![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ূন আহমেদের বাবার কথা বলি।
হুমায়ূন আহমেদের বাবা চাইতেন তার ছেলেরা যেন লেখক হয়।
এই জন্য তিনি তাদের প্রত্যেককে ছোটবেলা থেকেই এমনভাবে বড় করেছেন, যেন তারা ভবিষ্যতে লেখকই হয়।
আমি হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বইতে পড়েছি, হুমায়ূন আহমেদের বাবা তার ছেলে মেয়েদেরকে দিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু লেখাতেন। লিখতে উৎসাহ দিতেন। পড়তে উৎসাহ দিতেন। কবিতা মুখস্থ করতে দিতেন।
এবং হুমায়ূন আহমেদের বাবা নিজেও মোটামুটি ভালো মানের লেখক ছিলেন। তিনি নিজের লাইফে প্রচুর পরিমাণে লিখেছেন।
.
এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ যেই পরিবেশে বড় হয়েছেন, সেটাও একটা ফ্যাক্ট। আমি শুনেছি হুমায়ূন আহমেদ এর বাবার নাকি বদলি চাকরি ছিল। তাদের পরিবার এক বছর এই জায়গায় তো আরেক বছর আরেক জায়গায় গিয়ে থাকতো। তো, বুঝতেই পারছেন, হুমায়ূন আহমেদ তার জীবনে প্রচুর ঘোরাঘুরি করেছেন। (এই ঘোরাঘুরি করাটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-ও পুরো ভারতবর্ষ ঘুরেছেন। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে ছিলেন। বিদেশের অনেক জায়গাতে ঘুরেছেন।)
.
যাহোক, হুমায়ূন আহমেদের বাবার কথা বলেছি। এবার আমার বাবার কথা বলি। আমার বাবা এসব লেখালেখি করা, আউট বই পড়া একেবারেই পছন্দ করতেন না। তিনি ছোটবেলা থেকেই আমার কানের কাছে এসে ঘ্যানর-ঘ্যানর করাতেন বা, বিভিন্ন থার্ড পারসনকে দিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করাতেন যে, আমাকে বিসিএস ক্যাডার হতে হবে। বা, কোনো একটা চাকরি-বাকরি করতে হবে।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিসিএস ক্যাডারদের চাকরি লেখালিখির জন্য সবচেয়ে অনুকুল। কারণ এই চাকরী হারানোর শম্ভবনা কম। চাকরী ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কম। অবসর সময় বেশী। সারা বাংলাদেশ ঘোরার সুযোগ থাকে। অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল থাকা যায়। হুমায়ুন আহমেদের বাবা পুলিশের মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তাই বিভিন্ন জেলায় উনি পরিবারসহ ঘুরেছেন। লেখালিখিকে পেশা হিসেবে নেয়া বাংলাদেশে খুব কষ্টকর ব্যাপার। বরং আর্থিক সচ্ছলতা দেয় এরকম চাকরী বা পেশা বেছে নিয়ে লেখালিখি শুরু করা দরকার। পেশা হউক অন্য কিছু আর নেশা লেখালিখি।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাবা ঘ্যানর ঘ্যানর করতেন, শুনতে খুব খারাপ লাগছে।
আসলে বাবারা চান সন্তানের লক্ষ্যস্থল যেন হয় তালগাছের মাথাটা।সেখানে পৌঁছাতে হয়তো সবাই পারে না কিন্তু তার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলেও সেটাই বাবামায়ের উত্তম চাওয়া।
শুভকামনা জানবেন।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি যাও লেখার কথা চিন্তা করছিলাম, বিয়ের পর দেখি এতো সম্ভবই না। হুতে বসে বই পড়া দেখতেও আমার স্ত্রীর পছন্দ না, কম্পিউটার মোবাইল তো দুরের কথা! যদিও আমি এর বেড়াজাল কিছুটা ভেঙ্গেছি তবুও এ কিছুই নয়! লেখার জন্য পরিবেশ দরকার, লেখার জন্য আশে পাশে থাকা মানুষের হেল্প দরকার, উৎসাহ পরে, আগে তো তাকে বসে থাকতে দিতে হবে!
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার এই থিয়োরি এক নজরুলের কাছেই তো মার খেয়ে যাচ্ছে, তারপর আরও অস্ংখ্য কবি লেখক পাবেন, যারা সোনার চামচ মুখে নেয়া তো দুরেই থাক, চোখেও দেখতে পায়নি। তবুও লেখক হয়েছেন।
৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১
আরিফুজ্জামান১৯৮৭ বলেছেন: @পদ্ম পুকুরঃ বড় বড় লেখকদের প্রায় সবারই ফ্যামিলি এনভায়রনমেন্ট ছিল। ফ্যামিলি এনভায়রনমেন্ট যদি প্রতিকূল হয়, তাহলে এসব কাজ করা খুবই সমস্যা। সত্যিজিত রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল, জীবনানন্দ দাশ ( তার মাও খুব বিখ্যাত কবি ছিলেন), এদের উদাহরণ দেখুন।
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩
মুজিব রহমান বলেছেন: হূমায়ূন আহমেদের বাবা ভাল মানের লেখক ছিলেন কিভাবে বলেন?
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, পরিবেশটা লেখালেখির জন্য বিরাট একটা ফ্যাক্ট ।
১০| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
শায়মা বলেছেন: ফ্যামিলীর উৎসাহ অনেক বড় সে যে কোনো কাজেই। লেখক বা শিল্পী বা বি সি এস ক্যাডারা সবখানেই ফ্যামিলীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্ উৎসাহ বা অবদান থাকেই।
১১| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সৃজনশীলতা ও পেশায়।
১২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবেশের অভাবেই আমি ভালো লেখক হতে পারলাম না। আমি আরাম করে লিখতে পারি না। পড়তে পারি না।
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Right
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
এম এ হানিফ বলেছেন: সাবেক মেয়র আনিসুল হকের একটা কথা মনে পড়লো, সমুদ্র দেখতে সমুদ্র্রের কাছে যেতে হয়।
লেখক হতে হলেও চাই ঠিক তেমন পরিবেশ।