![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথ কাছেই ছিলো..... এখনো চলছি .......
সেদিন মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্রনেতা মোস্তাক হোসেনের বর্ণনা মতে, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আরো সুশৃঙ্খল, আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ছাত্ররা কর্মসূচিতে যোগ দেন। মিছিলের প্রথমে শতাধিক ছাত্রীর অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। খুবই শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল, উৎসবের মতো অনেকটা। ব্যারিকেডের সামনে যখন মিছিল যায় হাইকোর্টের গেট ও কার্জন হল-সংলগ্ন এলাকায়, তখন মেয়েরা ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েন। নেতারা তারকাঁটার ওপর উঠে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। মিছিলটি ছিল হাইকোর্টের গেট থেকে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত। কিন্তু কোনো উসকানি ছাড়াই তারকাঁটার একদিক কিছুটা সরিয়ে রায়ট কার ঢুকিয়ে রঙিন গরম পানি ছিটাতে শুরু করে পুলিশ। এরপর ভেতরে ঢুকে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। সাধারণ ছাত্ররা তখন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ তখন ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন জয়নাল। সেদিন জয়নালকে গুলিবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর শরীর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে পুলিশ। বেয়নেট ফলা আর জয়নালের শরীর থেকে চুইয়েপড়া রক্ত বাংলার পথ-প্রান্তর ভাসিয়ে দেয়। শুধু জয়নাল নয়, ছাত্রদের ওপর পুলিশি তা-বের সময় শিশু একাডেমীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা দিপালী নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তবে দিপালীর লাশ পুলিশ গুম করে ফেলে। জয়নাল পড়েছিলেন কার্জন হলের মধ্যে। তাঁকে ধরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে যেসব ছাত্র সকালে মিছিলে আসেননি, তাঁরা বিকেলে জয়নালের জানাজায় বটতলায় উপস্থিত হন। হাজার হাজার সাধারণ মানুষও উপস্থিত হয়।’
পুলিশ সেদিন শুধু হত্যা করেই স্থির থাকেনি, বিকেলে ক্যাম্পাসে একটি যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি করে সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে যোগ দেয় বিডিআর-পুলিশ। শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, কলাভবনের সামনে, নীলক্ষেত, কাঁটাবনের রাস্তা ধরে পুরো অঞ্চল ঘেরাও করে ফেলে তারা। অপরাজেয় বাংলার সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় বহু ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের মেরে হাত-পা ভেঙে ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তৎকালীন উপাচার্য পদত্যাগ করেন। কলাভবনের ভেতরে ঢুকে পুলিশ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক যাঁকে পেয়েছে তাঁকেই নির্যাতন করেছে। ওখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খ ম জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘আমরা জয়নালের লাশ লুকিয়ে ফেলেছিলাম মুহসীন হলের ডাইনিংয়ে। লাশের খোঁজে পুলিশ চারুকলায় ঢুকে ছাত্রদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করে। পুলিশ খুঁজে খুঁজে পোশাকে রঙিন গরম পানির চিহ্ন দেখে দেখে গ্রেপ্তার করে। অবশেষে মুহসীন হলের ডাইনিংয়ে লাশ পাওয়া গেলে অন্যান্য হলে লাশের তল্লাশি বন্ধ করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার করে দুই সহগ্রাধিক ছাত্র-জনতাকে। সরকারি হিসাবেই এ সংখ্যা এক হাজার ৩৩১ জন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। এরপর তাঁদের তুলে দেওয়া হয় আর্মির হাতে। বন্দি ছাত্র-জনতার ওপর প্রথমে পুলিশ ও পরে আর্মি নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায় । মেয়েদেরও গ্রেপ্তার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রবল চাপের কারণে তাঁদের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ১৪ তারিখ শুধু জয়নালের লাশ পাওয়া যায়। জয়নালের বাড়ি ছিল নোয়াখালীর চাটখিল থানার দোলাইপাড়ে। দিপালী সাহার লাশ গুম করে ফেলে আর্র্মি।আরো অনেকে নিখোঁজ হয়। তাদের জীবিত বা মৃত কোনো অবস্থায়ই পাওয়া যায়নি।’
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৭
