নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্বর্তী সরকারের মেলা গুন : ১০ মাসে ৩৫০০ খুন ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এই স্লোগান দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি কেন এই স্লোগান দিচ্ছে? কারণ জামাত-এনসিপি-সরকার জোট বলছে বিএনপির মেলা গুণ ১০ মাসে ১৭৬ খুন। আসলে এভাবেই সবার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে । গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৫৪টি খুন, ১২ হাজার ৭২৬টি নারী ও শিশু নির্যাতন, ৪ হাজার ১০৫টি ধর্ষণ, ৮১৯টি অপহরণ এবং ৯৭টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ১ হাজার ৭৩০টি চোরাচালান, ১ হাজার ৫২৬টি দস্যুতা, ৬১০টি ডাকাতি, ৩৮ হাজার ১৭৬টি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ এবং ৭ হাজার ৩১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৯৮টি দ্রুত বিচার মামলা।

এটাই হচ্ছে অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা। বাংলার মানুষ বড় শখ করে অন্তর্বর্তী সরকার বসিয়েছিল, যার মধ্যমণি ছিলেন প্রফেসর ইউনূস সাহেব। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য সবচেয়ে সেরা চয়েজ । কিন্তু উনার কেবিনেটের বাকি উপদেষ্টারা কীভাবে নিয়োগ পেলেন, তা এখনো অজানা। ছাত্র উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানের সম্মানে সরকারে অংশীদার হলেন, কিন্তু বাকিরা? এসব উত্তর হয়তো আমাদের আজীবন অজানা থেকে যাবে। উপদেষ্টারা অবশ্য সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে পরিচিত মুখ, কিন্তু দেশ পরিচালনার মতো কঠিন ভার তারা যে নিতে পারছেন না, সেটা দিন যত যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একদিকে দেশে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেছে, অন্যদিকে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ দিন যত যাচ্ছে গরম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কোনোটাই যথাযথভাবে সামাল দিতে পারছে না।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের এক অংশ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। এই জন্য তারা দেশি-বিদেশি ইউটিউবার আর বুদ্ধিবেশ্যাদের নিয়োগ দিয়েছে উপদেষ্টাদের নামে সারাদিন গুণগান প্রচার করতে। কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। যখন পরিসংখ্যান রিপোর্ট আসলো, আম জনতার চোখ কপালে উঠলো। মোটামুটি সবাই আগে থেকেই ধারণা করতে পারছিল দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। টিভি খুললেই দেখা যায় গলা কেটে হত্যার মতো খবর। আপনি যদি গুগল-এ 'গলা কেটে হত্যা' লিখে সার্চ দেন, তবে দেখবেন তারিখ ধরে ধরে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে। দেশের মানুষ শক্তিশালী সরকার না থাকার কারণে বাঁধা গরু ছাড়া পেলে যা হয়, তেমন আচরণ করছে।

দেশে এখন আইজি-র বাড়িতে ডাকাতি হয়, পুলিশের স্ত্রী ধর্ষিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর আকাম-কুকাম তো আছেই জমি দখল, চাঁদাবাজি, মব বিচার সব বেড়ে চলেছে। একজন মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যেকোনো ট্যাগ দিয়ে কাজ সেরে ফেলা যাচ্ছে। আমরা মিটফোর্ডের মতো ঘটনা দেখলাম, যেখানে ভরদুপুরে মানুষকে মেরে ফেলা হলো। আনসার বাহিনী কাছাকাছি থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই খুন নিয়ে হইচই শুরু হলে সরকার ও রাজনৈতিক দল একে অপরের ওপর দোষ চাপায়। বিরোধী দলগুলো তার প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে। এত এত অপরাধ, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ফোকাস পায় চাঁদাবাজি। কারণ এখানে রাজনৈতিক যোগসাজশ সব চাইতে বেশি। আর বাকিগুলো নিয়ে সবাই নীরব।

আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা মিটফোর্ডের ঘটনাকে প্রস্তর যুগের সাথে তুলনা করছেন, কিন্তু তার তিন দিন আগে নিজের এলাকা মুরাদনগর-এ তিনজন কে পিটিয়ে মারা হলো তা নিয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই। এই ঘটনায় অভিযোগ আছে আসিফ মাহমুদের বাবা খুনিদের শেল্টার দিচ্ছেন বা তাদের সাথে যোগাযোগ আছে। রাজনৈতিক দলগুলো এমন বজ্জাত, শুধু ভিন্ন দলের কোনো লোক অপরাধ ঘটালে তারা বিবৃতি দেয়, বাকি সময় চুপচাপ থাকে। দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে কোনো জিনিস আছে নাকি তা নিয়ে জনগণের মাঝে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নাকি সংস্কারের ঠেলায় সে মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করা হয়েছে কে জানে!

আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বড় ভালো লোক। তিনি আসার পর পুলিশের বিয়ের জন্য টাকা জমানোর উপদেশ দেন। দেশের অপরাধ বাড়লো কি কমলো তাতে তার তেমন রি-অ্যাকশন নেই। শুরু থেকে তার নির্লিপ্ততা মানুষকে অবাক করেছে। মিটফোর্ডের ঘটনার পর তিনি বলেছেন দেশে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। এই কথা তিনি এর আগেও অনেকবার বলেছেন। 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'-এ প্রতিদিন হাজার লোক গ্রেপ্তার হয় কিন্তু অপরাধ কমছে না। কেউ কেউ চাইছে দেশ এরকম অস্থির থাকুক আর তারা নিজের আখের গুছিয়ে নিক। অন্তর্বর্তী সরকারের মাঝে এক গ্রুপ চায় ইউনূস স্যার ৫ বছর থাকুন। কিন্তু দেশের যে পরিস্থিতি তাতে জনগণ চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন দিয়ে সরকার চলে যাক। এখানে বাধা হচ্ছে একমাত্র সংস্কার। ভালো কথা সংস্কার করুক, কিন্তু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে না পারলে যাদের জন্য সংস্কার করছেন তারা কি সুফল পাবে?

জামাত নেতা তাহের সম্প্রতি বলেছেন যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অসহায়। তো এরকম অসহায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কেন এখনো নিজ চেয়ারে বসে বসে বেতন নিচ্ছেন? বছরের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কফিন মিছিল হয়েছিল। মাঝে দিয়ে তিনি 'ফাটা কেষ্ট' হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনো কিছুই তিনি হতে পারেননি। ভাবতে অবাক লাগে, তিনি নিজেকে নিজে খুব সফল ভাবেন। ভদ্রলোক নাকি বিজিবি-র মহাপরিচালক ছিলেন। ১/১১ এর সরকারে তিনি ছিলেন। তিনি কি কারো আস্থাভাজন ব্যক্তি যে এত নিষ্ক্রিয়তার পরেও উনাকে পদ থেকে সরানো যাচ্ছে না? দেশের স্থিতিশীলতা ফেরত আনার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী কাজ করছে। কিন্তু সেই লাউ সেই কদু। ১/১১ তে আর্মি সরকার যেভাবে দেশ চালিয়েছিল তা এর চেয়ে হাজার গুণে শক্তিশালী ছিল। এত অপরাধ ছিল না সে সময়। কেউ হয়তো চায় এভাবেই সব কিছু থাকুক। মানুষ মারা যাক, ধর্ষণ হোক, অপহরণ হোক উহাদের তাতে কিছু যায় আসে না।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অপরাধ দ্রুত বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। বাস্তবে বেশির ভাগ গুরুতর অপরাধের হার কমছে বা একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।’ প্রেস উইং নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, অপরাধের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, যাতে বোঝা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’ এরকম বাস্তবতাবিরোধী কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। পুলিশ এই সরকারের অধীনে কাজ করছে না – এই অভিযোগ করলে সাথে সাথে উত্তর তৈরি আছে। ফ্যাসিবাদী পুলিশ তাই তারা কথা শোনে না। গোপালগঞ্জের ঘটনায় পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এত কিছুর পরেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন না। কী এক অদ্ভুত খেলা চলছে পর্দার আড়ালে, আল্লাহই ভালো জানেন।

দেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক তৈরি হয়েছে যারা সারাদিন বলে 'অন্তর্বর্তীর দোষ নাই, দোষ নাই'। তারা এর দোষ ওর দোষ বলে জনগণ কে টুপি পড়াতে চায় । আওয়ামী লীগের সময় একটা দল বিরাট বিরাট লীগের সমর্থক হয়ে গিয়েছিল, এখন তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত সব ভারী ভারী মন্ত্রণালয় সামাল দিতে তিনি হাবুডুবু খাচ্ছেন। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক যে আমরা নতুন কাউকে নিয়োগ করে দেখি। মানুষের জীবন রক্ষার কথা ভেবেও এমনটা করা দরকার।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৫১

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুকরিয়া ।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০০

নিমো বলেছেন: এসব খুন জায়েজ। সব ছিল স্বৈরাচারের দোসর। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যায় না, কিন্তু সংস্কার ছাড়া বিচার করা যায় না। বিচার ব্যবস্থার কোন সংস্কার ছাড়াই যদি ট্রাইবুনালে বিচার করা যায়, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে সমস্যা কোথায়? ুত সংস্কার সংস্কার তা বিচার ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আলাপ নাই কেন?

