নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:১৪

ভিক্ষাবৃত্তি ইসলামী শাস্ত্রমতে একটি স্বীকৃত পেশা । ভিক্ষা দেয়া মানবিক ও সওয়াবের কাজ । যাকাত ব্যবস্থা সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে । যাকাত নিঃসন্দেহে একটি ভাল সিস্টেম । তবে প্রতি বছর রমজান এলে কিছু অতিরিক্ত ভিক্ষুকের আবির্ভাব ঘটে । যারা যাকাত ফিতরার লোভে ভিক্ষুক সাজে । বছরের অন্যান্য সময় তাদের আর দেখা যায় না । অর্থাৎ মৌসুমি ভিক্ষুক । এসব মৌসুমি ভিক্ষুক কেবল দেশে সীমাবদ্ধ থাকে না তারা দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে।

আরব আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি ও কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা উঠানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । একসময় মধ্যপ্রাচ্যের আরবরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভিক্ষা করত । পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে আরবদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা যেত । আরব আমিরাতে বাংলাদেশীরা মাঝেমধ্যে খুন খারাবীর মত বড় অপরাধে জড়িয়ে গেলেও তাদের ভিক্ষা করতে দেখা যায় না । পাকিস্তান, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার নারীরা এখানে ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত । পুরুষ ভিক্ষুকের চেয়ে নারী ভিক্ষুকের সংখ্যাধিক্য চোখে পড়ে বেশী ।

গত বছর রমজানের প্রথম দিন দুবাই পুলিশ ভিক্ষা করার সময় তিনজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল । তারা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দুবাইতে এসেছিল । তাদের প্রত্যেকের বয়স ছিল ত্রিশ বছরের নিচে । তারা দুবাই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, মুসলমান ছাত্রদের কোরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য তারা এই অর্থ সংগ্রহ করছিল । আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০০০ দিরহাম জরিমানা ও দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছিল ।

গত বৃহস্পতিবার দুবাই পুলিশ ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে একটি কর্মশালা উদ্বোধন করেছে । যেটার নাম ‘ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ । এটি একটি সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম । ইদুল ফিতর পর্যন্ত এটি চলবে । ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ করে ভিক্ষুকদের একটি সুন্দর জীবনযাপনের দিকে পুনর্বাসন করা এই কর্মশালার লক্ষ্য । পুলিশের পক্ষ থেকে একটি টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে জনসাধারণের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যাতে ঐ নম্বরে রিপোর্ট করে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দুবাইর কথা যখন লিখেছেন তখন ধরে নিতে পারি যে,আপনি দুবাইতেই আছেন। তাই আমার দ্বিমতের কথা জানাচ্ছি। শিরোনামের পর কিন্তু আপনিই জানিয়েছেন যে,আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা উঠানো সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। দুইরকম মত হয়ে গেল না কি??
ভিক্ষাবৃত্তি ইসলামী শাস্ত্রমতে একটি স্বীকৃত পেশা । না- ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি হারাম। আমি অন্য আরব দেশের কথা বলছি না কিন্তু কুয়েতে এটা নিষিদ্ধ কাজের মধ্যে পড়ে। পুরুষ বা মহিলা যেই হোক না কেন ভিক্ষাবৃত্তির সময় ধরা পড়লে পুলিশ কালক্ষেপন না করে তাদের স্ব স্ব দেশে পাঠিয়ে দেয়।
আর আমাদের রসুলের(সাঃ)এর ঐগল্পটি পড়েন নি যে,একটি লোক অভাবে পড়ে উনার কাছে গেলে তিনি কিভাবে এর সমাধানের পথ দেখিয়েছিলেন?
যাকাত দেওয়ার রূপটা কিন্তু ভিক্ষার আকারে নয়। এটা বুঝতে হবে।।
দয়া করে সমালোচনাটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।।

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:০৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: সচেতনহ্যাপী আপনার সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ । আপনি ঠিকই ধরেছেন আমি দুবাইতে আছি । শিরোনামের বক্তব্যটি আমার নয় । এটি দুবাই পুলিশের কর্মশালার নাম । কোন জায়গায় আমার দুই রকমের মত আমি ঠিক বুঝলাম না। যাকাত সম্পর্কে ধর্মে যা আছে আমি হয়ত সবটুকু নাও জানতে পারি । তবে এতটুকু জানি যাকাত প্রদান করতে হয় ফকির মিসকিনকে । ভিক্ষুক ফকির মিসকিনের একটি প্রতি শব্দ । হে যাকাত ভিক্ষা নয় আপনার ঐ বক্তব্যের সাথে আমি একমত। যাকাত একটি কর্তব্য । তবে মৌসুমি ভিক্ষুক একটি বাস্তবতা । বিষয়টা আপনার নজরেও পড়ে থাকবে হয়ত । আর ইসলামে ফকির মিসকিনকে দান খয়রাত কিংবা অন্ন দান করা সওয়াবের কাজ বলেই জানি। নবীজির গল্পটা আমার জানা আছে । নবীর শিক্ষা করোনা ভিক্ষা মেহেনত করো সবে ।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০৩

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: যাকাত সম্বন্ধে না জেনেই কটাক্ষ করলেন। ঠিকনা।

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২৮

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: কামরুল ইসলাম রুবেল আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি । আপনার যদি মনে হয় আমি কটাক্ষ করেছি, তাহলে আমি দুঃখিত। যাকাত অবশ্যই একটি ভাল ব্যবস্থা । বাস্তবতার দিকে দৃষ্টিপাত করতে গিয়ে হয়ত আমার বক্তব্য কঠোর শুনিয়েছে । আমি মনে করি বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করতে যাকাতই যথেষ্ট । কোন এনজিও এর প্রয়োজন নেই । তবে এর জন্য বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে ।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭

পংবাড়ী বলেছেন: "
যাকাত দেওয়ার রূপটা কিন্তু ভিক্ষার আকারে নয়। এটা বুঝতে হবে। "

ইসলাম ধর্মের শুরুতে নবী থেকে সবাই দরিদ্র ছিলেন; তাই যাকাত নেয়া দেয়ার নিয়ম চালু ছিল; এখন যাকাত হলো দরিদ্রকে পরিহাস করার ধর্মীয় পদ্ধতি।

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: আপনার বক্তব্য একদম ফেলে দেয়ার মত নয়, যখন দেখা যায় যাকাত নিতে গিয়ে পদপৃষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু হয় । আপনাকে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.