![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Even an ugly truth is better than a beautiful lie....
এক।।
সুমনের দিনকাল ভালই কাটছিলো। Until Nayla came.
ভার্সিটির সবচে ভদ্র ছেলেদের একজন ছিলো সুমন। কিভাবে কিভাবে ওর এক কাজিনের পার্টিতে পরিচয় হল নায়লার সাথে। সুমন যেমনটা পছন্দ করে ঠিক তার বিপরীত নায়লা। এক্সট্রোভার্ট, বাক পটু, একটু বেশিই মডার্ন। পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই নায়লা যেচে পড়ে কথা বলতে শুরু করে সুমনের সাথে। এক কথা দুই কথায় সুমনও সহজ হয়ে যায় নায়লার সাথে। প্রতিদিন ফোন দিত নায়লা। পড়া পাগলা সুমনের পড়ার চেয়ে নায়লার সাথে কথা বলতেই ভালো লাগে।
নায়লার ঠিক কোন বিষয়টা ভালো লাগে জানেনা সুমন। তবুও প্রতিদিন কথা বলে। খুব চঞ্চল মেয়ে নায়লা। ১ ঘন্টার কথায় ৫৫ মিনিটই একলা বকর বকর করে মেয়েটা।
এভাবে মাত্র ২০ দিনের মাথায় একদিন প্রোপোজ করে বসে নায়লা। সুমন কিছুটা হতচকিত হয়ে যায়। কিন্ত আকর্ষন যেন আরো বেড়ে গেল বহুগুনে।
দেখা করতে চায় সুমন, কিন্ত নায়লা নাকি ব্যস্ত। দেখা করার সময় হয় না।
আচমকা রিলেশনের ৫ দিনের মাথায় নায়লা বলে, সুমনের সাথে আর রিলেশন রাখা পসিবল না।
সুমন ভেবে কূল পায়না এই ৫ দিনে এমন কি হলো। কেনই বা মেয়েটি প্রোপোজ করলো, কেনই বা আবার রিজেক্ট??
সুমন ওর কাজিন কে ফোন করল। এত দিন নায়লার ‘প্রাইভেসির’ কথা ভেবে সব লুকিয়ে রেখেছিলো সুমন। ফোন করে যা জানল তাতে সুমনের তব্দা খাওয়ার দশা। নায়লার নেভিতে জব করা বয়ফ্রেন্ড আছে। বয়ফ্রেন্ড সমুদ্রে চলে গেলে সে নানা জনের সাথে সময় কাটায়।
সুমন নিজেকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গাধা হিসেবে আবিষ্কার করল। ওর কাজিন হেসে বলল, ‘তোর মতন গাধার জন্য এরকম শিক্ষার দরকার আছে।’
সুমন কিছু বলে না।
দুই।।
অরনীর সাথে সুমনের পরিচয় ফ্রেন্ডস সার্কেলে। হতাশা গ্রস্থ তরুন তরুনীদের নিয়ে ক্লাব এই ফ্রেন্ডস সার্কেল।
প্রথম দিনেই সুমনের সাথে অরনীর বন্ধুত্ব। চোখের নিচে কালি পড়া অরনীকে দেখে অদ্ভূদ মায়া লাগছিলো সুমনের। অরনীও অভাগা। বোকা মেয়েটা বয়ফ্রেন্ডের কাছে ডাম্প হয়ে দিশা পাচ্ছে না।
প্রথম দেখাতেই সুমনের কাছে অরনীকে খুব চেনা মনে হল। আচ্ছা তোমাকে কি কোথাও দেখেছি?- জিজ্ঞেস করে সুমন।
না তো। আমার চেহারা আসলে খুব কমন ত, সবার কাছেই চেনা চেনা লাগে।– অরনী জবাব দেয়।
সুমন চিন্তা করে দেখে, নাহ, চেহারাটা কমন না।
সুমন আর অরনী ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে। অরনীর মন খারাপ করে থাকা সুমনের ভালো লাগে না। বলে, তোমাকে হাসিতে মানায়, কান্নায় না। কখনও মন খারাপ করে থাকবা না।
সুমনের মন খারাপ অরনীরও সহ্য হয় না। বলে, ছাগলের মতন উদাস হয়া থাকবা না তো। আমার ছাগলটা সবসময় ভ্যা ভ্যা করবে।
নিজের জীবনের কষ্টের কথা বলে অরনী। সুমনের মনে হয় সে যদি কাগজের মতন অরনীর কষ্টগুলি শুষে নিতে পারত! নিজের কষ্টের কথা আর মনে থাকে না।