অবসরের স্বপ্ন বলেছেন: এরশাদ ক্ষমতায় আসার পরপরই তাঁর শিক্ষামন্ত্রী মজিদ খান নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। সাম্প্রদায়িকতা, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ আর শিক্ষা সংকোচন-কে ভিত্তি ধরে প্রণীত এ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়। এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো। শিক্ষানীতিতেও সে প্রতিফলন ঘটে। এ নীতিতে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই বাংলার সঙ্গে আরবি ও ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এ নীতি ছিল শিক্ষা অর্জনের জন্য মাতৃভাষার গুরুত্ব উপেক্ষা এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের দৃষ্টান্ত। সেই সাথে জাতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থি এবং শিশুদের জন্য নিপীড়নমূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব ও শিক্ষার ব্যয়ভার যারা ৫০% বহন করতে পারবে তাদের রেজাল্ট খারাপ হলেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়- এই শিক্ষানীতিতে। মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার পঞ্চাশ ভাগ ব্যয় শিক্ষার্থীর পরিবারকে বহন করতে হতো। ফলে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো দরিদ্র মানুষ। ছাত্ররা এ নীতির ব্যাপক বিরোধিতা করেন। ১৯৮২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের শিক্ষা দিবসে এ শিক্ষানীতি বাতিল করার পক্ষে ছাত্র সংগঠনগুলো একমত হয়.......
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: এ নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি। তাই দুই একটি কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি। আমার দেখা শুধু বামগড়ানার ছেলেমেয়েদের মুখে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস বলতে শুনি। যদিও আপনার পোস্টে বর্ণিত ১৯৮৩'র প্রত্যেকটা ঘটনাই সত্যি। তারপরও ১৪ ফেব্রুয়ারিকে আমি বিশ্বভালবাসা দিবস হিসেবেই দেখি। হয়তো কাকতালীয়ভাবে তারিখটি মিলে যায়। কিন্তু প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্যতো ঐ একটি দিনই বিশেষ কিছু। অবশ্য অন্যভাবে দেখলে ভালোবাসাতো ভালোবাসাই। এটা হতে পারে মায়ের প্রতি ভালোবাসা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা, গাছ কিংবা কোন প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা। তাই ঐ দিনটি উদযাপনে আমি কোন সমস্যা দেখি না।
এখন যার যার অভিরূচি দিনটি কিভাবে পালন করবে।
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন আমি এমন মন্তব্যটি কেনো করলাম?? আপনার বিগত দুইটি পোস্টেই এ বিষয়ক। তাই করলাম।
অঃটঃ যন্ত্রণাকর স্মৃতি মানুষকে অনেক বেশি ছোট করে। তাই এগুলাকে ভুলে থাকাটাই শ্রেয়। স্বৈরাচার স্বৈরাচার বলে গলা ফাটালেতো আর ঐ মানুষগুলো ফিরে আসবে না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
অবসরের স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, আপনি এ দিবস কে বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে দেখলে আমার কিচ্ছু করার নেই । আমিতো শুধু একটি আহ্বান নিয়ে এসেছি.....
আর ভালবাসার কথা বলছেন ? আমিও একজন যুবক । ঐ ভালবাসা নামক বাসার প্রতি টান আর দশটা ছেলের মত আমারও আছে । কিন্তু আমি মনে করেছি ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রিয়তমার হাত ধরে হাটার চেয়ে মিছিলে থাকাটা বেশি জরুরী । কারন আমি আজ যে ক্যাম্পাসে পড়ছি সে ক্যাম্পাসে পড়ার সৈৗভাগ্য আমার হতো না ১৪ ফেব্রুয়ালি ছাড়া ।
সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া, আমি চাষার ছেলে । আমার পক্ষে ঐ মজিদ খানের (যে নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ জন শহীদ হলো ) শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন হলে লেখা-পড়া সম্ভব হতো না । আজ আমি ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ে অনার্স শেষ করতে পারছি বিশ্ববিদ্যালয় কে মাত্র ৫০,০০০/ টাকা দিয়ে । আর মজিদ খানের শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন হলে খরচ হেতো ১৫-২০ লাখ টাকা । আমার কৃষক পিতার পক্ষে এ ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হতো না । আর তাই আমি দায়বদ্ধ স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে যেতে ,,,,,,,,,,,
বারবার কেন ? আমি সারা জীবন অর্থাৎ লেখা-পড়া শেষ হলেও এ পোষ্ট দিয়ে যাবো । কারন আমার লেখা-পড়া আর উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য আমি তাদের কাছে আজীবন ঋণী । জানি এ ঋণ শোধ করতে পারবো না তবুও ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, একটা কথাই বলছি
যারা তোমায় ভুলে ভুলুক
আমি তোমায় ভুলবো না ........................
