![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুক প্রোফাইলঃ https://www.facebook.com/deshpremikr3turns
স্বাধীন ভারতবর্ষের
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গত
শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের
দশকে ব্রিটিশরাজকে কাঁপিয়ে দিতে বাংলার
বুকে একজন মহানায়কের আবির্ভাব
ঘটেছিল।
তিনি মহান বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য
কুমার সেন।
‘ভূধরস্থলী রম্য নগরী চট্টলা’—এই
চট্টলা বীর প্রসবিণী। গোটা ভারতের স্বাধীনতা-
সংগ্রাম থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই
নেতৃত্বদানকারী অনেক
নেতার জন্ম এই চট্টগ্রামে। পাহাড়-
সমুদ্রঘেরা চট্টগ্রাম বীরের দেশ।
১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের
রাউজান থানার
নোয়াপাড়া গ্রামে বাবা রাজমণি সেন
ও মা শশীবালা সেনের গৃহে জন্ম নেন
মাস্টারদা সূর্য
সেন। স্কুলে পড়ার সময় তিনি প্রধান
শিক্ষক হেমেন্দ্র লাল মুখটি (বরিশাল ষড়যন্ত্র
মামলার আসামি) নামের একজন বিপ্লবীর
সাহচর্যে বিপ্লবের
দীক্ষা গ্রহণ করেন।
বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বিএ পাস
করে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হলেও
গোপনে চলতে থাকে তাঁর
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড।
‘অনুশীলন সমিতি’ ও ‘যুগান্তর’-এর
সঙ্গে জড়িয়ে বিপ্লবী দলে অংশ নেন
সূর্য সেন।
১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের
সাধারণ
সম্পাদক থাকাকালীন গোপনে সশস্ত্র
আন্দোলনের
মাধ্যমে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য
যুবক-যুবতীদের
সংগঠিত ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
পরিচালনা করতে থাকেন তিনি। ১৯৩০
সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদার
নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ‘চট্টগ্রাম
যুব বিদ্রোহ’ সংঘটিত হয়। এ ছাড়া চার
বছর ধরে চলে ব্রিটিশদের বিভিন্ন
স্থাপনা ও ব্যক্তির
ওপর আক্রমণ।
এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ,
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট, জালালাবাদ
পাহাড়ে যুদ্ধ অন্যতম।
চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ শাসন থেকে তিন
দিন মুক্ত রেখে মাস্টারদা সূর্য সেন ও তাঁর
বাহিনী ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি’
যে সাহসিকতার পরিচয় দেয়, তা-ই
পরে ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে অনন্য
ভূমিকা রাখে।
মাস্টারদা সূর্য সেনকে প্রহসনের
বিচারের মাধ্যমে ১৯৩৪ সালের ১২
জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয়। এর
আগে চলে তাঁর ওপর
অকথ্য নির্যাতন। মাস্টারদার ফাঁসির
পর তাঁর লাশও
মহাপরাক্রমশালী ব্রিটিশরাজের
ভীতির কারণ হওয়ায় লোহার টুকরো বেঁধে গভীর
সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের
সংগঠিত চট্টগ্রাম
যুব বিদ্রোহ ও তাঁর আদর্শ ভারতের
স্বাধীনতা এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ
করেছে। ৮০ বছর আগে সংগঠিত এই বিপ্লব আজও
আমাদের চেতনায় জ্বলজ্বল করছে।
আমরা নতুন যুগের আসন্ন দিনবদলের
পথের পথিক।
আমাদের সবার এক মন্ত্র হওয়া উচিত —‘বিপ্লব
দীর্ঘজীবী হোক’। সূর্য সেন অমর হোক।
পোস্টটি লিখেছেনঃ একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০
অজানা পথের দিশারি বলেছেন: আব্দুল্লাহ ভাই হুম ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’।
সূর্য সেন অমর হোক।। জয়য়য়য়য়য়য়য় বাংলা।।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’।
সূর্য সেন অমর হোক