তোমার কাছে একটা ছেলের সবচেয়ে কোন জিনিসটা ভালো লাগে?- জিজ্ঞেস করে করে সুমন।
অনেস্টি। অনেস্টিই সবচে বড় কথা। জীবনে যদি কোনো অনেস্ট ছেলে পাই, কখনই তাকে যেতে দিব না,একদম আচল দিয়ে বেঁধে রাখব।– বলে অরনী।
কথাটা মনে ধরে সুমনের। নিজের চিন্তার সাথে মিলে যায় কথা গুলি। সুমনও লাইফে অসততার শিকার হয়েছে। কিন্ত ওর শত্রুও বলবে, সুমন কত খানি সৎ। কতখানি বিশ্বস্ত। মনের অজান্তে নিজেকে অরনীর চাওয়ার পাত্র ভাবা শুরু করে দেয় সুমন।
অরনীকে নিয়ে ছুয়ে দিলে মন দেখতে যায় সুমন। কিছু কিছু গান লাইফের এক একটা অধ্যায় মনে করিয়ে দেয়। ছুয়ে দিলে মন গানটা শুনলেই অরনীর কথা মনে পড়ে সুমনের।
দিন রাত কথা বলে সুমন আর অরনী। ভাইবার, ওয়াটস্যাপ, স্কাইপি,ফেসবুক। বিরতিহীন শেয়ারিং। রাতে একে অন্যের ছবি না দেখে কেউ ঘুমাতে যায় না। সকালে উঠে খোজ না নেয়া পর্যন্ত কারও স্বস্তি আসে না।
তিন।।
অরনী সুমন দুইজনই যেন খারাপ দিন কাটিয়ে উঠছে। অরনীর মুখে হাসি- সুমনের মনে হয় ওর জীবনে চাওয়ার আর কিছু নেই।
একদিন অরনী ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার চেইঞ্জ করে। এত দিন ওকে না বলে কখনও প্রোফাইল পিকচার বদলায় নি অরনী। নতুন ছবিতে ট্যাগ দেয়া- রাদিন’স ফটোগ্রাফি।
অরনীকে ফোন দেয় সুমন।
-এই রাদিন-টা ক্যাডা??
-আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড।
-কও কি। কবে থেকে??
-এইতো বেশ কিছুদিন।
-কই কিছু ত কইলা না।
- ও খুব ভালো। খুব সুন্দর ছবি তোলে, অসাম গানও গায়। আর ব্রেক আপের পর ও অনেক হেল্প করসে আমাকে আজকের অবস্থায় আনার জন্য।
-হুম তাতো দেখতেই পারছি। ভালোই ছবি তুলছে।
- হা। কিন্ত সে আমারে প্রোপোজ করছে। আমার এত হাসি পাইসে.....
মাথা বন বন করে ঘুরে সুমনের। অরনীর মুখে অন্য কোনো ছেলের কথা ও সহ্য করতে পারে না।
পরের দিন সব চেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড তৌফিকের সাথে বসে সুমন। কি করব আমি?? আমি মনে হয় ওরে ভালবাসি।খুব বেশি মাত্রায়। আমার অবস্থা খুবই খারাপ and i guess im going to get another blow once again.
কি যে কস? –তৌফিক বলে। ওই মেয়েও তোকে পছন্দ করে। জাস্ট বাজায় দেখতেসে। এরা ছেলেদের মুখ দিয়া শুনতে চায়।
-আই এম নট শিওর সে আমাকে পছন্দ করে কিনা। I doubt that. সুমন জবাব দেয়।
-তাইলে সিম্পল, তুইও বাজায় দেখ। দড়ি ধরে টান মার। দেখ, যদি কাছে আসে তো সে তোকে লাইক করে।
পরের দিন মন বেজার করে ফোন দেয় সুমন।
দেখ অরনী, আমি আর তোমার সাথে কথা বলতে পারব না।
-ওমা, কেন কি হইসে??
-না। তুমি আমাকে রাদিনের কথা বলো নাই কেন??
-আরেহ তো কি হইসে??
- না, একটা ছেলে তোমারে প্রোপোজ করসে, আর তুমি তার তোলা ছবি প্রোফাইল পিকে দিসো, তার সাথে কনটাক্ট রাখসো- দিস ইজ নট সো সিম্পল। You gave him a positive signal, but still you didn’t share this to me.