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: আহারে...... পড়ে সেই দিনের সবার জন্য কষ্ট হল।
এমন দিন এদেশে আর না আসুক।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
অবসরের স্বপ্ন বলেছেন: এদিন কি সম্প্রতি আসেনি ? এসেছে , অবশ্যই এসেছে । বিশ্বজিৎ, আবু বকর সহ ছাত্র বা সাধারন মানুষের রক্তে কি আজো ক্যাম্পাস বা রাজপথ রন্জিত হয় নি ? হচ্ছে ।
তখন নরপিশাচগুলো আসতো খাকি পোশাক পড়ে আর এখন আসছে সংসদীয় মুখোশে মুখ ঢেকে । আর কোন পার্থক্য আছে কি ?
দিন দিন কি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার খরচ বাড়ছে না ? বাড়ছে , অবশ্যই বাড়ছে । ইউিজিস (ইউিনভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন) র ২০ বছর মেয়াদি কৌশল পত্র বাস্তবায়ন কি হচ্ছে না ? শিক্ষা ক্ষেত্র কি বেসরকারি মালিকানার খাতে যাচ্ছে না ?
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আর যাই বলেন ভাই, অতীত ভুলে যাবার প্রতিযোগিতায় আমাদের সাথে বোধহয় কেউ পারবে না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৯
অবসরের স্বপ্ন বলেছেন: চরম সত্যি বলেছেন ভাই । যারা আমাদের লেখা-পড়ার জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেল তাদের কত সহজে আমরা ভুলে গেলাম !
প্রিয়তমাকে একটি বিকেল দেওয়ার জন্য আমরা ব্যাকুল । অথচ যে দিবস না হলে হয়তো ঐ প্রিয়তমা বা আমি আজ লেখা-পড়াই করতে পারতাম না ; সে দিবসটাকেই বেমালুম ভুলে গেলাম ।।।।।।।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: যন্ত্রণাকর স্মৃতি মানুষকে অনেক বেশি ছোট করে। তাই এগুলাকে ভুলে থাকাটাই শ্রেয়। স্বৈরাচার স্বৈরাচার বলে গলা ফাটালেতো আর ঐ মানুষগুলো ফিরে আসবে না।
সহমত।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৮
অবসরের স্বপ্ন বলেছেন: ঐ মানুষগুলো ফিরে আসবে না , জানি । ঐ মানুষগুলোকে ফিরে পাবার জন্য আমি গলা ফাটাই না ।
আমার মত চাষার ছেলেরা যাতে ভবিষ্যতে মেধার ভিত্তিতে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে সে জন্য গলা ফাটাই । আমাদের লেখা-পড়ার জন্য তরুনরা জীবন দিতে পেরেছে আর আমি গলা ফাটাতে পারবো না ? পারবো , আমাকে পারতেই হবে ..........
যন্ত্রনাকাতর স্মুতি মানুষকে ছোট করতে পারে আমাকে স্লোগান বা ১৪ ফেব্রুয়ারির স্মুতি কখনোই ছোট করে না বরং সমুদ্রের বিশালতার বা আকাশের অসীমতার তত্ব শেখায় ।
স্বৈরাচার নিপাত যাক বলতে গিয়ে যদি আমার গলা দিয়ে রক্ত আসে তারপরও আমি বলবো ;
স্বৈরাচার নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক ।
আমি জানি এ স্লোগানই পারে শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণ রোধ করতে .......
মতামত জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ .........
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: ভাই, আন্দোলনতা ছিল কী নিয়ে?