![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
কল্পনা করুন, আজ থেকে ৫০ বছর পরে স্বাধীন দেশ প্যালেস্টাইনে একজন গাজাবাসীর সাথে আপনার দেখা হয়েছে। ধরা যাক, তার নাম মাহমুদ, বয়স ৬৮। ইসরাইল ৫০ বছর আগে যখন গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল, তখন মাহমুদের বয়স মাত্র ১৮। নরকের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মাহমুদের বেঁচে ফিরে আসার কথা ছিল না। যে কোনো সময় শক্তিশালী বোমার আঘাতে উড়ে যেতে পারতো ১৮ বছরের মাহমুদ। ধ্বংসস্তূপের নিচে মাটিচাপা পড়ে পচে-গলে যেতে পারতো তার দেহ। আইডিএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে পারতো বুকের পাঁজর আর শিরদাঁড়া।
তখন নির্বিচারে বোমা ফেলে, গুলি করে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। লক্ষ লক্ষ গাজাবাসী প্রাণভয়ে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে, সামান্য খাবারের পোটলা হাতে একবার গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে, আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে যাচ্ছিল। এই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি চলছিল দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। নরক যন্ত্রণায় দিন-রাত্রির পার্থক্য গিয়েছিল মুছে। শুধু আতঙ্ক, কখন মাথার উপর বোমা পড়ে! সেটা ছিল এক পরিকল্পিত গণহত্যা; ভয়ংকর যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল দুর্ভিক্ষ - যাতে নিশ্চিহ্ন করা যায় সমগ্র গাজাবাসী।
ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি সদ্যোজাত শিশুরাও। ১২ বছরের কিশোরের পেট লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল অসংখ্য গুলি। ১৩ বছরের স্কুলগামী কিশোরীকে হত্যার জন্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সকল গুলি খরচ করা হয়েছিল। ত্রাণ আনতে যাওয়া ১৪ বছরের ছেলেকে আটার বস্তা মাথায় নিয়ে ফেরার সময় ত্রাণ-শিবিরেই নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ইসরাইল ও নরকের দোসরেরা। গণহত্যা থেকে রক্ষা পায়নি গর্ভবতী নারী, অশীতিপর নর, এক-দুই-পাঁচ বছরের শিশু, ১০ বছরের কিশোর, ১২ বছরের কিশোরী। পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় যে জীবন তখনও মাতৃগর্ভে, হত্যা করা হয়েছিল তাদেরও। জীবনের আনন্দে কেবল হাসতে শেখা শিশুদের শরীর পাখির মত উড়ে গিয়েছিল বোমার আঘাতে। হত্যা করা হয়েছিল সকল প্রাণ এবং জীবনের সাথে সম্পর্কিত যা কিছু। ধ্বংস করা হয়েছিল স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, দালান, রাস্তা, পার্ক, অফিস, দোকান ও সমস্ত স্থাপনা।
সেই নির্মম গণহত্যা, ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ ও মর্মভেদী যন্ত্রণার নীরব সাক্ষী মাহমুদ। তার সাথে যখন আপনার দেখা হলো, আপনি প্রশ্ন করলেন, ইসরাইল-গাজা যুদ্ধে তো মাত্র ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেই যুদ্ধে প্রকৃত শহিদদের সংখ্যা আপনি কত মনে করেন? মাহমুদ এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। তার মুখে যেন কেউ কালি লেপন করে দিল। তিনি কোনো কথা বললেন না, নীরবে ব্যথিত হলেন শুধু। কী এমন কথা আছে যা দিয়ে এই গোঁয়ার ও অমানবিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়?
মাহমুদ জানেন, গাজার গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার নয়, এটা ইসরাইলি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার বানানো ভুয়া সংখ্যা মাত্র। প্রকৃত সংখ্যা অন্তত চার লাখের বেশি। কিন্তু সংখ্যাটা আসল বিষয় নয়। তিনি যে নির্মম গণহত্যা ও ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ নিজের চোখে দেখেছেন, তার দুঃখ-বেদনা, ক্ষোভ ও হতাশা কি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায়? সন্তানের মৃত্যুর যে তীব্র যন্ত্রণা, সেটা কি কেবল একটি সংখ্যা? পরিবার হারানোর বেদনা কি পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝানো সম্ভব?
