নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শব্দের লিমিট ক্রস করে জেনারেল ব্লগার হয়ে গেছিলাম ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পাবলিক স্পিকিং বিশেষজ্ঞ রিচার্ড গ্রীন পৃথিবীর তামাম বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপর গবেষণা করে একজন ভালো বক্তার সাতটি সিক্রেট গুণের কথা বলেছিলেন!
.
তার মধ্যে প্রধান তিনটি সিক্রেট হলো,
.
শ্রোতা আপনার কথা কেমন উপলব্ধি করছে তার একশ ভাগের মাত্র সাত ভাগ আপনার শব্দ উচ্ছারণের উপর নির্ভর করে!
.
আপনার ভয়েস টোনের উঠা নামার উপর নির্ভর করে সে একশ ভাগের ৩৮ ভাগ উপলব্ধি করতে পারে!
.
বাকী থাকে একশ ভাগের ৫৫ ভাগ তা নির্ভর করে আপনার অঙ্গভঙ্গির উপর!
.
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে আব্রাহাম লিংকন, রুজবেল্ট, কেরনাস্কি, বিল গেটস, জর্জ ওয়াশিংটন, টমাস জেফারসন থেকে হালের ব্রিটিশ সংসদের সেরা বক্তা নির্বাচিত হওয়া টিউলিপ সিদ্দিক সবার মধ্যে উক্ত গুণগুলো ছিলো!
.
এমনকি আরেক স্পিকিং বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ব্রুস লয়েবস যিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে ক্লাস নিচ্ছেন তিনি বলেছিলেন, 'হিটলার শিখেছিলেন কিভাবে কৌশলী বক্তা হওয়া যায়। যে কারণেই হোক, মানুষ তার বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হতো!'
.
অঙ্গভঙ্গির বিষয়টি আমি প্রথম বুঝেছি যখন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে অর্থনীতির অগ্রজ ক্যারিয়ন ভাইয়ের পরিচালনায় নবীন বরণ এবং প্রবীণ বিদায়ের জন্য জীবনের প্রথম মডেলিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে,
.
আমাকে বলা হলো তুমি একটু লাফিয়ে স্টেজে আসবে আমি এতো জোরে লাফ দিলাম তাতে স্টেজ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম! সবাই হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ছে আর আমি লজ্জায় গুটিয়ে যাচ্ছিলাম!
.
তারপর আমাকে বলা হলো তোমাকে দিয়ে এই পার্ট হবে না কারণ স্লো মোশনে দিতে হয় লাফ! আস্তে আস্তে হেটে আসতে হয়!
.
মেয়েদের জন্য বেপারটা এমন, বাম পা ডানে দিবে! ডান পা বামে! এভাবে হাঁটতে থাকো কোমর সোজা রেখে পিছনে আমার দিকে তাকিয়ে ঝাঁক্কি দাও চুলে!
.
ঐখানে আরেকটা পার্ট ছিলো! সিনিয়র আপু আমার পার্টনার আলতো করে আবদুর রব শরীফের গালে থাপ্পড় দিবে এবং আমি মুখ আগিয়ে দিবো! আপুও আমার মতো নতুন সুতরাং আমি যতটুকু মুখ আগিয়ে দেওয়ার কথা তারচেয়ে বেশী মুখ আগিয়ে দিলাম আর আপু থাপ্পড়টি যতটুকু আস্তে দেওয়ার কথা ততটুকু জোরে দিলো তাতে আমার স্বাদের চশমাটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো!
.
বুঝলাম সবকিছুর একটা লিমিট আছে! ডোন্ট ক্রস দি লিমিট!
.
জীবনের প্রথম নাচন কুদন করতে গিয়ে তো একবার বন্ধু ভাইয়ের বিয়ের স্টেজ ভেঙ্গে ফেলছিলাম! দর্শক যদিও বুঝতে পারেনি তারা ভেবেছিলো ইহা একটি ক্যারেটে শো!
.
সুতরাং শুধু বক্তব্য নয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গির দক্ষ চালনা শিখা গুরুত্বপূর্ণ তা না হলে বিয়ের প্রথম রাতেই বউকে আলুভর্তা বানিয়ে ফেলবেন!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২২

কিশোর মাইনু বলেছেন: শুরু থেকে সবই ঠিক ছিল। মাগার শেসে এসে এইটা কি কইলেন ভাই? :D :D ;)

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৮

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কখন কি বলে ফেলি তা নিয়ে ইদানিং দুশ্চিন্তা হয় ।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জেনারেল থেকে সাধারণ!

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৯

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এটা আর্মি জেনারেল না । বড্ড প্যারানেল ।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ফুলেল শুভেচ্ছা

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: শুভেচ্ছা বগল দাবা করে বাসায় নিয়ে গেলুম /

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শরীফ ভাই আপনার ওই রাতের অভিজ্ঞতা
শেয়ার করতে পারতেন! বিড়াল কে মেরেছিলো
আপনি নাকি ভাবী! আলু কি হলো শেষ পর্যন্ত
ভর্তা নাকি সুরুয়া?

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০০

বাংলার এয়ানা বলেছেন: স্বাগতম জেনারেন সাহেব।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৮

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: শেষের কথাটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ!!! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.