নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। টেকনোলোজি, ধর্ম, সমাজ ও সমস্যা, ফ্রিল্যান্সিং ও মার্কেটিং সহ নানা টপিকের উপরে লেখালেখি ও ভ্লগিং করা আমার নিয়মিত কাজ। এ ছাড়া দ্বীনের দাওয়াত আমার সব থেকে পছন্দের সেক্টর।

আব্দুল্লাহ ইথার খান

আমি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। টেকনোলোজি, ধর্ম, সমাজ ও সমস্যা, ফ্রিল্যান্সিং ও মার্কেটিং সহ নানা টপিকের উপরে লেখালেখি ও ভ্লগিং করা আমার নিয়মিত কাজ। এ ছাড়া দ্বীনের দাওয়াত আমার সব থেকে পছন্দের সেক্টর।

আব্দুল্লাহ ইথার খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিবত কি জেনার চেয়েও মারাত্মক? যেহেতু আমরা প্রতিদিন-ই কম বেশী গীবত করি তাই আসুন গীবত সম্পর্কে কয়েকটা বিষয় জানি

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৫

ধরুন, আমাদের কাউকে যদি কেউ খুব আন্তরিকতার সাথে দাওয়াত করে; সুন্দর ও সুস্বাদু করে শুকরের গোশত রান্না করে সামনে পরিবেশন করে।
সাথে সাথেই কিন্তু আমরা তার আন্তরিকতা, তার কস্ট করে রান্না সব ভুলে গিয়ে তাকে তিরস্কার করে বলবো,
আপনি মানুষটা কি পাগল?
জানেন না আল কুরআনে শুকর আল্লাহ হারাম করেছেন।
আপনি কেমন করে একজন মুসলমানকে শুকরের গোশত খেতে দিলেন।

কিন্তু এই মুসলিম দাবী করা মানুষটাই প্রতিদিন কারো না কারো গীবত বা বদনাম করেন, করতেই থাকেন।
এই মানুষটাই কোন একটা সম্পর্কে যদি একটু এদিক সেদিক হয় তাহলে,
সেই দশ বিশ বছরের পুরনো কথা মনে করে তার নামে সত্য মিথ্যা মিশিয়ে গীবত ও মিথ্যারোপ করেন।
মনের এই বিষ যতক্ষণ না তার (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু, পরিবার ইত্যাদি) কাউকে বলে তাদের অন্তরে সেই মানুষটার প্রতি বিষাক্ত মনোভাব তৈরি না করান ততোক্ষণ পর্যন্ত থামেন না।
এই সিলসিলা চলতে থাকে, চলতে থাকে যুগ যুগ, জন্ম জন্মান্তর ধরে।

এত বিষ, এত হিংসা, এত বিদ্বেষ, এত আক্রোশ দুনিয়াতে তাদের পরিজনদের দিয়ে একদিন সে দুনিয়া থেকে চলে যান।
এরপরে তার পরিজনেরা এটা ক্যারি (বহন করে), কিন্তু কোন দিন আসল সত্যটা জানার চেষ্টাটা পর্যন্ত করে না বা বহু পুরনো কথা ভুলে যাই! সেটা ও করেন না।

অথচ কুরআনে আল্লাহ শুকর হারাম করেছেন, যে শুকরের নাম শুনলে তার ঘৃণার উদ্রেক হয়
সেই কুরআনেই আল্লাহ বলেছেন গীবত মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মত বীভৎস, ঘৃণ্য ও নোংরা কাজ।
কিন্তু সেটা আমাদের কারো মনে হয় না, উল্টো যুক্তি দেই সত্য বলছি বানিয়ে তো বলছি না।

আহম্মকের দল জানেন না যে সত্যি বলাটাই তো গীবত যা হারাম ও নিকৃষ্ট কাজ।
রসূল সঃ বলেছেন,
তোমরা কি জানো গিবত কাকে বলে?’ সাহাবিরা বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) ভালো জানেন।’ তিনি বলেন, ‘তোমার কোনো ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গিবত।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যে দোষের কথা বলি, সেটা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তাহলেও কি গিবত হবে?’ উত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যে দোষের কথা বলো, তা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তবে তুমি অবশ্যই গিবত করলে আর তুমি যা বলছ, তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তবে তুমি তার ওপর তুহমত ও বুহতান তথা মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছ।’ (মুসলিম)।

আরও ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, গিবত করা ও গিবত শোনা সমান অপরাধ। গিবত বা পরনিন্দা ইসলামি শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ। অনেকেই পরনিন্দাকে পাপ বা নিষিদ্ধ বলে মনেই করেন না।

সব থেকে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে,
মদ্যপান, চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক ও নিকৃষ্টতম পাপ ও কবিরা গুনাহ হলো গিবত। অন্যান্য পাপ তওবা দ্বারা মাফ হয়; গিবতকারীর পাপ শুধু তওবা দ্বারা মাফ হয় না, যার গিবত করা হয়েছে, সে ব্যক্তি যদি মাফ করে, তবেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যেতে পারে। একটি কবিরা গুনাহ কাউকে জাহান্নামে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন আমাকে মিরাজে নিয়ে যাওয়া হলো, তখন আমাকে তামার নখবিশিষ্ট একদল লোকের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। তারা তাদের নখগুলো দিয়ে স্বীয় মুখমণ্ডলে ও বক্ষদেশে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল! এরা কারা? জিবরাইল (আ.) বললেন, এরা দুনিয়াতে মানুষের গোশত ভক্ষণ করত এবং তাদের মানসম্মান নষ্ট করত। অর্থাৎ তারা মানুষের গিবত ও চোগলখোরি করত।’” (আবু দাউদ)।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! গিবত কি জেনার চেয়েও মারাত্মক?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। কারণ, কোনো ব্যক্তি জেনার পর তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু গিবতকারীকে যার গিবত করা হয়েছে, তিনি মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করবেন না।’ (মুসলিম)। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, গিবতের কাফফারা হলো তুমি যার গিবত করেছ, তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে। তুমি এভাবে বলবে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার ও তার গুনাহ মাফ করে দাও।’ (বায়হাকি)।

সংশোধনের জন্য বলতে চাইলে যার বিষয় শুধু তাকেই বলা যাবে, অন্যকে নয়। সমালোচনাকারীকে বিচারের দিনে নিজের নেক আমল দিয়ে এর বিনিময় পরিশোধ করতে হবে। যার সমালোচনা করেছে, তার গুনাহ নিয়ে সমালোচনাকারীকে জাহান্নামে যেতে হবে।

আব্দুল্লাহ ইথার।
আগস্ট ০২,২০২২

সম্মানিত দর্শক!
আমার নিজের চ্যনেলের কয়েকটা ভিডিও লিংক দিচ্ছি, দেখে ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।

সাফল্যের আরেক নাম ধৈর্য

মুসলিম ঐক্য ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের বাস্তবায়ন কোন পর্যায়ে আছে

মিন বান্দারাও অনেক সময় নিজের অজান্তে বে-খেয়ালে

গায়ের জোরে আর নয় সংসার

আপনার সব ইনকাম যদি দুনিয়া চলার জন্য হয়

আমরা ধর্মীয় কাজে কতটা ধার্মিক

আল্লাহ আমাদের সকলকে সুন্দর ভাবে চলা ও বলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গীবত করা মহা পাপ।
পবিত্র কুরআন গীবত করাকে
মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার
মত নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে
তুলনা করেছে। আসুন
আমরা গীবত করা
থেকে বিরত থাকি।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: খুব সুন্দর দাওয়াত দিয়েছেন, আমিন।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৩

কামাল৮০ বলেছেন: ওয়াজিরা সারাদিন অন্য ধর্মের নামে দিবত করে ।নাকি এই গুলি গিবত না।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: সমালোচনা করার ক্ষেত্রে অনেক আলেমকে-ই সীমালঙ্ঘণ করতে দেখেছি যা ইসলামে নিষেধ। তবে যৌক্তিক ও সুন্দরভাবে সমালোচনা করলে সেটা গ্রহণ যোগ্য। কোন ধর্মের ফলোয়ারকে তার ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলে সেও তো আমাদের ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবে। তাই না। সমস্যা হচ্ছে ওয়াজ আলোচনার যোগ্যতা নেই এমন কাউকে ওয়াজের মঞ্চে তুলে দেওয়া ঠিক না। আপনাকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: সব ঠিক আছে।
ধরে নিন আপনার কোন আত্মীয়ার সাথে কোন এক ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আপনি খবর নিতে আসলেন পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে আমার কাছে । যেহেতু সেই ছেলেটা আমার পাড়ায় থাকে এবং আমি তাকে চিনতে পারি সেজন্য আমার বক্তব্যটা আপনার বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে।
আমি নিশ্চিত সেই ছেলেটা ভাল নয়( হতে পারে সে লম্পট ধর্ষনকারী কিংবা ন্য কিছু) তখন কি আপনাকে এই বিষয়ে আমি নিঃশ্চুপ থাকব কিংবা তাকে ভাল মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করব?

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: ধন্যবাদ। হাতে গোনা কয়েকটা ক্ষেত্রে গীবত করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অনলাইনে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন। কোন কোন সময় গীবত করা জায়েজ লিখে সার্চ দিন।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ দ্রুত উত্তর দেবার জন্য। এই বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ থাকলে ভাল হয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, আসলে সব কিছু ভেঙ্গে ভেঙ্গে লিখলে তো লিখা অনেক বড় হইয়ে যেত। আর এখানে আমার লিখার মুল বিষয় ছিলো যে, আমরা গীবত কে কোন পাপা ই মনে করি না যতটা না অন্য হারাম খাওয়া কে মনে করি।
ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৯

জ্যাকেল বলেছেন: @শেরজা তপন

অপ্রয়োজনীয় যেকোন কথা বলাটা আমাদের উচিত নয়। আপনার উপরোক্ত কেইস যদি হয় তবে আপনার উচিত হবে সেই ছেলে/মেয়ে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে দেওয়া। এটা গীবত হবে কেন?

গীবত এর উদাহরণঃ

ধরেন আপনার পরিচিত এক লোকের বাড়িতে গিয়ে আপনি কোন একটা মজার জিনিস দেখে এলেন, অথচ এই জিনিস প্রচার পাইলে ঐ বাড়ির/লোকের জন্য অপমানকর/বিব্রতকর হইবে। এখন আপনে খুব রসিয়ে রসিয়ে এই মজার ঘটনা নাম-ঠিকানা সহ বলে তৃপ্তি পাইলেন(না পাইলেও অসুবিধা নাই, উহা গীবত)।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: ধন্যবাদ। সহজে বুঝাবার জন্যে।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: জনাব জ্যাকেল আমি উনার লেখার এই অংশটুকুর জন্য প্রশ্নটা করেছি;‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যে দোষের কথা বলি, সেটা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তাহলেও কি গিবত হবে?’ উত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যে দোষের কথা বলো, তা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তবে তুমি অবশ্যই গিবত করল।

'গিবত' সন্মন্ধে একটু আধটু ধারনাতো আছে না-কি বলেন?
আপনি বললেন এক রকম আর উনি লিখেছেন আরেক রকম। এমন হলে সবাই চরমভাবে কনফিউজড হবে। ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.