গণহত্যাকে কোন সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যায় না। রাজাকার-আলবদরেরা যখন শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন তাদের প্রশ্নটি ইতিহাসকে জানার কৌতূহল থেকে নয়, করা হয় মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে। গত বছরের আগ পর্যন্ত, মুক্তিযুদ্ধ ছিল তাদের অপরাধী মুখকে আয়নায় দেখানোর মাধ্যম। মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলেই তারা মুখ ঢাকত, প্রসঙ্গ চাপা দিতে পারলেই বাঁচত। এখন সুযোগ এসেছে একে প্রশ্নবিদ্ধ করার, ব্যঙ্গ করার, উপহাস করার।
এবার তারা সুযোগ পেয়েছে, ভাড়ের পোশাক পরে নায়ক হবার। সুযোগ যখন পেয়েছে, সমানে মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে, ব্যঙ্গ করছে, একে বস্তাপচা বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। দেশের যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান, সেই বীরশ্রেষ্ঠদের তারা "দেশদ্রোহী" বলার দুঃসাহস পেয়েছে। তারা ধর্ষক-হানাদারদের নাম দিয়েছে "দেশপ্রেমিক"। তারা বলে, "হেমা মালিনির নাচ দেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা।" এই ধরনের বক্তব্য রসিকতা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধকে উপসাহ করার উদ্দেশ্যমূলক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ঐতিহাসিক বাস্তবতা নয়, বরং এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা মাত্র।
৭১-এ ত্রিশ লক্ষ মানুষ নিহত হওয়ার কথা বহু আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে, কিন্তু তাতে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব কমে না। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাত্ত ইতিহাস আর স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন- দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু রাজাকার-আলবদরেরা সচেতনভাবে এই দুটিকে একসাথে মেশাতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির আত্মঅন্বেষণ ও হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির শক্তির এক মহামিলন। সংস্কৃতির প্রশ্নে, এই শক্তির মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ও দীপ্তিমান ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। কেননা, সাম্প্রদায়িকতা ও কুসংস্কারই আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় বাঁধা, সবচেয়ে গভীর দুঃখ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সেই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাত, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল নারী-পুরুষ এই মুক্তির লড়াইয়ে এক হয়েছিল। ধর্মের নামে যারা প্রতারণা, কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ তাদের স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমরা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও অভিজাতদের রাজনীতি। ধর্মের মুখোস পরে যে পাকিস্তানী-বর্ণবাদ আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল তাদের আমরা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদের প্রগতি ও সাম্যের আকাঙ্ক্ষার এক সুস্পষ্ট ঘোষণা।
ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মীয় পরিচয়ের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সংঘাত ছিল না। বরং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল এমন এক রাষ্ট্র গঠন, যেখানে রাষ্ট্র ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে সকল নাগরিককে সমান মর্যাদা দেবে। গণতান্ত্রিক ও স্যেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শপথই আমরা নিয়েছিলাম। অর্থনৈতিক বৈষম্য মোচন আর সাম্যের লড়াই ছিল মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য ছিল এটি। মুক্তিযুদ্ধ মানে দাসত্ব থেকে মুক্তি, আত্মমর্যাদা অর্জন আর মাথা উচু করে দাঁড়ানোর অদম্য প্রেরণা।
হায়, সেই স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হতে চলেছে! মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য আমাদের আত্মশক্তি ভেঙে দিয়ে দাসত্বে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু আমরা ভুলিনি যে, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তে লেখা আর তাকে কখনোই মুছে দেওয়া যাবে না।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:২২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত নিখুঁত, এবং একেবারে সঠিক কথা বলেছেন।
২০২৪-এর অভ্যুত্থান শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অপশাসনের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু রাজাকার-আলবদরেরা এটাকে ইতিহাস বিকৃতির এবং একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ হিসেবে দেখছে।
অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে, আমেরিকা তাদের এই সুযোগটি দিয়েছে বলে আমার ধারণা।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নতুন কোন বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়। এতে জাতী বিভক্ত হবে, জাতীর মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
হসিনার পক্ষ বিপক্ষ বয়ান যেভাবে জাতীকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, এটাও একই রকম ক্ষতিকর।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: সঠিক পর্যবেক্ষণ।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই বিতর্ক আবার আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্যে এবং আলোচনায় নিয়ে আসবে। মানুষ মনে করতে শুরু করবে, রাজাকারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আওয়ামী লীগের ফিরে আসা দরকার।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৪১
মাথা পাগলা বলেছেন: সংখ্যা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আসলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। এই ধরনের অপচেষ্টা কেবল বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদাকে আঘাত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির অস্তিত্বের লড়াই, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে রাজনীতি করা মানে শহীদের আত্মত্যাগকে অসন্মান করা। মহান মুক্তিযুদ্ধকে যারা রাজনীতির হাতিয়ার বানায়, তারা মূলত বাংলাদেশের শত্রু। এসবকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৩০
শ্রাবণধারা বলেছেন: একদম সঠিক ভাবনা।
সংস্কৃতির রাজনীতি আমাদের দেশে এত বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আর কোনো কথা উঠছে না। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমন পশ্চাৎপদতার নজির আছে বলে আমার জানা নেই।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
সামছুল আলম কচি বলেছেন: ৫৫ বছর ধরে শুনি এক প্যাচাল; মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মহান সংবিধান, অমুক নেতা, অমুক মাতা, স্বামী-বাপ-ভাই-বোন !!! কান-মগজ পঁচে গিয়েছে !!! বন্ধ করেন এই সব ডায়লগ !!!
-মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ; জানেন না।
-প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ; জানেন না।
-মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ; জানেন না।
পক্ষ-বিপক্ষ গুষ্টির সব স-ব রাজনীতিবিদ গুলা চোর-ডাকাত, লুটেরা, খুনী !!! দোহাই দেয় জনগন, মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার; আর দেশবিরোধী গোপন চুক্তি করে নীচে নীচে !!
কতটা নীচ, কদাকার আর দেশপ্রেমবর্জিত হলে এ দেশের এক রাজনীতিক বলে; ভারত অনুমতি না দিলে কিছু বলা যাবে না !!!! বাংলাদেশের সংবিধান গেলো-সংবিধান গেলো বলে যে সব কীটগুলো রাতদিন চিল্লায় ওরা কেন বলেনা ছি ছি এম কাদের একজন দেশদ্রোহী !!! হাফপ্যান্ট-ফুলপ্যান্ট সব নীরব পা চাটার দল !!! জঘন্য সব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজ !!! ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বল্লেই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী-পাকিস্তানী রাজাকার !!!
চিরকালের জন্য এসব ভাষন বন্ধ করেন !!!
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: অকে স্যার, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোন কথা হপেনা, শুধু রাজাকার-আলবাদার আর পাকিস্তান নিয়ে কথা হপে। আপনি মাইন্ড করবেন না স্যার!
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার এই লেখার চাক্ষুষ সাক্ষী আমি নিজে। বৃদ্ধ হয়েছি কান্নার মতো চোখে আর পানি হয়তো নেই তারপরও আপনার লেখা পড়ে কখন যে চোখ ভিজে উঠেছে আমি জানি না। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আপনি আমার স্মৃতি লিখেছেন। আল্লাহপাক আপনার নেক হায়াত দান করুন।
সম্ভব হলে আপনার সম্পূর্ণ লেখা আমার পোস্টে মন্তব্য আকারে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার আবেগপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা।
এই লেখা মূলত আপনার পোস্টের জন্যই লিখেছিলাম। পরে যখন দেখলাম এটা বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে, তখন এটাকে পোস্টের মতো করে কিছুটা পরিবর্তন করে প্রকাশ করেছি।
আপনি বলায়, সেটা আপনার পোস্টে গিয়ে মন্তব্য আকারে দিয়েছি।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সামছুল আলম কচি@জাপা কে সরকার কেন ban করে না ? জাপার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কি রিলেশন ? জাপা কি চেতনা বেচে খায় ? জাপার সাথে ভারতের পাশাপাশি পাকি কানেকশান ও আছে। এরশাদ কে নিয়ে পাকি নিউজ পেপারে পজেটিভ কথা বলেছে। জাপার কাতার-কুয়েত কানেকশান ভালো। চরমোনাই কেন জাপার সাথে পিরিতি ? চরমোনাই কে নিয়ে কিছু বলেন ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৪২
শ্রাবণধারা বলেছেন: উনি কি জাপার ব্লগ শাখার সভাপতি?