- না না। এসব কিছুই না। সত্যি বলতেসি। আর আমার ভুল হইসে, এখন যা বলবা তাই-ই করব।
- ওরে ব্লকাও।
- ঠিকাছে ব্লকাচ্ছি।
-প্রোফাইল পিক চেইঞ্জাও।
- ঠিকাছে চেইঞ্জাচ্ছি।
সুমনের রাগ ভাঙ্গাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে অরনী।
সুমন যেন নিশ্চিত হয়, অরনীর কাছে সে আর সবার থেকে ভিন্ন কিছু।
চার।।
সুমনের মতন ছেলের পক্ষে কাউকে প্রোপোজ করা অসম্ভব একটা ব্যাপারের মতন ছিলো। কিন্ত সেটাও সম্ভব হলো।
- I do love you Oroni. Will you be mine??
- কি কও এগুলা?
- I just want to dream with you, and dream for you. Don’t let me down.
অরনী অবাক হয়। বোকা ছেলেটা প্রোপোজ করে বসবে ভাবে নি সে। ওর মন টা খারাপ হয়ে যায়।
সুমন কোনো উত্তর পায় না।
একদিন যায়, দুদিন, তিন দিন- এক সপ্তা কেটে যায়, অরনীর জবাব পায় না সুমন।
- আমি বুঝতে পেরেছি, আমার জন্য তোমার কোনো ফিল নাই।
- না তা না। অনেক মিস করি তোমাকে।
- সেটা ত সবাইকেই কর।
- না, শুধু তোমাকেই করি।
- তাহলে আমার উত্তর দিচ্ছ না কেন?? Don’t you love me?? Don’t you want to be with me??
সুমনের জন্য অদ্ভূত মায়া লাগে অরনীর।
হুমায়ুন আহমেদ ঠিকই বলেছেন, ভালো ছেলেদের জন্য মেয়েদের ভালোবাসা আসে না,যা আসে তা হলো করুণা।
অরনী চায় না সুমন কষ্ট পাক।
- আমি চাইনা তুমি আমার থেকে দূরে যাও।
- আমি ত চাই তুমি সবসময় আমার সাথে থাকো। তুমি একবার হ্যা বলো, সব দায়িত্ব আমার। -নিজেকে ডেসপারেট অবস্থায় আবিস্কার করে সুমন।
- কেন এমন কর?? অরনী বলে।
- I want answer. Yes or no.
- দেখ, আমি তোমাকে সবসময় জাস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই দেখতাম, এখনও দেখি।
ফ্রেন্ডের সাথে ‘জাস্ট’ কথাটা শুনে সুমনের রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সুমন কষ্ট পেয়েছে বুঝতে পেরে কুকড়ে ওঠে অরনী।
- বাট আই মিস ইউ। সত্যি অনেক মিস করি তোমায়। - বলে অরনী।
- Its not possible to continue like this. আমি তোমার কাছে ডিসটার্বিং এলিমেন্ট হয়ে থাকতে চাই না।
- না, প্লিজ যাইও না। অরনী বলে।
- শোনো ,একটা কথা বলি, ট্রু ফ্যাক্ট। বলে সুমন।
পৃথিবীতে ছেলে মেয়ে দুই পক্ষই মুখে বলে অনেস্টিকে তারা সর্বোচ্চ দাম দেয়। বাট বাস্তব কথা হইল আসলে তা না। মে বি তারা নিজেরাও জানে না তারা কি চায় বা জাস্ট বলার জন্য বলে।
অরনীর চোখে পানি চলে আসে।
- ভাগ্যে থাকলে আবার দেখা হবে। Till then, dont try to contact me. ফোনটা রেখে দেয় সুমন।
সুমনের আমেরিকান এক ভার্সিটিতে এমএস এ এডমিশন নেয়া ছিলো। যাবে কিনা ভাবছিলো। খুব দ্রুতই টিকেট কেটে USA চলে গেলো সুমন।
পাঁচ।।
কোনো এক বিকালে, অরনী টানা বেশ কয়েকবার হেঁচকি দিতেই বান্ধবীটি বলল, কেউ বোধহয় তোর কথা মনে করছে রে।
পৃথিবীর উল্টা পাশে আমেরিকার কোনো এক জায়গায় জানলার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছিলো সুমন।
ছয়।।
অনেকদিন পরের কথা। প্রায় ১৫ বছর হবে। অরনী এখন এক বাচ্চার মা। সুমনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হবার পর রাদিনের সাথে চার বছর সুন্দর একটা রিলেশন কাটায় অরনী। লাইফে সব ছিলো। রাদিনের মতন স্মার্ট, বুদ্ধিমান বয়ফ্রেন্ড। রাদিনের ভালোবাসার অভাব ছিলো না। ক্যাম্পাসে সবচেয়ে সুখী জোড়াদের একজন ছিলো তারা।
চার বছরের সুন্দর সময়টার পর হঠাৎ রাদিনের সাথে ঝামেলা বেড়ে গেলো অরনীর। ফ্যামিলি মানছিলো না।
রাদিনও পরিবারের পছন্দে হুট করে বিয়ে করে ফেলল।
অরনীর বাসা থেকেও দেরী করল না। এক সরকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বিয়ে হয়ে গেলো ওর। বিয়ের আসরে ছুয়ে দিলে মন সিনেমার গান শুনে অনেক দিন পর সুমনের কথা মনে পড়ল .......
