![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজাব কোন ফ্যাশন নয়।হিজাবের নাম করে মাথার উপর আইফেল টাওয়ার বানিয়ে রাখলেই হিজাবী হয়ে গেলাম? হিজাব-নিকাব মুসলিম নারীদের জন্য আল্লাহর বিধান।আর সেই আল্লাহর বিধান নিয়ে ফাজলামি করার সাহস আমরা দেখাচ্ছি! কি দুঃসাহস আমাদের ভাবা যায়!
.
মেয়েটি কত সুন্দর হিজাবী! হিজাব ছাড়া চলেই না।অথচ এমনই হিজাব যে,দুনিয়ার যত কাপড় সব মাথার উপর।অবশ্য শরীরও কাপড় দিয়ে আবৃত তবে সেই কাপড়রের বাইরে থেকে বোঝা যায় শরীরে কোথায় মাংসের স্তুপ আর কোথায় হাড্ডির স্তুপ!
.
মেয়েটি খুব সুন্দর হিজাবী! অথচ লম্বা লম্বা নখ,কতই না বাহারী নেইল আর্ট! রুচি আছে বলতে হবে! আর হিজাবের রং,পাথরের ছড়াছড়ি,ডিজাইনের বাহারে তো চক্ষু চড়কগাছ!দেখলে চোখের পলক পড়তেই চায় না!
.
মেয়েটি কত সুন্দর হিজাবী! অথচ লিপিস্টিকের এমনই ঝলক যে,আমার মুসলিম ভাইয়েরাও দুইবার তাকিয়ে দেখতে বাধ্য হয়।আর চোখের কত রকম সাঁজ!সে চোখের দৃষ্টিতে কোন পুরুষের দিক তাকানো মানেই সেই পুরুষের রাতের ঘুম হারাম! শুরু হবে আপনাকে নিয়ে নোংরা চিন্তার খেলা।
.
মেয়েটি খুব সুন্দর হিজাবী! অথচ মুখের বুলি এতই চমৎকার আর নরম যে,তার কথার জোরালো কর্কশ শব্দে পাশে থাকা ঘুমন্ত ব্যক্তি এক লাফে উঠে বলবে,ভূমিকম্প হচ্ছে নাকি!
.
মেয়েটি খুব সুন্দর হিজাবী! অথচ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা বিশাল ঝামেলার ব্যাপার!বারবার অজু করার মানে বার বার মেকাপ করার আর সাজুগুজু করার ঝামেলা! কি দরকার!
ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান।নারী কোন পন্য নয় যে,তাকে শোরুমে সাজানো জিনিসের মত করে সেজে ঘুরতে হবে।নারী মানে মা,মেয়ে ,বোন,স্ত্রী ইত্যাদি।নারীদেরকে ইসলামে এমন ভাবেই চলতে বলা হয়েছে যে,দেখলেই সবাই সম্মান করবে।কু-চিন্তার তো সুযোগই পাবে না।
হিজাব-নিকাবের বিধান শুধুই একটি বিধান নয়।এই বিধানই চিনিয়ে দেয়,সমাজে কারা মুসলিম নারী।এই বিধান একটি মুসলিম মেয়েকে নম্র-ভদ্র বানায়,যাতে সবাই বোঝে কোনটা শান্তির।এই বিধানই মুসলিম মেয়েদের হেফাজত করে পুরুষের লালসার দৃষ্টি থেকে।এই বিধানের জন্যই মুসলিম মেয়েদের জান্নাতের পথ সহজ হবে।আলহামদুলিল্লাহ!
হিজাবকে ফ্যাশন করার আগে জানতে হবে এই হিজাব কি? মুসলিম নারীরা এমনভাবে পর্দা করবে যেন তার চোখও দেখা না যায় আর এমনই ঢিলেঢালা বোরখা পরবে যাতে করে তার শরীরের সামান্য গঠনও বোঝা না যায়।আল্লাহর আদেশ সঠিকভাবে না মানলে আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে রয়েছে জ্বলন্ত আগুন।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, পরিবারে যদি ঐরকম কেউ থাকে যে পর্দা করে না তাকে বোঝাতে হবে আল্লাহর এই বিধান মানার জন্য।আর যদি সে না বোঝে তাকে বাধ্য করতে হবে কারণ তার পর্দা না করার জন্য আপনিও হাসরের ময়দানে জিজ্ঞাসিত হবেন।
©somewhere in net ltd.