নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা শব্দটির মাঝে এক ধরনের মুগ্ধ আবেশ আছে।তাই বলে কি স্বাধীনতার নামে বন্য হয়ে যাওয়া মানুষের সাজে? নিশ্চয়ই নয়।কিন্তু কেউ যদি কবির মতো খেই ধরে বসেন-
"তোমরা যখন শিখছো পড়া
মানুষ হওয়ার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হবো
পাখির মত বন্য।"
তাহলে তার বন্যতাকে কে ঠেকাবে? অথচ বর্তমান সময়ে এই বন্যতারই উন্মাদনা চলছে।পরিণামে মানুষের মর্যাদা হচ্ছে ভূলন্ঠিত। আধুনিক বিশ্বের উগ্র সভ্যতার সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার মানববংশের অন্যতম অংশ 'কোমলমতি' নারীসমাজ। স্বাধীনতার নাম ভেঙ্গে দিচ্ছে বাড়ির দেয়াল।সম্ভ্রমের রাজটীকা দলিত করছে নারী নিজেই, আর তা কেবল "স্বাধীনতার মোহান্ধতায়।"
ঘর,চারপাশ,বিদ্যালয়,মার্কেট, পার্ক,বিনোদনস্পট,তারপর মিডিয়া এইসব কিছু মিলে নারীকে স্বাধীন বানালো, কাড়ি কাড়ি সুবিধা দিলো।কিন্তু তার পরিণতি-ফসলের কতো কথাই আমরা পত্রিকার পাতায় পড়ি।চলুন তার কিছু উদাহরন পড়ে নিই-
বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকায় নারী স্বাধীনতার নমুনা হলো,সেখানে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন নারী নির্যাতিতা হচ্ছে। প্রতি বছর ২০ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ নারী তাদের সঙ্গীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
[দৈনিক ইনকালাব,২১ জুলাই ১৯৯৪ইং]
আমেরিকান হাইস্কুলে ভর্তি হবার পূর্বেই শতকরা ৮৪ জন ছাত্রী যৌন নিগ্রহের অভিজ্ঞতা অর্জন করে।এরপর হাইস্কুলের শতকরা ৭৭ জন এবং কলেজের শতকরা ৪৯ জন ছাত্রী ব্যভিচারে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।নারী স্বাধীনতার ধারক-বাহক ক্যালিফোর্নিয়া এক তথ্যে জানা যায়,সেখানে এক বিদ্যালয়ে ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে শতকরা ১৮ জনই হচ্ছে অবৈধ সন্তান।
[নিউজ জার্নাল,অক্টোবর ১৯৯৪ ইং]
১৯৮৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৯% আমেরিকান পুরুষ স্ত্রীদেরকে দৈহিকভাবে নির্যাতন ও মারধর করে। হাসপাতালে ইমারজেন্সীতে আগত রোগীদের শতকরা ১৭ জন স্বামী কিংবা বয়ফ্রন্ডের নির্যাতনের শিকার বলে পরিসংখ্যানে জানা গেছে।এ সংখ্যা ট্রাপিক চুরি ও ধর্ষণের তুলনায় অনেক বেশী।
যে সকল নারী কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারী দফতরে চাকুরীরত, তাদের শতকরা ৪২ সহকর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন ও ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত নারীদের মধ্য শতকরা ৬০ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত এই সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০%-এ। শুধু ১৯৯১ সালে আমেরিকায় ১১ লাখ পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।১৯৯২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ লাখ। আমেরিকান সেনাবাহিনীতে ৫২% নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শতকরা ২০ জন নারী "জোরপূর্বক" ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ৮ শিশু পর্যন্ত এ নিপীড়ন থেকে বাদ পড়ে নি।
২০০৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাশ্চাত্যে বিয়ে বিচ্ছেদের হার ছিল ৫৪.৮।১৯৯৪ সালে "অবিবাহিত কুমারী মায়ের" সংখ্যা ছিল শতকরা ৪৯.৩। এ কুমারী মায়েদের বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছর। আমেরিকান কলাম লেখক হ্যারাস দেশটির ১১ টি প্রদেশে জরিপ করে বলেছেন, জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার মেয়েদের ৫০%- এর বয়স ১৮ বছরের এর কম এবং ২৫%- এর বয়স ১২ এর কম।জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট- এর অধীনে সম্পাদিত জরিপে দেখা গেছে, ১২ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২০% - আপন পিতার যৌন আক্রমনের শিকার এবং ৪৬% ঘনিষ্ট আত্নীয়-স্বজন ও ৩০% বন্ধুদের দ্বারা নির্যাতিতা হয়েছে।[সুত্রঃ বেদার ডাইজেস্ট,ফেব্রুয়ারী ২০০৫]
লেখিকা কবিতা সুলতানা একটি শিক্ষনীয় অভিজ্ঞতার সুত্র উদ্ধৃত করে লেখেন," এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে একটা প্রশ্ন লেখা দেখলাম- 'হে কুমার! তুমি বিয়ে করতে নারাজ কেন?' পরক্ষণেই চোখ বুলিয়ে তার নিচে লেখা জবাবটাও দেখলাম,' বাজারে দুধ সস্তা পেলে কষ্ট করে গাভী পোষে কোন পাগলে?'
[ধন্য আমি নারী,পৃষ্ঠা নং ৩২]
আরেক লোমহর্ষক খবর, হাওরা রেলস্টেশনে বাংলাদেশের মহিলা এমপি আজমীর যাবার প্রাক্কালে যাত্রীদের রেস্ট হাউজের ১০২ নম্বর কক্ষে ২৭ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮ রোজ শুক্রবার মধ্যরাতে ধর্ষনের শিকার হয়েছেন।
[দৈনিক জালালাবাদ,৯ মার্চ ১৯৯৮ ইং]
এ ধরনের বহু ঘটনা উপস্থাপন করা যাবে।আকার বড় হয়ে যাবে বিধায় আর উল্লেখ করলাম না।
পরিশেষে "সেই" পহেলা বৈশাখ উদযাপনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসটিতে ঘটে যাওয়া সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতি দৃষ্টিনিপাত করছি।এ ঘটনার জন্য লম্পট পুরুষদের অসংযত চোখের হিংস্রতা,কুপ্রবৃত্তি ও নষ্ট চরিত্রের নোংরামি যেমন দায়ী,তেমনি মেয়েদের উগ্রসাজ,বেপরোয়া চলাফেরা ও আকর্ষনকারী ভাব-ভঙ্গিও কিন্তু কম দায়ী নয়। সুতরাং এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ইসলামপ্রদত্ত পর্দা ব্যবস্থা ও বাহ্যিক-আত্মিক সবরকম পবিত্রার গন্ডি রক্ষা করাই হলো সর্বোত্তম সমাধান।
পরিশেষে বলছি, ইসলামী বিধান হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান।আল্লাহ তা'আলা মানবচিত্তের প্রতিটি মুহূর্তের খবর রাখেন এবং সব ধরনের জটিলতা সম্পর্কে সবচে বেশী অবগত আছেন।তিনি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতাকে সামনে রেখেই তার নবীর মাধ্যমে ইসলামী বিধানসমূহ প্রেরণ করেছেন।যা সর্বকালের সর্বোপযোগী শাশ্বত জীবন বিধান।এ জন্যই যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতার যত বিবর্তনই এসেছে,সে বিবর্তন পরিক্রমায় ইসলামী আইন ও বিধানের অবদান সর্বদাই অক্ষুন্ন রয়েছে।পক্ষান্তরে মানুষ আধুনিকতার যুগ-চাহিদাও প্রগতির দাবির অজুহাতে আল্লাহ প্রদত্ত বিধানসমূহের বিপরীত যত রীতি-নীতি ও আচার-কানুনের উদ্ভব ঘটিয়েছে সেগুলোর বিরুপ প্রতিক্রিয়া মানবসমাজে শান্তির প্রতি হুমকি ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।আমাদের এ চিরন্তন সত্য কথাগুলো বিবেক দিয়ে ভেবে দেখা দরকার।
নিচের প্রতিবেদনটাতে দেখে নিন নারী স্বাধীনতায় অগ্রগামী কিছু দেশের নারীদের অবস্থা।
প্রতিটি দেশেই ধর্ষণ নামক মারাত্মক
অপরাধ সংঘটিত হয়েই চলেছে। নিচে দেয়া হলো বিশ্বের প্রথম ১০ টি
ধর্ষণপ্রবণ দেশের
চিত্র।
*দেখুন তো কয়টা মুসলিম প্রধান দেশ আছে তালিকাটিতে।*
১.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র :
বিশ্বমোড়ল সর্বাপেক্ষা ধনী ও
শক্তিশালী দেশ মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেও নারী নিরাপত্তার হার
চিন্তা করার মতো বিষয়। এদেশে
ধর্ষণের শিকার
হওয়াদের মধ্যে ৯১ শতাংশ মহিলা ও
বাকী ৯ শতাংশ পুরুষ।
২.ইংল্যান্ড : ইংল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নততর
দেশগুলির অন্যতম। অথচ সেদেশে
ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে বিস্তর। তথ্য বলছে,
বছরে প্রায় ৮৫ হাজার মহিলা ধর্ষিতা
হন গ্রেট ব্রিটেনে। প্রতি বছর যৌন
হয়রানির শিকার হন প্রায় ৪০ হাজার
মহিলা।ভাববার বিষয় বৈকি!!!
৩.দক্ষিণ আফ্রিকা : আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শিল্পোন্নত দেশ
দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। আর
সেদেশে সাজাও অত্যন্ত কম।ধর্ষণের ঘটনায় কেউ
দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হয় মাত্র
২৪ মাসের জেল।
৪.সুইডেন : উত্তর ইউরোপের উন্নত দেশ সুইডেনে প্রতি ৪ জনে
১ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। এবং
প্রতিবছর ধর্ষণের সংখ্যা হুহু করে
বাড়ছে সুইডেনে।
৫.ভারত: আমাদের পার্শ্ববর্তী বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে
প্রতিমুহূর্তেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে
চলেছে। "নির্ভয়া কাণ্ডের" পর
সেভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি সমাজ
জীবনে। ধর্ষণের ঘটনাও কমার
কোনও লক্ষণ চোখে পড়েনি।
৬.জার্মানি :
ইউরোপের আর এক উন্নত দেশ
জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের
ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৪০
হাজার মানুষ।
৭.ফ্রান্স:
১৯৮০ সাল পর্যন্ত মধ্য-পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনা
অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না। পরে
তা অপরাধের তালিকায় স্থান
পেয়েছে। বছরে ৭৫ হাজারের বেশি
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ফ্রান্সে অথচ ১০
শতাংশ ঘটনারও অভিযোগ জমা পড়ে
না পুলিশে।
৮.কানাডা : 'হাফিংটন পোস্ট' এর
রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে ৪ লক্ষ ৬০
হাজার!!!! মানুষ যৌন নির্যাতনের
শিকার হন কানাডায়। বেশিরভাগ
ঘটনাই ঘটে বাড়িতে চেনা
পরিবেশে এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে
পরিবার- বন্ধুবান্ধবরাই যৌন নির্যাতন
করেন।এটা কি উন্মুক্তভাবে চলাফেরার ফসল নয়?
৯.অস্ট্রেলিয়া : ২০১২ সালের এক জরিপে দেখা
গেছে বছরে নারীর অপ্রয়োজনীয় স্বাধীনতার দেশ অস্ট্রেলিয়াতে গড়ে পঞ্চাশ হাজারের বেশি
মহিলা নির্যাতিতা হন।
১০.ডেনমার্ক : উত্তর ইউরোপের উন্নত রাষ্ট্র ডেনমার্কে প্রতিবছর ৫২% অথার্ৎ অর্ধেকেরও বেশি মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: খাঁড়া!!! হওয়াটাই তো স্বাভাবিক
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
এ আর ১৫ বলেছেন: সৌদী আরবের ধর্ষন পরিসংখ্যান এবং শরীয়া আইনের নামে নারী অধিকারের তামাশা
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হুম। পরিসংখ্যান দেখে শরীরের লোম শিহরিত হয়ে উঠে। চমৎকার পোস্ট । এগিয়ে যান কবি। শুভাশিস রইল।