নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতেই আছি......... আমি একটা অভিমানী প্রানী।

....the sweetest melody is the one we haven heard

এস.বি.আলী

Even an ugly truth is better than a beautiful lie....

এস.বি.আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুমডেট, ড্যাফোডিলের সোনিয়া আর হিজিবিজি

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬


গত কয়েকদিনে দুইটা নিউজ খুব চোখে পড়ল। একটা নটরডেমের এক ছেলে প্রেমের কারনে আত্নহত্যা করেছে, আরেকটা হচ্ছে হচ্ছে ড্যাফোডিল ভার্সিটির সোনিয়া নামের এক মেয়ে তার প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে কৌশলে হত্যা করিয়েছে। সূত্র

এইটাইপ ঘটনা আসলে নতুন না। সাম্প্রতিককালে এরকম ইমোশনাল ডিসঅর্ডার , প্রতারণা বা ট্রাপে ফালানো প্রায়শই হচ্ছে। আসলে আমাদের সমাজ মোরালি যে কতটা নষ্ট হয়ে গেছে এসব তারই উদাহরন। নৈতিক দিক দিয়ে ক্রমশ ক্ষয়িঞ্চু একটা সমাজ আস্তে আস্তে তার ধ্বংশের প্রান্তে চলে এসেছে।

কি অদ্ভূদ একটা ‘প্রজন্ম’ আমরা পেয়েছি। ডি-জুস প্রজন্মের পর এবার এসেছে থ্রি-জি প্রজন্ম। এই প্রজন্ম চলে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে, মানে ভাইবার-ফেসবুক-স্কাইপে। সাথে আছে ওয়াটস্যাপ,ইমো,লাইম। ডিজুস প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের এক সাথে দুই-তিন নৌকায় পা দিতে সীম বদলাতে হত। এখন থ্রি জি প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের তা লাগে না। একজনের সাথে ভাইবার, আরেকজনের সাথে ফেসবুক, আরেকজনের সাথে ওয়াটস্যাপ- এভাবে সহজেই চালিয়ে নিতে পারছে এরা। নিদারুন দক্ষতায় অন্যদের সাথে প্রতারণা করে নিজেদের মাঝে ‘কনফিডেন্ট’ গ্রো করে নিচ্ছে। এ কনফিডেন্ট সৃষ্টিশীল কিছু করার নয়। এ কনফিডেন্ট হচ্ছে মিথ্যা বলতে পারার কনফিডেন্ট। আসলে যে তারা নিজেদের সাথেই, নিজেদের পটেনশিয়ালের সাথেই প্রতারণা করে চলেছে এটা তাদের বোঝাবে কে??

এই ঈদে আমার দেখা সেরা নাটকটি ছিল ‘রুমডেট’। অনেকেই নাটকটিকে আপত্তিকর বলছেন। কিন্ত তাদের বোঝা উচিত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এরচেয়েও ভয়াবহ। যদিও আমার মনে হয়েছে অজানা কারনে নির্মাতা নাটকটি কাটছাট করেছেন, কিন্ত তারপরেও যেটুকু মেসেজ দিতে পেরেছেন সেটাই কম কি। অর্ধ-উলংগ হয়ে ইন্ডিয়ানদের অনুকরনে ‘ম্যাজিক মামণি’ নাচার ‘সাহস’ এর চেয়ে আমাদের প্রজন্মের নোংরা চেহারাটা দেখানোর সাহসটাকেই আমি পজিটিভলি এগিয়ে রাখব।

নাটকটায় এক পর্যায়ে প্লে-বয় এশ-কে তার এক বান্ধবী বলে, আমাকে কি আর ১৫-২০ টা মেয়ের মত পেয়েছো যে বিছানায় যাব?
দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব কথা বলার পরেও বেশির ভাগ মেয়েই শেষ পর্যন্ত এইসব প্লে বয়দের বিছানাতেই যায়। জেনে শুনেই যায়। এমনটা কেন হয়? কেন এই মানসিকতা?

