![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের প্রথম পর্বঃ Click This Link
ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের দ্বিতীয় পর্বঃ Click This Link
ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের তৃতীয় পর্বঃhttps://www.somewhereinblog.net/blog/ARIFUZZAMAN1987/30300706
এখন দিচ্ছি ঘোস্ট ফায়ার উপন্যাস অনুবাদের চতুর্থ পর্বঃ
.
স্কোয়ারস মনসুরের কথায় সায় দিল। "এবং এই যুদ্ধটা তুমি এবং আমাদের সম্মানিত গভর্নর যা ভাবছ, তার চেয়ে কঠিন হতে যাচ্ছে। ফরাসিরা পুরো দুনিয়ার ওপরে চোখ ফেলেছে। আমেরিকা, ভারত, প্রাচ্যের অন্যান্য দেশ। ওরা চাইছে আমাদের সকল ব্যবসা-বানিজ্য নিজেদের কাছে নিয়ে যেতে। তোমার জায়গায় আমি থাকলে আমি আমার পরিবারের সব সদস্যদেরকে দুর্গের ভেতরে নিয়ে আসতাম।"
"কিন্তু তুমিই না বললে ওই দেয়াল আমাদের কোনো কাজেই আসবে না।" মনসুর প্রতিবাদ করল।
"ফরাসিরা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের বাসাতেই ধরে ফেলার চাইতে দুর্বল নিরাপত্তা-ব্যবস্থার দুর্গে থাকাটাই উত্তম।" স্কোয়ারস বলল। "আমাদের দিকে একটা ঝড় এগিয়ে আসছে। এই অবস্থায় আমাদের সবারই কোনও নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে সরে যাওয়া উচিত।"
***
"তুমি কি নিশ্চিত, এসব ঝামেলা করার কী আসলেই কোনো দরকার ছিল?" ভেরিটি জিজ্ঞেস করল। সে তখন দাঁড়িয়ে আছে ড্রয়িং রুমের মাঝখানে, তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে বেশ কিছু ব্যাগ আর ছোট ছোট পোঁটলা। ধুলোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আসবাবপত্রগুলোকে ডাস্ট-শীট দিয়ে আবৃত করে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে চাকর বাকরদের ছোটখাটো একটা বাহিনি তাড়াহুড়ো করে রুমের এপাশ থেকে ওপাশে ছোটাছুটি করছে। ট্রাংক, বাক্স... এগুলোতে মালপত্র ভর্তি করায় ব্যস্ত ওরা। ট্রাংক এবং বাক্সগুলো তখন এলোমেলোভাবে রুমের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। রুমটাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে যেন এই রুমের মাঝ দিয়ে একটা ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।
মনসুর ভেরিটির কপালে চুমু খেল। সে চেহারায় হাসি ধরে রেখেছে, ভেরিটিকে ওর মনের উদ্বেগ বুঝতে দিতে চাইছে না। "ভেরিটি, ওই জানালাগুলোর মাঝ দিয়ে তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?"