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আসলেই বুঝি না হোম এডভাইজারের মাঝে কি মধু আছে । কড়া লোক দরকার ।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০২

নিমো বলেছেন: কিন্তু সংস্কার ছাড়া বিচার করা যায় হবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিচার তো ধারাবাহিক কাজ । সামনে একটা ইলেকশন হও্য়ার কথা চলছে । এভাবে চলতে থাকলে মারামারি হানাহানি ঠেকানো যাবে না ।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৪

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: আওয়ামীলীগের শেষ ৫ বছরে খুনের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৫৫টি

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লিগের এ কারণেই পতন হয়েছে। এখন কি লিগ এত খুণ করেছে দেখে এই সরকারের সময় ও এত খুন হবে ? যার যাইতেসে সে বুঝতেসে।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১১

নিমো বলেছেন: @ধূসর সন্ধ্যা, আওয়ামীলীগ করেছে বলেই তার পতন হয়েছে। আপনাদের ভাষাওতো দেখি ঐ আওয়ামীলীগ মার্কাই। বিগত দিনে হয়ে এসেছে, তাই আমরাও চালাবো। ভালো। নূতন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ২.০, দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই কোটা,ভাতা সবতো ফেল্টু মেরেছে। সেই ভারতবিরোধীতা আর নূতন এসেছে অমুক বাদ তমুক বাদ নির্মূল। পাকি জারজরা বাংলাদেশে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। লুঙ্গি লীগ হলেও নয়।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাই ফেইল করেনি । জুলাই মাস ছিলো মানুষের পেটের লড়াই। এটা সাকসেস ।

আম জনতা কাউকে না কাউকে ভরসা করে পাওয়ার হাতে তুলে দেয়। ধুসর মিয়া তো খারাপ বলে নি । খুন তো আপনারা করেছেন। বাকি দলগুলোর মাঝে জিঘাংসা ভরে দিয়েছেন। এখন তারাও সে লাইনে হাটতে চায় ।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১৮

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: বছরে সাড়ে তিন হাজার খুন বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিক সংখ্যা। লিগের এতো সুস্থির নিরাপদ আমলেও যেখানে ৫ বছরে ১৬ হাজার ৫৫৫টি (৩৩০০/বছর) খুন হয়েছে, আপনি এই অস্থির সময়ে আর কী আশা করেন?
দয়া করে এটাকে এটাকে এই সরকারের সাফাই ভেবে বসবেন না। এদের উপরে মানুষ যে আশা করেছিল এরা সব গুলিয়ে গু করে ফেলেছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এভাবে ইলেকশন দিতে পারবে না। সেনাবাহিনি মাঠে থাকার পরও কাজ হইতেসে না । হোম এডভাইজার কে সরিয়ে দেখা যাইতে পারে।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপি গ্রেনেড হামলার আসামী।বেশির ভাগ খুনের সাথে বিএনপি জড়িত।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনারা নিজেরা সাধু ।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৯

