![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তির ব্যাপারটার সাথে পাহাড়ে উঠানামার বেশ একটা মিল পাওয়া যায়। পাহাড়ে উঠা-টাকে আরোহণ আর পাহাড়ে নামা-টাকে অবরোহণ বলে। পাহাড় যদি খাঁড়া হয় উঠার চাইতে নামাটা অনেক বেশি কষ্টের এবং ঝুঁকির। অবরোহণের বিষয়টি তাই অনেক বেশি premise নির্ভর। Premise যদি ঠিক থাকে, তবে নামাটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। উদাহরণস্বরূপ,
প্রেমিস ১: পাহাড় থেকে নামা সহজ।
প্রেমিস ২: আমি পাহাড় থেকে নামছি।
অবরোহণঃ আমি একটা সহজ কাজ করছি।
এবার ধরুন, প্রেমিস ১ কারও কাছে সত্য হতে পারে, কারও কাছে অনেক বেশি কষ্টেরও মনে হতে পারে। তাই এইটা কোন চিরন্তন সত্য নয়। ডেভিড হিউম বলেছেন, যা সবার ক্ষেত্রে সত্য নয়, তা গ্রহণযোগ্য নয়।একে আরোহণ বলে। যেমনঃ
আমি- সূর্য পূর্ব দিকে উঠে।
তুমি- সূর্য পূর্ব দিকে উঠে।
আরোহণঃ সূর্য পূর্ব দিকে উঠে।
সমস্যার জায়গাঃ
আমার কাছে যদি সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে, ঠিক একইভাবে অন্য সবার কাছেও। তবে তো আরোহণ যুক্তিতে মেনে নিতে হচ্ছে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠছে? যেই সমস্যাটা হয়েছিল গ্যালিলিওর সময়ে। সবাই বলছে পৃথিবী চারদিকে সূর্য ঘুরছে, অথচ গ্যালিলিও বললেন তার উল্টো। শুরু হল দ্বন্দ্ব। তখন মহাকাশের ঘটনাগুলো ব্যাখ্যায় যে সূত্রটি কার্যকর তাকে গ্রহণ করা হলো। এ থেকে আমরা একটি জিনিস বুঝতে পারি, সত্য যদি সন্দেহে মোড়া থাকে- তবে সেই সন্দেহ দিয়ে অপর ঘটনাগুলাকে যদি অধিক সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারা যায়, তাহলে সেটাই সত্যের নিকটবর্তী।
©somewhere in net ltd.