ভেরিটির ওদিকে তাকানোর দরকার নেই। সে ভালো করেই জানে জানালার ওই পাশে কী আছে। ছায়াঘেরা বারান্দাটার পরে, নদী পেরিয়ে একটা রাস্তা দেখা যাচ্ছে। সারি সারি গাছ অলংকৃত করেছে ওই রাস্তাটিকে। ওগুলো পেরিয়ে, পাউডার মিল এবং হাসপাতালের মাঝখানে দৃশ্যমান হয়ে আছে ওয়েস্টার্ন ডিফেন্সের টাওয়ার।
"যদি ফরাসিরা আসে, আমাদের বাড়িটা হবে ওয়েস্টার্ন ডিফেন্স লক্ষ্য করে কামান দাগানোর জন্য দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম।"
"যদি ফরাসিরা আসে..." ভেরিটি মনসুরের কথার পুনরাবৃত্তি করল। "আমরা এমনকি জানিও না যে ওরা আসলেই আসবে কিনা। আর এটা আমাদের বাসস্থান।"
"আমি এ-ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি না।" মনসুর ওর কণ্ঠস্বর নিচু করল। "আমি খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলাম, কারণ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি অকারণ গোয়ার্তুমি দেখিয়েছিলেন। আমি চাই না আমার ঔদ্ধত্যের কারনে আমার সন্তানেরা এতিম হয়ে যাক।"
মনসুরের বাবার নাম ছিল ডোরিয়ান। একটা অসাধারণ জীবন কাটিয়েছিলেন তিনি। আরব জলদস্যুদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন তিনি। ওমানের যুবরাজের কাছে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয় তাকে। পরে, ওমানের যুবরাজ তাকে মুক্ত করে দেন এবং নিজের পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। এভাবে, তিনি তার জীবনে প্রচুর এডভেঞ্চার করেন। তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। সবাই তাকে চিনত আল-সালিল নামে। কিন্তু তিনি একটা ভুল করেছিলেন। সাঙ্ঘাতিক একজন শত্রু তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। যুবরাজেরই আরেক পুত্র জায়ান আল-দ্বীনের সাথে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল তার। জায়ান পরবর্তীতে তার বাবাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে এবং সিংহাসন দখল করে নেয়। পরে, সে একজন লোককে পাঠায় ডোরিয়ানের স্ত্রী, ইয়াসমিনকে হত্যা করার জন্য।
মনসুর ওর অক্ষিকোটর স্পর্শ করল। মনসুরের করা এই অঙ্গভঙ্গিটি ভেরিটি এর আগেও বহুবার দেখেছে। মনসুরের দেহে যখন প্রচণ্ড ক্লান্তি ভর করে, তখন এতে এখনও ভীষণ ব্যথা অনুভূত হয়।
মনসুর ওর মায়ের খুনিকে খুঁজে পেয়েছিল। আফ্রিকার একটি অন্যতম বৃহৎ আকারের নদীতে জোর লড়াই হয়েছিল ওই খুনি আর মনসুরের সাথে। ওই লোকটা আরেকটু হলে মনসুরের অক্ষিকোটর থেকে ওর চোখটা বের করে নিচ্ছিল, কিন্তু শেষে গিয়ে মনসুর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই লোকটার পেট কেটে ওর নাড়িভুঁড়ি সব বের করে ফেলে। পরে ওর সামনেই এক পাল হাঙ্গর লোকটার মৃতদেহকে গোগ্রাসে সাবাড় করে।
মনসুরের চোখ গেল ম্যান্টলপিসের ওপরে। ওখানে রাখা ছিল একটা বাঁকানো ড্যাগার। মনসুর ওই ড্যাগারটা তুলে নিল। এই ড্যাগারটির সাথে বাবার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সত্যি বলতে কী, এই ড্যাগারটা ছিল ওর বাবারই। এবং এর খাপটা তৈরি করা হয়েছে আইভরি দিয়ে। স্বর্ন এবং বিভিন্ন রত্ন-পাথর দিয়ে অলংকৃত করা হয়েছে এটিকে।
"আমি বলতে গেলে বিনা কারণে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমি সব ছেড়েছুঁড়ে মাদ্রাজে চলে এসেছিলাম, কারণ যুদ্ধ আর লড়াইয়ের ওপর থেকে আমার মন উঠে গিয়েছিল। আমি চাই না আমার সন্তানেরা তাদের বাবাকে ছাড়াই বেড়ে উঠুক।"
ভেরিটির চেহারা তখন বিষণ্ণ। "দেখো, আমরা এমন এক দুনিয়ায় বসবাস করি, যেখানে এমনটা ঘটার সম্ভাবনাকে তুমি পুরোপুরি বাদ দিতে পারবে না। তা ফরাসিরা আসুক বা না আসুক। হিসেব করে দেখো তো, গত গ্রীষ্মে লন্ডন থেকে আগত কয়জন ব্রিটিশ কেরানি আর রাজ-কর্মচারী এই বছরও বেঁচে আছে? অর্ধেক, সম্ভবত? আমাদেরকে অবশ্যই প্রকৃত অবস্থাটা বুঝতে হবে। আমরা সারাজীবন ধরে ওদেরকে সুরক্ষা দিয়ে যেতে পারব না।"
"কিন্তু ওদের বয়স এখনও এত কম," মনসুর প্রতিবাদ করল। "আমরা না থাকলে কে ওদেরকে দেখাশোনা করবে?"