সমাজের ছেলেরা আজন্মই খারাপ ছিল। কিন্ত মেয়েদের অধঃপতন এই ডিজুস- থ্রি-জি যুগে যেন একটু বেশিই হয়েছে।
আর ১৫-২০ টা মেয়েই বা কেন এসব প্লে-বয়দের বিছানায় যাবে? মেয়েরা কি তাদের নিজেদের সম্মান দিতে পারছে না? কেন নিজেদের এত সহজেই ছেলেদের ক্রীড়ানকে পরিণত করছে? আসলে তারা থ্রি জি যুগে টেকনোলজী গুলোকে পুরপুরি নেগেটিভ ভাবে ইউজ করছে। ভাইবার, ওয়াটস্যাপ, স্কাইপে, ফেসবুক ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে তারা নিজেদের চারপাশে একটা ভার্চুয়াল জগত তৈরী করে ফেলেছে, যে জগতে কোনো কিছুতেই কোনো অপরাধ হয় না। মিথ্যা বলে-প্রতারণা করে, নোংরামী-ফাজলামি করে কোনো ক্ষতি হয় না। এসব করতে করতে কখন যে তারা বাস্তব জীবনেও সেসবের প্রয়োগ ঘটানো শুরু করে দেয় তা হয়ত তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না।
প্লে-বয়দের বিছানায় নিজেদের সমার্পন তাদের কাছে ফেসবুকে লাইক পাওয়ার জন্য একটু ‘সেক্সি’ লুকের ছবি আপলোডের মতনই সহজ ব্যাপার হয়ে যায় যেন। যুগের পোলা মাইয়ারা নিজেদের ‘সেক্সি’ প্রমাণের জন্য সব কিছু করতেই যেন প্রস্তত।বুঝি না, যার সাথে সেক্স করব তার কাছে সেক্সি লাগলেই তো হলো? তাহলে কি সবার সাথে সেক্স করার জন্যই এই ‘সেক্সি’ লুকের প্রচেষ্টা?

আমাদের প্রজন্মের প্রেম ভালোবাসা আবেগ অনূভূতি আর বুকের মাঝে নেই। আবেগ অনূভূতি সব চলে গেছে দুই রানের চিপায় আর প্রেম ভালোবাসা গলার কাছে। খুব সহজেই ‘আই লাভ ইউ’, ‘আই মিস ইউ’, বলে ফেলতে পারে। বিছানায় চলে যেতেও সময় লাগে না। আবার বোরড হয়ে গেলে মোবাইল সেটের মতই সব বদলানো হয়ে যায়। এদেরকেই অন্তঃসার শূন্য বলা হয়, কারন এরা যা বলে তা আসে গলা থেকে, হৃদয় থেকে না।

অনেকেই নিজেকে শো করাটা একটা অসুস্থ্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ফেসবুক এর মাধ্যমে বাংগালী নিজেদের যেভাবে শো-আপ করে তা আর কোনো দেশের মানুষ করে কিনা সন্দেহ। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হলেই একদম স্বামী স্ত্রীর মতন ছবি টবি তুলে এদের ফেসবুকে দিতে হবে।
আমার এক পরিচিত আত্নীয়ের কথা বলি। তার নতুন বয়ফ্রেন্ড নর্থ সাউথে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তাতেই সে নিজেকে ‘ইঞ্জিনিয়ারের বউ’ বলে পরিচয় দেয়! আসলে এরা “বয়ফ্রেন্ড” আর ‘হাজবেন্ড’ এর মাঝে খুব কমই পার্থক্য রেখে থাকে। তাইতো বিয়ের পর কোনো কিছু আর নতুন মনে হয় না। অস্থির এই প্রজন্ম যে ভাইবার-ওয়াটসএপ-ফেসবুকের মধ্যমে প্রতি মুহুর্তে স্টিমুলেশন নিয়ে অভ্যস্ত। তাই এদের বোরড হতে বেশি সময় লাগে না।
আর এর ফলাফল আমরা সহজেই দেখতে পারি, যে কোনো কাজী অফিসে গেলেই দেখতে পারবেন কি পরিমাণ ডিভোর্স এই যুগে হচ্ছে। যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে এখন অনেক বেশি বিয়ে ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে।

ড্যাফোডিলের সোনিয়ার কাহিনীতে আসি। তার একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল রুবেল নাম। তারপরেও সে পরিবারের পছন্দে আরেকজনকে বিয়ে করল। এবার রুবেলকে টাকা দিল তার স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য। রুবেল ছিনতাইকারীর বেশে হত্যা করল স্বামীকে।
এখানে বেচারা স্বামী কি দোষটা করল যে তাকে জীবন দিতে হবে?? সংসার করতে না চাইলে তালাক দিয়ে দিলেই হয়, মেয়েদের সেই অধিকার আইনে আছে। কিন্ত তা না করে বিনা কারনে স্বামীকে হত্যা করানো- আসলেই কিছু বলার ভাষা নাই।
ছেলেদের পৈশাচিকতা সমাজে সুপরিচিত। আমার এক বান্ধবী একবার বলেছিল, যার সাথেই বিয়ে হোক তাকে আগে থেকে বলে রাখব, “হাতে মারো, কিন্ত জানে মেরো না।”
যে যুগ পড়ছে, আসলে ছেলেদেরও বিয়ের আগে মেয়েকে বলে নিতে হবে, “অন্য কাউরে ভালো লাগলে চলে যাইও, কিন্ত আমারে জানে মেরো না!”