পাকিস্তানি নিউজপেপার তথ্যসূত্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেখি।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সামছুল আলম কচি নামের এই রাজাকারের শাবকের তো দেখি মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলেই জ্বলুনি শুরু হয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: জ্বালুনি শুরু হলে সেখানে মরিচ ঘষে দেওয়া যেতে পারে, এতে রোগের উপশম হবে।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২২
কামাল১৮ বলেছেন: একটি মানবিক লেখা।মানুষের জন্য লেখা।আমাদের অবস্থাও গাজার মতো না হয়ে যায়।বৃহত শক্তির খেলা শুরু হয়ে যেতে পারে আমাদের নিয়ে।আমেরিকাকে করিডোর দিলে চীন ভারত সহ্য করবেনা।দেশ আছে এক মহা সংকটে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: বৃহৎ শক্তি যে খেলায় আছে, এটা কতগুলো ঘটনায় বেশ স্পষ্ট হয়ে গেছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন বা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এই সরকারের লক্ষ্য নয়। তারা তাদের প্রভুর এজেন্ডাগুলো নিয়ে পেরেশানিতে আছে।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪১
বিজন রয় বলেছেন: কিছু একটি করুন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ঠেকান।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই আর্তি আমার মনের গভীরে স্পর্শ করেছে।
আমার বিদ্যাবুদ্ধি বলে, যে কোনো অন্ধকার ঠেকানোর টেকসই পথ হলো দরজা-জানালা খুলে দেওয়া এবং আলো যাতে প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের মানুষের হিতাকাঙ্খা ও সম্মিলিত বুদ্ধিবৃত্তি সে কাজে কতদূর সফল হবে, দেখার অপেক্ষায় আছি।
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যারা দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হোক। মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই আমার এবং আমাদের প্রত্যেকের অহংকার।
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি: স্বাধীনতার আজ পঞ্চাশ বছর পর কেউ বা কোনো দল যদি এসে বলে, না তারা ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা করে নি। তারা তিনশত মানুষও হত্যা করেনি! তারা হত্যা করেছে মাত্র তিনজন! আর তিনজন হত্যা করেছে পেঁয়াজ রসুন কাটার ছোট চাকু দিয়ে, আস্তে আস্তে গলা কেটেছে যাতে বেশি ব্যথা না লাগে। গলা কাটার সময় তারা সান্তনাও দিয়েছে “বাবা বেশি ব্যথা লাগবে না, এই যে আস্তে আস্তে গলা কাটছি, এই যে মাত্র দশ সেকেন্ড, এই যে কাজ শেষ।
এখন করণীয় কি বলতে পারেন?
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা সত্যি পরিহাসের কথা যে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত সক্রিয় হয়ে উঠছে।
রাজাকার-আলবদরদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতিকে অস্বীকার করতে হবে। এজন্য তারা অর্থ, প্রচারমাধ্যম ও ইনফ্লুয়েন্সার ব্যবহার করছে এবং করবে।
এর জবাবে মুক্তিযুদ্ধকে মানুষের কাছে আরও জীবন্ত করে তুলতে পারাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির আসল চ্যালেঞ্জ। যে কাজটি আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে করেছেন। আগামী দিনের রাজনীতির রূপরেখা নির্ভর করবে এই লড়াইয়ের ফলের উপর।
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এখন করণীয় কি বলতে পারেন?
মিথ্যার পাহাড়কে সত্য দিয়ে আঘাত করুন, দেখবেন ঝন-ঝনাৎ শব্দে ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে সময় নিবেনা।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: সংক্ষেপে, খুব যথাযথ উত্তর দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
যদিও কাজটি সহজ নয়, কেননা কখনো কখনো তারা খুবই সংগঠিত শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ব্লগের এডমিন হলে শ্রাবণধারা’র একটি পোস্ট Click This Link মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী অপশক্তি, হুঁশিয়ার! এই পোস্ট অবশ্যই ষ্টিকি / পিনপোস্ট করে দিতাম। আমি লেখালেখির ওজন বুঝি।
ব্লগ এডমিনের প্রতি অনুরোধ করছি, লেখাটির গুরুত্ব যদি পিনপোস্ট হওয়ার মতো অধিকার রাখে তাহলে যেনো অবশ্যই একবার অন্তত বিবেচনা করেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
আমার এই লেখাটি পিনপোস্ট হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়তো নয়। আপনার পোস্টটি স্টিকি করায় অনেক দিন পরে ব্লগে একটি ভালো কাজ হয়েছে। আপনার ৭১-এর প্রত্যক্ষ স্মৃতির সাথে ব্লগার অন্তরতর-এর মন্তব্য এবং এইচ. এন. নার্গিস আপুর মন্তব্য মিলিয়ে সেই পোস্টটিকে খুবই সমৃদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে এই প্রজন্মের কাছে জীবন্ত করে উপস্থাপন করার ভেতর দিয়েই আমরা রাজাকার-আলবদরদের পরাজয় নিশ্চিত করবো।
১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের কপালে দুঃখ আছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: তাই নাকি? আপনি কী ধরনের চশমা ব্যবহার করেন?
