নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরিফুজ্জামান১৯৮৭

আরিফুজ্জামান১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি এত চাকরি চাকরি করে কেন? earn your living বলতে পারে না?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

পোস্টের শিরোনামঃ বাঙালি এত চাকরি চাকরি করে কেন? earn your living বলতে পারে না?
.
.
বাঙ্গালিরা কথায় কথায় বলে, 'চাকরি করো, চাকরি করো।"
আর, আমেরিকানেরা বলে, "earn your living." (বাংলা অর্থঃ বেঁচে থাকার যেই খরচ, সেটা উপার্জন করো।)
.
এই দুইটা কথার মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে।
বাঙ্গালিরা বলে, "চাকরি করার মাধ্যমে বেঁচে থাকার খরচটা রোজগার কর।"
এতে করে ব্যাপারটা অনেক ছোট করে ফেলা হল। চাকরি করার মাধ্যমেই বেঁচে থাকার খরচ উঠিয়ে আনতে হবে কেন? বেঁচে থাকার খরচ উঠিয়ে আনার তো আরও অনেক অনেক way আছে। ইচ্ছা করলেই সি-এন-জি, রিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাস চালানো যায়, লেখালেখি-অনুবাদ করা যায়, হরেক রকমের ব্যবসা আছে (সেগুলো করা যায়), নাপিত হওয়া যায়, উদ্যোক্তা হওয়া যায়, ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, দিন মজুরি করা যায়, অনেক কিছুই করা যায়।
.

তো বুঝতেই পারছেন, earn your living কথাটা কিন্তু অনেক ব্যাপক। বাঙালি earn your living বলতে শুধু চাকরিই বুঝে। বাঙালির মাথার মধ্যে যে কেমনে কইরা ঢুকছে, বাইচ্চা থাকতে হইলে চাকরিই করতে হইব, অন্য কিছু করা যাইব না। এটা না আমার মাথায় এখনও আসতেছে না। আপনারা কেউ কি জানেন, বাঙালি কেন চাকরি করার জন্য এত আগ্রহী?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

বিজন রয় বলেছেন: বাঙালি একটি অলস জাতি, বসে বসে খেতে চায়, তাই বাঙালি এত চাকরি চাকরি করে।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: চাকরি করলে কি বসে বসে খাওয়া যায়? চাকরিতে যেই পরিমাণ পরিশ্রম করা লাগে, মানে চাকরিতে যেই শ্রম দেয়া লাগে, সেটা তো সে অন্য সেক্টরেও দিতে পারতো। পারতো না? অন্য সেক্টরে দিলে তো আরও ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়। আসলে, বাঙালি এমন একটা ভীরু জাতি যে, অনিশ্চিত পরিস্থিতি নিতেই পারে না। "কোনো রকম রিস্কের মধ্যে যামু না। মাস শেষে নিশ্চিত একটা এমাউন্ট পামু। একটা চাকরি মানে সারা জীবনের জন্য নিশ্চিত জীবন।" এই হচ্ছে গিয়ে বাঙালির মানসিকতা। মেইন সমস্যা হচ্ছে এটাই। বাঙালি মোটেও অলস না। বাঙালি হচ্ছে গিয়ে "ভীরু" জাতি। বিরুদ্ধ পরিবেশের সাথে লড়াই করার মতন সাহস নাই। অন্যের কথা কী বলব, আমি নিজেও তো এরকম।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকে সভ্যতায়, যেকোন দেশের বেশীরভাগ মানুষ কি করে, চাকুরী করে, নাকি ব্যবসা করে? এবার মাথায় ঢুকবে? আসলে, আপনার মতো লোকের জন্য সব সময় টিউটর দরকার।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকারি চাকরী ফেলে আরো ভালো চুরি করে ফাঁকি দিয়ে দুইদিনে বিদেশ নিজেকে পাচার।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: earn your living এবং চাকরি করে মানুষ টাকাই পায়। শেষ মেশ দুটা একই কথা হলো।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পতাকার স্বাধীনতা পেয়েছি বটে, মানসিকতার স্বাধীনতা এখনো দূরঅস্ত!

বৃটিশের গোলামী করাদের রক্ত, প্লাস দাসানুদাসদের নতজানুতা সাথে আছে জমিদার তন্ত্রের বিষ, রাজা-প্রজা কলোনিয়াল অনুভবের আমলাতন্ত্র; সামাজিক স্ট্রাকচারের গতানুগতিক সো কলড স্ট্যটাস ভাইরাস! সব মিলিয়ে নূন্যতম জাতে উঠতেই চাকর হতে চায়!

চাকর শব্দটাই যে দারুন অপমানকর! তা ভাবে না।
যে জন্য অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা সচেতন প্রতিষ্ঠান দেখেছি শব্দগত পরিবর্তণ আনছে, চেষ্টা করছে। কর্মী বা সহকারী সহযোগী শব্দ প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।
কোরিয়ান কোম্পানীতে দেখেছি - কাজের সময় কাজ, কাজ শেষে সবাই ফ্রেন্ডলি ড্রিংকস, পার্টি সবই চলছে। একদিন লাইটার খুঁজছি তখন নতুন ছিলাম বলে স্বভাব জাত বাঙালী জড়তায় ইতস্তত: । আমার দুই স্টেপ আপার কোরিয়ান বস- পাশে এসে লাইটার জ্বালীয়ে দিলেন! আর আমাদের লোকাল অফিসে - এখনো লুকিয়ে লুকিয়ে সিগ্রেট খেতে হয়!

মানসিকতা না বদলালে, সামাজিক গ্রহণ বর্জনের মাত্রা না বদলালে, এবং কাজের টাইমিং এবং ধরন না বদলালে ( ওয়ার্ক আওয়ার বেইজ কাজ, উইকলি পেমেন্ট সিস্টেম) সেই গতানুতগিক চাকর হবার প্রতিযোগীতাই বাড়তে থাকবে।
অবশ্য নতুন প্রজন্ম ফ্রি ল্যান্সিংএ যারা টিকে যাচ্ছে- থোরাই কেয়ার করছে গতানুগতিকতার।
এর পরিধি বাড়াতে হবে।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে আবার কিছুই হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.