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

লেখোয়াড়. বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
সামনের দিনগুলোতে আমাদের দেশে বা সমাজে যৌন বিপ্লব ঘটবে। সমাজ রসাতলে যাবে, তারপর একদিন সুদিন আসবে।
এসব ভেবে আমি সবসময় আতঙ্কে থাকি।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

এস.বি.আলী বলেছেন: যৌন বিপ্লব :D

যে দিনকাল আসছে, সামনে সিংগেল মাদারের প্রাচুর্যও দেখা যাইতারে। আম্রিকানরা বড় দেশ, টাকা আছে, রাস্ট্রীয় ভাবে এসব সামলাচ্ছে। আমাদের একে নাই টাকা, তার উপর এত ছোট দেশে ১৭ কোটি মানুষ। আমরা এসব সামলাতে পারব বলে মনে হয় না।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমরা এসব সামলাতে পারব বলে মনে হয় না.....................

সেই জন্যই তো বললাম....সমাজ রসাতলে যাবে, এসব ভেবে আমি সবসময় আতঙ্কে থাকি।
হাতের কাছে সহজে ভোগ্য বা উপবোগ্য কিছু পেলে মানুষর মাথা নষ্ট হয়ে যায়, আমরা আছি সেই পর্যায়ে।

যাহকো, সব অশুভকে মোকবেলা করে ভাল কিছুর জন্য সবাই মিলে যুদ্ধ করতেই হবে।
হাতগুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সবারই একটু একটু ভাল অবদানে আমাদের সুদিন ফিরে আসবে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

এস.বি.আলী বলেছেন: একমত।।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১০

সুদিন বলেছেন: আধুনিকতা মানেই কি বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, প্লেবয়-প্লেগার্ল.... ফ্রি সেক্স এর নোংরামি,
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ধারণ না করলে কি আধুনিক হওয়া যায় না...., এগুলো না হলে জীবন কি বিফল হয়ে যায়....?

আমি-আপনি, আমরা- ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবারই দায়িত্ব
এই অধ:পতন থেকে বের হওয়ার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪২

এস.বি.আলী বলেছেন: পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আমরা এফোর্ড করতে পারব না। এটা যত দ্রুত অনুধাবন করা যায় তত মঙ্গল।
আর দায়িত্বের কথা বলছেন। এইদেশে যে-ই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চায় সে-ই বাশ খায়। এসব বললেই নারীবাদী, হ্যান-ত্যান, মুক্তমনারা ঝাপায় পড়বে। কি আর বলব। তার পরেও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে। অন্তত নিজেকে ঠিক রাখতে হবে। এটাও কম না।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: হপে না। আপনি ১৪০০ বছর আগের ভুয়া কথা বলছেন। আপনি ক্ষ্যাত। আপনি ব্যাক ডেটেড। আমার লাইফ, আমি যা খুশি তাই করব, আপনি বলার কে? আপনি যুগের সাথে তাল মিলাতে পারেন না। ব্লা ব্লা ব্লা......

আমরা সবাই দিনকেদিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। যে ভাইরাস সমাজকে ধরছে, তা থেকে নিস্তার পাবে না কেউ, নৈতিক শিক্ষাকে স্বৈরাচারী উপায়ে সবার উপর চাপানো ছাড়া আর কোন পথ নেই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫০

এস.বি.আলী বলেছেন: আজকালকার পোলাপাইনদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় একটা ডায়লগ-
Don't ever change yourself for others ...
If they don't like you the way you are it's their problem.. Not yours.
খুব সোন্দর কথা। কিন্ত কথাটা পারফেক্ট যদি আপনার নীতি নৈতিকতা, মোরালিটি ভালো হয়। আমাদের বখে যাওয়া নীতি নৈতিকতা হীন প্রজন্মের মুখে এই কথা মানায় না। নিজেরা ইচ্ছা মতন কুকর্ম করবে আর এইসব কথা কইয়া সেসব আড়াল করবে- এই হইলো এদের ট্রেন্ড।
প্রবলেমটা সবসময় অন্যদেরই- এইটা যে সবসময় ভাবে তার প্রবলেমটা কোথায়?
দেশটা ছোট,মানুষ বেশি। ভাইরাস খুব দ্রুতই ছড়ায় যায় তাই।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমরা মনে প্রাণে আমেরিকান কিন্তু ভাবে বাঙ্গালী...আমাদের দেশে ক্লাস সিক্স থেকে যৌন শিক্ষা চালু করে আবার ক্লাস সিক্স থেকেই ছেলে-মেয়ে আলাদা শিফটে দিয়ে দেয়া হয়...সমাজই এদের ভন্ডামী শেখায়!
আর বাঙ্গালীর লোভ-ভন্ডামী-দ্বিমুখিতা শতবর্ষের পুরানো বৈশিষ্ট্য

