পড়ার নির্দেশ দিতেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২৫)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبَعًا»

অর্থ্: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. জুমার পর চার রাকাত সুন্নাত পড়তে বলেছেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৮১)

এ প্রসঙ্গে আরও হাদীস: [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৩৭; সহীস মুসলিম, হাদীস নং ৮৮২; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৫২১; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস নং ১১৩০, ১১৩১, ১১৩২, ১১৩৩; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ১৪২৬, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৪২৯; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৫৩৬১, ৫৩৬৮, ৫৩৭৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১১৩১; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২৯]

১০। তারাবীহ নামায বিশ রাকাত। যারা বলে আট রাকাত তাদের কথা সঠিক নয়।

দলীল:

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي فِي رَمَضَانَ عِشْرِينَ رَكْعَةً وَالْوِتْرَ»

অর্থ্: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. রমাযান মাসে তারাবীহ নামায বিশ রাকাত পড়েছেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৬৯২)

এ প্রসঙ্গে হাদীস: [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৭৬৮০, ৭৬৮১, ৭৬৮২, ৭৬৮৩, ৭৬৮৪, ৭৬৮৫; সুনানে কুবরা লিল বাইহাকী, হাদীস নং ৪২৯০, ৪২৯১, ৪২৯২; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৭৭৩৩; আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ তাবারানী, হাদীস নং ১২১০২; আল মু‘জামুল আওসাত লিত্ তাবারানী, হাদীস নং ৭৯৮; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৮০৬; কিতাবুল উম্ম লিশ শাফিঈ ১/১৬৭]

বি:দ্র: হাদীস নাম্বার ও রেফারেন্সের ক্ষেত্রে মাকতাবা শামিলা অনুসরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

কমরেড ফারুক ২ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন....

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

হাবীবুল্লাহ নকীব বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। এমন শিক্ষনীয় পোস্ট আরও পাব বলে আশা রাখলাম।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

হাবীবুল্লাহ নকীব বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধূর ভাই। আপনি নিজের মতের পক্ষে বলতে গিয়ে অন্যজনের টাকে বাতিল করে দিলেন। এটা তো হলো না। মুফতিরা সাধারণত বলে থাকেন , "কারো কারো মতে এরকম, আবার কারো কারো মতে এরকম" - এভাবে। আপনি রায় দিয়ে দিলেন সুরা ফাতেহা পড়বে কিনা, আমিন জোরে বলবে কিনা, তারাবীহ ৮ রাকাত সঠিক নয়। আপনার দলিল দেখাবেন কিন্তু আরেকজনের কাছেও দলিল আছে সেটা মনে রাখবেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.