![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুলিশ জনগনের বন্ধু । অথচ এই পুলিশই জনগনকে এতবেশি হেনস্তা করে যে জনগনের আস্থা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের জায়গাটি জনগন এখন জলাঞ্জলী দিতে শুরু করেছে । পুলিশি হয়রানি প্রতিরোধে স্বসচেতনতায় সবচেয়ে বেশি জরুরী । এ বিষয়ে বলার শেষ নেই ,কারন যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকুক না কেন এদেশের সাধারণ জনগনের উপর পুলিশ তার একক আধিপত্য সবসময় বজায় রাখে । তবু আজ কয়েকটি খুব সাধারণ পুলিশি হয়রানি ও তা নিরোধের কথা বলব ।
মাঝেমধ্যেই দেখা যায়, পুলিশ যে কাউকে থানায় যেতে বলে কিংবা থানায় গিয়ে দেখা করতে বলে । কিন্তু কোন পুলিশ যদি কাউকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চায় বা কোন অপরাধের তদন্ত করতে চায় সেক্ষেত্রে পুলিশকে সমন জারি (লিখিত আদেশ) করতে হবে এটা না করা পর্যন্ত থানায় বা পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যায় না । যেক্ষেত্রে কোন নারী বা ১৮ বছরের নিচে কোন শিশু জড়িত সেক্ষেত্রে পুলিশ শুধু তাদের বাসায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে । তাই অযথা থানায় কোন দারগা আপনাকে মোবাইলে ফোন করে অথবা আপনার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে থানায় দেখা করতে বললেই সমন না পাওয়া পর্যন্ত দেখা করবেন না । ওগুলো টাকা খাওয়ার ধান্ধা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
তবে যদি আপনি কোন অপরাধমূলক ঘটনা সম্পর্কে কোন কিছু জেনে থাকেন তাহলে সততার সাথে খোলামেলাভাবে পুলিশকে সব তথ্য জানানো আপনার নাগরিক দায়িত্ব । আর যদি আপনি কিছু না জেনে থাকেন তাহলে পুলিশ আপনাকে কোন বিবৃতি প্রদান বা শেখানো কিছু বলার জন্য বাধ্য করতে পারে না । যখন পুলিশ আপনার বাড়িতে এসে অথবা পথে ঘাটে অথবা সমন দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে কোন প্রশ্ন করবে তখন অবশ্যই আপনার সাথে কাউকে রাখবেন, না থাকলেও সমস্যা নেই তবে থাকলে ভালো হয় । যাতে করে পুলিশ আপনাকে কি বলল বা আপনি কি জবাব দিলেন তার সাক্ষ্যি হিসাবে একজন থাকে ।
আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা বলতে বা সাক্ষ্য দিতে আপনি মোটেও বাধ্য নন । সংবিধানের অনুচ্ছেদ- ৩৫(৪) আপনাকে এই অধিকার দিয়েছে । তাই নিজের বিপক্ষে যায় এমন কথা বলতে কেউ আপনাকে বাধ্য করতে পারবে না ।
পুলিশ আপনার সাথে কোন জায়গায় কোনক্রমেই অশালীন, রুঢ বা খারাপ আচরণ করতে পারে না । যদি এ ধরণের আচরণ করে তাহলে উর্ধতন পুলিশ অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিন । ঊর্ধতন অফিসার হতে পারে জেলা পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন এলাকায় হলে পুলিশ কমিশনার । এই অভিযোগ দেয়ার সময় একটি অনুলিপি ফটোকপি করে আপনার নিজের কাছে রাখবেন । কিছু অনুলিপি আপনি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা ডিসি(ডেপুটি কমিশনার), আইজিপি বরাবর (পুলিশ সদর দপ্তরে), স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানলয়ে), মানবাধিকার কমিশনের স্থানীয় বা জাতীয় অফিসে , স্থানীয় সাংবাদিক সংস্থার অফিসে বা প্রেস ক্লাবে ( অবশ্যই পাঠাবেন), স্থানীয় ও জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাতে পাঠাতে পারেন । এতে করে দ্রুত ফল পাবেন । পুলিশ যদি আপনার সাথে বেআইনী কিছু করে তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত যেকোন অভিযোগই আপনি এ সমস্ত জায়গায় করতে পারেন । অপরাধের মাত্রা বেশি হলে আপনি থানায় জ়িডি এমন কি সেটি গুরুতর হলে মামলা কিংবা থানা মামলা না নিলে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে লিখিত নালিশ করতে পারেন । এরপর দেখেন চাকরী বাঁচাতে কিভাবে সেই পুলিশ আপনার হাতে পায়ে ধরা শুরু করে ।
পুলিশ জনগনের সেবক, জনশান্তি রক্ষায় পুলিশের দায়িত্ব । আপনি যদি নিরাপরাধী হন আইন সবসময় আপনার সহায়ক, (নিছক রাজনৈতিক কোন বড় ধরণের মামলা না হলে) । যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে অসচেতনতাই আমাদের একদিকে যেমন আইনগত প্রতিকার থেকে বঞ্চিত করে অন্যদিকে অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে এবং আইনের প্রতি আমাদের অশ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাচ্ছে । আপনি যদি ঠিক থাকেন, সঠিক হন তো আইন সবসময় আপনার পক্ষে । অযথা পুলিশকে ভয় পাবেন না । মনে রাখবেন ওরা আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় নিয়োজিত আমাদের সেবক, আমাদের অযথা ভয়ই ওদের সুযোগ সন্ধানী করে তুলেছে । তাই পুলিশি অপকর্ম ও হয়রানি প্রতিরোধে সজাগ হোন, আইন জানুন, আইনের ব্যবহার নিশ্চিত করুন ।।
(এ ইউ জেড প্রিন্স)
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: হ্যা , পুলিশের নিচের পর্যায়ে নিয়োগ সাধারণত দুর্নীতির মাধ্যমে অথবা দলীয়ভাবে হয় । ট্রেনিং ও খুব ভাল হয় না, যার ফলে একদিকে যেমন ওদের বিদ্যাবুদ্ধি কম থাকে অন্যদিকে টাকা আয়ের ধান্ধায় ব্যস্ত থাকে , তাই এই অবস্থা । আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে , ওদের এই অনৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে ।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
ভুদাই আমি বলেছেন: ভাই, এই ছোট খাটো পুলিশের কনস্টেবলদের পিছু না লাগলে কি হয় না? এরা আর কতো টাকা বেতন পায়? কিন্তু চাকরি পেতে আমাদের বা আপনাদের মতো বড় বড় চৌধুরীরা লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। তারা যে বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালাবে না ঋণ শোধ দিবে?