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাকি দলগুলোর মাঝে জিঘাংসা ভরে দিয়েছেন
এটা উপমহাদেশের চরিত্র। ভরে দেয়ার কিছু নেই। কাল দেখলাম ছ্যাঁচড়া পার্টির একজন টিভিতে বলছে গালাগালির স্বাধীনতা দরকার। এটা কে ভরে দিয়েছে। জুলাইয়ের অভ্যুথ্থান এক ব্যাপার আর আমার বলা শব্দগুলো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ধান্দাবাজির উদাহরন। দুটোকে এক করে দেখছেন কেন? জুলাই অভ্যুথ্থানতো ইতোমধ্যেই ছিনতাই হয়ে গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ এই অভ্যুথ্থানের অংশ নেয়া বিশাল একটা অংশকে প্রায় নাই করে দেয়া হয়েছে। অভ্যুথ্থানের প্রগতিশীল অংশটাকে নাই করে দক্ষিণপন্থী, চরম, উগ্র, মৌলবাদকে এই সরকার আশ্রয়-প্রশয় দিয়ে মবতন্ত্‌রকে সার পানি দিচ্ছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই পলিটিকাল ছিলো না । কারো উচচাকাংখা আছে কারো নাই। লিগের আমলে ইয়ারলি ৩৫০০ খুন হয়েছে এটা নরমাল লাগছে তাহলে বুঝেন এলা দেশের মানুষের মানসিকতা কোথায় নিয়ে গেছেন। এভাবেই দেশের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছেন।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: লিগের আমলে ইয়ারলি ৩৫০০ খুন হয়েছে এটা নরমাল লাগছে
আপনার এই প্রবনতাটা আগে ছিল না, বোধহয় কাঁউটাল থেকে পেয়েছেন। যা বলি নি সেটাও চাপিয়ে দিচ্ছেন। আপনি জিংঘাংসার কথা বলেছেন, তাই বলেছি এটা উপমহাদেশের চরিত্র। দাহ্য বস্তু না হলে সেটায় আগুন ধরাতে পারবেন? তারসাথে লীগের খুনকে নরমাল লাগার সম্পর্ক কী আর লাগবেই বা কেন?

১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি জিংঘাংসার কথা বলেছেন, তাই বলেছি এটা উপমহাদেশের চরিত্র। দাহ্য বস্তু না হলে সেটায় আগুন ধরাতে পারবেন?

সেটার একটা লিমিট ছিলো আগে । বিগত ১৭ বছর সেই লিমিট ভেঙে ফেলেছে ।

আপনি ৩৫০০ খুনের কথা বলেন নাই আমি আপনাকে দেখাতে চেয়েছি যে সামনে যদি ৩৫০০ খুন হয় ১ বছরে তুলনা দেয়ার মতো ডাটা আছে । এটা নরমাল বিষয় হয়ে গেছে।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫১

নিমো বলেছেন: আপনার বয়স অনুযায়ূ্ী আপনি নিজেও লীগের আমলে শিক্ষিত, তো আপনার মন-মানসিকতা কী বলে দমন, নির্মূল, প্রতিহত এগুলোই আগামীর বাংলাদেশ। লীগ সবার মন-মানসিকতাকে ধোলাই করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলো না।

১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের উপর সবচেয়ে বেশি রাগ আমার থাকা উচিত। ঢাকা ১৬ আসনের এমপি ২০১৯ সালে আমাদের জমি দখল করেছে। ২০২০ সালে করোনার সময় ফেনীর ২ আসনের এমপি আমাদের সম্পত্তি জবরদখল করে রেজিস্ট্রি করতে বাধ্য করে, মূল দামের ১/৪ অংশ দিয়ে। টাকা নিতে গেলে আমাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা নিরীহ পরিবার, প্রতিবাদ করলে বাকি টাকাও ছিনিয়ে নিত। যতদিন এলাকা ছাড়িনি, ততদিন আমাদের পিছনে লোক লাগানো ছিল। কিন্তু আমরা সব চাপ কাটিয়ে আবার দাঁড়িয়েছি।

লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে নাই কারন যখন সমাজে নির্যাতন বাড়ে, তখন সবাই বুঝে যায় আসলে সরকার কী করছে। সময় টিভি বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি যতই প্রপাগান্ডা চালাক, আপনার জমি দখল হলে আশেপাশের সবাই বুঝবে সত্যিটা ।

আমি চাই দেশে সুশাসন হবে । কেউ কারোটা জোর করে খাবে না । মানুষ হাসি খুশি ভাবে লাইফ লিড করবে । তরুণেরা নিজ নিজ মেধায় কাজ পাবে । বিচার হবে বাট সেটা সলিড ভাবে হবে। কাউকে ফাসানো হবে না । :``<<

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:০৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধূসর সন্ধ্যা মালটার পরিবারের কেউ খুন-ধর্ষণের শিকার না হলে সাফাই গাইতেই থাকবে। বাঙালি এমনই বাইঞ্চোদ, নিজেরা ভুক্তভোগী না হলে ত্যানা প্যাঁচাতেই থাকে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কোনো আমলে এক বছরে ৩৫০০ খুন নরমাল না। যখন সরকার নিজের পছন্দমতো চয়েস করতে পারতাম না, কারণ আমাদের হাতে ক্ষমতা ছিল না। এই সরকার আমাদের সরকার। হোম অ্যাডভাইজারকে পরিবর্তন করে ফেলতে কোন বড় বাধা দেখছি না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.