![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Even an ugly truth is better than a beautiful lie....
বাংলা ব্লগের নক্ষত্র ইমন জুবায়ের ভাই কে উৎসর্গ করছি লেখাটি। সৃষ্টিকর্তা তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করুন।।
লর্ড অব দ্য রিংস মুভি ট্রিলোজি এসেছে J. R. R. Tolkien রচিত এপিক ফ্যান্টাসি নোভেল দ্য লর্ড অব দ্য রিংস থেকে। গল্পগুলি লেখা হয়েছিলো ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ এর মধ্যে। ওদিকে এসময়ের সাড়া জাগানো উপন্যাস জে কে রাওলিং-এর হ্যারি পটার উপন্যাসের গল্প নিয়ে বানানো হয় হ্যারি পটার সিরিজের ৮ টা মুভি। লর্ড অব দ্য রিংস আর হ্যারি পটার- দুটাই দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন তুলেছে। যারা মুভি দুটাই দেখেছেন তাদের অনেকে হ্যারি পটারের মূল উপন্যাস পড়লেও বেশিরভাগই লর্ড অব দ্য রিংস এর উপন্যাস পড়েননি। তবে সত্যি কথা হচ্ছে ম্যাজিক ফ্যান্টাসি টাইপ উপন্যাসের ক্ষেত্রে J. R. R. Tolkien এর লর্ড অব দ্য রিংস দিক প্রদর্শকের মতন। হ্যারি পটার সিরিজে J. R. R. Tolkien এর উপন্যাসের যথেষ্ট প্রভাব আছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
হ্যারি পটার আর লর্ড অব দ্য রিংস মুভি দেখার পর প্রথমেই যে Similiarity চোখে পড়লো তা হল কাস্টিং-এ মূল চরিত্রের চেহারার মিল!! লর্ড অব দ্য রিংস এর ফ্রডো ব্যাগিনস আর হ্যারি পটারের হ্যারি-এর চেহারার বেসম্ভব মিল!! আল্লাহই জানে এলিজাহ উড (ফ্রডো) আর ড্যানিয়েল র্যাহডক্লিফ (হ্যারি) নিকটাত্বীয় কিনা!!
বামে ফ্রডো আর ডানে হ্যারি!!
হ্যারি পটার মুভিতে ডাম্বলডোর নামের একজন বয়স্ক জ্ঞানী জাদুকর থাকে, লর্ড অব দ্য রিংস এও তাই। নাম গ্যানডলফ। দুইজনের চেহারা বেশভূষা অলমোস্ট সেইম টু সেইম!!
বামে ডাম্বলডোর, ডানে গ্যানডলফ।।
হ্যারি পটারের হ্যাগ্রিডের সাথে লর্ড অব দ্য রিংস এর dwarf গিলমির চেহারা সুরত বা বেশ ভূষা এমনকি ক্যারেক্টার স্টাইলও এক।
গিলমি এবং হ্যাগ্রিড।
দুই মুভিতেই বিশালাকার স্পাইডার দেখা যায়। হ্যারি পটারে বিরাট মাকড়শার নাম aragog (was a blind Acromantula owned by Rubeus Hagrid), আর লর্ড অব দ্য রিংস এর বিশাল মাকড়শার নাম Shelob!
