নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার ওপর মানুষ সত্য

আবু আফিয়া

আবু আফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

উগ্রধর্মান্ধদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সম্প্রতি আমরা দেখতে পাই, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল, সিরাত মাহফিল, ইসলামী মহাসম্মেলন ইত্যাদি নামে কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক ও স্বার্থান্বেষী মহল আহমদীসহ বিভিন্ন মত ও পথের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত ও উত্তেজিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। একটি মিথ্যা অপপ্রচার বা গুজব কত সহজেই যে জনগণের কোন কোন অংশকে উত্তেজিত করে ভয়ঙ্কর কান্ড তথা লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে পারে তার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমাদের দেশেই রয়েছে।

কয়েক বছর আগে চট্টগ্রামের রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ আর ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ তার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বিভিন্ন মত ও চিন্তার ব্যক্তিবর্গের ওপর শারীরিক তথা ব্যাহত হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ দেশে জঙ্গিবাদীদের উপস্থিতি জানান দেয়।

একইভাবে গত কয়েকদিন যাবৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনের নামে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের স্থানীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকি প্রদান, আহমদিদের কার্যক্রম বন্ধ এবং সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে খতমে নবুয়ত সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করার সংবাদও আসছে।
আমরা প্রায়ই দেখতে পাই এসব ধর্মীয় উগ্রবাদী ও স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অপপ্রচার এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং সরকার ও প্রশাসনের ওপর পেশীশক্তি দেখিয়ে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে থাকে। বিশেষ করে দেশে যখন কোন ক্রান্তিকাল উপস্থিত হয় আবার যখন কোন ইস্যু থাকে না তখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে এরা আহমদিয়া ইস্যুসহ নানা ইস্যু সৃষ্টির চেষ্টা করে।

আশঙ্কা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐসব অশুভ শক্তি আবারও মাঠ গরম এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় মাঠে নেমেছে। এসব উগ্রধর্মান্ধদের ব্যাপারে সরকার, সচেতন জনগণসহ সব বিবেকবান মানুষের উচিত হবে সময় থাকতে এদের সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তার পেছনে মূলত উগ্রধর্মান্ধ গোষ্ঠী কাজ করছে। এরা চায় শান্তিপূর্ণ এ দেশটাকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে। দেশকে শান্তিময় এবং নিরাপদ রাখতে হলে এদের বিরুদ্ধে সরকারকে যেমন আরও কঠোর হতে হবে তেমনি সমগ্র দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্রধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সনেট কবি বলেছেন: উগ্রতা কখনো কাম্য হতে পারে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আবু আফিয়া বলেছেন: সহমত পোষণ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সনেট কবি বলেছেন: আমি আহমদীদের জোর করে থামিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নই। বরং তাদেরকে তাদের কথা বলতে দিতে হবে। পারলে তাদেরকে দলিল প্রমাণে হারাতে হবে। তারাতো তাদের মত কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৩

আবু আফিয়া বলেছেন: জোর করে কাউকে থামিয়ে দেয়ার বিষয় না, ধর্ম সবার ব্যক্তিগত বিষয়, যেখানে সত্য থাকবে সেখানে আপনি আমি সবাইকে যেতে হবে। আসল বিষয় হল সত্য কোথায় তা দেখতে হবে।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭

সনেট কবি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, সত্য কোথায় সেইটাই আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং তা’ নিজেদের প্রয়োজনেই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আবু আফিয়া বলেছেন: কেবল সত্য জানলেই হবে না, সত্য মানতেও হবে কেননা আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “কূনূ মায়াসসাদিকিন” সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। অতএব সত্য জানার পরও আমরা যদি না মানতে পারি তবে তা হবে আমাদের চরম ব্যর্থতা। আল্লাহ্ আমাদেরকে সত্য জানার ও মানার সৌভাগ্য দিন। আমীন

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদেরকে সত্য জানার ও মানার সৌভাগ্য দিন- আমীন। আমার ঢাকায় দু’কাঠা জায়গা আছে। এলাকার নাম উত্তর নন্দীপাড়া (ত্রিমোহনী) ইমাম বাগ। সেখানে আমার একটা ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের ইচ্ছা। তো যদি সেটা শুরু করতে পারি তবে সেখানে আপনার আহমদী আলেমকে ডেকে তাদের দাবীর পক্ষের যুক্তি লিখিত আকারে উপস্থাপন করতে বলব। এরপর বিরোধী পক্ষের আলেম ডেকে সে গুলো লিখিত আকারে খন্ডন করতে বলব। এভাবে পক্ষে বিপক্ষে দলিল উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উৎঘাটনের চেষ্টা করব। এরপর যে সত্য বেরিয়ে আসবে তা ছাপিয়ে লোকদের খেদমতে উপস্থাপন করব। এখন আপনি দো করবেন যেন কাজটা দ্রুত শুরু করতে পারি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

আবু আফিয়া বলেছেন: রসূল (সা।) বলেছেন জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদূর চীন দেশে যেতে হলেও যাওয়ার জন্য, আর আপনি কি কাদিয়ানীদের কেন্দ্র ৪নং বকশীবাজারে গিয়ে যাচাই করতে পারেন না বিষয়টি। এটি আপনার দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: বকশী বাজারে গিয়েছি। তাদের আচরণ ভালো লেগেছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন হলো মুসলমানরা তাদেরকে গণহারে গ্রহণ করছে না কেন? সবাই যদি তাদেরকে গণহারে গ্রহণ করে তবেতো সবাই এক দল হয়ে যায়। আমি জানতে চাই যারা গ্রহণ করে না তাদের মত কি? গ্রহণ করাদের মত ও গ্রহণ না করাদের মত একসাথ করে সত্য খুঁজতে চাই।
তালাকপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত সংক্রান্ত বিষয়ে ইমাম শাফেঈর মত পড়ে মনে হয়েছিল সেটাই ঠিক। কিন্তু হানাফী মত পড়ে মনে হয়েছে হানাফী মতই ঠিক। এখন আহমদীদের মত নিলে তাদের মত ঠিক মনে হয় বিরোধীদের মত নিলে তাদের মত ঠিক মনে হয়। সেজন্য উভয়মত একত্র করে গবেষণা করলে যে গবেষণা ফল বের হবে তা’তে হয়ত দলে দলে লোক এ মত গ্রহণ করবে, নতুবা দলে দলে লোক এ মত ছাড়বে। কাজেই সুচারুরূপে সত্য নির্ণয় জরুরী। এখন একমাত্র এদলটি ঠিকদল হলে তাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার কথা। কাজেই আপনার সেই আলেমকে বলবেন আমি যে কাজের নিয়ত করেছি তিনি যেন সে কাজের জন্য দোয়া করেন। এখি এতে কি ফল আসে!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আবু আফিয়া বলেছেন: সত্য পাওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি। তাদের ইমাম সাহেবকে বলব দোয়া করার জন্য। আমিও দোয়া করব আল্লাহ যেন আপনার সফলতা দান করেন। আমিন।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধর্ম+কর্ম

শুভ কামনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

আবু আফিয়া বলেছেন: ভাল থাকুন, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.