নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈদিক থেকে মধ্যযুগঃ দৃষ্টিপাত শিক্ষা ও মহাকাশ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

(১ম পর্ব)

প্রাচীন এথেন্সে সক্রেটিস গুরু শিশ্য পদ্ধতির মাধ্যমে যে ব্যক্তিগত শিক্ষা পদ্ধতি চালু করেছিলেন, এরই হাজার বছর পূর্বে বৈদিক যুগে এই পদ্ধতির বিকাশ ঘটেছিল । চিত্রকলা ও লিখন উপকরণ সামগ্রি প্রচলনের প্রারম্ভিক সময়ে আর্য ঋষিগণ উদ্ভব করেছিলেন গুরুর মাধ্যমে শিক্ষা দান পদ্ধতি । এটির উদ্দেশ্য ছিল গুরু ও শিশ্যের মধ্যে একটি আদর্শ সম্পর্ক সৃষ্টি এবং পরিমিত পারিবারিক বোধের মাধ্যমে শিশ্যদের নতুন জীবন দান ।
প্রাচীন ভারতবর্ষে শিক্ষার সব দিকগুলো খুব দ্রুত উল্লেখযোগ্য ভাবে এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল । এটা প্রকাশিত হয়েছিল একটি আলোকিত করন প্রতিষ্ঠান স্বরূপ, যা মানুষকে দিয়েছিল জীবনের সঠিক দিক নির্দেশনা । মহাভারত বর্ণনা করে, ‘ ঐ প্রকার শিক্ষার কোন গুরুত্ব নেই, যা ব্যক্তির অব্যর্থ অন্তর্দৃষ্টি এবং উন্নত চরিত্র ও আচরণের নিশ্চয়তা বিধান করে না ’ ।
কিছু কিছু উপনিষদও খুব দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছে, শিক্ষার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ স্বতন্ত্র উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের সেবা করা । চাঁদোগ্যা (Chandogya) উপনিষদ শিক্ষার সামাজিক নিয়ম শৃংখলার উপর জোর দিয়ে বলেছে, ‘ অসীমত্ব হচ্ছে দিব্যানন্দ এবং সামাজিক কর্তব্য পালনের মাধ্যমে শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি দিব্যানন্দ লাভ করে’।
সমাজের শিক্ষা সম্বন্ধীয় দায়দায়িত্ব হচ্ছে, জ্ঞান দান করা এবং অন্যান্য গুণাবলীকে শিক্ষার মাধ্যমে জাগ্রত করা । একজন ব্যক্তির প্রাথমিক কর্তব্য হচ্ছে শিক্ষা সমাপ্ত করা এবং শিক্ষা পদ্ধতির বহুল বিস্তার ঘটানো, সর্বোপরি শিক্ষিত সমাজে অপ্রতিরুদ্ধ ভাবে অবস্থান করা । (prajatantum ma vyacchetsih) (পরাজাতানতুম মা বিচ্ছেৎসই) । এই পদ্ধতি ছিল জ্ঞান অর্জনের শুরু ও শেষ প্রয়াস এবং একজন আদর্শ গুরু অবশ্যই সবসময় সতর্কভাবে নিয়োজিত থাকত জ্ঞানের অগ্র সৈনিক হিসেবে ।
শিক্ষার গুরুকুল পদ্ধতিটি দাঁড়িয়েছিল সরাসরি ছাত্র-শিক্ষক ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর এবং এটি ব্যক্তিগত শিক্ষক পদ্ধতির উপর দারুণ ভাবে ঋণী ছিল । শিক্ষকদের অবিরত উপস্থিতি, তাদের বাস্তব জীবনযাপন পদ্ধতি এবং ছাত্রদের প্রতি অনুজ্ঞা ও আদেশাত্মক আচরণ, ছাত্রদের উন্নত চরিত্র ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলার জন্য সহায়ক ছিল ।
প্রাচীন তপোবন ধারনাকে উপেক্ষা করে গুরুকুল বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল শহরের মূল বসতি থেকে দূরে নিভৃতে । বেনারসের শহরতলিতেও এ ধরনের পৃথক গুরুকুল গড়ে উঠেছিল । বৈদিক গুরুকুল পদ্ধতি ছিল সংস্কৃত শিক্ষার উপযুক্ত মাধ্যম । মধ্যযুগেও এটি তার গোরবোজ্জ্বল ধারা অব্যাহত রেখেছিল । এর অনুকূলে কারণ ছিল স্থানীয় প্রশাসক ও ভূস্বামীদের বিপুল বদান্যতায় ভুমির অধিকার লাভ । এ ধরনের বিদ্যালয় গুলোর কাজ ছিল সাধারণত ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রের তালিকা করন । শিক্ষা দানের ঘর ছিল কাদায় নির্মিত কুঠির, যার চাল তৃণ পত্রের দ্বারা ছাওয়া হত । সেখানে ব্যাকরণ, সাহিত্য (কবিতা), দর্শন এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র শিক্ষা দেয়া হত ।
১২০৬ খৃঃ বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন নদীয়ার শাসনকর্তা । এখানে স্থাপিত নদীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম মধ্যযুগে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল । এখানে তর্কশাস্ত্র, স্মৃতি, জ্যোতির্বিদ্যা, ব্যাকরন, কাব্য ও তন্ত্র বিষয়ে মৌলিক শিক্ষা প্রদান করা হত ।
প্রাচীন ভারতবর্ষে নালন্দা ছিল একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় । ৪০০ (খৃঃ পূঃ) অব্দে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় । এখানে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৭৫০০ জন । শিক্ষক ছিলেন ১৫০০ জন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিলেন ১২০০০ জন । এখানে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে আবাসিক সুবিধা, খাবার, পোশাক ও শিক্ষা প্রদান করা হত । প্রতি ৫ জন ছাত্রের জন্য ১ জন শিক্ষক এই পদ্ধতি প্রচলিত ছিল, যা আধুনিক যুগে কল্পনাও করা যায় না।
তক্ষশীলা স্থাপিত হয়েছিল ৭০০ (খৃঃ পূঃ) অব্দে । এটি ছিল পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় । এখানে ছাত্র সংখ্যা ছিল ১০,৫০০ জন । ৬০টিরও অধিক বিষয়ের উপর শিক্ষা প্রদান করা হত । অধ্যয়নের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্ররা এখানে আগমন করত ।
প্রাচীন ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে সব বিশ্ববিদ্যালয় বহুল পরিচিতি পেয়েছিল তার তালিকাটি ছিল এরকম-
১ . নালন্দা ২ . তক্ষশীলা ৩ . বিক্রমশীলা
৪ . জগদলা ৫ . উদ্দন্ডপুর ৬ . ভালাভি
৭ . মিথিলা ৮ . উজ্জয়িনি ৯ . নদীয়া
১০. অমরাবতী ১১. কাঞ্চি ১২. মাধুরা

