নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন বের হয় তখনও আমরা সবাই মুখরিত, হৈহুল্লরে দিন কাটাতাম!
.
দিব্যি মাথা ছুয়ে বলতে পারি কারো মানিব্যাগ তল্লাশী করলে হয়তো সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া যাওয়ার সম্ভবনা ছিলো ৷
.
এখনো কল্পনায় আমার প্রায় সব বন্ধুরা হাস্যোজ্জ্বল ৷ ইয়ার্কি, খোঁচা সব মিলিয়ে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ ৷
.
আজও আমি দিব্যি মাথা ছুয়ে বলতে পারবো কারো কাছে এখন চলার মতো টাকার অভাব নেই ৷ সাথে যোগ হয়েছে ব্লেজার, চকচকে সু কিংবা অর্জিনাল লেদারের ওয়ালেট ৷ আজ কারো শার্ট অন্তত কোচকানো থাকেনা ৷ প্যান্টের বেল্টও অন্তত বেরং নয় তবুও তাদের প্রায় সবার মুখের হাসি, তারুণ্যের উদ্যমতা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে ৷
.
হঠাৎ বন্ধুদের সাথে দেখা হলে সবার আগে চোখটা দেখি ৷ ডার্ক সাইকেল কিংবা ক্লান্তির ভাব সুস্পষ্ট ৷ দিনের পর দিন নিরস মনোভাব নিয়ে হা করে কম্পিউটারে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এখন্ হা করে চায়ের দোকানে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে থাকার অভ্যোস হয়ে গেছে ৷
.
জ্বলে যাওয়া সিগারেটের মতো নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি আমরা ৷ সবকিছু থেকেও কোথায় যেনো মরে যাচ্ছি ৷ অদ্ভুতভাবে কথা বলে মাতিয়ে রাখা মাঈনুলও কি আগের মতো আছে!
.
সেদিন বশিরকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কতটা রং ঢংয়ের জীবন ছিলো আমাদের ৷ চল্ ফিরে যায় আবার আড্ডায় ৷ কর্পোরেট বুঝেনা আমাদের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সতেজ হওয়ার জন্য হলেও দুদিন ছুটি দরকার ৷ সবার দরকার ৷
.
বরিশালের শাহীনটাও জীবনের চাপে নুয়ে গেছে ৷ তার আরেএএ মামা বলার মধ্যেও সেই মাদকতা নেই ৷
.
জীবনের পিছুটান সত্যি করে দেয় ব্যবধান ৷ চশমাটাও আর তেমনি নেই ৷ দিন দিন কাঁচ ভারী হচ্ছে ৷
.
সেলসে চাকরি করা ছেলেটার মাথায় ঘুরতে থাকে টার্গেট ৷ সে আজ জীবন্ত চলমান লেবু ৷ তাকে চুষে তিতা বানিয়ে মাস শেষে কয়েকটা টাকা হাতে ঢুকিয়ে মোটিবেশন দেওয়া হচ্ছে, তোমাকে আরো দৌড়াতে হবে ৷ উইসেন বোল্টকে দেখোনি!
.
জনৈক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একবার বলেছিলেন, মোবাইলে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পুরনো ছবি ৷ খুব মন খারাপ হলে বন্ধুদের দেখি ৷ মনে পরে কতটা সুখে ছিলাম আমরা ৷ তখনি স্যারে মোবাইলে জয়নাব বিবির মোবাইল বেজে উঠলো ৷ বাকীটা ইতিহাস ৷
.
একটা জিনিস জীবন থেকে বুঝলাম, খুব ভালো থাকার জন্য আমরা যে সঙ্গিনী খুঁজে নিই সে আসলে খুব কম ক্ষেত্রেই বন্ধু হতে পারে ৷ কিংবা আমরা বন্ধু হতে পারিনা ৷ তেল নুন লাকড়ি গাড়ি বাড়ি এগুলো কখনো বন্ধুর স্থান দখল করতে পারে না ৷
.
হারানো জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য অন্তত একটি পরিবারের সদস্যদের বন্ধুর মতো হতে হয় ৷ বন্ধু হওয়ার চেয়ে কোন বড় সম্পর্ক হতে পারে না ৷ বন্ধু এমন একটি বেপার যার মন্দ দিক জেনেও তার প্রতি ভালো লাগা কমে না ৷ এটা সত্যি শেষ আশ্রয়স্থল ৷
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
নীলসাধু বলেছেন: তারুণ্য নানাভাবেই আমাদের রঙ ছড়ানো সময়। সেই সময়ের সাথে আর দেখা হয় না। আমরা দিনে দিনে যাপিত জীবনের সকল ক্লেদ মেখে নিতে থাকি। আর বদলে যেতে থাকি।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: মানুষের জীবনে বন্ধু কিংবা বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম।
ভালো লিখেছেন।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার উচিত অন্যদের পোষ্ট পড়া ও মন্তব্য করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: কর্পোরেট দুনিয়ায় শেষ সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। এরপর আর সেই বিশুদ্ধ বন্ধুত্ব আসেনা। হয়ত এটাই রূড় বাস্তবতা। অনেক সুন্দর লিখেছেন।