আরাগগ।।
শীলব
হ্যারি পটারে ‘ডবি’ নামের কদর্য এক ধরনের প্রানী থাকে, যাকে বলে হাউজ এলফ। এর সাথে লর্ড অব দ্য রিংস এর গলম/স্মিগল (Gollum/smeagol) এর আকার আকৃতিতে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
বামে স্মিগল,ডানে ডবি।।
দুটাতেই চেহারাহীন একধরনের ভূতূড়ে আত্নার কথা আছে। হ্যারি পটারে তার নাম ডেমেন্টরস। আর লর্ড অব দ্য রিংস এ সেগুলাকে বলে নাজগুল।
বামে নাজগুল,ডানে ডেমেন্টরস।।
কাহিনীতেও দুটার মাঝে ব্যপক মিল। দুই মুভিতেই নায়ক খুব সাধারন একজন থেকে অসাধারন হয়ে ওঠে সাহস আর বিশ্বাস দিয়ে, লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে। হ্যারি পটার যে কোনো মুল্যে ভোল্ডামোর্ট-এর পুনঃউত্থান ঠেকাতে চায়, ফ্রেডো যেকোনো ভাবে সাউরন-এর পুনঃউত্থান ঠেকাতে চায়। Evil এর পুনর্জন্ম ঠেকাতে ফ্রডোকে রিং ধ্বংশ করতে হবে, আর হ্যারিকে হরক্রুক্স ধ্বংস করতে হবে। শয়তান সাউরনের রিং ফ্রডোর জন্য অসহনীয় বোঝা,শেষ পর্যন্ত তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। আর ভোল্ডেমর্টের হরক্রুক্স হ্যারির জন্য বোঝা,কপালের স্কার এর সাথে বয়ে বেড়াতে হয়। হ্যারির অদৃশ্য হবার চাদর আছে, আর ফ্রডো রিং হাতে পড়লে অদৃশ্য হয়ে যায়। হ্যারি এল্ডার ওয়ান্ড এর মালিক হয়, যার ক্ষমতা অসীম, ফ্রডোর কাছেও লর্ড অব অল রিংস থাকে,যার ক্ষমতা ব্যাপক। শেষে হ্যারি এল্ডার ওয়ান্ড ভেঙ্গে ফেলে, ফ্রডোও রিং ফেলে দেয় আগ্নেয়গিরিতে,সেটা ধ্বংস হয়ে যায়।
দুটাতেই সব কথার শেষ কথা, ক্ষমতার লোভ লালসাকে পাত্তা দিলে হতে হবে সাউরন বা সারুমন বা ভোল্ডেমর্ট। আর ক্ষমতার লোভ এড়াতে পারলে হ্যারি বা ফ্রডোর মতন লিজেন্ড। হ্যারি বা ফ্রডোদের কাছে ভোল্ডেমর্ট বা সাউরনদেরর পরাজয় নিশ্চিত।
লর্ড অব দ্য রিংস এর রিং আর হ্যারি পটারে এল্ডার ওয়ান্ড (আসলে এগুলা ‘ক্ষমতা’ এর Analogy maybe) এর জন্য দুর্বল চরিত্রের মানুষের যে লালসা দেখানো হয়েছে তা সত্যিই সব যুগের জন্যই সত্য। এজন্যই মুভি আর উপন্যাস দুটা এপিক। হ্যাটস অফ এন্ড রেসপেক্ট … Tolkien এবং রাওলিং...
ছবিঃ ইন্টারনেট।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
এস.বি.আলী বলেছেন: Tolkien এর কল্পনা শক্তি অন্যমাত্রার ছিলো নিঃসন্দেহে। আমি আসলে অবাক হয়ে যাই তাঁর কল্পনার ব্যপকতা আর প্রখরতা দেখে।
আপনাকে ধন্যবাদ,কিন্ত সামুতে কারিগরি ক্রটির কারনে কিনা জানিনা, আমার কোনো পোস্টে + কাস্ট হচ্ছে না বেশ কিছু দিন যাবত।
ধন্যবাদ আবারো...
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
লিংকন১১৫ বলেছেন: খাইছে আমারে
কন কি !
কোন সময় তো এমন করে ভাবিনি
পোস্টে পিলাছ +
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
এস.বি.আলী বলেছেন: সামুতে কারিগরি ক্রটির কারনে কিনা জানিনা, আমার কোনো পোস্টে + কাস্ট হচ্ছে না বেশ কিছু দিন যাবত।
থাঙ্কস লেখাটা পড়বার জন্য।।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: লর্ড অফ দ্যা রিংস অনেক খটোমটো ভাই কিন্তু হ্যারি পটার অনেক সরল সোজা। তবে সিনেমা হিসেবে লর্ড অফ দ্যা রিংসের ধারে কাছেও যাইতে পারে নাই হ্যারি পটার। দেখতে হবেনা পরিচালকটা কে? ওয়ান অফ দ্যা গ্রেট অফ অল টাইমস - পিটার জ্যাকসন। সো এইখানে তিনজন গ্রেটকে পাওয়া যাচ্ছে টলকিন, রাউলিং আর জ্যাকসন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
ক্যাপটেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: দুই সিরিজের মুভিগুলা দেখা থাকলেও কখনো এভাবে মিল খুঁজিনি।
হ্যাগ্রিডের সাইজটা একটু ছোট হলে গিলমির সাথে আরও বেশি মিলে যেত।
উইকিতে Tom Shippey নামের একজন Tolkein Scholar মজার কথা বলেছেন, "no modern writer of epic fantasy has managed to escape the mark of Tolkien, no matter how hard many of them have tried".
গতকাল ছিল J R R Tolkein এর ১২২ তম জন্মদিন।
পোস্টে অনেকগুলা +