তারাতো বেশ সুখেই আছে, দেখতে পাচ্ছি।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের সব রাজাকার যদি এক হয় অথবা রাজাকাররা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে কি বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে বা পাকিস্তান বানাতে পারবে? এই চিন্তা ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিফলন। পাকিস্তানী ও ভারতীয় দালাল মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: রাজাকার-আলবদররা মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিফলন মনে করে। যেটা কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ -যে কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে - তার পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
ভারতীয় আধিপত্যবাদ সার্কভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে মূলত অর্থনৈতিক। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রয়োজনে সেটিকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে টেনে এনেছিল। একটি দেশপ্রেমিক সরকার সেই আধিপত্যবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশকে মুক্ত করতে পারে, যেমন মালদ্বীপের মতো দেশও পেরেছে।
আর সংস্কৃতিগতভাবে বাঙালি সংস্কৃতি ভারতের সংস্কৃতির চেয়ে উন্নত। এখানে আমাদেরই আধিপত্য বজায় রাখার কথা।
১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: কবিগুরু বলেছেন, ‘ইতিহাস জাতির গৌরব ঘোষণার জন্য নহে— সত্য প্রকাশের জন্য’।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ইনভার্টেড কোমার মধ্যে স্বরচিত রবীন্দ্র-বাণীটি পছন্দ হয়েছে!
"সত্য" শব্দটা আসলে খুবই ভারী। এই শব্দটির যথেচ্ছ ব্যবহার দেখলে বিমূঢ় বোধ করি।
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ!
১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
রাবব১৯৭১ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।কিছু রাজাকারের বাচ্চারা সামুতে আছে স্বাধীনতা অর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লিখলেই ওদের গাত্রদাহ শুরু হয়।ওদের পাকিস্তানে পাঠানোর সময় হয়ে গেছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুসকিল হলো, এই রাজাকারের বাচ্চাদের উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বেশি দায় যে আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরের অপশাসন, ডাকাতি, হত্যা ও নৈরাজ্য - সেটা উপলব্ধি না করলে শুধু গালাগালিই সার হবে।
১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪
Spirit বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। কিন্তু ভারতপন্থীরা নিজেদের ফ্যাসিবাদের বৈধতা দিতে গিয়ে ফুলিয়ে ফাপিয়ে ৩০লক্ষে পৌঁছে দিছে। আর না হয় ৭১পরবর্তী মুজিব সরকার নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা ও তালিকা প্রকাশ করেনি কেন? সারাদেশের মোট জনসংখ্যা নিয়ে শুমারী করা গেলে একটা যুদ্ধের নিহতদের শুমারী কি খুব কঠিন কাজ? কারণ, প্রকৃত সংখ্যা বের হয়ে গেলে আজ ৭১কে গাজা যুদ্ধের সাথে তুলনা করা যেত না। ৩০লক্ষের বলে ভারত আর লীগ সন্ত্রাসীরা সেলিব্রিটি হতো না। মুজিব বাকশাল কায়েম করতে পারতো না। এরশাদ শিকদার ও তার দলের ৪০হাজার নেতাকর্মী সহ সারাদেশে লক্ষাধিক লোককে মুজিব বাহিনী হত্যা করতে পারতো না। ৭৪এর দুর্ভিক্ষ হতো না। হাসিনার মতো মানব ইতিহাসের নিকৃষ্টতর শাসক টানা ১৬বছর ভোট চুরি করে শাসনের ছড়ি ঘুরাতে পারতো না।
প্লিজ, আমাকে কোনো ট্যাগ না দিয়ে একটু হিসেব করুন, ৭১এ দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭কোটি (৭৫মিলিয়ন)। সুতরাং ৩০লক্ষ (৩মিলিয়ন) লোক নিহত মানে প্রতি ১০০জনে ৪জন নিহত। এইবার আপনার এলাকায় ৭১দেখেছে এমন লোকদের জিজ্ঞেস করুন, এই এলাকায় কয়জন লোক তখন মারা গেছে? তারপর নিহত সংখ্যা দ্বারা এলাকার মোট সংখ্যাকে ভাগ দিন। আশাকরি তখন আমার দাবির সত্যতা খুঁজে পাবেন। ইতিহাস পড়বেন, তবে পড়ার সময় মাথা অন্যের কাছে বন্ধক রাখবেন না। যা পড়বেন তা চোখ বন্ধ করে মেনে নিবেন না। বরং মেধা আর বাস্তবতার কষ্টিপাথর দিয়ে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করবেন। কারণ, AIএর যুগের প্রজন্ম বাস্তবতায় বিশ্বাসী।
