নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিচার বহির্ভূত হত্মা বন্দ্ধ করতে এগিয়ে আসুন সবাই!

www.extrajudicialkilling.info

আনু দা বেস্ট

আমি খুব সাদা সিদে একজন মানুষ

আনু দা বেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট আঠা বলে কথা; এমনি, লাগলে ছোটে না!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

সত্যি বলছি, আজ আমার লজ্জা লাগে নিজের পরিচয় দিতে! হ্যা, আমার প্রফেশনাল মানে বাংলায় যাকে বলে পেশাগত পরিচয় দিতে !! মানে আমি বলছি, মানে, সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতে!!! কেন? কারণ -আজ আমরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন রকম ধান্দাবাজির সাথে জড়িত!!



বলা হয় কাক, কবি আর সাংবাদিক, একই কথা! এত্তো বেশি যে ছোট একটা ঢিল মারলেও, কারো না কারো গায়ে পড়বে! আর তিনই হয় কাক, নয়তো কবি নয়তো সাংবাদিক কেউ কেউ যত্ন করে সাংঘাতিকও বলে থাকেন। একটু সম্মান করা আর কি!! প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান তার এক ভাষণে বলেছিলেন, "কাক মারা গেলেও কাক সমাজ সহমর্মিতা দেখায়। কিন্তু সাংবাদিক সমাজ থেকে সেই রকম কিছু দেখা যায় না "



এক বাল্ল্য বন্ধু (নাম বলতে চাইনা), ১২ বসর বয়স থেকে একসাথে পড়াশুনা করা এই বন্ধু বর্তমানে ছোটখাটো একজন বেবসায়ী ! শুধু পড়াশুনাই একসাথে করি নাই, ক্যাডেট কলেজের বেড়াজালে বন্দী আমার সেই দুরন্ত শৈশব আর কৈশোরের পার হওয়া ৫০ টি বন্ধ্বুর মধ্যে একটা নক্ষত্র মানুষ বর্তমান এই বেবসায়ী। সে আরেক কথা !



সাংবাদিকতা আর সংবাদিকদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বন্ধুর কথা বলতে যাওয়া, ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতোই! কিন্তু গাইলাম এই কারণে যে, এই মানুষটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। বেবসায়িক লাভ লোকসানের হিসেব নিকেশ করলেও অন্তত নিজের অনুভূতির সাথে তা করে না বলেই জানি। ব্যবসায়ী বন্ধু তার এক লেখায় উল্লেখ করেছিল বেশ কয়েকদিন আগে তাকে কোনো এক সাংবাদিককে ৩৫,০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল! আর তারপর তার ভিতর সেই চেপে থাকা ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছিল তার ওই লেখায়!



বিশ্বের নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় ডিগ্রী নিয়েও তার ওই লেখার কোনো জবাব দিতে পারিনি! ধৈর্য ও সময় ছিলো কম! জীবনের ব্যস্ততা সেই অবসর দেয়নি।জানতে চাইনি কেন তাকে ৩৫,০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল! সে কোনো অপরাধ করেছিল, কিম্বা করেনি সেটা এমন কোনো বিষয় নয়! ধরে নেই সে এমন কোনো কুকর্ম করেছিল যা সে ঢাকতে চেয়ে ছিল ৩৫,০০০ টাকা ঘুষ দিয়ে। কিন্তু এই ধরে নেবার পরেও মানতে পারি না যে তার এই অপরাধকে ঢাকতে সমাজের একটা চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৩৫,০০০ টাকার বিনিময়ে! আর সেই কারণেই ঘেন্না হয় পরিচয় দিতে!



পরে জানতে পেরেছিলাম, সেই বন্ধুটির কোনো অপরাধ ছিল না! ছলে বলে তার থেকে সে টাকা নিয়েছিল এক সাংবাদিক।



এইটাতো একটা মাইক্রো লেভেলের উদাহরণ হলো। আরো জানতে চাই ? আসুন দেখি ম্যাক্রো লেভেল, মানে জাতীয় পর্যায়!



আপনারা কি জানেন সাংবাদিক সাগর আর রুনির হত্যাকান্ডের জন্য কার বেশি লাভ হয়েছে? কোন সাংবাদিক নেতা এই হত্যাকান্ডের জন্য সবচে বেশি বেনেফিশিয়ারী?



হ্যা ভাই, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া-বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী!



এই ভদ্দরনোক, যতদুর মনে পরে গোলাম আজমের নাগরিকত্বের দাবিতে বিব্র্র্তি দেওয়া একজন সাংবাদিক! এই তিনিই অবজারভার এর সাংবাদিকদের কোটি টাকা বেতন বকেয়া রাখা সম্পাদক! এই তিনিই আওয়ামী টিকেটে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করা একজন সম্পাদক! সবশেষ ধান্দা করলেন সাগর আর রুনির লাশের উপর দাড়িয়ে।



http://www.youtube.com/watch?v=Y9JfO65iyBs (সময় না থাকলে - দেখুন ১মিনিট ২০ থেকে).



সাগর আর রুনি হত্যাকান্ডের পর সবচেয়ে বেশি সরব এবং আন্দোলনকারী সাংবাদিক নেতা ছিলেন তিনিই। লাভ? দেখুন তিনিই আজ প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া-বিষয়ক উপদেষ্টা।



উল্টো রথে চড়েবসা বড় সাংবাদিক নেতাও আছেন বৈকি ! না পাওয়া এর বেদনা আর ক্ষোভ আজ তাদেরকে টক শোর ষ্টার এ পরিনত করেছে! তিনি আমাদের মুসা ভাই! এ.বি.এম. মুসা। তিনি তো বেশি কিছু চান নাই! মাত্র একটা চ্যানেল চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের মনপুত হয়নি তার অতীত কর্ম কান্ডের জন্য! তো সরকার বাবাজী গোয়েন্দা রিপোর্ট এ জানতে পারল -রংবাজী করা স্বভাব আছে উনার মধ্যে। পাল্টি খেতে পারেন যখন তখন ! তাই তাকে দেয়া হয় নি "চ্যানেল ৭১" নামের টেলিভিশন চ্যানেল। ফলাফল যা তাই! আমাদের মুসা ভাই নগদে পাল্টি খেলেন।



আরো এক কুতুব আছেন! উনি জীবনের বিভিন্ন চড়াই উতরাই পার করেছেন বিভিন্ন পেশায়! জীবনের মধ্য গগনে উনিই আমাদেরকে মাঝ রাতে চাদে কোনো এক রাজাকারের ছবি দেখান। এতটাই সফল যে উনি গোয়েবলসকেও হার মানিয়েছেন। পথের কাটা, আমাদের মাহমুদুর রহমান বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ধান্দাবাজী করতে চেয়েছিলেন! বিধিই শুধু নয়, সরকার বাবাজীও বাম!



ব্যতিক্রম যে নাই তাতো হতে পারে না! গতকালের ঢাকা ট্রিবিউন এর ফটো সাংবাদিককে মনে পড়ে? প্রয়োজনে তিনি পেশাগত দ্বায়িত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন!! সফি আর বাবুনাগরী যাদের তেতুল বলেন তাদেরকে রক্ষা করতে! হ্যা জাতীয় পতাকার মুখোশ পরা সফি আর বাবুনাগরীদের হাত থেকে সেই তেতুলকেই রক্ষা করতে!!



এই রকম আরো কুতুব আছেন! সবারই আমলনামা তৈরির কাজ চলছে, একটু সময় লাগবে বৈকি।



এই হলো আমাদের সাংবাদিক সমাজ। সমাজের চোখ বলে কথা। আমরা জানি কখন বন্দ্ব করতে হবে, আর কখন খুলতে হবে! যখন খুলে রাখতে হবে বলে কথা ছিল তখন আমরা বন্দ্ব করে রাখি, আর সেই বন্দ্ব করে রাখা এমনি যে আগুনে শরীর পুড়ে গেলেও খুলে দেখি না। কর্পোরেট আঠা বলে কথা; এমনি, লাগলে ছোটে না!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-১

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

সোহানী বলেছেন: আমি আপনার লিখা পড়ে আশ্চর্য হয়েছে। আমাদের মত সাধারন মানুষের কাছে কিন্তু আপনারা অনেক শ্রদ্ধার পাত্র...........অনেক বিশ্বাস করি আপনাদের।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মুহসিন বলেছেন: "গতকালের ঢাকা ট্রিবিউন এর ফটো সাংবাদিককে মনে পড়ে? প্রয়োজনে তিনি পেশাগত দ্বায়িত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন!! সফি আর বাবুনাগরী যাদের তেতুল বলেন তাদেরকে রক্ষা করতে! হ্যা জাতীয় পতাকার মুখোশ পরা সফি আর বাবুনাগরীদের হাত থেকে সেই তেতুলকেই রক্ষা করতে!!
"
-- তাহলে সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে ঢোকা যুব-ছাত্রলীগ কর্মীরাই কি সেই " জাতীয় পতাকার মুখোশ পরা সফি আর বাবুনাগরী "? Click This Link

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

আনু দা বেস্ট বলেছেন: @সোহানী: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

আনু দা বেস্ট বলেছেন: @মুহসিন পত্রিকা পড়ুন ! একটা দুইটা নয় , পারলে বেশি পড়ুন, সঠিক খবরটি জানতে ! ওইটা কারা ছিল সব পত্রিকার পাতায়ই পাবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.