![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাস্তি দেওয়া হয় কখন? যখন কেউ কোন অপরাধ করে তখন তার অপরাধের মাত্রা অনুসারে তার শাস্তি নির্ধারিত হয়।
যখন দেখা যায় কাউকে বুঝিয়ে বলার পরও কোন ফল পাওয়া যায় না তখন তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে আইন করে শাস্তি প্রদান সম্পূর্ণভাবে ব্ন্ধ করা হয়েছে।
তার ফল কি হয়েছে?
আজ সামুতে স্টিকি করা পোস্ট ।
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে (মুন্নি বদনাম,শিলার জওয়ানী ) প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শুরু করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীট এর শিক্ষার্থিরা এখন দিন বদলের হাওয়ায় গা ভাসিয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালেয়ে পড়া ছেলেগুলো এখন তাদেরই মেয়ে সহপাঠীদের ইভটিজিং করতে শুরু করেছে। তাদের কোন ভাবে বলে বুঝিয়ে কোন সুফল পাওয়া যায় না। শাস্তি প্রদান করার কোন বিধান নেই। অভিভাবক ডেকে এনে বলেও কোন সুফল মিলে না। এখন এই ছেলে যখন বড় হয়ে হাই স্কুলে পড়বে তখন তার আচরণ কেমন দাঁড়াবে? আর যদি কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে তখন সামুতে স্টিকি করা এধরনের পোস্টের সংখ্যা বাড়বে।
(এখানে আমি সব স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের কথা বলছিনা ,গুটি কয়েক ইঁচড়ে পাকা ছেলেদের কথা বলছি,যারা অন্য ছেলেদের নস্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এরা এই ডিজিটাল যুগের বদৌলতে এ কথাও তারা জানে শিক্ষকগণ আইনের কারণে তাদের কোন ধরণের শাস্তি দিতে পারবেন না।)
এখন আমরা যারা সামুতে ব্লগ লিখে চলেছি তারা একবার নিজেদের ছোট বেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার কথা স্মরণ করে দেখি আমরা কিভাবে বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীর নিকট হতে শিক্ষা লাভ করেছি। কিভাবে কঠোর শাসনের মাঝে আমরা শিক্ষা লাভ করেছি। আর আজ আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের কিভাবে শিক্ষা দিচ্ছি।
যুগের পালা বদলের হাওয়ায় সব কিছুই পরিবর্তন লাভ করেছে। তাই আমাদেরও দৃষ্ঠিভংগি পরিবর্তন করা উচিত। রাস্তাঘাটে তথা সমাজের যে-কোনখানে কোন অমানবিক ঘটনা চোখে পড়লে না দেখার ভান করাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ। এবং এ ধরণের কথাই আমরা অভিভাবকগণ আজকাল তাদের ছেলেমেয়েদের শিখিয়ে দেন। আর যারা অভিভাবকের কথা না শুনে সাহসিকতার পরিচয় দেয় তাদের আবস্থা হবে হযরত আলীর মতো (সামুতে কিছুদিন আগে স্টিকি করা পোস্ট) , আর আজকের স্টিকি পোস্টের মত।
(দিন বদলের বইছে হাওয়া , এই ধরনের শিক্ষা আমাদের প্রধান চাওয়া।)
১২ ই মে, ২০১২ রাত ১২:০৬
আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপনি কীরকম শাস্তির কথা বলতে চাচ্ছেন? পথহারা ছাত্রদেরকে ঠিক পথে আনতে শাস্তি দেয়া লাগবে বলে আমি মনে করি না। ভালো যোগ্য একজন শিক্ষক ভালমতন কাউন্সিলিং করলেই যথেষ্ট।
আগের থেকে ভালো কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
আমার এই লেখাতে কোথাও শারীরিক শাস্তির কথা লেখা নেই। তবে কেন এই প্রসংগ।
একজন শিক্ষক কাউন্সিলিং করবেন তার ক্যাম্পাসে, আর সমাজের সচেতন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের কাজ কী শুধু এই প্রসংগে মিটিং করা আর বক্তৃতা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান?
১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪
আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: আর শাস্তি হতে পারে এ রকম -
-প্রথম দুইবার এধরনের আচরণের জন্য অভিভাবককে ডেকে এনে তার ব্যাপারে মৌখিকভাবে সতর্ক করা।
-পরবর্তিতে এহেন আচরণের জন্য পরীক্ষায় আচরণের উপর নির্ভর করে নম্বর কর্তন করা।
-সর্বোচ্চ শাস্তি তাকে বিদ্যালয় হতে বহিষ্কার করা।
এ ধরনের আচরণ হতে সন্তানকে দূর রাখার ক্ষেত্র শিক্ষককের থেকে মা-বাবার ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১২ রাত ১১:৫২
পাগলা ব্লগার বলেছেন: শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপনি কীরকম শাস্তির কথা বলতে চাচ্ছেন? পথহারা ছাত্রদেরকে ঠিক পথে আনতে শাস্তি দেয়া লাগবে বলে আমি মনে করি না। ভালো যোগ্য একজন শিক্ষক ভালমতন কাউন্সিলিং করলেই যথেষ্ট।