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় ও শাখায় জ্ঞান বিতরণ করা হত । এ গুলোর মধ্যে নালন্দা-দর্শন, তক্ষশীলা-আয়ুর্বেদ, নদীয়া-তর্কশাস্ত্র, অমরাবতী-গন্ধর্ব আয়ুর্বেদ (রসায়ন শাস্ত্র), শিল্পকলা, উজ্জয়িনি-জ্যোতির্বিদ্যা, মাধুরা-ইতিহাস এবং কাঞ্চি-বেদান্ত বিষয়ের জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল । নালন্দা ও তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি ছিল পৃথিবী ব্যাপী । জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন , তিব্বত প্রভৃতি দেশের শিক্ষার্থীরা নালন্দায় অধ্যয়ন করত । তক্ষশীলার আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর রোম ও চীনের ছাত্রদের আকর্ষণ ছিল অত্যন্ত প্রবল ।
বিজ্ঞানের অধিকতর প্রাচীন শাখা হচ্ছে জ্যোতিঃশাস্ত্র। বৈদিকযুগ ও তারও আগে ভারতবর্ষে জ্যোতিঃশাস্ত্রের ব্যাপক চর্চা হয়েছে । বেদের বিভিন্ন উপনিষদে বর্ণিত মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আমাদের বিস্ময়ের উদ্রেক করে। ‘ঐশ্বরিক গুপ্ততথ্য ফাঁসের সবচেয়ে সঠিক পুস্তক’; উপনিষদ পাঠ করে মুঘল সম্রাট শাহাজাহানের জ্যেষ্ঠপুত্র দারাশিকোর মন্তব্য ছিল এরকম।
বেদ পাঠ করে আমেরিকার চিন্তাবিদ থরেউ (Thoreau) এর উপলব্ধি- ‘Whenever I have read any part of the Vedas, I have felt that some unearthly and unknown light illuminated me. In the great teaching of the Vedas, there is no touch of sectarianism. It is of all ages, climbs and nationalities and is the royal road for the attainment of the Great Knowledge. When I read it, I feel that I am under the spangled heavens of a summer night’.

গ্রহ নক্ষত্র সম্পর্কিত প্রধান তথ্যের উৎস ছিল বেদঙ্গ জ্যোতিষ (২০০ খৃঃ পূঃ) । প্রাচিনযুগে ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চন্দ্র, সূর্য ও গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান নিয়ে গবেষণা করেছিলেন । তারা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন, গ্রহ নক্ষত্রপুঞ্জ সংঘবদ্ধভাবে কক্ষপথে ঘূর্ণ্যমান । ঋগবেদ ও তৈত্তরিয় উপনিষদে এ বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায় । তারা মহাবিশ্বকে বলেছেন, মহাজাগতিক চক্র। এটি সুশৃঙ্খল ও নৈর্বত্তিক আইনের অধীন। শতপথ ব্রাহ্মণ এ কার্তিক নক্ষত্রের উল্লেখ আছে । ইহা বর্ণনা করে, এই নক্ষত্র পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় । অনুরূপ ভামাদেবের ঋগবেদ সুক্তায় বৃহস্পতি গ্রহের উল্লেখ আছে । ভারতের এই আবিষ্কার পরবর্তীতে চিনা ও আরবরা অনুসরণ করেছিল ।
ইন্দাস সভ্যতায় ভারতবর্ষে চন্দ্র বর্ষপঞ্জির প্রচলন ছিল । মিশর ও ব্যাবিলনিয় সভ্যতায়ও একই ভাবাপন্ন চন্দ্র বর্ষপঞ্জি দেখা যায় । বৈদিক পূর্ব ও বৈদিক যুগে এই ধারনার ক্রমবিকাশ হয়েছিল যে, ঋতু পরিবর্তনে সূর্যের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে । তারা টানা ২৯ বা ৩০ দিনে চন্দ্র মাস গণনা করেছিলেন । আবার কৃষিকার্যের মৌসুম, উৎসব নিয়ন্ত্রিত হত সৌর হিসেবে ।
তারা ২৭টি নক্ষত্র আবিষ্কার করেছিল । ঐসব নক্ষত্রের নামানুসারে ১২ মাসের নামকরন করা হয় । মাসগুল হচ্ছে- কার্ত্তিক, অগ্রহায়ণী, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্রপাদা ও আশ্বিন । ইন্দাস সভ্যতার যুগেও মানুষ ঐ ২৭টি নক্ষত্র সম্বন্ধে ঘনিস্টভাবে অবগত ছিল । কিন্তু তাদের পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন অদ্যাবধি অপ্রকাশিত রয়ে যায় ।
আদি মানুষ জেনেছিল দিনরাত্রি ও ঋতু পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে সূর্য । পরবর্তীতে তারা পরিজ্ঞাত হয়েছিল দিন ও রাত্রির সময়ের ব্যবধান সম্পর্কে । উপনিষদ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, চাঁদের আলো হচ্ছে সূর্যরশ্নির প্রতিবিম্ব । আধুনিক বিজ্ঞানিদের গবেষণার ফলাফলও কিন্তু শতভাগ অনুরূপ । বৈদিক যুগে এক চন্দ্র দিন বা তিথির সময় ধরা হত এক চন্দ্র উদয় থেকে পরবর্তী চন্দ্র উদয় পর্যন্ত অথবা এক চন্দ্র অস্তগমন থেকে পরবর্তী চন্দ্র অস্তগমন পর্যন্ত । ছয় দিনে এক সপ্তাহ এবং ২৯ বা ৩০ দিনে এক মাস গণনা করা হত । আর ১২ মাসে ধরা হত এক বছর । তারা চন্দ্র বৎসরের হিসাব করেছিল ৩০ x ৬ + ২৯ x ৬ = ৩৫৪ দিনে । গড় চন্দ্র মাস ছিল ২৯.৫ দিনে । ফলে প্রতি তিন বছর পর চতুর্থ বছর গণনা হত ৩৬০ দিনে এবং বর্ষপঞ্জি ব্যাপক সংশোধনের প্রয়োজন হত। আরও ১টি অতিরিক্ত দিন যোগ করে মোট দিনের সংখ্যা ছিল ৩৬১ । এই পদ্ধতি অনুসরণ করে চার বছরের মোট সময় নির্ণীত হয়েছিল ১৪৪১ দিন । এবং এক বছরে দিন সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩৬৫.২৫ দিন । এই চন্দ্রসূর্যের পারস্পারিক সম্পর্কের প্রভাবের দরুন কিছু মাসে কয়েকটি দিন যোগ করার প্রয়োজন পড়ত । আসলে তারা ঋতুচক্র ভিত্তি করে বছরের সময় হিসাব করেছিল । পরবর্তীতে জেইনের জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রকল্পে মহাকাশ সম্পর্কিত আরও ব্যাপক ও পরিষ্কার চিত্র দেখতে পাওয়া যায় । সত্যিকার অর্থে তিনি ব্রহ্মিহিরির পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’কে অনুসরণ করেছিলেন ।
ঐরাবতের প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে ‘ঐরাবতিয়া’ । মধ্যরাত্রি গণার উপর তার কাজ ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিবর্তনে উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন হয়ে আছে । মধ্যযুগ ভারতীয় জ্যোতিঃশাস্ত্রের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল । ৫০০ খৃষ্টাব্দে ঐরাবত এটার প্রথম অবয়ব রূপায়িত করেন, যার দৃষ্টান্ত পূর্বে দেখা যায় না । ১২০০ খৃষ্টাব্দে ভাস্করের সময়ে এটার সমাপ্তি ঘটে । এটার দ্বিতীয় অবয়বটির সময়কাল ছিল ১২০০ খৃঃ থেকে ১৮০০ খৃঃ পর্যন্ত । ইউরোপের আধুনিক মহাকাশ গবেষণা দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছিল ভারতের এই অবয়ব থেকে ।
বর্ষপঞ্জি প্রস্তুতের প্রধান ভুমিকা ছিল বেদঙ্গ জ্যোতিষের । এর মহাকাশ সম্বন্ধীয় গতি ক্রিয়ার কোন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ছিল না । কিন্তু অনুরূপ সম্পর্কিত বিষয় পরবর্তীতে কিছু তাত্ত্বিক পুস্তকে দেখতে পাওয়া যায় । পঞ্চম শতাব্দী কিংবা তারও পরে ঐরাবতিয়া, প্ঞ্চসিদ্ধান্তিকা , সুরিয়াসিদ্ধান্ত প্রভৃতি গ্রন্থ ছিল ঐ ধরনের গবেষণার জন্য উল্লেখযোগ্য । সুলবাসূত্র ছিল গণিতের উপর প্রাচীন কাজ, যা ছিল বেদঙ্গের একটি অংশ ।
এই যুগটি ছিল প্রধানত জ্যামিতি ও গণিত শাস্ত্রের উৎকর্ষের কাল । ফলে বিজ্ঞান ভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল । প্রথম ঐরাবতের সময়ে জ্যোতির্বিদ্যার একটি অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছিল গণিতশাস্ত্র । জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি পাটীগণিত, বীজগণিত ইত্যাদির বিকাশ হয়েছিল এবং জ্যোতির্বিদ্যার পুস্তকগুলোতে এগুলো সবিশেষ স্থান দখল করেছিল । সেযুগে বড় বড় জ্যোতির্বিজ্ঞানী যেমন ছিল তেমনি বড় বড় গণিতজ্ঞও ছিল ।
ব্রহ্মিহিরির পঞ্চসিদ্ধান্তিকার সময়ের অপরাপর কাজগুলো দ্বারা আকর্ষিত হয়েছিলেন পাঁচজন চিন্তাশীল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন সুরিয়াম, পৈথামাহম, ভাসিশ্তম, পৌশীলাম ও রোমাকাম ।
প্রথম ঐরাবত, ব্রহ্মিহির , ব্রহ্মগুপ্ত, দ্বিতীয় ঐরাবত, শ্রীপতি, দ্বিতীয় ভাস্কর (ভাস্করাচার্য্য) পঞ্চদশ ও দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতশাস্ত্রে অবদানের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল ।

চলবে..........

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নীলস্বপ্ন বলেছেন: আপনি খুব ভাল লিখেছেন । আমি কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবো

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ নীলস্বপ্ন । আপনার মন্তব্য আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছে । যোগাযোগের দুটো লিঙ্ক দিলাম ।
Aswad Lodi Kobitachari
https://www.facebook.com/aswad.lodikobitachari

[email protected]

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২১

আলম দীপ্র বলেছেন: চমৎকার পোস্ট তো !

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ আলম দীপ্র । শুভেচ্ছা নিন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.