ওদের চোখ পরস্পরের সাথে মিলিত হল। এবং ভেরিটি কিছু বলার আগেই মনসুর বুঝে ফেলল সে কী বলতে যাচ্ছে।
"জিম এবং লুইসা তো সবসময় আমাদের হাতের কাছেই আছে।"
জিম হচ্ছে মনসুরের কাজিন। ওরা কেপটাউন শহরে বড় হয়েছে। ওদের সম্পর্ক বলতে গেলে সহোদর ভাইয়ের মতোই ছিল।
এরপরে জিম একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। মেয়েটা আদালতের দেয়া শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আর এরপর ওদের পুরো পরিবারকেই পালিয়ে যেতে হয়। শেষে গিয়ে, ওরা নিজেদের বসতি স্থাপন করে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত মানচিত্রে অপ্রদর্শিত একটি উপসাগরের উপকূলীয় এলাকায়। এবং একটি দুর্গ নির্মাণ করে যার নাম দেয় ফোর্ট অসপিস। দুর্গের এই নামকরণ করার কারণ হচ্ছে, জিমের ছিল প্রচুর শত্রু। ওই দুর্গটির অবস্থান তাই যতটা সম্ভব গোপন রাখা হয়। তবে, জিমের অল্প কয়েকজন বিশ্বস্ত বন্ধু এর অবস্থান জানে।
মনসুর যে শেষবার ওই দুর্গে গেছে তারও প্রায় দশ বছর পার হয়ে গেছে।
“তোমার উচিত জিমের সাথে এবার মিলমিশ করে নেয়া,” ভেরিটি জোর দিয়ে বলল। “ক্ষমা করে দেয়ার এখনই সময়। নাহলে জিম এবং লুইসা কিন্তু থিও আর কন্সট্যান্সকে চিনতে পারবে না। এবং ওদের পিচ্চি জর্জি নিশ্চয় এতদিনে বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী কিশোরে পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত ওরা তোমাকে মিস করে।”
মনসুর ওর ড্যাগারে বসানো একটি রত্নপাথরের দিকে তাকাল, ওর মন তখন চলে গেছে দূর অতীতে। "আমি ওই হস্তী-সিংহাসনকে অভিশাপ দিই। ওটার কারণেই বাবাকে হারাতে হয়েছে আমাকে।" সে অস্ফুট স্বরে বলল।
মনসুরের বাবা ডোরিয়ান। অসাধারণ একটা জীবন কাটিয়েছিলেন তিনি। জীবনের একটা পর্যায়ে ওমানের মাসকাটের হস্তী-সিংহাসনের উত্তরাধিকার-ও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এটা তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়।
"আমার বাবার একেবারেই উচিত হয়নি ওই মুকুট পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা," মনসুর বলল। "এটা ছিল তার ফালতু অহমিকা।"
"তুমি জানো, এটা মোটেও তেমন কিছু ছিল না।" ভেরিটি ওকে তিরস্কার করল। "তোমার বাবা তার নিজের অহংকে তৃপ্ত করার জন্য ওই হস্তী-সিংহাসন চাননি। তিনি ওমানে ফিরে গিয়েছিলেন, কারণ ওমানের জনগণকে সেবাদান করার জন্য তিনি নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা অনুভব করছিলেন। একজন সৎ ও যোগ্য রাজার জন্য ওখানকার মানুষেরা তখন অশ্রু বিসর্জন করছিল।"
মনসুর ওর ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ধোঁয়ার একটা মেঘ বাইরের বাতাসে ছুঁড়ে দিল। "তারপরেও... তার উচিত হয়নি ওখানে যাওয়া।"
এটা ছিল দারুণ বিপর্যয়কর একটা সিদ্ধান্ত। যুদ্ধের কিছুদিন আগে, ডোরিয়ানের শরীরের একটা জায়গা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এবং পরে ওই আঘাত পাওয়া জায়গাটিতে পচন ধরে। কিন্তু তিনি তার এই ক্ষতস্থানটির কথা কাউকে বলেননি। এমনকি ভেরিটি এবং মনসুরের কাছেও গোপন রেখেছিলেন এটা। তিনি চাননি মরুভুমির কঠিন পরিবেশে বেড়ে ওঠা শেখদের সামনে নিজেকে দুর্বলভাবে উপস্থাপন করার ঝুঁকি নিতে। ওই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য শেখদের সাহায্য ভীষণভাবে দরকার ছিল তার। একসময় তারা যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ তখন চরমে, ওই পরিস্থিতিতে ডোরিয়ান তার ঘোড়া থেকে পড়ে যান। উনার দেহ তখন এতটাই দুর্বল, যে উনি আবারও ঘোড়ায় চড়তে পারেননি। তার শত্রুরা তাকে টানতে টানতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে হত্যা করে। জীবন বাঁচানোর জন্য মনসুর এবং ভেরিটিকে এরপর পালিয়ে যেতে হয়।
