নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ আব্দুল আহাদ

সৈয়দ আব্দুল আহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

::: ইলাহ :::

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

এক FACEBOOK FRIEND এর একটা STATUS দিয়ে শুরু করি............।

সান গ্লাস আর লুঙ্গি পরে চা খাওয়ার ভাব নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে, “LUNGI STYLE”। কিছু দিন ধরে রাস্তার আনাচে কানাচে মাত্রাতিরিক্ত শুনা যায় বিশেষ করে মার্কেট গুলোতে BOOLLYHOOD KING KHAN, SARUKH KHAN এর LUNGI DANCEগান...যাকেFOLLOWকরে, সে এ ধরনের FACEBOOK STATUS তৈরি করেছে......।

সেলুনে চুল কাটতে গেছি, প্রায় ঘণ্টা দেরএক WAITকরতে হয়েছে, সেলুনের আয়না গুলোতে প্লাস দেয়ালে অনেক HOOLLYHOOD BOOLLYHOOD এরHEROদের ছবি টানানো আছে। আমার WAIT করার ঠিক ঐ সময়টায় এক SO CALLED SMART ছেলে এসে কোন এক HOOLLYHOOD তারকার HAIR STYLE দেখিয়ে নিজের কাল চুল লাল করে ROUND CUTTING করে নিল। বিনিময়ে তার গুনতে হল ১২০ টাকা । আর আমি নরমাল ARMY CUUTING কাটলাম ৪০ টাকায়.........।

আমাদের সমাজের তরুণরা নিজের জ্ঞান দিয়ে অথবা অজান্তেই এই HOOLLYHOOD আরBOOLLYHOOD দ্বারা অনুপ্রাণিত , তাদের মনজগতের সবটুকু জুরে তাদের তারকাদের LIFE STYLE কে স্মরণ করে এবং ঐ জীবন ধারনের উপায়টাকে তারা অনুসরন করে।

আমাদের দনিয়া এলাকায় নতুন একটা PARLOUR হয়েছে, ছেলেদের জন্য......। নাম “HOOLLYHOOD PARLOUR–II” । ‘-I’ টা কোথায় আছে আমার জানা নাই...। এখানে BODY BUIELD করা হবে, FACIAL করা হবে,......... ইত্যাদি HOLLYHOOD HERO দের ন্যায়।

আজ আমাদের প্রত্যেকটা স্তর থেকে দেখা যাচ্ছে WEST দের FOLLOW করার...

নিত্য নতুন DRESS UP, নতুন HAIR STYLE থেকে______ LIFE STYLE সব কিছুতেই তাদের কে FOLLOW করা হচ্ছে......।

আজআমাদেরআলোচনারনয়আমরাWEST কে FOLLOW করি কি করি না?

আজকের আলোচনা নির্ধারণ করা হয়েছে “ ইলাহ”।

আমরা প্রত্যেকে মুসলিমই কালেমা তাইয়িবা পড়ে মুসলিম হই.........।

কালেমা তাইয়িবা ,

“ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” (সাঃ)।

“ আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ(সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল”।

এই কালেমা কে মানা যেহেতু মুসলিম হওয়ার পূর্বশর্ত সুতরাং আমাদের এ কালেমাকে নিয়ে আলোচনা জরুরী । এর অতি ক্ষুদ্র একটি শব্দ “ইলাহ” নিয়েই আলোচনা......।



আমার আলোচনার শুরুতেই কিছু ঘটনা SHARE করেছি, আমার FB FRIEND, SHARUKHAN এর LIFE STYLE কে নিজের LIFE STYLEএ FOLLOW করবার চেষ্টা করছে। আমরাও নিশ্চয় যথেষ্ট ওয়াকিবহাল যে আমাদের যুব সমাজ কিভাবে এসব SO CALLED HERO দের FOLLOW করে। সালমান খান পকেটে হাত দিয়ে নাচলে ঐটাও FOLLOW করে, আবার শারুখ খান লুঙ্গি পড়ে নাচলেও তাও FOLLOW করে। আশা করা যায় এসব SO CALLED HERO রা UNDER WEAR পড়ে DANCE করলেও আমাদের FANTASY যুবসমাজ নেমে তা নিয়েও নেমে যাবে।

আর এভাবে তাদেরকে FOLLOW করবার মধ্য দিয়ে আমাদের যুবকরা তাদের প্রতি বদান্যতার সহিত আনুগত্য প্রকাশের ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে” কেউ FACEBOOK এ STATUS SHARE করে, কেউ দু চারটা GIRL FRIEND MAINTAIN করে আবার কেউ গিটার MUSIC, CAREERনিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় মধ্য দিয়ে...।

আবার আমাদের সমাজে আরেকটা SECTOR চুখে পড়বে যারা প্রতিদিন ব্যস্ত থাকে CRICKET ,CLUB FOOTBALL কে নিয়ে। কে কখন কার সাথে খেলছে, কোন PLAYER কত রান নিল, কত WICKET পেল বা কে কতটা গোল দিয়েছে ইত্যাদি নানা বিষয় তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। তারপর আস্তে আস্তে এই খেলার জগতেও কিছু HERO খুঁজে পায়। যেমন বর্তমানে EXISTING কিছু HERO TYPE PLAYER –FOOTBALL এমেসি, রোনালদো ... ক্রিকেট এ শচীন , সাকিব, তামিম.....।SO আমরা তাদেরকেHERO মেনে আমরা আমাদের LIFE STYLE কেও তাদের সাথে ADJUST করতে চেষ্টা করি।( তাদেরকে FOLLOW করি বলেই FRIEND & LOVELY, MY-ONE, AB BANK, আর কিছু FOODS COMPANY তাদেরকে নিয়ে ADD বানিয়ে থাকে।) তাই তাদের HAIR STYLE , তাদের DRESS UP থেকেশুরু করে তাদের BODY MOVEMENTও FOLLOW করা শুরু করে। আর এভাবে তাদের প্রতি তাদের আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

আবার এদিকে বিশ্ব প্রেমিকের দল নিজেদের কে গড়ে তলে ললনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে। BODY BUILD, HAIR STYLE, BRANDING DRESS UP ইত্যাদি MAINTAIN করে GIRL FRIEND যেন MAINTAIN হয়। এখন দাঁতও BRASH করে GIRL FRIEND MANAGE এর জন্য। এই গার্ল ফ্রেন্ড মেনেজ এর জন্য তারা জান ও মাল উভয় বিনিয়োগ করে অত্যান্ত খুশুর সহিত THAT MEANS আন্তরিকতার সহিত।

প্রিয় ভাইয়েরা, এখন আমরা যে কালেমা পড়ে আসলাম ঐ কালেমার ইলাহ এর MEANING টা একটু লক্ষ্য করি......

“ ইলাহ হচ্ছে এমন কোন শক্তি যার কাছে মানুষ নিজেকে সমর্পণ করে এবং যার অনুসরণ করে, আনুগত্য করে”।

তাহলে প্রিয় ভাইয়েরা “ইলাহ” আমাদের কে ???

শারুখ , সালমানের মত FILMY STAR রা......??? নাকি সাকিব, রোনালদো ,মেসি এর মত PLAY GROUND STAR রা ...??? না গার্ল ফ্রেন্ড বা এরকম আরও যা আছে , যা আমরা অনুসরণ করি, আনুগত্য করি......... তারা???

এক্ষেত্রে গভীর চিন্তা করা উচিত, ইলাহ হিসাবে কাকে নিলাম???

তবে এখানও এক মহল থাকবে, যারা নিতান্তই বলবে , আমি আমার মত চলি, আমি কাউকে FOLLOW করি না, আমার মনকে শুনি। ( FRIEND & LOVELY এর ADD এর মত করে)।

তাদের ক্ষেত্রেও তাহলে ইলাহ কে...........................????

আসলে আজ আমাদের যুব সমাজ চিন্তা শুন্য থাকার কারনে নিজের অজান্তেই তাদের ইলাহ হিসাবে HOLLYHOOD BOLLYHOOD এর নায়ক নায়িকাদের নিয়েছে, MUSIC STAR, SUPER STAR PLAYER দের কে নিচ্ছে বা নিজের মনকে।

এখানে আল্লাহ (সুব.) যথার্থ বলেছেন, এভাবে...

“ অনেক মানুষ আল্লাহার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে,কিন্ত সাথে সাথে শিরকও করে”।

(সুরা ইউসুফ : ১০৬)

আল্লাহ (সুব.) পবিত্র কিতাবে বিভিন্ন আয়াতে আমদেরকে সতর্ক করেছেন ইলাহ ব্যাপারে। চিন্তা শূন্যস্থূল মস্তিষ্ক ইলাহকে বিভিন্ন যায়গায় পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে।

যেমন,

আমরা ইলাহ হিসাবে পীর , ফকির, দরবেশ দের গ্রহন করে থাকতে পারি, যেমনটা ইহুদী – খ্রিস্টানরা করত,তারা আল্লাহর কিতাবের চেয়ে তাদের আলেম দরবেশদের কথাকে বেশি প্রাধান্য দিত। ঠিক একইভাবে বর্তমানেও আমাদের মুসলমানরাও কোরআন সুন্নাহ এ কি আছে,না আছে তা না দেখে পীর, আলেমরা যা বলে তাই CONCEPT আকারে ধারন করে ইলাহকে পরিবর্তন করে নেয়। যেখানে আল্লহ (সুব...) বলেন,

“ তারা আল্লাহর পরিবর্তে তাদের ধর্ম যাজক ও সাধুদেরকে নিজেদের প্রভু বানিয়ে নিয়েছে”।

[সূরা তাওবা : ১১]

আমরা অনেক ক্ষেত্রে রিযিক দাতা ও সাহায্যকারী হিসাবে “ ইলাহ” এর পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকি, যেমনটা আল্লাহ (সুব.) বলেন,

“ তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে ইলাহ বানিয়েছে, যাতে করে তারা তাদের কাছে সাহায্য পায়”।

[সূরা ইয়াসীন : ৭৪]

ঠিক একইভাবে আমরা আইন গ্রহনের সময় ইলাহকে পরিবর্তন করে থাকতে পারি। যে আমাদের আইন দিবে বা আমরা যার আইন গ্রহন করব সেই আমার ইলাহ, কেননা আমরা তাকে অনুসরণ করছি...। যেমন মুসা (আঃ) এর আসার পূর্বে ফেরাউন ছিল,

“ফেরাউন ঘোষণা করল, আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ রব”

[সূরা নাজিয়াত : ২৩-২৪]

BECAUSE ফেরাউন তখন ঐ জাতিকে RULE করত নিজের রচিত আইন দ্বারা।

যেখানে আল্লাহ (সুব.) বলেন,

“আল্লাহ ছাড়া আর কারো বিধান দেয়ার ক্ষমতা নেই”।

প্রিয় ভাইয়েরা ইলাহ হিসাবে আমরা আমাদের মনকে গ্রহন করতে পারি...। যদি আমার আমাদের মনকে অনুসরণ করি, আল্লাহ (সুব.) বলেন,

“আপনি কি তাকে দেখছেন না, যে নিজের প্রবৃত্তিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে”।

[সূরা ফোরকান : ৪৩]

হযরত আবু উমামা ( রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সা.) বলেছেন,

“আসমানের নিচে আল্লাহ ছাড়া আর যত মাবুদের পূজা করা হয়, তন্মধ্যে আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট মাবুদ হচ্ছে নফসের খাহেশ যা অনুসরণ করা”।

সুতরাং সার্বিকভাবে বললে, আজকে আমরা যা কিছু করছি যাকে ইলাহ মেনে, তাকেই আমি ইলাহ হয়ত মুখে বলছি না কিন্তু কাজে প্রকাশ করছি, আর যাকে মুখে স্বীকার করি কিন্তু কাজে তার কোন চিহ্ন নেই, তাহলে এই ভয়ানক বার্তা কি আমাদের জন্য নয়,



“নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম”।

[সূরা মায়েদাহ : ৭২]

প্রিয় ভাইয়েরা, আল্লাহকে ইলাহ হিসাবে সম্পূর্ণভাবে গ্রহন করতে হবে, আংশিকতার কোন সুযোগ নেই। মুসাইব ইবনে উমর , আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, উমর, আবু বকর, বিল্লাল ( রা.) রা যেভাবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর MESSAGE দ্বারানিজের জীবন কে পুরোপুরি CHANGE করেছেন, ঠিক সেই ভাবে আমরা যেন আমাদেরকে পরিবর্তন করতে পারি, আল্লাহ আমাদের সেই তোফিক দান করুক ...। আমিন।

ওআসসালামু আলাইকুম।য

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৪

শাহিরয়ার রেজা আদনান বলেছেন: +

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৮

জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: গীবত ভালো না। এইগুলা অফ দেন।
আমার ব্লগে নিমন্ত্রন থাকল।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সৈয়দ আব্দুল আহাদ বলেছেন: Thanks, But I just highlight the thinking of our young generation.
Nimontron Grohon Korlam.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.