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫২

এস.বি.আলী বলেছেন: মনে প্রানে আম্রিকান হইলে ধরা খাউয়া সুনিশ্চিত। আমাদের সমাজ/রাস্ট্র আম্রিকান সংস্কৃতি এফোর্ড করতে পারবে না।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলাদেশে যে শক্তিশালী প্রজন্ম আসছে এগুলো তার লক্ষণ।।

এসব কাজ আগেও হতো এখনও হচ্ছে ভবিষ্যতেও হবে।।
পার্থক্য হলো আগে এসব থাকতো অপ্রকাশিত আর এখন এসব প্রকাশিত।।

যার ফলে মনে হচ্ছে কাজগুলো বেড়ে গেছে।।। আসলে সব একই আছে।।

ভালোই হয়েছে,,, আগেকার দমবদ্ধ চাপা অস্বাভাবিক পরিবেশ থেকে বর্তমান প্রজন্ম মুক্ত।।। এজন্য এরাই স্বাভাবিক সমাজ গড়বে।।।

আগেকার মত ভন্ডামি নয়।।। যেমনঃ প্রেমিক- "" আমাদের তো বিয়ে হবে সমস্যা কি? বা তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না তা নাহলে আমাকে দিচ্ছ না কেন বা আমাদের তো বিয়ে হবেই তো দেখতে বা ধরলে সমস্যা কি?? """" ইত্যাদি ইত্যাদি।।।।

তারপর কাম শেষে,, "" আরে দুর """"।।

ওইসব তথাকথিত আগেকার প্রজন্মের সন্তানরাই বর্তমান প্রজন্ম।। নিজেদের কথা ভুলে যায় কেন আগেকার ভন্ড প্রতারক বিশ্বাসঘাতক প্রজন্ম।।।।।

বরং বর্তমান প্রজন্মের প্রোডাক্ট গুলো ভালো হবে।। দেহের প্রয়োজন পড়েছে তো সাধ মিটিয়ে নাও অতৃপ্ত থেকো না।
ব্যস এরপর তোমাকে দরকার নাই।। কাহিনী শেষ।।
এরা স্মার্ট হয়,, মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়,, আত্নবিশ্বাসী হয়।।

আগেকার কুলাঙ্গার প্রজন্মের মত সামনে বিরোধিতা করে আড়ালে হাত দিয়ে যৌবন শেষ করতে হয় না।।

কিসের নীতিকথা? কিসের সততা?? কিসের দায়িত্ব??
কোনকালেই বা ছিল এসব এই জাতির মধ্যে।। যত্তসব তত্তকথা।।।

আর কথায় কথায় আমরিকা পাশ্চাত্য কে গালি দেয়া বন্ধ করেন।।।। ওরা ফ্রি সেক্স করে বাট ভন্ডামি করেনা।।।

আর ওরাও সেক্স করে এদেশের মানুষেরা ও করে।।
পার্থক্য হচ্ছে,, পাশ্চাত্য বা আমেরিকা সেক্সকে নিজেদের পা য়ের তলায় রেখেছে
আর বাঙাল রা সেক্সের পায়ের নিচে নিজেদের রেখেছে।।।

বরং এসব চলুক তাহলে ভবিষ্যতে দেশের উন্নতি হবে।।।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

এস.বি.আলী বলেছেন: আমরিকা পাশ্চাত্য কে গালি দেয়ার কোনো কারন নাই। ওরা ওদের কালচার মতন চলে। এদের কালচারের অনেক ভালো দিক আছে যেগুলা আমারা নিলে আমাদের উন্নতি হত। কিন্ত তার বদলে এমন বিষয় গুলোই নেয়া হচ্ছে যা একচুয়ালি আমরা এফোর্ড করতে পারব না।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২০

হামিদ আহসান বলেছেন: অস্থির সময়ের সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন৷ শেষ পর্যন্ত অামরা কোথায় যাব কে জানে!

