![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট ২০২২-২৩। এই বাজেট এক কঠিন সময়ে জাতির সামনে পেশ হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির যে সংকট চলছে তাতে মনে হয় এই বাজেটের সাথে বাস্তবতার কোন মিল পাওয়া যাবে না। যেহেতু ২০২১-২২ বাজেটের সাথে সাধারন মানুষ বাজেটের কোন মিল পায়নি তাই তারা বাজেট ঘোষনা শুনার কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। গত অর্থবছরের আমার ব্যক্তিগত বাজেটই আমি মিলাতে পারলাম না। আশা করেছিলাম ২০২১-২২ সালে আয় বাড়বে এবং ব্যয় বাড়লেও কিছু টাকা সঞ্চয় হবে। কিন্তুু সে আশা আজ গুড়েবালি। একদিকে আমার আয় কমেছে আবার ব্যয়ও অনেক বেড়েছে। সেখানে আ হ ম মোস্তফা কামাল ১৬ কোটি মানুষের বাজেট কিভাবে মিলাবেন? একদিকে করোনার ধকল এখনও চলমান, অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধও কোথায় গিয়ে ঠেকে বুঝা যাচ্ছে না। তেল, খাদ্যশস্যের সংকট যে সারা বিশ্বে ২০২২-২৩ সালে হবে, তা সব অর্থনীতিবিদই এক বাক্যে স্বীকার করবে। এই দুই পন্যই মুদ্রাস্ফীতিকে আরও তরাম্বিত করবে তা নিশ্চিত বলা যায়। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বড় আশা করে এ বছরের বাজেটের নাম দিয়েছেন ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’। আমার মতে এই অর্থবছরে সবচেয়ে বিশ্বকে ভোগাবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ আর পরাশক্তিগুলোর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। মার্কিন ও তার মিত্রদের অর্থনীতিক নিষেধাজ্ঞা যতদিন পর্যন্ত অন্যদেশের অপর চলমান থাকবে ততদিন মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারনা পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হবে না। কোন দেশেও তার জাতীয় বাজেট, বাস্তবতার সাথে মিল রাখতে পারবে না। সরকার তার অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখার জন্য, দুই দিন পর পর জারি করবে ভ্যাট, কর ও সম্পূরক করের পরিপত্র। দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। আর এই সুযোগে কিছূ অসাধূ ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে সিন্ডিকেট ব্যবসা করে দ্রব্যমূল্যকে আরও বাড়িয়ে দিবে। তাই আমার দৃষ্টিতে করোনার অভিঘাত নয় ২০২২-২৩ সালের শ্লোগান হওয়া উচিত ‘যুদ্ধের খেলা থামিয়ে দেশ চলুক উন্নয়নে’। যদিও এ খেলা নিয়ন্ত্রনে আমাদের তেমন হাত নেই। তবুও বিশ্বরাজনীতিবিদদের কাছে হোক আমাদের আহ্ববান ‘যুদ্ধের নেই কোন মানে, বিরোধ নির্মূল হবে টেবিলের সমাধানে’।
©somewhere in net ltd.