![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন পড়ি ক্লাস ফোর এ ।থাকি কুলাউড়া উপজেলা্য় ।আমাদের ভবনে তখন পরিবার সংখ্যা চার ।চার পরিবারের কোন এক ঘরোয়া পিকনিকে বাচ্চাদের নিয়ে আয়োজন হলো সাংস্ক্ৃতিক অনুস্ঠান ।কে্উ ছড়া বললো,কেউ কৌতুক,আর আমি গাইলাম গান।কুমার বিশ্বজিতের 'জন্মিলে মরিতে হবে..।'গানের মাঝেই একজন আন্টি হঠাৎ উঠে অন্য রুমে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন(উল্লেখ্য ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে আন্টির বাবা মারা যায়।)।সেই বয়সে আমি কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও আব্বা আম্মার বুঝতে বাকী রইলো না যে ছেলের কন্ঠ ভালো,কন্ঠে দরদ আছে,তার গানের প্রতিভা আছে।ভর্তি হলাম শিশু একাডেমিতে।বেশ ভালো গাইতাম,মাশাল্লাহ...যেকোনো অনুস্ঠানে আমাকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হতো,শিশু একাডেমির একমাত্র ছেলে রত্ন হিসেবে।ঠিক সে সময়ে বাসায় হারমনিয়াম না থাকায় কিঞ্চিৎ পিছিয়ে পড়লাম।শুধুমাত্র শুক্রবার একাডেমিতে গিয়ে আর কতটুকু শেখা যা্য়?এর মাঝে বয়স বাড়লো,উচ্চতা বাড়লো,দুষ্ট বনধুর সংখ্যা বাড়লো,বাড়লো লজ্জাবোধ।শিশু একাডেমির লাল শার্ট আর সবুজ প্যান্ট পড়ে খুবই বিব্রত বোধ করতাম।সে সময় অনুস্ঠানগুলোতে কোরাস গানে ছোট,মাঝারি আর বড় এই তিন সারি করে আমরা দাড়াতাম।সবসময় আমার আবস্থান হতো তৃতীয় সারির মধ্যখানে।বাম পাশে মেয়ে,ডান পাশেও মেয়ে।তার মাঝে গাইতে হতো একে অপরের হাত ধরে দুলে দুলে।টিনএজ বয়স,বন্ধুদের হাসাহাসি...সিদ্ধান্ত নিলাম আর শিশু একাডেমি যাবো না।হারমনিয়াম কেনা হলো,একজন স্যারও রাখা হলো গান শেখার জন্য।হারমনিয়াম বাজিয়ে প্রথম গান শিখলাম 'বাবা বলে গেলো আর কনোদিন গান করো না..।'বাজানো সহজ বলে নতুনদের হারমনিয়ামে সাধারনত এই গানটাই সবার আগে শেখানো হ্য়।তখন আমাদের বাসার নিচের ছেলেটাও(আমার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট)একই গান শিখছিলো।বিষয়টা ঠিক ভালভাবে নিতে পারলাম না।স্যারকে বললাম,স্যার এই গানটা ভাল্লাগেনা,অন্য কোনো গান শেখান।তারপর শিখলাম 'আয় তবে সহচরী,হাতে হাতে ধরি ধরি,নাচিবো ঘিরি ঘিরি,গাহিবো গান।নাচানাচি,হাত ধরাধরি..কেমন যেনো মেয়েলি টাইপ গান,এটাও ভাল্লগলো না।এবার স্যারকে অনুরোধ করলাম,স্যার একটু কঠিন কোনো গান শেখান না..।শেখালেন 'পুরানো সেই দিনের কথা..'রবীন্দ্র সঙ্গীত।গানটা আসলেই কঠিন ছিলো।স্যারকে আর বলার মুখ রইলো না যে,স্যার এটাও ভাল্লগছে না,পারছিনা।এর মাঝে আসলো বিজয় দিবস,শিশু একাডেমি থেকে বলা হলো আমাকে একক গান গাইতে হবে।উপজেলায় সুপরিচিত ছিলাম,আমার একক গান..দর্শকরা সব উন্মুখ।আমি উত্তেজিত,ভিত।গলা শুকিয়ে আসছে..।তাল মিলছে না,গলা কাঁপছে..এক পর্যায়ে গানের লাইনও ভুলে গেলাম...ওফ,কি ভয়ংকর!কি লজ্জাকর।না,এরপর আমিও আর কখনো হারমনিয়াম ধরার সাহস করি নাই,স্যারও আর কোনোদিন গান শেখাতে আসেন নাই।আনুষ্ঠানিকভাবে আর কখনো গান না গাইলেও এমনিতে এখনো প্রতিনিয়তই গান গাই।বন্ধু,কলিগ,আত্মীয় স্বজন প্রত্যেকের কাছ থেকেই আল্লাহর রহমতে অনেক প্রশংসা পাই।একবার একটা মেয়েও গান শুনে বলেছিলো,শোভন,আমি তোমাকে এখনই যদি প্রপোজ করি তুমি কি রাজী?.। তবে হারমনিয়াম বাজাতে পারি না বলে কোনো অনুষঠানে গাইতে পারিনা...সেই দুঃখবোধ থেকে এই লেখা..।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: একবার একটা মেয়েও গান শুনে বলেছিলো, শোভন আমি তোমাকে এখনই যদি প্রপোজ করি তুমি কি রাজী?
আপনি কি রাজি.......................
ডাকবো না কি কাজী
ওয়েল ডান আবীর, গো এহেড