বিভিন্ন টেনশনে ও বসদের গরমে তাদের মেজাজ সর্বদা চরমে থাকে। কিন্তু বসদের তো কিছু বলতে পারে না। তাই গরমের কিছুটা আচ পাবলিকের উপর পড়ে।
এখন চরম সত্য কথা হলো যে (প্রমাণ দিতে পারবো না কিন্তু চারিপাশে তাকালে প্রমাণ পাবেন) প্রাইমারীর চাকুরী পেতে ৩-৪ লাখ, ব্যাংক এ ৫-৬ লাখ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ১২-১৫ লাখ আর সরকারী আমলা.............. থাক তার আর দরকার হবে না।
আপনি টাকা দেবেন না, আপনি চাকরী পাবেন না। চাকরী পাবে আপনার চেয়ে কম রেজাল্টধারী টাকাওয়ালারা।
সমাজ থেকে ঘুষ দূর্নীতির এই ট্রেডিশন উঠায়ে দিয়ে তার পর দেখেন পুলিশ কিভাবে দায়িত্বশীল না হয়? যেখানে দেশের বড় বড় রুই কাতলারা বিদেশে টাকা পাচার করে আর সচিবদের ঘুষের কারণে গোটা দেশ সাফারার হয় তখন আপনারা কোথায় থাকেন?
আসল কথা হাতে বন্দুক থাকলে চোখ পড়ে নিরীহ পশু পক্ষির দিকে।।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: কমবেশি সব চাকরীতে ঘুষ দিয়ে ঢুকতে হয় এটা ঠিক, কিন্তু চাকরীতে ঢোকার পর অজস্র অবৈধ উপায়ে টাকা আয়ের রাস্তা পুলিশে আছে । অন্যান্য সব পেশার তুলনায় পুলিশে যে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি হয় , টিআইবির রিপোর্টে তা প্রমাণিত । আর দুর্নীতি করার সাথে সাথে অবৈধ প্রভাব খাটানোর প্রবণতাও পুলিশে সবচেয়ে বেশি । পুলিশ সমাজের বাইরের কেউ নয় বরং কল্যানমূখী সমাজ গঠনে অন্যতম অপরিহার্য বিষয় দক্ষ পুলিশ প্রশাসন । তাই দুর্নীতি দূরিকরণের শুদ্ধি অভিযান শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথম দিকেই থাকবে পুলিশ । আর হ্যা, একটা অপরাধ দিয়ে অন্য অপরাধের বৈধতা দিতে পারেন না । অন্যান্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয় বলে আপনার ভাষায় ছোটখাটো পুলিশ কঅনস্টেবলরাও (যদি তারা নিজেদের ছোট ভাবে না)করবে তা তো হতে পারে না ।আর আমি এখানে পুলিশের দুর্নীতি কিংবা ঘুষ নিয়ে কথা বলিনি, বলেছি অপরাধ প্রবণতা বিষয়ে ।।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কিছুদিন আগেই মিরপুরে আমার এক বন্ধুকে পুলিশ চুরম হেনস্তা করেছে । কোন প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়া তাকে মাইক্রোতে তুলে মারধর করেছে । দুই ঘণ্টা । রাস্তায় নিয়ে ঘুরে , মারধর করে । পরে টাকা দাবী করে বিপুল পরিমাণে । ( দের লক্ষ ) টাকা না দিলে ইয়াবাখরের অপবাদ দেয় । এমনকি খুনের মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় !!!
অনেক পরে তাকে থানায় নিয়ে যায় ।
পরবর্তীতে বাবা মাকে পরিচিত অন্য পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয় ।
ছেলে ভয়ে আর কিছু করতে সাহস পাচ্ছে না । একদম বিনাকারনে তাকে মারধর করা হয় !!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: হ্যা , আপনি ঠিকই বলেছেন , ঢাকাতে এই প্রবণতা পুলিশের মধ্য সবচ্যেয়ে বেশি আর ঢাকাতে এ ধরণের ঘটনা ঘটেও বেশি । যেকোন সময় যেকেউ এধরণের পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারেন। কারন অনেক গুলো । তবে ঢাকা যেহেতু অনেক বড়শহর আর ঢাকার বেশ বড় একটা অংশ ধনী হওয়ার কারনে পুলিশ এরকম করে খুব সহজেই টাকা কামাতে পারে । তবে এ ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য আমাদের আরোবেশি তৎপর হতে হবে ।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
আম্মানসুরা বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সময় করে পড়ার জন্য ।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক । পুলিশের ব্যবহার খুব খারাপ ।