"টম আর জিম যদি আসত, তাহলে অবস্থাটা অন্যরকম হত।" ডোরিয়ান আর মনসুর যখন মাসকাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে, পরিবারের অন্যরা তখনও আফ্রিকাতেই রয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে, জিম এবং মনসুরের মাঝে তীব্র ঝগড়া হয়। যুদ্ধের সময় সাহায্য না করায় মনসুর জিমকে দোষারোপ করতে থাকে, অন্যদিকে জিম ডোরিয়ানকে দোষারোপ করে, কারণ তিনি অসুস্থতা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই যুদ্ধের ময়দানে চলে গিয়েছিলেন। সেদিনের সেই ঝগড়ার পরে মনসুর এবং জিমের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়। মনসুর পরে ভেরিটিকে নিয়ে ভারতে চলে আসে। ভারতে চলে এলেও মনসুরের কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যবসার ব্যাপারে কোর্টনিদের বুদ্ধি একদম সহজাত। এবং এই সহজাত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে মনসুর বঙ্গোপসাগর, পূর্ব ভারতের পুরোটা এবং চীন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি পরিপাটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এই ব্যবসায় সে ধীরে ধীরে উন্নতিও করে। কিন্তু আফ্রিকায় থাকা ওর পরিবারের সাথে যেই ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা মেরামত করার আর কোনও চেষ্টা সে করেনি।
মনসুর দীর্ঘ সময় ধরে চুপ করে রইল। এই প্রসঙ্গ নিয়ে ওরা এর আগেও বহুবার তর্ক করেছে। এবং মনসুর কখনই হার স্বীকার করেনি। কিন্তু এখন যেই আবেগগুলোকে সে বহু বছর ধরে চাপা দিয়ে রেখেছিল সেগুলো মনের মাঝে ঘূর্ণিত হতে শুরু করল। এখন পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক, বিপদ এড়ানোর জন্য পরিবারকে নিয়ে অন্য জায়গায় পালিয়ে যেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সেসব অনুভূতিগুলো আবারও ফিরে আসছে যেগুলো শান্তিকালীন সময়ে নিশ্চুপ হয়ে থাকে। পরিবারের চেয়ে গুরুত্বপুর্ণ আর কী আছে?
ভেরিটির পাশেই রাখা আছে হার্পশিকর্ড নামক একটি বাদ্যযন্ত্র। তার পাশের টেবিলে ড্যাগারটা রেখে দিল মনসুর। এই রকমের একটা হার্পশিকর্ড রাখা আছে অন্য আরেকটা বাড়িতে। এবং বহু বছর আগে আরেকটা লড়াই হয়েছিল, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্যরা তাড়া করেছিল ওদেরকে। এটা সেই সময়ের কথা, যখন সে আর জিম ছিল পরস্পরের প্রাণের বন্ধু।
"প্রিয়তম, সবসময়কার মতো, তোমার কথাই ঠিক। এই ঋতুটা চলে যাক। এরপরে বর্ষা মৌসুমের বাতাস যখন দিক পালটে আমাদের অনুকূলে বইতে শুরু করবে, আমি আফ্রিকার উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করব। জিমকে সাথে নিয়ে আবারও মাছ ধরতে বের হতে পারলে আমার কাছে ভালোই লাগবে। এবং থিও আর কন্সট্যান্স একজন অচেনা কাজিনকে খুঁজে পেয়ে অবাক হয়ে যাবে, যার ব্যাপারে ওদের কোনও স্মৃতিই নেই।"
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৪
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো