নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
স্কুলে স্যার যখন বলত কে কে পড়া শিখনি বেঞ্চের উপর কান ধরে দাড়াও, চারদিকে পিন পতন নিঃস্তব্দতা, সবাই বসে আছে, যেন সবাই পড়া শিখেছে,
.
তাহলে এখন পড়া নিবো বলাতে একজন বেঞ্চের উপর উঠে দাড়াতো সাহস করে, সাথে আরো দু চার জন একপর্যায়ে প্রায় পুরো ক্লাস কান ধরে দাড়িয়ে থাকত
.
স্যার পড়া নিতে নিতে আসছে, মনে মনে কত প্রার্থনা, ঘন্টা পরে না কেন? হারুণ ভাইয়ের ঘড়ির মনে হয় বেটারি দুর্বল হয়ে গেছে, সামনে আর মাত্র একজন এর পর আমি অতপর টিন টিন টিন...আহ! পৃথিবীর সব চেয়ে সুখকর শব্দ ছিল এটি,
.
দুই দিন ছুটি পেয়ে ও যে বাড়ি কাজ করি নি তা দুইটা ক্লাশের ফাঁকে স্যার আসার বিরতির মধ্যে পাশের বন্ধুর খাতা থেকে হুবহু তোলার সময়টা ছিল বিরক্তিকর!
.
এভাবে কলম খেলা, কাগজের টুকরো ছুড়ে মারা, সুন্দরী বন্ধবীদের নিয়ে আলোচনা এবং নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটায়োরা করে কাটছিল দিন.. সেই সহজ সরল দিনগুলো একদিন শেষ হয়ে গেল !
.
কে জানত তখন? "পৃথিবীটা এতো সহজ সরল সাবলীল নয়, একদিন নিজের পড়া নিজেকে নিতে হয়, সেখানে আর ঘন্টা থাকে না, ঘড়ির নিস্তব্দ কাঁটায় শেষ সম্বল, ওখানে শুধু সুন্দরী ফুল নয় কাঁটা ও থাকে, এখন আর পুরো ক্লাস নয় নিজের ভুলে নিজেই একা কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে হয় ৷"
©somewhere in net ltd.