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

এস.বি.আলী বলেছেন: :(

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২

সাদাত শাহরিয়ার বলেছেন: ভাইরে ভাই! আপনার লেখা পড়ে তো সাধারণ স্বামী সমাজ রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারবে না!

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

এস.বি.আলী বলেছেন: সুপ্রিয় শেহরিয়ার ভেউ, স্ত্রী সমাজেরও ঘুম হয় না মে বি ঠিক মতন। ভালো হয়া যান, লল।
আমার আরেকটা লেখা/গল্প পইড়া দেখেন, কেমন হইসে জানানঃ Click This Link

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১২

ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ বলেছেন: ভাল লাগলো।।।।।আসোলেই,,,,,আধুনিকতার নামে,,, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি,,,,,মেনে নেওয়া যায় না।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫০

এস.বি.আলী বলেছেন: :|

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: সমাজের ছেলেরা আজন্মই খারাপ ছিল। কিন্ত মেয়েদের অধঃপতন এই ডিজুস- থ্রি-জি যুগে যেন একটু বেশিই হয়েছে: সেরাম বলেছেন

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

এস.বি.আলী বলেছেন: ছেলেদের আকাম কুকামের চাহিদা অলও্ইয়েজই ছিল। এখন যোগান ভালোই পাচ্ছে তারা।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: কলাবাগান থানার কাছে ছিনতাইয়ের নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় তাকে। আর এর পরিকল্পনাকারী ছিলেন পরকীয়ায় জড়িত তার স্ত্রী তাসমিন খাদিজা সোনিয়া। ২৬ জুন রাতে নিহত হন পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে সানোয়ারা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সাব-জিরো (কোয়ালিটি) আইসক্রিম পার্লারের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ওবায়দুল হাসান (৩৬)। তিনি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসির ভাগ্নে। ওবায়দুল হত্যাকাণ্ডের পর ধারণা করা হয়েছিল এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা। পরে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া দু’জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সোনিয়ার নাম আসার পর থেকে তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার ডিবির একটি দল তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ডিবির ডিসি মাশরুকুর রহমান খালেদের তদারকিতে রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাতের তত্ত্বাবধানে এসআই দীপক কুমার দাস গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া স্বীকার করেছেন, তার পরিকল্পনা এবং তার দেয়া টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে ওবায়দুলকে খুন করা হয়। আর এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় তার প্রেমিক সাইফুল হাসান রুবেল। হত্যাকাণ্ডে রুবেলের সহযোগী ছিল তার তিন ভাগ্নে। ওবায়দুল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া এ চারজনের মধ্যে মূল ঘাতক তানভীর ও তথ্যদাতা মিঠু ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোনিয়ার প্রেমিক রুবেল এবং অপর সন্দেহভাজন পাপ্পুও গোয়েন্দা জালে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কলাবাগান থানায় ২৭ জুন দায়ের হওয়া ওবায়দুল হত্যা মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। ডিবির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাসরুকুর রহমান খালেদ যুগান্তরকে জানান, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল্লাহ রুবেলের সঙ্গে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন সোনিয়া। ওই সময় থেকে তাদের মধ্যে চার বছরের প্রেম ছিল। এ অবস্থায় ৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে ওবায়দুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনিয়ার। বিয়ের পরও রুবেলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখত সোনিয়া। নিয়মিত দেখা করা ছাড়াও ওবায়দুল অফিসে থাকাকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা বলত। বিয়ের সময় ওবায়দুল তার মামা নুরুল ইসলাম বিএসসির নিউ ইস্কাটন রোডের বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর স্ত্রীর চাপাচাপিতে তিনি ৫৭, সার্কুলার রোডে ৫ মাস আগে পৃথক বাসায় ওঠেন। এই বাড়িটি নুরুল ইসলাম বিএসসির পুরনো বাড়ি। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওবায়দুল। স্বামী বেঁচে থাকলে পরকীয়া চললেও রুবেলের সঙ্গে বিয়ে সম্ভব নয়; তাই সোনিয়া নিজেই কৌশলে ওবায়দুলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। সে লক্ষ্যে টাকা জমিয়ে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রেমিক রুবেলের হাতে। রুবেল ওই টাকা দিয়ে একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল সংগ্রহ করেন। একটি মোটরসাইকেল ধার নেন ভাগ্নে পাপ্পুর এক বন্ধুর কাছ থেকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে রুবেল তার আরও দুই ভাগ্নে তানভীর ও মিঠুর সহযোগিতা নেয়। মিঠুর দায়িত্ব ছিল ওবায়দুল কোথায় যায়, কিভাবে যায় সেটা রেকি করে রুবেলকে জানানো। ঘটনার দিন রুবেল, পাপ্পু ও তানভীর মোটরসাইকেলে চড়ে কলাবাগান ভূতের গলির মাথায় অবস্থান নেয়। ওবায়দুল রিকশায় চড়ে বাসায় যাচ্ছে; মিঠু এমন খবর দেয়ার পর ১০৩, সার্কুলার রোডে (ভূতের গলি) ব্যারিকেড দেয় তারা। ঘটনাটিকে ছিনতাই সাজাতে পিস্তল ধরে বলে ‘যা আছে, দিয়ে দে।’ ওবায়দুল কোনো কথা না বলে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন দিয়ে দেন। এরপরও রুবেল তানভীরকে উদ্দেশ করে বলে- শালারে গুলি করে দে। তানভীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ওবায়দুলকে একটি মাত্র গুলি করে মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলিটি কপালের এক ইঞ্চি ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত ওবায়দুলকে বহনকারী রিকশাচালক জাহাঙ্গীর দ্রুত তাকে কলাবাগান থানায় নিয়ে যান। থানার ওসি ইকবাল হোসেন মুমূর্ষু ওবায়দুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান ওবায়দুল।
ডিসি মাশরুকুর রহমান খালেদ আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া পাপ্পু, মিঠু ও তানভীর সম্পর্কে রুবেলের ভাগ্নে। তবে আপন নয়। মামার প্রেমিকাকে ফেরত পেতে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে রাজি হয়। ওবায়দুলকে খুন করার পর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে দুই বন্ধুর কাছে চলে যায়। পরে ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আত্মগোপন করে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। ওবায়দুলের লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও ওবায়দুলের ল্যাপটপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো রুবেল ও পাপ্পুর কাছে আছে।
যেভাবে রহস্য উন্মোচন : প্রথমদিকে ধারণা ছিল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কিন্তু বিনা বাধায় মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ দিয়ে দেয়ার পরও কেন ওবায়দুলকে গুলি করা হল তা নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে সন্দেহ জাগে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে মামলার তদন্ত শুরু হয়। চলে মোবাইল ট্র্যাকিং। সোনিয়ার মোবাইল ফোন কললিস্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পাওয়া যায়। কলাবাগান থানা পুলিশ খুনের পর মোটরসাইকেলে চড়ে তিন যুবকের চলে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফুটেজটি ছিল ঝাপসা। তাতে দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যে পলিথিন সামনে দিয়ে ওবায়দুলকে বহনকারী রিকশাটি থামিয়েছে একটি মোটরসাইকেল। পরে পুলিশ ভূতের গলির আরও একটি বাড়িতে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মোটরসাইকেলের নম্বর উদ্ধার করে। বসুন্ধরা সিটি থেকে প্রাপ্ত একটি ফুটেজে দেখা গেছে ওবায়দুল বের হওয়ার সময় ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ তাকে অনুসরণ করছে। ওই তরুণ অনবরত মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। পুলিশ তাকে সন্দেহ করে এবং শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে চাঁদপুর থেকে আটক করে জানা যায় ওই তরুণের নাম মাহমুদুল হাসান মিঠু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে অজানা অনেক রহস্য। বেরিয়ে আসে রুবেল, তানভীর ও পাপ্পুর নাম। ডিবি তানভীরকে সম্প্রতি পাবনা থেকে গ্রেফতার করে। তানভীর ও মিঠুকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল পাপ্পু। ঘটনার পর থেকে রুবেল ও পাপ্পু আত্মগোপনে আছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা ওবায়দুলের স্ত্রী সোনিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানায়।
অস্ত্র কেনার টাকা দেন সোনিয়া : পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর জানিয়েছে, ওবায়দুলকে খুন করার জন্য অস্ত্র কেনার টাকা দিয়েছে তার স্ত্রী সোনিয়া। প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়। বাকি টাকা দিয়ে তিন ভাগ্নেকে নতুন সিমকার্ড কিনে দেয় রুবেল। তারা পুরনো সিম বদলে নতুন সিম ব্যবহার শুরু করে। তানভীরের দাবি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নয়; মামার ভালোবাসার মানুষকে তার কাছে ফিরিয়ে আনতেই তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই দীপক কুমার জানান, তানভীর চাঁদপুরে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ছিল। পড়াশোনা করলেও অস্ত্র চালনার বিষয়ে তার দক্ষতা আছে।
বিয়ের সময় মিথ্যা বলেছিলেন সোনিয়া : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, সোনিয়ার সঙ্গে যখন বিয়ের কথা পাকাপাকি হচ্ছিল তখন বড় ভাই শেখ আহমদ তার ছোট ভাই ওবায়দুলকে বলেছিলেন, ‘পাত্রীকে জিজ্ঞেস করে নিও অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে অ্যাফেয়ার বা প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা। কারণ এ ধরনের সম্পর্ক থাকলে সেই বিয়ে টেকে না। পরে ঝামেলা হয়।’ বড় ভাইয়ের কথামতো হবুবধূকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসও করেছিলেন ওবায়দুল। উত্তরে সোনিয়া বলেছিলেন, তার সঙ্গে কারও কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। এমন উত্তর পেয়েই শেষ পর্যন্ত পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওবায়দুল ও সোনিয়ার। সেদিন মিথ্যা বলেছিলেন সোনিয়া। শেষ পর্যন্ত যার বলি হলেন ওবায়দুল।
ওবায়দুলের বড় ভাই ও মামলার বাদী শেখ আহমদ বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, আমার ভাইটা যে কত সহজ-সরল ও সাদামাটা ছিল তা কল্পনাও করা যায় না। এমন একটা ছেলেকে তার স্ত্রীর পরিকল্পনাতেই খুন হতে হল! ভালো না লাগলে সে চলে যেতে পারত। আমার ভাইকে মারল কেন।’ তিনি আরও বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ওবায়দুল। গত বছরের ৮ অক্টোবর সোনিয়ার সঙ্গে তার বিয়ের কথা পাকা হয়। ৯ নভেম্বর হয় আকদ ও বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ের পর চট্টগ্রামের ষোলশহর দুই নম্বর গেটে একটি বাসা নিয়ে ওঠে দু’জন। কিন্তু চাকরির কারণে স্ত্রীকে নিয়ে ওবায়দুল পাঁচ মাস আগে ঢাকায় চলে যায়। তিন মাস আগে তার মা শামসুন নুরকে ওই বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। শেখ আহমদ বলেন, ‘সোনিয়া এই তিন মাসে আমার মাকে নানাভাবে অবহেলা-অবজ্ঞা করেছে। শাশুড়ি হিসেবে যে মর্যাদা দেয়ার কথা ছিল তা দেয়নি। এমন আচরণ করেছে যাতে বাসা ছেড়ে আমার মা চলে আসেন।’ কিন্তু বউয়ের এসব আচরণ সম্পর্কে কিছু বললে ছেলে যদি মনে কষ্ট পায় সে কারণে মা সবকিছু সহ্য করেছেন। ওবায়দুল খুনের ঘটনায় সোনিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগের কথা শোনার পর আমরা বুঝতে পারলাম সোনিয়া আসলে অবাধ পরকীয়ার পথ উন্মুক্ত করতেই এমন আচরণ করত। শুধু তাই নয়; ঢাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার নামে সকালে গিয়ে আবার বিকালে ফিরত বাসায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামেও বেশির ভাগ সময় একা আসা-যাওয়া করত।
সোনিয়া লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার বাসিন্দা নুরুল আবছারের মেয়ে। নগরীর আলকরণ দোভাষ কলোনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তার পরিবার।
সূত্র জানায়, ওবায়দুল হকের মৃত্যুর পর সোনিয়াও লাশের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন। চারদিন ওবায়দুল হকের খাজা রোডের বাসায় ছিলেন। এরপর তিনি চলে যান আলকরণে পিতার বাসায়। সর্বশেষ ঈদের আগে তিনি নগরীর প্রবর্ত্তক মোড়ে অবস্থিত ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। ঈদের পর দ্বিতীয় দফায় ভর্তি হন একই হাসপাতালে।
শেখ আহমদ ডিএমপি পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে যুগান্তরকে বলেন, বুধবার রাতেই মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সোনিয়ার খোঁজখবর রাখতে বলেন। সোনিয়ার হাসপাতালে থাকার বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। রাত ১২টার পর পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে তিনিও ছিলেন। কিন্তু মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ধাওয়া করে লাভলেন এলাকা থেকে সোনিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশায় তার মা ও ভাই দেলোয়ার হোসেন ছিলেন। রাতেই সোনিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। শেখ আহমদ বলেন, ‘আমরা কল্পনাই করতে পারছি না যে একজন স্ত্রী হয়ে স্বামীকে এভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করানো হবে।’
উল্লেখ্য, ২৬ জুন রাতে কলাবাগান থানার মাত্র ৩০০ গজের মধ্যে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ওবায়দুল হাসান। তার ৫৭, সার্কুলার রোড (ভূতের গলি) কলাবাগানের বাসার অদূরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

এস.বি.আলী বলেছেন: ওবায়দুলের বড় ভাই ও মামলার বাদী শেখ আহমদ বৃহস্পতিবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, আমার ভাইটা যে কত সহজ-সরল ও সাদামাটা ছিল তা কল্পনাও করা যায় না। এমন একটা ছেলেকে তার স্ত্রীর পরিকল্পনাতেই খুন হতে হল! ভালো না লাগলে সে চলে যেতে পারত। আমার ভাইকে মারল কেন।’

মানসিক বিকারগ্রস্থ প্রজন্মের বলে।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পরিবার থেকে শিক্ষা আজকালকার ছেলেমেয়েরা কতটা পায় কে জানে। এদের ভালোবাসা সব শরিরে গিয়া হারাইয়া যায়। এরা জানেনা সাময়িক পুলকের নাম ভালোবাসা না। ভালোবাসা অন্যরকম কিছু। নৈতিক অবক্ষয়টা আমাদের দেশে অতিরিক্তরকম দ্রুত ঘটছে। পশ্চিমা দেশেও মনে হয় সম্পর্কের ব্যাপারে সৎ থাকে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু আমাদের এই প্রজন্ম সম্পর্কের ব্যাপারে সৎ না।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০২

এস.বি.আলী বলেছেন: পশ্চিমা দেশের মানুষেরাও সাধারণত একলগে দুই তিন জনের সাথে শোয় না। ওরা লিভ টুগেদার করে কিন্ত দ্রুত পার্টনার বদলায় না। সেইদিক থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা একসাথে অনেকগুলা করতে বেশি দক্ষ, পার্টনার বদলাইতেও পটু।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অর্থনৈতিক ভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার কুফল । এটা অনিবার্য ! আগামি ১০ বছরে দেশে , যৌন বিপ্লব ঘটবে । একে ঠেকানো সম্ভব নয় ।
এই ''কুফল'' টাকে যথাসম্ভব সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০২

এস.বি.আলী বলেছেন: আচ্ছা।

১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৪

এস.বি.আলী বলেছেন:



বুঝলাম না এইখানে কি শর্ত ভাংগা হইসে যে মন্তব্য মুছে ফেলা হইল?? আজিব!!

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

অপূর্ব আহমেদ জুয়েল বলেছেন: আপনার ফেসবুক আইডির লিংক টা দেওয়া যাবে ?

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১২

এস.বি.আলী বলেছেন: এই মুহুর্তে আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। ফেসবুক ইউজ করছি না বেশকিছু দিন হলো।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

জাহিদ নীল বলেছেন: Post porea tho bia korer issa bera galo...
Ki kori aiber

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @বিপরীত বাকঃ কিন্তু নতুন পৃথিবী গড়তে যে স্বাভাবিক জীবনচর্চা থাকা দরকার তা বর্তমান থ্রিজি প্রজন্মের নেই...।

আমেরিকানরা মেট্রোতে ট্রাভেল করতে করতে, রেস্টুরেন্টে খেতে খেতে বই পড়ে...অবসর সময়ে সাবওয়ে বা বার্গার কিং এ কাজ করে নিজের খরচ নিজে চালায়...কাজেই সেক্সের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার মত সাহস তাদের আছে।

কিন্তু বাঙ্গালী পোলাপান কি করে...৫ টাকার চা খাইতে গিয়া ২ ঘন্টা হোটেলে বইসা চাপা পিটায়...২৪ বছর বয়স পর্যন্ত বাপের হোটেলে খায়...অবসর সময়ে সানি লিয়নের শরীর চাটে...ভাইবার/হোয়াটসআপে ঘন্টার পরে ঘন্টা সময় নষ্ট করে। খালি যদি ইচ্ছামতন সেক্স করেই নতুন সমাজ গঠন করা যেত, তাইলে আদিম সমাজ সবচাইতে সমৃদ্ধ হত...

কাজেই আমেরিকান পোলাপনের সাথে বাঙ্গালী বাল ফেলাইন্না পোলাপানের তুলনা কইরেন না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.