![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দক্ষিণখান বর্ণমালা স্কুল হতে ২ ছাত্রী নিখোঁজের রহস্য উদঘাট্ন!
এমএবি সুজন
জানা যায়, নিখোঁজ ঝিনুক আক্তার ইভা, পিতা সাদ্দাম হোসেন আপন ও আরিফা আক্তার সাদিয়া, পিতা মোঃ আরিফ তারা পরিবার নিয়ে দক্ষিণখান দক্ষিণপাড়া পাগল বাচ্চুর বড়ভাই গিয়াস উদ্দীদের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ছাত্রী ঝিনুক ও সাদিয়া রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন দক্ষিণপাড়া বর্ণমালা একাডেমি স্কুল থেকে ছুটির পর আনুঃ ১১টার দিকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।
এদিকে ২৫ জুলাই দুপুরের পর ২ পরিবার মেয়ে দুটির সন্ধান পান এবঙ ভিডিও কলে কথা বলেন। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী আত্মীয় বাড়িতে নিরাপদে রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাদিয়া এবং ঝিনুক লেখাপড়ায় বেশ অমনোযোগি। পড়ালেখা সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুল ও পারিবারিক শাসনে বিশেষকরে নিজ নিজ পিতার প্রতি বিরক্ত হয়ে রাগের মাথায় তারা দুজনে কিছু দিনের জন্য কোন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার পরিকল্পনা করে। সাদিয়া বয়সে বড় হওয়ায় তার পরামর্শে ঝিনুকও সাদিয়ার সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সেমতে গত ২৪ জুলাই সাদিয়া বর্ণমালা একাডেমির বাহিরে থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঝিনুকের ছুটির অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছুটি হলে ঝিনুকের সাথে থাকা ছোট ভাইকে ঝিনুকের পরিবর্তে সাদিয়া বাড়িতে দিয়ে আসে পরে স্কুলের সামনে থেকে তারা দুজন প্রথমে বিমানবন্দর বাস ষ্ট্যান্ডে যায়। সেখানে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তারা সদরঘাটগামি বলাকা বাসে করে সদরঘাট চলে যায়। সেখানে গিয়ে সাদিয়া ঝিনুকের নানীর বাড়ি বগা, পটুয়াখালী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তারা দুজনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমা রাখা টাকার বিনিময়ে পটুয়াখালীর লঞ্চে উঠে রাত পেরিয়ে ভোর সকালে পটুয়াখালী পৌঁছায়। লঞ্চ থেকে নেমে লোক মারফত খবর পাঠালে ঝিনুকের নানার বাড়ীর লোকজন লঞ্চ ভাড়ার বাকী টাকা পরিশোধ করে তাদের নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যায়। ২৫ জুলাই দুপুরের দিকে ঝিনুকের বাবা আপন জানতে পারে মেয়ে দুটি এখন তার শশুড় বাড়িতে আছে। পরে দুই পরিবারের লোকজন ঢাকা টু পটুয়াখালী গিয়ে মেয়ে দুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে আসেন।
এদিকে দক্ষিণখান থানার জিডি আমলে নিয়ে দক্ষিণখান থানা পুলিশের যথাযোগ্য আদর্শ ও নীতিবান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমান মামুন এর নির্দেশে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই সাদেক ও এসআই তাজিব এর জোর প্রচেষ্টায় তদন্ত ও অনুসন্ধান চলতে থাকে। দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হন মেয়েদের অবস্থান। পরে পুলিশের নির্দেশে অভিভাবকগণ দ্রুত মেয়ে দুটিকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং ২৮ জুলাই থানায় হাজির হন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া মেয়েদের স্বীকারোক্তি থেকে সত্য রহস্যটা জানা যায়।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, স্কুল থেকে ২ ছাত্রী নিখোঁজ! বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য আমার অফিসারদের নির্দেশ দেই। তারা মেয়ে দুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন এবং অল্প সময়ে সফল হন।
সূত্রঃ দক্ষিণখান থানার জিডি নং ১৫০৩ ও ১৫০৪, তাং ২৫ জুলাই ২০২২।
©somewhere in net ltd.