এইতো আমার এলাকাতে ৫০০০+ লোকের বাস। যুদ্ধের সময় হয়তো এই সংখ্যাটা ২০০০+ ছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি এলাকাতে। সংখ্যালঘুদের সংখ্যাও বেশি এখানে; প্রায় ২০%। এতো কিছুর পরও ৭১এ আমার এলাকাতে একজন ও নিহত হয়নি। তাছাড়া আমার বাবা-মা উভয়েই ৭১দেখেছেন, তাই আমার জানার বাইরে কেউ নিহত থাকবে সেটা প্রায় অসম্ভব।
আমার মা, ৭০এর নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত তার পরিবার ঘোর আওয়ামীলীগ। তার বাবা যদিও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক হেল্প করেছেন, সংখ্যালঘুদের প্রটেক্ট দিয়েছেন। সেই মায়ের কাছ থেকে ৭১এ নিহতের কথা না শুনলেও শুনেছি মুজিব বাহিনীর গুন্ডামীর কথা, গুলি করে মানুষ হত্যার কথা। শুনেছি ৭২ থেকে ৭৫পর্যন্ত সময়ে যে ফ্যামিলিতে উপযুক্ত মেয়ে থাকতো, সে ফ্যামিলি অনেক আতংকে থাকতো। কখনো নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিত। কখন মুজিব বাহিনী এসে মেয়েটিকে......। মুজিব আর তার গুন্ডারা ৭১কে কয়েক হাজার থেকে ৩০লক্ষে পৌঁছানোর মধ্য দিয়েই এসব ঘৃণিত কর্মকাণ্ড করতে পেরেছিল।
এই ন্যারেটিভেই খুনি হাসিনা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল দীর্ঘ ১৬ বছর। আর.........।
কথা দীর্ঘ না করে আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম। প্লিজ, দ্বিমত থাকলে যৌক্তিক আলোচনা করুন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: "Spirit বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।"
মুক্তিযুদ্ধে কত মানুষ নিহত হয়েছেন, এই সত্য অনুসন্ধান যদি আপনার উদ্দেশ্য হতো, তাহলে কোন প্রকার অনুসন্ধান ছাড়াই এই কথাটি আপনি লিখতেন না।
মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, হত্যা, দুর্নীতি, নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশে মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা এবং হাসিনার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ঘটনা দুটি আলাদা আলাদা বিষয়। যদিও আওয়ামী লীগ তার ক্ষমতা ও অস্তিত্বের সার্থে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে।
জামাতের রাজাকার-আলবদররাও ধর্মের নামে ’৭১-এ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বহু জঘন্য অপকর্ম করেছে। এজন্য আমরা ধর্মকে দোষ দিই না। জামাতে ইসলাম আর ইসলাম দুটি ভিন্ন বিষয়, যতই তারা ধর্মের নামে ব্যবসা করুক না কেন।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫১
রাবব১৯৭১ বলেছেন: রাজাকারদের কমেন্টস পড়লে মনে পড়ে এরা নিজের মা বোনকে পাকিস্তানি আর্মিদের হাত তুলে দিয়েছিল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, রাজাকাররা আগের তুলনায় এখন আরও বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতির পেছনে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, হত্যা, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
Spirit বলেছেন:
আমার মন্তব্যের পর আরো দু'জন মন্তব্য করেছেন। অনেক কষ্ট লাগলো। মনে পড়লো কালা মানিকের কথা। জুলাই বিপ্লব চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এক মহিলা সাংবাদিককে সে রাজাকার বলেছিল; কারণ, বেচারির কথা কালা মানিকের মনিব হাম্বালীগের বিরুদ্ধে ছিল। আপনারাও আমাকে....। এটাই কি তবে আমাদের সংস্কৃতি, নীতি। আমি মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযোদ্ধের বিরুদ্ধে তো কিছু বলিনি। আমার মূল ফোকাস ছিল, মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ ব্যবহার করে যেন ভারতীয় আধিপত্য ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন না হয়।
