![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিব্রেটিদের ফিটনেস আমাদের মুগ্ধ না করে পারে না। কিন্তু কিভাবে তারা এই আদর্শ দৈহিক গড়ন অর্জন করেন এবং ধরে রাখেন? ফিটনেসটাই বা কিভাবে দীর্ঘদিন অটুট থাকে? খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনই এর একমাত্র কারণ নাও হতে পারে। দেশে-বিদেশে বহু সেলিব্রেটি নিয়মিতভাবে প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছেন স্রেফ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
লাইপোসাকশনও এক ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করার প্রক্রিয়া হচ্ছে লাইপোসাকশন। কেবল সেলিব্রেটিরা নন, অনেকেই লাইপোসাকশন করাচ্ছেন। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখেরও বেশি লাইপোসাকশন অপারেশন হচ্ছে। বাংলাদেশেও এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইপোসাকশনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
লাইপোসাকশন কি?
মানুষের শরীরের কিছু নির্দিষ্ট জায়গা যেমন- মুখমন্ডল, ঘাড়, বাহু, পেট, কোমর, নিতম্ব ও উরুর চামড়ার নিচে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা থাকে। এই মেদ বের করতে পারলে স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। লাইপোসাকশন এইচডিএল কোলস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ফলে হার্ট এটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ইনসুলিন টলারেন্স বাড়ার কারণে সুপ্ত ডায়বেটিক রোগীদের পূর্ণ মাত্রায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
কোন অংশে লাইপোসাকশন করতে হবে সেটা আগে থেকেই চিহ্নিত করে নেয়া হয়। এরপর চামড়ার নিচে সরু স্টীলের টিউব প্রবেশ করিয়ে সাকশন টিউব বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে মেদ বের করে আনা হয়। এর আগে আলট্রা সাউন্ড বা রাসায়নিকের মাধ্যমে চর্বি তরল করে নেয়া হয়। সাধারণত লোকাল এনেসথেশিয়ার মাধ্যমেই লাইপোসাকশন করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাইপোসাকশনের পর রোগী একই দিনে বাড়ি ফিরতে পারেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক কাজ শুরু করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বি বের করার ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে ওজন কমানোর জন্য লাইপোসাকশন কোন ভালো ব্যবস্থা নয়। কারো চামড়ায় কোন রোগ থাকলে বা স্থিতিস্থাপকতা কম থাকলে লাইপোসাকশন করা যায় না। অতিরিক্ত স্থূলাকায় রোগীর শরীর থেকে ছয় লিটার পর্যন্ত মেদ বের করে আনতে হতে পারে। এই অতিরিক্ত মেদ বের করার পর সংশ্লিষ্ট জায়াগার চামড়ায় শিথিলতা দেখা দিতে পারে। কিছুটা বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়। এজন্য প্লাস্টিক সার্জারি করে চামড়া ছেঁটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। অপারেশন পরবর্তী সময়ে ফুলে ওঠা ঠেকাতে কয়েকদিন সংশ্লিষ্ট স্থান আঁটসাঁট পোশাকের মাধ্যমে আটকে রাখার প্রয়োজন হতে পারে।
লাইপোসাকশনের কিছুদিন পর আবার চর্বি জমে লাইপোসাকশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এটা ঠেকাতে চিকিৎসক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসও থাকা জরুরি।
ডায়াবেটিক এবং হৃদরোগীদের লাইপোসাকশনের আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। এছাড়া অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন করছেন এমন রোগীদের লাইপোসাকশন করা যায় না।
খরচ
মেদ অপসারণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে লাইপোসাকশনের খরচ নির্ধারিত হয়। এটি এক লাখ থেকে এক লাখ ষাট হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
কোথায়?
ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে লাইপোসাকশন করা হয়। এর মধ্যে এপোলো হাসপাতাল এবং কসমেটিক সার্জারি সেন্টার অন্যতম।
এপোলো হাসপাতাল:
প্লট ৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
ফোন- ০২-৮৪০১৬৬১
ফ্যাক্স: ০২-৮৪০১৬৭৯, ০২-৮৪০১১৬১, ০২-৮৪০১৬৯১
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েব সাইট: http://www.apollodhaka.com
কসমেটিক সার্জারি সেন্টার:
শঙ্কর প্লাজা, ৬ষ্ঠ তলা, ৭২, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯।
ফোন: ৮১৫৩৮০৮, মোবাইল ফোন: ০১৭১১০৪৩৪৩৫
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.cosmeticsurgerybd.com
সংগৃহীত।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন:
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
কালোপরী বলেছেন: এইসব মেদ কিনে আমার শরীরে যদি ঢুকান যাইত
কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩
আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: দুঃখ করবেননা। শরীর আরো খারাপ করবে।
পরিবর্তে
, ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
১১স্টার বলেছেন: নিয়মিত ব্যায়াম আর খদ্যাভ্যাসের বিকল্প কোন কিছু নাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২১
আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: ঠিক, সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
বোকামন বলেছেন: