নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংস্কৃত যৌনউদ্দীপক কবিতা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯


সংস্কৃত কবি বিদ্যাকরের ধ্রুপদী সংস্কৃত কবিতা সংকলনটির অধিকাংশ কবিতা যৌনউদ্দীপক । এই সংকলনে ৭২৮টি কবিতা স্থান পেয়েছে । এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু কবিতার রচয়িতার নাম পাওয়া যায় না । কবিতাগুলোর বিন্যাসকারী ছিলেন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু । এটা আশ্চর্যজনক কিছু নয় এ কারণে যে, বৌদ্ধ, জৈন, হিন্দুদের পুণ্যস্থানগুলোতে ছিল যৌন উত্তেজক মূর্তির ছড়াছড়ি । খাজুরাহ, কোনারকের মন্দিরগুলোকে খোদাইকৃত ‘কামসূত্র’ বললে বেশি বলা হবে না । অজন্তার গুহা ভাস্কর্যে খোদাইকৃত নারী মূর্তিগুলোও যথেষ্ট যৌন আবেদনময় । বিদ্যাকরের সংকলনটিতে বেশকিছু কবিতার রচয়িতা ছিলেন ‘ধর্মকীর্তি’ ।

ধর্মকীর্তি ছিলেন একজন কঠোর বৌদ্ধবাদী যুক্তিবিদ । সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগ ছিল তাঁর জীবনকাল । দক্ষিণ ভারতের ‘ত্রিমালয়া’-তে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং শিক্ষালাভ করেন নালন্দায় । তিনি যুক্তিবিদ্যার উপর সাতটি গবেষণা গ্রন্থ ও কিছু যৌন উদ্দীপক কবিতা রচনা করেন । বৌদ্ধবাদী তত্ত্বগত শিক্ষার সত্যতাকে প্রমাণ করার জন্য তিনি কবিতায় একজন যুবতি নারীর শরীর ব্যবহার করেন । তিনি লিখেন-
প্রমাণ
“ত্বক তার রৌদ্রে ছেঁকা জাফরান,
চোখজোড়া গজলা হরিণের মতো ছুটন্ত বান ।
-সেই ঈশ্বর, তাকে যিনি তৈরি করেছিলেন
কীভাবে যেতে দিলেন তাকে ? তিনি কী অন্ধ ছিলেন ?
-এই বিস্ময় অন্ধত্বের পরিণতি নয়ঃ
সে একজন নারী এবং সর্পিল এক দ্রাক্ষালতা ।
এইভাবে প্রমাণিত হয় বুদ্ধের তত্ত্বকথা
কোন কিছুই সৃষ্টি করা হয়নি পৃথিবীতে ।”

ধর্মকীর্তির এই কবিতাটি বুদ্ধিবৃত্তিক, ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রবণ এবং শ্লেষপূর্ণ । পাঠকের সাথে এটির বুদ্ধিমত্তার একটি দৃষ্টি বিনিময় ঘটে । ধর্মকীর্তির অল্প কয়েকটি কবিতা পাওয়া যায় যেগুলোর ভিতর একটি মানসিক মেজাজ উপলব্ধি করতে পারা কঠিন কিছু নয় । তার কবিতা আবেগকে দীপ্তিমান করে, বুদ্ধিকে বিস্তৃত করে । বোধ এবং বুদ্ধিমত্তার মাঝে একটি কথোপকথন, যা জীবনের প্রতি ভালোবাসা আর মোহমুক্তির কথা বলে ।

একজন নামহীন কবির কবিতার দুটি লাইনের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক । কবি লিখলেন-
“বিজয়ের এই পক্ক কেশী স্তম্ভটি দেখ ।
আমি বিজয়ী । ভালোবাসা, তোমার তীরগুলো ছুঁতে পারে না আমাকে ।”

এই অল্পভাষী লাইন দুটি শুদ্ধতা ও রুচিশীলতার উৎকর্ষ প্রদর্শন করে । অপর দুটি লাইনের উপমার মধ্য যৌনউদ্দীপক কবিতার মেজাজ খুঁজে পাওয়া যায় ।
“চকিতে মুগ্ধ চোখে দ্যাখো তীরন্দাজের কৌশলঃ
সে কখনো ছোঁয় না শরীর কিন্তু ভাঙ্গে হৃদয় ।”

এখানে চকিত দৃষ্টি হলো তীর, যদিও অদৃশ্য কিন্তু বিদ্ধ করে আত্মা ও শরীর । উপমা হচ্ছে শব্দের আবরণ অর্থাৎ অলংকার । এটার প্রয়োগ কৌশল কবিতাকে উৎকর্ষ করে । অক্তাভিও পাজ সংস্কৃত যৌনউদ্দীপক কবিতাগুলোর আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন-
“টিকে থাকা বহু সংস্কৃত কবিতার ছয়পদবিশিষ্ট চরণ (অ্যালেক্সান্দ্রীয় কবিতা) এবং কেটুলেস (Catulles)- এর মতো রোমান উত্তরাধিকারের সঙ্গে অদ্ভুত কিন্তু অনস্বীকার্য সাদৃশ্য রয়েছে । সাদৃশ্য রয়েছে হেলেনীয় ভাস্কর্যের সঙ্গেও ঃ বক্রতা আর পেশিগুলো, পরিপূর্ণ নিতম্ব আর সুঢৌল স্তন, চওড়া পুরুষালী কাঁধ, নারীর ঊরু আর বাহুদ্বয় অন্য একটি শরীরকে বেষ্টন করে রাখার মতো মানানসই ঃ দ্রাক্ষালতা আর আকসীগুলো একটি স্তম্ভ অথবা একটি পৌরুষদীপ্ত কবন্ধ পেঁচিয়ে থাকে । ভালোবাসার জীবন্ত অনুশীলনগুলোর জন্য প্রস্তুত শরীর, একটি কবিতা যেটা শারীরিক আনন্দের নির্বাধ স্তুতির ভিতরে সম্পূর্ণ আধুনিক ।” (ইন লাইট অফ ইন্ডিয়া- অক্তাভিও পাজ / অনু- মোরশেদুর রহমান ) ।

গ্রীক এবং ল্যাটিন কবিতার মতো সংস্কৃত কবিতাতে রয়েছে আভিজাত্য, ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তি, বাকপটুতা এবং নান্দনিক আবেগ । মূলত এগুলো ছিল মহৎ শিল্পকলার প্রাচুর্য । এগুলোর প্রধান সুর হলো শারীরিক এবং আত্মিক সৌন্দর্য । এই সব ধ্রুপদী সংস্কৃত কবিতাগুলো লেখা হয়েছিল আমত্য, ব্রাহ্মণ ও সামরিক কর্তাদের একটি ছোট্ট দলের জন্য । অভিজাততন্ত্রকে মোহিত করা, ইন্দ্রিয় আনন্দ প্রদান, বিশেষ করে যৌনকামনা উদ্রেককারী আনন্দের জন্য এসব কবিতা রচিত হয়েছিল ।

শারীরিক আনন্দ হচ্ছে সংস্কৃত যৌনউদ্দীপক কবিতার প্রধান বিষয়বস্তুগুলোর একটি । নারী পুরুষের মধ্যকার আকর্ষণ এগুলোতে প্রবলভাবে ধরা পড়ে । তবুও কবিতাগুলো যতটা না আবেগপ্রবণ তার চেয়ে অধিক উদ্ভাবনকুশলী । একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত হিসাবে কবি ভবকাদেবীর চার লাইনের কবিতাটি উল্লেখ করা যায় । কবি একজন নারীর স্তনদ্বয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজনৈতিক ও যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি ।

“স্তনজোড়া তার মহানুভবতায় সমান, সহদর দুই রাজা,
পাশাপাশি যখন, সতর্ক চোখে তাকালে সমান উঁচু,
স্পর্ধিত কঠোরতায় বিজয়ী তারা সম্মুখ সমরে-
বিস্তৃত প্রদেশের সার্বভৌমত্ব করেছে করায়ত্ব ।”

সংস্কৃত কবিতায় নারীর শরীরের প্রতিটি অংশ নিয়মমাফিক প্রতিচ্ছবি ও অভিব্যক্তি দ্বারা বর্ণিত হয়েছে । এগুলোর রয়েছে রূপক ও উপমার বহু দৃষ্টান্ত । এখানে প্রেমিকার মুখ হয়ে যায় একটি চাঁদ এবং চাঁদের বিভিন্ন আকার; তার নিঃশ্বাস বসন্তের মৃদুমন্দ সমীরণ; তার চোখ দুটো, জোড়া মৎস; তার গ্রীবা, একটি স্তম্ভ ও একটি বৃন্ত; তার ভ্রুযুগল, দুটো ধনুক ও দুটো সাপ; তার চলার ধরন গজগামিনীর মতো কিংবা শুকনো পাতার ভেতর দিয়ে বাতাসের চলাচলের মতো; তার স্তনদ্বয় উপচে পড়া জলপাত্র অথবা সংকীর্ণ পায়ে চলা একটি পথ দ্বারা আলতোভাবে বিভক্ত দুটো পাহাড়; ক্ষীণ কটি যেন একটি ভিমরুল, একটি চারাগাছ বা একটি গজলা হরিণের মতো; তার নিতম্বজোড়া শক্তিশালী দুটো ভূ-গোলক; তার তলপেট ঘন বৃক্ষশোভিত এক পাহাড় । তলপেটের নিচে জেগে উঠে রোমাবলি । রোমাবলি হচ্ছে নাভি থেকে একটু নিচে গজানো শরীর লোমের উলম্ব রেখা । রোমাবলি একজন নারীর যৌন পক্কতার ইঙ্গিতও দেয় । লাহাদা চন্দ্রের একটি কবিতার দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক ।

“নাভি থেকে একটু নিচে বড়জোর একটি রেখা,
জেগে উঠে রোমাবলি এবং দীপ্তি ছড়ায়,
ভালোবাসার ঝান্ডাবাহী দন্ডটি তখন
নতুন আশ্রয়স্থলে খুঁজে পায় ঠিকানা ।”

এই কবিতাগুলোর রয়েছে চিরায়ত সৌন্দর্য । এগুলো ভালোবাসার একটি ভাষা, যা মূলত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভাষা । এগুলো একটি মানসিক অনুভূতির সাবলীল প্রকাশ । শতাব্দীর পর শতাব্দী কবিতাগুলো প্রতিনিধিত্ব করে কবিদের অন্তরে । বিদ্যাকরের সংকলনে লাহাদা চন্দ্রের কবিতার একটি উত্তর পাওয়া যায় অন্য একটি কবিতায় । তবে এই কবিতার রচয়িতার নাম পাওয়া যায় না । নামহীন এই কবি লিখেছেন-

“একটি দৃঢ়কান্ত, রোমাবলি ধারন করে
প্রকাশিত হয় দুটো জলপদ্মঃ তার নিবিড় স্তনযুগল ।
দুটো মধুকরের ঘরঃ তার প্রগাঢ় বোঁটাদ্বয় ।
এই ফুলগুলো সেই ঐশ্বর্যের কথা বলে
তার নিম্নস্থ টিলার নিচে যা লুকানো ।”

কবিতাটি যেন রত্নে মোড়া নগ্ন শরীর । বিলাসপ্রিয় আনন্দের একটি চূড়ান্ত মুহূর্ত । এখানে ‘একটি দৃঢ়কান্ত’ উত্থিত পুরুষাঙ্গের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে । স্তনযুগল প্রকাশিত হয় জলপদ্মে; স্তনের বোঁটাদ্বয় পরিণত হয় দুটো মধুকরের ঘর রূপে; যার ভেতরে লোকানো রেয়েছে সেই ঐশ্বর্য যা পুরুষের কামনা জাগ্রত করে । নারী পুরুষের যৌন রতি একটি অপরিবর্তনীয় বিষয় । যেখানে নারী নিরব, তার গহনার ঝনঝন করে বেজে উঠে । আর এক নামহীন কবি রচনা করেন রতির একটি আসন ।

“গোড়ালির মাকড়ি যখন স্থির,
কানের দুল আর নেকলেস ঝনঝন করে বাজে;
পুরুষ পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে যখন,
দৃঢ় সংকল্পিত প্রেমিকা তার- মুক্ত করে তাকে ।”

ফ্রয়েডের মতে এগুলো মানুষের আদি যৌনাঙ্গ ক্রীড়া, এগুলো কোন বিকৃতি নয় । মানুষের যৌন ক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক প্রকাশ । কবি এখানে অল্পতে অনেককিছু বলে গেছেন । ভারতীয় যৌনউদ্দীপক কবিতাগুলো ভোগসুখের বিষয়টি পূর্ণমাত্রায় বিবেচনা করে । কামসূত্র রতি ক্রিয়ার বিভিন্ন আসন বা পদ্ধতির পাশাপাশি শরীরে আঁচড়ের দাগ ও কামড়ের দাগও গণনা করে । তখন যৌন রতি ধর্ষণে রূপান্তরিত হয় । এরকম একটি কবিতার কথা জানা যায় । কিসিতিসা রচিত কবিতাটির দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক ।

“আবার যখন আমি দেখব তার শক্তিশালী পরিপূর্ণ উরুদ্বয়,
একটির সঙ্গে আরেকটি মিশিয়ে আত্মরক্ষামূলকভাবে বদ্ধ,
কামনার আজ্ঞানুবর্তী উন্মোচন প্রক্রিয়া তারপর,
আর রেশমি বস্ত্র যখন খসে পড়ে, তখনই হঠাৎ প্রকাশিত হয়,
গুপ্ত ভাণ্ডারের উপর মোমের মোহর যেন এক,
আমার নখের আঁচড়গুলো তখনও ভেজা ।”

তীব্র যৌনউদ্দীপক কবিতার মাঝেও বিকাতানিতাম্বা-এর কবিতাটিকে রসবোধ সৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত বলা যায় । এই কবিতায় প্রগাঢ় অনুভূতি ও বিভ্রান্তির রসায়ন আছে । এখানে এক নারী অন্য নারীকে তার একান্ত গোপন কথাগুলো বলছে ।

“বিছানার পাশে
আপনা থেকেই খুলে যায় গিট
আর পরিকরে কোনমতে ঝুলতে থাকা সায়া
খসে যায় কোমর থেকে ।
বান্ধবী গো, এর সবই আমি জানিঃ তার বাহুবন্ধনে ছিলাম আমি
এবং আমার মনে নেই কে ছিল সে
অথবা আমরা কী করেছিলাম কিংবা কীভাবে ।”

কিছু কবিতাতে কৈশোরের কমনীয় উপলব্ধির প্রকাশ দেখা যায় । তবে এই উপলব্ধি পরস্পর বিরুদ্ধ । কালিদাসের কবিতায় এরকম একটি ইঙ্গিত বিদ্যমান । তিনি লিখেছেন-

“কামনা তাকে ঠেলে দেয় মুখোমুখি যুদ্ধের দিকে,
অবিশ্বাস তাকে টেনে রাখে পিছে;
পতপত করে উড়া একটি রেশমি ঝান্ডা, নিস্তেজ,
সংবৃত আর অসংবৃত হয় বাতাসে ।”

এই সংকলনের কিছু কবিতার বৈশিষ্ট্য হল দৃশ্যের বর্ণনা । এই উপমহাদেশে নদী কিংবা দীঘিতে স্নান করার সার্বজনীন প্রচলন আছে । সিনেমার কাহিনীগুলোতেও দেখা যায় নারীর স্নান করার দৃশ্যটি একটি চিরস্থায়ী আসন দখল করে আছে । এখানে শিল্প খুঁজতে যাওয়া বাতুলতা মাত্র । ভেজা কাপড়ে নারীর শরীরের যৌন আবেদনময় রেখাগুলোকে সুস্পষ্ট করাই এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য । তেমনি হঠাৎ স্নানরতা এক বালিকা নিজেকে আবিষ্কার করে সে একজন নারী । ভোজাইয়া দেব তাঁর কবিতায় এরকম একটি দৃশ্যের বর্ণনা করেছেন ।

“চুলে ঝাঁকি দেয় সে মেয়ে
আর উজ্জ্বল বিন্দুগুলো ছড়ায় দীপ্তি
তার বিশৃঙ্খল চুলের কুঞ্চনে ।
আড়াআড়ি বেঁধে বাহু, দ্যাখে অভিনিবিষ্ট চোখে
তার স্তন জোড়ায় বাড়ন্ত সজীবতা ।
উরুদ্বয়ের সাথে তার সেঁটে থাকে আলোকভেদ্য একটি কাপড়
সামান্য আনত হয়ে, চকিতে দৃষ্টি হেনে নদী তীরে
জল থেকে উঠে আসে মেয়ে ।”

সৌন্দর্য কী ? যা ব্যক্ত তা, না অব্যক্তর ভেতর লুকায়িত যা আছে ? আকাশের পূর্ণ চাঁদ, না মেঘের অবগুন্টনে লুকোচুরি চাঁদ ? নারীর উম্মুক্ত বক্ষ, না অন্তর্বাসের আড়ালে কমনীয় স্তন ? বিতর্ক হতে পারে প্রচুর । সৌন্দর্য নিয়ে কবি কী বলেন ? ভালানার একটি কবিতায় তাই ব্যক্ত হয়েছে ।

“সৌন্দর্য সেটা নয়
শব্দে যা প্রকাশিত
বরং না বলে যে বলা, সৌন্দর্য সেখানেঃ
উন্মোচিত নয় বরং অবগুণ্ঠনের ভিতর দিয়ে-
কমনীয় হয়ে উঠে স্তনদ্বয় ।”

সংস্কৃত এইসব কবিতা যৌনউদ্দীপক হলেও নান্দনিকভাবে এগুলো উৎকৃষ্ট । সার্বিকভাবে এগুলোর রয়েছে কাব্যিক মূল্যমান । তবে এগুলো হৃদয়ের কথা বলে না, এগুলোর ব্যাকুলতা কেবল শরীরের । তাই এইসব কবিতা নমনীয়ভাবে জাগিয়ে তুলে ইন্দ্রিয়কে ।

---------------
তথ্যসূত্র-
ইন লাইট অফ ইন্ডিয়া- অক্তাভিও পাজ
অনুবাদ- মোরশেদুর রহমান

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭২৮ টি কবিতা? আপনি দৈনিক ১টির বেশী পড়েন?

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো যে সংস্কৃত ভাষায়, না হয় বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পেয়ে যেতো! আপনি আবার অনুবাদ টনুবাদ করিয়েন না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: অনুবাদকের নাম নিচে আছে। মোরশেদুর রহমান ভাল অনুবাদক। ইংরেজি থেকেই অনুবাদ করেছেন।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


@লেখক বলেছেন, " অনুবাদকের নাম নিচে আছে। মোরশেদুর রহমান ভাল অনুবাদক। ইংরেজি থেকেই অনুবাদ করেছেন। "

উনি মনে হয়, নিজের জন্য অনুবাদ করেছেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: আসলে এখানে আমার একটু ভুল হয়ে গেছে। এডিট করে দিয়েছি। মোরশেদুর রহমান অনুবাদ করেছেন 'ইন লাইট অব ইন্ডিয়া' বইটি। সেখানে পনেরটির মত কবিতা ও অংশ বিশেষ উল্লেখ আছে মাত্র। বইটি কবিতার বইও নয়। অক্তাভিও পাজ মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভারতে দুইবার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় রাজনীতি, ধর্ম, শিল্প-সাহিত্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি সেই অভিজ্ঞতা তাঁর বইতে তুলে ধরেছেন। তাঁর বইতে ৭২৮টি কবিতার তথ্যটি আছে। কিন্তু তিনি কবিতার উল্লেখ করেছেন ১৫ ও এর কিছু বেশি। ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: প্রাচীনকালে মানুষ এমনই ছিল।
খুব খোলামেলা ছিল।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: তাদের শিল্পবোধও ছিল ।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১১

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ। বিজয়ের শুভেচ্ছা।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট।+

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.