নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানবো,জানাবো।

আরিফ১৯৭৮০০৭

আরিফুল ইসলাম ৬৭১৬৮ |

আরিফ১৯৭৮০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের কুয়াকাটা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কুয়াকাটা হলো দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে ভাগ্যের ব্যপার। কুয়াকাটায় সূর্যোদয় দেখার জন্য ঝাউবনে যাওয়াই ভালো। সেখান থেকেই সূর্যাস্ত ভালো দেখা যায়, সমুদ্রের পেট চিড়ে কিভাবে সূর্য উঠে তা দেখার জন্য আপনার মতো আরও অনেক লোকই আপনার আগে চলে যাবে সেখানে সন্দেহ নেই। সকাল বেলা হেটে হেটে ঝাউবনে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। আর ভ্যানে বা রিকশায় গেলে লাগবে ১০ মিনিট। সেখানে সারি সারি গাছ নিঃসন্দেহে আপনার ভালো লাগবে। এই বনটি সরকার বনায়ন পরিকল্পনার অধীনে তৈরী করেছে। কারো কারো কাছে সূর্যোদয়ের চেয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যটা বোধহয় বেশি চমৎকার লাগে। সুর্যটা সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার সময় রংয়ের পরিবর্তনটা আপনি স্পষ্টই দেখতে পাবেন।



সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ প্রায় ১ কিলোমিটারের বেশি। সমুদ্র সৈকতে গেলেই দেখতে পাবেন সারি সারি কাঠের বেড আর রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ছাতা। এসকল বেড ভাড়া প্রতি ঘন্টা ২০ টাকা। সমুদ্র দিনের বেলা সাধারণত আশে পাশের শব্দের কারনে গর্জন শোনা যায় না। সমুদ্রের যে একটা ভয়ংকর রূপ আছে তা বোঝা যায় রাতে। রাতেও বেড গুলি ভাড়া পাওয়া যায়। যদি রাতে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চান তবে অবশ্যই যেতে পারেন সেখানে। নিরাপত্তা জনিত কোন ভয় নেই সেখানে। তবে সাবধানে থাকাই ভালো। সত্যি কথা বললে রাতের সমুদ্রের গর্জন সত্যিই ভয়ংকর। সৈকতের কাছাকাছি কোন হোটেলে থাকলে গর্জন হোটেল থেকেও শোনা যেতে পারে।



দর্শণার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়। কুয়াকাটার আশে পাশের বেশ কয়েকটি চর আছে। সেগুলি দেখতে আপনি যেতে পারেন স্পিডবোট ও ট্রলার কিংবা ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় করে। কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেগুলিতে রান্না করার সকল ব্যবস্থা আছে। চুলা, খড়ি, হাড়ি, পাতিল থেকে বাবুর্চি পর্যন্ত। তবে সবকিছুর জন্য টাকাতো লাগবেই।



ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সাকুরা পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসি পরিবহনের বাস সরাসরি কুয়াকায় যায়। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। আর হাতে একটু বেশী সময় থাকলে আপনি ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খুলনায় আসার অনেক ভালো বাস পাওয়া যাবে। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। খুলনা থেকে বাসভাড়া ২৭০ টাকা। আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।



কুয়াকাটা বীচের পাশের বাধের রাস্তার দুপাশে এবং মেইন রোডের আশে পাশে অনেক হোটেল, মোটেল ও বাংলো পাবেন। আপনার সুবিধামত যে কোন একটিতে উঠতে পারেন। সেখানে প্রায় ৫০/৬০টি ব্যক্তি উদ্যোগের হোটেল ও মোটেল আছে। এসকল হোটেলে ও মোটেলে ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সেখানে দুটি সরকারী ডাকবাংলো আছে। একটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অপরটি এলজিইডি মন্ত্রানালয়ের অধীনে। সরকারী কর্মকর্তারা আগে থেকে যোগাযোগ করলে পেয়েও যেতে পারেন এই দুটোর একটি।



কুয়াকাটায় সীমিত সংখ্যক দোকান আছে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন সেসব দোকান থেকে। দাম অপেক্ষাকৃত একটু বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাবেন। তবে এখানে শুটকির দোকান আছে সৈকতের পাশেই। কুয়াটায় শুটকি পল্লী থাকায় এখানে অনেক কম দামে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুটকি পাবেন।

স্বপরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা। শামুক-ঝিনুকের তৈরী বিভিন্ন সৌখিন দ্রব্যাদি, রাখাইনদের তৈরী চাদর, কাপড়, ওড়না ইত্যাদিও পাবেন একটু কম দামে। তবে আর দেরি নয়, দেশের এই স্থিতিশীল অবস্থা থাকতেই সময় করে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা । B-)









উৎস : ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৪০

কাউসার রুশো বলেছেন: অরো ছবি দেয়ার দরকার ছিলো।
তবে লেখা ভালো হয়েছে
+++ :)

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৪৩

মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: ভাল লিখছেন

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১১

হুবাস্ট্যাঙ্ক বলেছেন: ঢাকা থেকে যে বাসগুলো ( সাকুরা, ঈগল )সরাসরি যায় সেগুলো কলাপাড়া নামিয়ে দেয়। ওইখান্ থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য বাস বা নদী পার হলে মোটর বাইক পাওয়া যায়। এইগুলা ৫০-৬০ টাকা করে নিবে। তবে খুলনা হয়ে ঘুরে যাওয়া টা ত অনেক সময় এবং খরচ। এর চেয়ে বরিশাল হয়ে যাওয়া ভাল। বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে কুয়াকাটার বাস ছাড়ে। বি আর টি সি ছাড়াও অন্য বাস সার্ভিস আছে। ওইগুলা ভাল। আগে যায়। আর যারা আডভেঞ্চার পছন্দ করেন। তারা কুয়াকাটা যাওয়ার আগে মহিপুর ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে ফাতরার চর এ যেতে পারেন। আর একটু দুঃসাহসী হলে swatch of no ground এ যেয়ে তিমি আর ডলফিন দেখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.