নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ যদি আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, বিশ্বাসভঙ্গ করেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনার কার কথা মনে পড়বে? পদার্থবিজ্ঞানের ভাষ্যানুযায়ী, সকল তুলনার জন্য আপনার একটি প্রসঙ্গ বস্তু প্রয়োজন। বিশ্বাসঘাতকটি কত মাত্রা পর্যন্ত বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, সেটা হিসেব করার প্রসঙ্গ বস্তু কিন্তু আমাদের ইতিহাসে রয়েছে। আশা করি, “মীরজাফর”-এর নাম, পরিচয় আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই।
“মীরজাফর” নামের অর্থ আমরা যেমন “বিশ্বাসঘাতক” বানিয়ে ফেলেছি, ঠিক তেমনি, আমেরিকার ইতিহাসও একজন মানুষের নামের অর্থ “বিশ্বাসঘাতক” বানিয়ে ফেলেছে। আমরা যেমন বলি “তুই একটা মীরজাফর”, ঠিক তেমনিভাবে ওরাও বলে থাকে “You’re Traitor Benedict Arnold”।
ছবিঃ থমাস হার্ট অংকিত বেনেডিক্ট আর্নল্ডের একটি পোর্ট্রেট (১৭৭৬)।
হ্যাঁ, মানুষটার নাম বেনেডিক্ট আর্নল্ড (১৭৪১-১৮০১)। রাজনায়ক থেকে যে মানুষটা রাতারাতি একজন বিশ্বাসঘাতকে রূপায়িত হয়। ১৭৮০ তে যদি জন আন্দ্রে ধরা না খেতো আমেরিকানদের হাতে, আমেরিকানরা হয়তো কখনো বুঝতেই পারতো না যে, আক্রমণ দেশের বাইরে থেকে নয় বরং দেশের ভেতর থেকেই হয়েছিল।
ছবিঃ John André-র কাছে পাওয়া আর্নল্ডের সাথে ব্রিটিশদের চুক্তির এনক্রিপ্টেড কাগজপত্র।
তবে একজন দেশপ্রেমীকের এইভাবে নিজের দেশকে বিলিয়ে দেওয়ার পেছনে যে কারণগুলো ছিল সেগুলোও বলা হবে।
ছবিঃ আর্নল্ডের বিশ্বাসঘাতকতার খবর চাওড় হয়ে যাওয়ার পর ফিলাডেলফিয়ার মানুষেরা দ্বিমুখী এ মূর্তি তৈরি করে কুশপুত্তলিকা দাহ সম্পন্ন করেছিল।
American Revolutionary War (১৭৭৫-১৭৮৩) তার বীরত্বের স্বাক্ষী বহন করে। ১৭৭৫ সালে যুদ্ধের প্রথম দিকেই আর্নল্ড Ticonderoga দুর্গে অবস্থানরত পুরো ব্রিটিশ সৈনিকদলকে পাকড়াও করে ফেলে। ১৭৭৬ এ ব্রিটিশ সেনাবাহিনী কানাডা হয়ে নিউইয়র্কে প্রবেশ করে দখল করতে চাইলে Lake Champlain এ সংঘর্ষ হয় আর্নল্ড বাহিনীর সাথে। এই যুদ্ধেও জয়ী হয় আর্নল্ড। এর পরের বছরেই সারাটোগায় আর্নল্ডের দুরদর্শীতায় ব্রিটিশ জেনারেল John Burgoyne’s (১৭২২-৯২) আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় তার পুরো আর্মিবাহিনী নিয়ে। এতকিছু সত্ত্বেও আর্নল্ড কখনোই যথাযথ সম্মান পায়নি। এই হল তার ক্ষোভের শুরু।
১৭৪১ সালের ১৪ই জানুয়ারী জন্ম হয় বেনেডিক্ট আর্নল্ড-এর। ছয় ভাইবোনের মাঝে আর্নল্ড ছিল দ্বিতীয়। আর্নল্ড ও তার ছোট বোন হান্নাহ ছাড়া বাকি সবাই শৈশবেই মারা যায়।
মায়ের দিক থেকে আর্নল্ডের পরিবার ছিল বেশ ধনাঢ্য। আর বাবাও ছিল একজন সফল ব্যবসায়ী। চার সন্তানের মৃত্যুর পর তার বাবাকে মদের নেশায় পেয়ে বসে, সমস্ত সম্পত্তিই বেশ অল্প দিনে খোয়াতে হয়। একসময় যার কথা ধরেই নিয়েছিল সকলে, বড় হয়ে সে Yale এ পড়বে, শৈশবের শিক্ষাটাই তেমনভাবে এগোয়নি। চৌদ্দ বছর বয়সেই আর্নল্ডকে তার দুই মামার সাথে ব্যবসায় লাগিয়ে দেয়া হয়।
১৭৫৫ সালে আর্নল্ড একবার চেয়েছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে। কিন্তু মায়ের একমাত্র ছেলে, তিনি আর্নল্ডকে যেতে দেননি। মামাদের সাথে ব্যবসায় দ্রুত সফল হতে শুরু করল সে। ১৭৬২ এর মাঝেই একজন সফল ব্যবসায়ীরূপে (ঔষধপ্রস্তুতকারক ও বইবাঁধাই) আবির্ভূত হল আর্নল্ড। ১৭৬৩ সালের সময়টা খুবই ভাল যায় তার। ব্যবসার জন্য মামারা যে টাকা ধার দিয়েছিল তাকে, পুরো টাকা শোধ করে দেয়। দেনার দায়ে তার বাবা তাদের বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন, সেই বাড়িটাও আর্নল্ড কিনে নেয় আবার। ব্যবসা ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো, লোকবলেরও প্রয়োজনও বৃদ্ধি পেল। আর্নল্ড তার ছোট বোন হান্নাহকে নিয়ে আসলো হিসেব-নিকেশ দেখার জন্য। আর্নল্ড ছিল কঠোর পরিশ্রমী একজন মানুষ, যে খুব দ্রুতই শিখে গিয়েছিল ব্যবসার প্রসার কীভাবে করতে হয়।
কিন্তু ব্রিটিশ আইনের তত্ত্বাবধানে, একের পর এক বাধা যেন লেগেই ছিল ব্যবসায় খাতে। The Sugar Act 1764-65 আর The Stamp Act 1765 পাশ হওয়ার পর আর্নল্ড আর রোখ চেপে রাখতে পারলো না, যোগ দিল Sons of Liberty নামক গুপ্ত প্রতিবাদী সংঘে। লুকিয়ে চুড়িয়ে ব্রিটিশ আইনের বিরুদ্ধে শুরু করল প্রতিবাদ।
১৭৬৭ সালে আর্নল্ড Margaret Mansfield নামক এক সুন্দরীকে বিয়ে করে। তাদের তিনটি ছেলে হয়। তার শ্বশুড় মশাই ছিল শহরের শেরিফ, ব্যবসাতে শ্বশুরের ক্ষমতা ব্যবহার করতে শুরু করল আর্নল্ড। শ্বশুরকে নিজের ব্যবসার অংশীদারও করে নিল।
১৭৭৫ এর এপ্রিলে Lexington-এর একটা দাঙ্গার খবর পৌঁছায় আর্নল্ডের কাছে। আর্নল্ড Continental Army তে যোগ দিয়ে কিছু মানুষজন নিয়ে প্রথমেই New Haven গানপাউডার সাপ্লাই এর দখল নিয়ে নেয়। Dr. Joseph Warren আর Massachusetts Committee of Safety এর সাথে পরামর্শ করে Ticonderoga দুর্গ আক্রমণের প্ল্যান করে। কিন্তু দেখা যায়, Ethan Allen নামক আরো একজন এই দুর্গ আক্রমণে উৎসাহী। আর্নল্ডের অনিচ্ছাসত্ত্বেও Ethan Allen ও তার পুরো দলকে সাথে নিয়ে দুর্গ বিজয়ে যাত্রা করতে হয়। দুর্গ জয় শেষে, Ethan Allen এর দল মজে যায় দুর্গের ব্রিটিশ মদের বোতলগুলো সাবাড়ের কাজে। কিন্তু আর্নল্ড ক্ষান্ত হয় না। Ticonderoga দুর্গ জয়ের পর, বছরের শেষ দিন ৩১শে ডিসেম্বর, আর্নল্ড আবারো যুদ্ধযাত্রা করে Quebec এর উদ্দেশ্যে। এবার উদ্দেশ্য Lake Champlain দখল। আর্নল্ড তার ছোট্ট দলটি নিয়েই পুরো Lake এর দখল এনে দেয় আমেরিকার হাতে।
ছবিঃ ওয়াশিংটন আর্নল্ডকে Quebec এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আদেশ প্রদান করেন।
Lake Champlain থেকে আর্নল্ড সিদ্ধান্ত নেয়, এবার বাড়ি ফিরবে সে। বাড়ি ফিরেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনতে পায়। স্ত্রীর প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। স্ত্রীর মৃত্যুতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। ব্যবসায় মন বসাতে পারে না আর। ছেলে তিনটিকে নিয়ে প্রায়ই সে স্ত্রীর কবরের সামনে বসে সময় কাটায়। একদিন হঠাৎ কি মনে হল, সে ছেলে তিনটির ভার ছোট বোন হান্নাহর কাছে দিয়ে আবারো পাড়ি জমায় ক্যামব্রিজে। পরবর্তী তিন বছরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে অপরিহার্য করে তোলে জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে।
এরইমধ্যে, ৩৭ বছর বয়সী আর্নল্ডের পরিচয় হল এক পরমা সুন্দরী রমণীর সাথে। পেগী শীপেন, মেয়েটির বয়স সবে ১৮। এডওয়ার্ড শীপেন নামক এক বনেদী ধনী লোকের মেয়ে। আর্নল্ড আগ-পাছ কিছু না ভেবেই প্রেমপত্র লিখে বসল মেয়েটিকে। সাথে আরো একটি পত্র লিখল এডওয়ার্ডকেও।
ছবিঃ পেগী শীপেন ও তার একমাত্র মেয়ে।
এডওয়ার্ড বাধ সাধল এ সম্পর্কের প্রস্তাবে। আর্নল্ডের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললো এডওয়ার্ড। সামান্য এক রাজ কর্মচারী, তার কি সামর্থ্য আছে পেগীকে খুশি রাখার।
এরই মাঝে, জোসেফ রীড নামক এক ব্যাক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলো Supreme Executive Council এর। তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতা বলে, সরাসরি প্রকাশ্যে বললেন যে, দেশপ্রেমিকগুলোই হল দেশের প্রধান শত্রু। Continental Congress আর Continental Army কেও এই ধরণের দেশপ্রেমিকদের দলে ফেললেন। সবকিছু যাচাই বাছাই শেষে, রীড এক ইনভেস্টিগেশন শুরু করলেন আর্নল্ডের বিরুদ্ধে।
ছবিঃ জোসেফ রীড.
আর্নল্ডকে নিয়ে আসা হল Supreme Executive Council এর কাছে জবাবদিহিতার জন্য। সমুহ বিপদের আভাস পেয়েও আর্নল্ডের চোখে ভেসে রইল পেগীকে বিয়ে করার স্বপ্ন। পেগীকে তখনও চিঠিতে লিখলেন, “I am treated with the greatest politeness by General Washington and the officers of the army.”
রীড কোর্ট মার্শালে তাকে হেনস্তাই করছিল না, বরং কোর্ট মার্শালের দিনতারিখগুলো দেরীতে রাখছিল, যেন বেশি প্রমাণাদি সংগ্রহ করা যায়। স্বাক্ষী হিসেবে রীড ওয়াশিংটনের এক প্রাক্তন কর্মচারীকেও ডেকে আনলেন। আর্নল্ড নিজেও জানতো না, ওই কর্মাচারী তার ব্যাপারে কী জানে। কিন্তু দিন দিন ঠিকই টের পেলেন, তিনি কঠিন বিপদের পথে সম্মুখীন হচ্ছেন।
পরবর্তী নয়টা মাস, আর্নল্ড হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, যে দেশ আর দেশের মানুষের জন্য সে সারাটা জীবন বিলিয়ে দিল, তাকে জাতীয় সম্মাননা দেয়ার বদলে, এ কি শুরু হল তার সাথে।
শেষ পর্যন্ত আর্নল্ড আর সহ্য করতে না পেরে ওয়াশিংটনকে চিঠিতে লিখলেন, “Having made every sacrifice of fortune and blood, and become a cripple in the service of my country, I little expected to meet the ungrateful returns I have received of my countrymen, but as Congress have stamped ingratitude as a current coin I must take it. I wish your Excellency for your long and sminent services may not be paid of in the same coin.”
আর্নল্ডের বিরুদ্ধে নিয়ে আসা হল দুর্নীতির অভিযোগ। যুদ্ধব্যয়ের হিসেব নিকেশ শেষে দেখানো হল যে, আর্নল্ড প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করেছে প্রত্যেকবার। যদিও আর্নল্ড প্রতিবার নিজের পকেট থেকেও অর্থ ব্যয় করেছে, কিন্তু সেটা কারো নজরে এলো না, অনেক অর্থঋণের আরোপ আনা হল। আর্নল্ডের দেশপ্রেমে তিক্ততার শুরু ঠিক ঐ মুহুর্তটায়। সে খুব দ্রুতই বিশ্বাস পাল্টে ফেলতে শুরু করলো, নিজের উপর, নিজের দেশের উপর। স্বাধীনতার যে আদর্শ তার বুকে এতদিন লালন করে এসেছে সবই পাল্টাতে শুরু করলো।
অপরদিকে ব্রিটিশদের চোখে ঠিকই আর্নল্ডের রণকৌশলগুলি চোখে পড়েছিল। ব্রিটিশ জেনারেল Joyn Burgoyne (যিনি Saratoga-র যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন) লন্ডনে যখন পার্লামেন্টে স্টেটমেন্ট দিচ্ছিলেন তিনি, তখন একটিই কথা ছিল তার মুখে, জেনারেল আর্নল্ড না থাকলে ঠিকই তিনি Saratoga-র যুদ্ধে জয়ী হতেন।
The Royal Gazette আর্নল্ডের ব্যাপারে উল্লেখ করেছিল যে, “General Arnold heretofore had been styled another Hannibal, but losing a leg in the service of the congress, the latter considering him unfit for any further exercise of his military talents, permit him thus to fall into the unmerficul fangs of the executive council of Pennsylvania.”
একদম সঠিক সময়ে আর্নল্ড ব্রিটিশদের নজরে চলে এলো। সবে পেগীর সাথে বিয়ে হয়েছে। আর্নল্ড কথা দিল এডওয়ার্ডকে, সে তার স্বচ্ছলতার প্রমাণ দেখাবে, যদি এডওয়ার্ডের মনে হয়, বিয়ের পর তার মেয়ে সুখে থাকবে তবেই এই বিয়ে সম্পন্ন হবে। ১৭৭৯ এর মার্চে আর্নল্ড ১২০০০ ইউরো লোন নেয় ব্যাংক থেকে। ৯৬ একরের Mount Pleasant নামক এক বিশাল রাজপ্রসাদে কিনে নেয়। ম্যানশনটি পেগীর নামে লিখে দিল আর্নল্ড। অবশেষে এডওয়ার্ডকে এই বিয়েতে মত দিতেই হল।
অতবড় দেনায় ডুবে আর্নল্ড যখন চুড় হয়ে আছে, ব্রিটিশরা সেই সুযোগটিই লুফে নিল। আর্নল্ডকে ওয়েস্ট পয়েন্টের কমান্ডার পদে বহাল করা হয় ১৭৮০তে। আর্নল্ড ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করে যে, পুরো ওয়েস্ট পয়েন্টকে আত্মসমর্পণ করিয়ে দিবে। কিন্তু ব্রিটিশ মেজর জন আন্দ্রে যখন আমেরিকানদের হাতে ধরা পড়ে যায়, তখন তার কাছেই পাওয়া যায় আর্নল্ডের সাথে করা চুক্তিপত্রের দলিলাদি। সকল গোপন তথ্য প্রকাশ পেয়ে যায়। অপরদিকে আন্দ্রেকে পাকড়াও করার খবর শোনামাত্রই আর্নল্ড পাড়ি জমায় sloopof-war Vulture-এ।
ছবিঃ West Point এর মানচিত্র।
ছবিঃ West Point এ আর্নল্ডকে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার নিয়োগপত্র।
তাকে ব্রিটিশ বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ দেয়া হল। এবার ব্রিটিশ বাহিনী নিয়েই শুরু করলেন ঐ দলটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, যে দলটিকে কয়দিন আগে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন। একে একে সব সঙ্গী-সাথীদের মৃত্যুর দোয়ারে পাঠাতে আরম্ভ করল আর্নল্ড।
ছবিঃ সময় ১৭৮১, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে Connecticut এর New London শহরটিতে গণহত্যার আদেশ দেয় আর্নল্ড।
সময়টা ১৭৮১ এর ডিসেম্বর মাস, ব্রিটিশদের আত্মসমর্পণের খবর যখন আর্নল্ডের কানে পৌঁছাল, সাথে সাথেই সে তার পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিল। পরবর্তী বছরগুলোয় আর্নল্ড আবারো ব্যবসায়ীর খাতায় নিজের নামটা প্রসিদ্ধ করতে চাইল। জোর চেষ্টা চালাল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে জায়গা করে নিতে। কিন্তু কিছুতেই কোম্পানীর লোকদের সাথে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ১৭৮৫ তে পরিবার নিয়ে কানাডার New Brunswick এ চলে এলেন। বড় ছেলে রিচার্ডকে নিয়ে শুরু করলেন ব্যবসা। শুরু হল কিছু অর্থোপার্জন। তার পরিবার ফিরে গেল ইংল্যান্ডে, আর্নল্ড রয়ে গেলে ব্যবসা দেখাশোনা করতে। তন্মধ্যেই শুরু হল ফরাসি বিপ্লব। ফ্রেঞ্চরা আর্নল্ডকে গুপ্তচর সন্দেহে কিছুদিন কয়েদখানায়ও রেখেছিল। ১৮০১ এর জানুয়ারীতে অসুস্থ হয়ে পড়ে আর্নল্ড, জুনে মারা যায়।
ছবিঃ Saratoga তে আর্নল্ডের পায়ে আঘাতের রিপোর্ট।
Saratoga যুদ্ধে আর্নল্ড পায়ে আঘাত পেয়েছিল। সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়, শুধু একটি পায়ের ভাস্কর্য। কিন্তু কোথাও আর্নল্ডের নাম লেখা নেই।
ছবিঃ আর্নল্ডের আঘাতপ্রাপ্ত পায়ের স্মৃতিতে নামবিহীন ভাস্কর্য।
ছবিঃ এ স্মৃতিফলকটি রয়েছে Groton শহরে।
Griswold দুর্গে ব্রিটিশ বাহিনী নিয়ে আর্নল্ডের আক্রমণে ১৭৮১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে যেসকল বীর সেনার মৃত্যু হয় তাদেরই ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে নির্মিত এই ফলক, যা রয়েছে Groton শহরে।
বিঃদ্রঃ কাহিনী ও ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১০
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: আমি কোন জায়গায় একথা বলি নি যে, "এটা অনেক বড় বিষয়",
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
আইটি বিডি বলেছেন: বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টি মনে বেশ নাড়া দিল। যুগে যুগে মীরজাফররা রয়ে যাবে। লেখাটি লেখার জন্য যে আপনি বেশ ঘাটাঘাটি করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
________________________________________________
যে কোন বাংলা বইয়ের পিডএফ এর জন্য ভিজিট করুন
https://www.bdeboi.com
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
সনেট কবি বলেছেন: সে একটা বেকুব।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: কে সে?
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আনলের্ন্ড কাহিনি এই প্রথম জানলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: এই জন্য একটা ধন্যিবাদ পাওনা ছিল!!! হি হি হি
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। গঠনমূলক লেখা, চালিয়ে যান।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫
আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: আপনার জন্যও কামনা রইলো,,,,,,, ভাববেন না!!!!!! সেটাও "শুভ"ই
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এমন কোন ইন্টারেষ্টিং বিষয় না যে, ইহাকে এত বড় করে লিখতে হবে।