নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ ইউ জেড প্রিন্স

মানবতার স্বার্থে নিবেদিত প্রাণ

এ ইউ জেড প্রিন্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারো কালা-কানুন, নব্য ব্লাসফেমির পথে বাংলাদেশ, ধর্মরক্ষার নামে জনগনের চোখে ধুলি দেওয়া

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

যে ব্যক্তি এমন শব্দ উচ্চারণ করেন বা এমন কিছু আঁকেন বা এমন কিছু ভাবভঙ্গি করেন বা অন্যকিছু করেন, যা বাংলাদেশের কোন ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে, বা অবমাননা করার উদ্যোগ করে, সেই ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হবে ।

--- দন্ডবিধির ২৯৫(ক) । আমাদের দেশে সাধারণত এ ধারাটিতে মামলা তেমন হয় না কিন্তু যেসব দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে তাদের এ বিষয়ে অনেক মামলা হয় । যারা এদেশে ব্লাসফেমি আইনের প্রয়োগ চান তারা তারা এই ধারাটি সংশোধন করে এখানে মৃত্যুদন্ডের বিধান করতে চান । সাধারণভাবে ব্লাসফেমি আইন ভালো বলে মনে হতে পারে কিন্তু এর যে কতোটা কুদিক রয়েছে, এই আইন যে কতটা ন্যাক্কারজনকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেসব দেশে এই ব্লাসফেমি রয়েছে সেখানে যে কি ভয়ঙ্করভাবে এটির ব্যবহার করা হচ্ছে ,সেসব আরেকদিন বলব । আমি ব্যক্তিগতভাবে যেকোন ধরণের হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে তা জুডিশিয়াল বা এক্সট্রা-জুডিশিয়াল যাই হোক না কেন । মৃত্যুদন্ডকে নিছক 'জুডিশিয়াল কিলিং' ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই মনে হয় না । কারন এভাবে কখনই ধর্মরক্ষা করা যায় না , ধর্ম আসে মানুষের অন্তর থেকে । এ বিষয়েও অন্যদিন বলব ।

তবে এরকম অপরাধ যদি কেউ কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সহযোগে করে তাহলে সংশোধিত হতে যাওয়া তথ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি আইন-২০০৬ অনুসার শাস্তি প্রদান করা হবে । যার ৫৭ ধারায় ১০ বছর কারাদন্ড থেকে বাড়িয়ে ১৪ বছর করা হয়েছে আর অর্থদন্ড এক কোটি টাকা পর্যন্ত । আমি এ ধরণের আইনেরও বিপক্ষে, কারণ এগুলো যে কতোটা নেতিবাচকভাবে এবং দমন পীড়নের নতুন কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হবে তা ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন । সাদাচোখে ধর্মরক্ষার কবচ হিসাবে এই আইন মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ব্যবহার হবে শোষকশ্রেণীর রক্ষাকবচ হিসাবে । মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায় এরকম কালা-কানুন পাশ করা থেকে সংসদ সরে আসবে এটিই সকল মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী গনতন্ত্রকামী মানুষ ও অধিকারকর্মীদের প্রত্যাশা ।

(এ ইউ জেড প্রিন্স)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মৃত্যুদন্ডকে নিছক 'জুডিশিয়াল কিলিং' ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই মনে হয় না । কারন এভাবে কখনই ধর্মরক্ষা করা যায় না ,.....

ধর্মীয় অবমাননার কারণে যখন সম্প্রদায়িক দাংগা হয়, তখন তো বহু লোক মারা যায়, তাদের রক্ষা করবেন কি করে ?

কিছু চুলকানী রোগের রোগী লুকিয়ে লুকিয়ে দাংগা লাগায় আর তার শিকার হয় কিছু নিরীহ মানুষ, সেটা খুব মজা পান নাকি ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: ধর্ম যাতে অবমাননা না হয় সেই ব্যবস্থা হিসাবে আপনার ভাষায় ওই চুলকানী রোগের রোগীরা কেন সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে দাঙ্গা বাধায় ,তা সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে । তাহলে আর দাঙ্গা বাধার সম্ভাবনা থাকবে না । কারন এসব দাঙ্গা বাধিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্যাবহার করে একটি পক্ষ সুবিধা লুটে নেয় ।
আর ধর্ম অবমাননার যে শাস্তি হবে না , তা তো আমি বলিনি । শুধু ধর্মুবমাননা নয় যে কোন ক্ষেত্রেই যেন শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড না থাকে আমি সেই কথায় বলেছি । ধর্ম অবমাননা তে আদৈও অবমাননা হয়েছে কি না, না কি গেল গেল ধর্ম গেল বলে স্লোগান তুলে ধর্মীয় শুরশুরি দেয়া হচ্ছে ,তাতে ধর্মের কোন সুবিধা হচ্ছে কি না, না কি কারা সুবিধা পাচ্ছে, তা বুঝতে হবে ।ধর্মীয় অবমাননার আইন অবশ্যই থাকতে হবে, আছেও কিন্তু তা যেন অশুভ উদ্দেশ্যে ব্যবহিত না হয় , আমি সে কথায় বলেছি ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবে কখনই ধর্মরক্ষা করা যায় না , ধর্ম আসে মানুষের অন্তর থেকে ।

এই ভয়াবহ কাল আইন দল-মতের উর্ধে উঠে প্রতিবাদ করতে হবে।
আজ যারা করছে কাল হয়তো তাদের উপরই বুমেরাং ঞয়ে ফিরবে..

কিন্তু সাধারন জনতাকে যেভাবে ফাসিয়ে দেবার, প্রতিহংসাপরাণয় হয়ে প্রতিশোধ নেবার, ভিন্নমত হলেই দেখে নেবার, সর্রোপরী একজন সাব-ইন্সপেক্টরের বোধের উপর আমজনতার ভাগ্য যেভাবে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে তা ভাষা প্রকাশ অযোগ্য!!!

মনে হ্ওয়ার উপরই সকলের ভাগ্য নির্ভর করবে।

জামিনের কোন সুযোগ নাই।

অপরাধী প্রমাণের আগেই জেল এবং নূন্যতম ৭ বছর!!
জরিমানা কোটি টাকা!!!! এরা কি গাঞ্জা খাইয়া লেখছে??????

এই দেশে কোটিপতির সংখ্যা কত?

কত জন আমজনতা কোটি টাকা একসাথৈ চোখে দেখছে??

বাকশাল কি কন্ঠ রোধ করেছিল- এটা তারচে ভয়াবহ!!!!!!


বিরোধী দল, মত দমনে এক বয়াবহ অস্ত্র!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

এ ইউ জেড প্রিন্স বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত । আজ হয়তো এই সরকার আই ওয়াশ হিসাবে এরকম আইন পাশ করতে যাচ্ছে । কিন্তু কাল বিরোধীদলে গেলে এই আইনই ব্যবহার করা হতে পারে তাদের উপর । তাই দলমত নির্বিশেষে শান্তিকামী সকল মানুষকে এই আইন যাতে পাশ না হয় সেজন্য প্রতিবাদ জানানো উচিত । একটি স্বাধীন গনতান্ত্রীক দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় খড়গহস্ত চালানোর কোন অধিকার সরকারের নেই ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

দি সুফি বলেছেন: মাত্র ২ বছর! :-& ১৪-১৫ বছর এই কুকুরগুলাকে হাজতে পুরে রাখা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.