নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আশাহত নই। তবে প্রাপ্তিতে সন্তুুষ্টও নই।

এ. হান্নান

এ. হান্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট, জিম্বাবুয়ের পাকিস্তান সফর

২২ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২১

৩ মার্চ ২০০৯ ইং বিশ্ব ক্রীড়াজগতে এক কলংকজনক ঘটনা ঘটেছিল, সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের লিবার্টি স্কয়ারের কাছাকাছি স্হানে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের উপর হামলা করে। এ হামলায় ছয় পুলিশ ও দুইজন নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হয়। শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের ছয় সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং সিরিজ শেষ না করে দেশে ফেরত যায়। বিশ্ব ক্রীড়া অঙ্গনসহ সারাবিশ্বের মানুষ ঘটনাটির নিন্দা জানায় এবং আইসিসি পাকিস্তানে অন্যান্য দেশকে দল পাঠাতে নিষেধ করে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে পাকিস্তানের অনেক চেষ্টার পর জিম্বাবুয়ে সেখানে দল পাঠিয়েছে, যা স্বাগতিকদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। দেশটিতে জঙ্গী হামলায় প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলকে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রপতি ধাচের সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা ঘোষনা করেছে এবং আজ পর্যন্ত তা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ২০০৯ সালেও শ্রীলংকা দলকে এ রকম নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কারন পাকিস্তানে জঙ্গী সংগঠনগুলোর সরকারের নিরাপত্তার চাদর ভেদ করা তাদের কাছে কোন বিষয়ই নয়। অন্যদিকে ২০০৪ সালে লস্কর-ই-তৈয়বার ক্রিকেট খেলার বিপক্ষে ফতোয়া কিন্তু এখনও বলবত আছে। সংগঠনটি ক্রিকেট খেলাকে ইসলাম বিরু্দ্ধ বলে মনে করে। সাহসী জিম্বাবুয়ে টিমের নিরাপত্তার কথা ভাবতে গিয়ে আবার খেলায় মনোনিবেশ সমস্যা না হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেখে তাদের ভড়কে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে প্রমান করতে হবে যে, ”নিরাপত্তাহীনতার আশংকা পাকিস্তানে নেই” এবং বিশ্বের অন্যদলগুলোকে এই বার্তাটি পাঠানোর এটাই সুযোগ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.