সাত।।
নেত্রকোনার কোনো এক এলাকায় আচমকাই একদিন সুমনের সাথে দেখা হয়ে গেলো অরনীর। ১৫ বছর পর দেখা!! নেত্রকোনায় স্বামীর নতুন পোস্টিং। আর সুমন তত দিনে উদ্ভিদ জীন গবেষনায় ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে আর্টিফিশিয়াল গার্ডেনিং করে চলেছে।
অরনী আর ওর ছেলেটাকে নিয়ে বাগানে হাটছিলো সুমন।
-অই তুমি বিয়ে কর নাই? অরনী বলে।
- নাহ। সময় পাই নাই।
- তুমি কেন এমন করলা?? হুট করে আউট অব সাইট। আমার কথা একটুও মনে পড়ে নাই?
-তখন যা দরকার ছিলো তাই করেছি।
- সুমন, আমি সত্যিই স্যরি।
- আরে স্যরি হবার কি আছে। দেখো, আমি সবসময় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় বিশ্বাসী। হয়ত আমি তোমাকে সুখে রাখতে পারতাম না। এজন্য সৃষ্টিকর্তা চায় নি। শুধু আমি সুখে থাকতে চাইলে তো চলবে না। এই দেখো, তুমি কত সুখে আছো। লাইফে সুখে থাকাই তো সব তাই না??
-কিন্ত তুমি??
- শোনো, ট্রু লাভ নেভার ডাইস। শক্তির নিত্যতা সূত্রের মতই একে ধ্বংস করা যায় না, এটা এক রুপ থেকে অন্য রুপে পরিবর্তিত হয় মাত্র।
সুমন বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুল গাছটার কাছে ওদের নিয়ে গেলো। হালকা মিষ্টি সাদা ফুলটি দেখে মনে হচ্ছিলো মুখ টিপে হাসছে।
-এই ব্রিডিংটা আমি বানিয়েছি।সম্পূর্ন নতুন জাতের ফুল। কেমন দেখাচ্ছে ফুলটা?
-অসম্ভব সুন্দর।
গাছটার খুব কাছে গিয়ে গভীর মমতা আর ভালবাসা নিয়ে ফুল গাছটার পাতা স্পর্শ করে সুমন।
-হ্যা।এই ফুলটার নাম দিয়েছি অরনী। অরনী তোমায় ভালোবাসি....
সুমনের চোখ দুটো গভীর আবেগে ছলছল করছে। সে চোখে শুধু ফুল গাছটার জন্যই সত্যিকারের ভালোবাসা.....
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
এস.বি.আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
আজম বলেছেন: আপনার লেখার উপাদান গুলো দেখে চমৎকৃত হলাম। "জীবনের গন্তব্য হিসাবে ভালোবাসা" এই অনুভূতটিই অনুভূত হল গল্পটি পড়ে। লেখালেখিতে নিয়মিত থাকবেন আশা করি। ভালো থাকা হোক।
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
এস.বি.আলী বলেছেন: ধন্যবাদাপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
এস.বি.আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
হতাস৮৮ বলেছেন: অসাধারণ ধারাবাহিক......
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
এস.বি.আলী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে,কিছু মুহুর্ত মনে পড়ে গেছে