৭১এর অনেক পর আমার জন্ম। তাই মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কোনটিই হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে আমার পূর্বপুরুষ যারা তখন ছিলেন তারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন; যা আমি প্রথম কমেন্টে উল্লেখ করেছি। কিন্তু আপনারা আমাকে...।
প্রথমজন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।"
মুক্তিযুদ্ধে কত মানুষ নিহত হয়েছেন, এই সত্য অনুসন্ধান যদি আপনার উদ্দেশ্য হতো, তাহলে কোন প্রকার অনুসন্ধান ছাড়াই এই কথাটি আপনি লিখতেন না।
@ নিখুঁত অনুসন্ধান আমার পক্ষে সম্ভব না। এটা কেবল যুদ্ধ-পরবর্তী গভর্নমেন্ট করতে পারতো। বরং এটা তাদের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য ছিল। পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেই যুদ্ধ-পরবর্তী কিংবা যুদ্ধকালীন গভর্নমেন্ট এটা করে। কিন্তু বাকশাল প্রতিষ্ঠাতা মুজিব সেটা করেনি। কেন করেনি আগের কমেন্টে বলেছি।
আর আমি যে বললাম কয়েক হাজার এটা কেবল নিজ আইডিয়া থেকে বললাম। আমি এভাবে হিসেব করলাম, প্রত্যেকটা উপজেলায় যদি ৫০জন (কারণ আমার উপজেলাতে নিহতের সংখ্যা প্রায় এরকম) করে নিহত হয়, তাহলে ৫০০উপজেলায় মোট ৫০০*৫০= ২৫০০০ হবে। কারণ, এটা ছাড়া আমার কাছে অন্য কোনো উপায় নাই। তবে, আপনাদের কাছে অন্য কোনো হিসেব বা যুক্তি থাকলে বলতে পারতেন। আমি প্রথম কমেন্টই সেটা বলেছি।
পরে বলেছেন, ৭১এর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইসলাম ধর্মকে আমরা দায়ী করি না।
@ সাধুবাদ আপনাকে। অবশ্যই না। ৭১ তো ইসলাম কিংবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ছিল না। বরং অনেক ইসলামী দল (যেমন: জমিয়তে উলামা) ও অনেক ইসলামপন্থী নেতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। অনেক মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, খাবার ও দোয়া দিয়ে সহায়তা করেছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক ধর্মীয় নেতা মুক্তিযুদ্ধকে "ন্যায়ের পক্ষে জিহাদ" হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
আর রাবর সাহেব! আপনি যে মন্তব্য করেছেন, কোনো জ্ঞানী ও সুস্থ-বিবেকবান মানুষের পক্ষে এই মন্তব্য করা সম্ভব না। এরকম কথা হীন ও নিচু মনমানসিকতার পরিচায়ক। যাক, আপনাকে আমি কটু কথা বলবোনা। কারণ, কুকুর আমার পায়ে কামড় দিলে আমি তো তার পায়ে কামড় দিতে পারি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যেখানে পৃথিবী প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও বিজ্ঞানে অগ্রসর হচ্ছে, সেখানে আমরা তর্কে লিপ্ত হচ্ছি মুক্তিযুদ্ধে কতজন মানুষ শহীদ হয়েছিলেন তা নিয়ে। এর একমাত্র কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরের দ্বিচারিতা। ২০২৪ সালের যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তা মূলত মাফিয়া শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ এখন আর মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারকশক্তি নয়; কারণ একটি দল নিজের দেশের টাকা এভাবে লুটপাট করতে পারে না যদি তারা সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে থাকে। আজকের আওয়ামী লীগের ভেতরে প্রচুর জামায়াতপন্থী রয়েছে যা প্রমাণ করে যে দলটি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। সমস্যাটা হচ্ছে, অভ্যুত্থানে জড়িত একটি অংশ আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে আড়ালে মুক্তিযুদ্ধকেও খাটো করে দেখায়। আসলে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরাজয়ের ইতিহাস ভুলতে পারছে না।বাংলাদেশের অদূর ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো স্বৈরশাসক জন্ম নেয়, তবে তার বিরুদ্ধেও অভ্যুত্থান ঘটতে পারে। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যাপার, এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার কোনো সম্পর্ক নেই।