![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলে তাক্বলীদ কাকে বলে ?????
তাক্বলীদ কাকে বলে ? আহলে হাদীসরা মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে বেড়ায় যে, তাক্বলীদ বলা হয় “কুরআন হাদীস ছেড়ে দিয়ে আবু হানীফা রঃ এর অনুসরণ করাকে বলা হয় তাক্বলীদ”। এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অপবাদ। মূলত তাক্বলীদ বলা হয় “শরীয়তের মাসায়েলে প্রাজ্ঞ ব্যক্তির পথপ্রদর্শনে শরীয়ত অনুসরণ করাকে বলে”।
আমাদের সংজ্ঞাটাই মূল সংজ্ঞা, গায়রে মুকাল্লিদেরটা নয়। কারণ যেমন এক ব্যক্তি নামাযকে অস্বিকার করে, সেতো নামাযের সংজ্ঞা বিকৃত করে করবেই। আর যে নামায পড়ে সে নামাযের সংজ্ঞা সঠিক করে করবে। তেমনি আমরা তাক্বলীদকে মানি। আর গায়রে মুকাল্লিদরা তাক্বলীদ অস্বিকার করে। তাই তাদের তাক্বলীদের সংজ্ঞা বিকৃত। সঠিক নয়।
আমাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী তাক্বলীদ মানে হল-“শরীয়তের প্রাজ্ঞ ব্যক্তির পথপ্রদর্শনে শরীয়তের অনুসরণ করা”। যেমন ইমাম এর পিছনে মুক্তাদীরা ইক্তিদা করে। ইমাম যখন তাক্ববীর বাঁধে মুসল্লিও বাঁধে। সকল রুকন ইমামের অনুসরণ করে। এখানে যেমন ইমামও আল্লাহর অনুসরণ করে ইবাদত করে, তেমন মুসল্লিও আল্লাহর অনুসরণ করে ইমামের অনুসরণ এর মাধ্যমে। ইবাদত মূলত আল্লাহর। কিন্তু বাহ্যিক অনুসরণ ইমামের। তেমনি আমরা ইবাদত করি আল্লাহর। কিন্তু বাহ্যিক অনুসরণ দেখা যায় ইমামে আজম আবু হানীফা রঃ। মূলত শরীয়তের জ্ঞানে প্রাজ্ঞ ইমামে আযম আবু হানীফা রহঃ এর পথ প্রদর্শনে আমরা শরীয়তের অনুসরণ করি। মৌলিক অনুসরণ ইমামের নয়, শরীয়তের।
ﺃَﺑُﻮ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - « ﺃَﻣَﺎ ﻳَﺨْﺸَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻳَﺮْﻓَﻊُ ﺭَﺃْﺳَﻪُ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﻮِّﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺃْﺳَﻪُ ﺭَﺃْﺱَ ﺣِﻤَﺎﺭٍ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত যে ব্যক্তি ইমামের আগে মাথা উঠায় তার ক্ষেত্রে আমার আশংকা হয় আল্লাহ তায়ালা তার মাথাকে গাধার মাথায় রুপান্তরিত করে দিবেন। {সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৯৯১, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৬২৩}
কোন ব্যক্তি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ইমামের অনুসরণ না করে আগে পরে রুকু সেজদা করে তাকে নবীজী সাঃ গাধা বলেছেন। সুতরাং ৫ বা ১০ মিনিটের ইমামের অনুসরণ ছেড়ে দিলে যেহেতো গাধা হয় তাহলে পূর্ণ শরীয়তের বিধানের অনুসরণে যারা ইমামে আযমের বিরোধিতা করে তারা হল বড় গাধা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের গায়রে মুকাল্লিদদের ফিতনাবাজী থেকে হিফাযত করুন।
আমীন
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
shiponblog বলেছেন: ইমাম আবু হানিফাকে এনে জগাখিচুড়ি করার দরকার টা কি বুঝলাম না। কোরআন হাদিস কি সম্পুন না।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
তট রেখা বলেছেন: মানুষ কে ভুল বুঝাবেন না, অনুসরনের অর্থ ইত্তেবা, তাক্বলীদ নয়। তাক্বলীদ অর্থ দলীল প্রমাণ ব্যতিরকে কারো অন্ধ অনুসরণ। আমরা কুরান হাদীসের দলীল প্রমাণ সাপেক্ষে সকল ইমামেরই ইত্তেবা করি। রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাতিত কেউ ই অন্ধ অনুসরনের যোগ্য নয়।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাবীবুল্লাহ নকীব বলেছেন: আপনি হয়ত ইসলাম সম্পর্কে পূর্ন ধারনা রাখেন না
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সংক্ষেপে বেশ ভাল সংজ্ঞায়ন করেছেন, আশা করি গায়েরে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা তাদের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকবেন।