![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
আমি ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছু কিছু সাপোর্ট করি। যদিও জানি, ইমাম মাহদী (আঃ) আসার আগে পর্যন্ত কোন ইসলামী দলই পরিপূর্ন সমাধান হিসেবে আবিভূর্ত হতে পারবে না। তবে, আহলে বায়াত অর্থাৎ নবীজীর বংশধরদের আমি হৃদয় থেকে সাপোর্ট করি, তাঁরা যে দলেরই হোন না কেন! সেজন্যেই, যেদিন থেকে জেনেছি, কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আবু জাফর আহমদ, সেই দিন থেকে এই দলটিকে আমি বিশেষ সম্মানের সাথে দেখি। তাই, দলটি কিভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে, তা নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরী করেছি -
বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনে PR পদ্ধতিতে ভোটের শতকরা হার সরাসরি আসনে রূপান্তরিত হয়। এখন, সিপিবি যদি ৩৫%–৪০% ভোট পায়, তাহলে তারা ৩৫%–৪০% আসন পাবে।অর্থাৎ, তখন যদি অন্যদের সাথে দলটি কৌশলগত জোট করে সেই আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়, তাহলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে যাওয়া সম্ভব।
দলটির বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে -
>>> বাংলাদেশের বামপন্থী ভোট ব্যাংক খণ্ডিত ও ছোট; তবে শ্রমিক, কৃষক ও তরুণদের মধ্যে একটি আস্থাভাজন অবস্থান আছে।
>>> সিপিবির শক্তি—আদর্শে স্বচ্ছতা, শ্রমিক আন্দোলন, মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ।
>>> দুর্বলতা—সাংগঠনিকভাবে ছোট, গ্রামাঞ্চলে তেমন শক্তিশালী নয়, আর্থিক সক্ষমতা সীমিত।
তাই, ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তাব্যন জরুরী -
ধাপ ১: বাম ঐক্য গঠনঃ
বাম গণতান্ত্রিক জোটকে একটি একক নির্বাচনী প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে।
>>> সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক দল—সবাইকে এক প্রতীকে ভোট চাওয়ার জন্য ঐকমত হতে হবে।
একক ইশতেহার তৈরি করতে হবে যেখানে জনগণের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অধিকার স্পষ্ট থাকবে।
ধাপ ২: ভোট ব্যাংক সম্প্রসারণের কৌশলঃ
১) শ্রমিক-কৃষক-নিম্নবিত্তের মধ্যে সরাসরি সংগঠন বাড়ানো -
>>> গার্মেন্টস শ্রমিক, চা-শ্রমিক, কৃষক সমিতি, রিকশা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে নিয়মিত মিটিং ও সচেতনতা কর্মসূচি।
>>> স্থানীয় সমস্যা (দাম, মজুরি, জমি-দখল) সমাধানে দলীয় হস্তক্ষেপ।
২) তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করা -
>>> জলবায়ু আন্দোলন, ছাত্র অধিকার আন্দোলনের সাথে জোট।
>>> TikTok, YouTube, Facebook লাইভে সিপিবির তরুণ নেতাদের সক্রিয় উপস্থিতি।
৩) সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন -
>>> সমান অধিকার, বৈষম্যবিরোধী স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি।
ধাপ ৩: একক ইশতেহার ও প্রচারঃ
ইশতেহারে স্পষ্ট করতে হবে—
১) সম্পদের বৈষম্য কমানো,
২) দুর্নীতির শেকড় ছেঁটে ফেলা,বিনা সুদে ক্ষুদ্রঋণ,
৩) সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে জনগণের কাছে কার্যকর করা,
৪) বিদেশি প্রভাবমুক্ত স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি।
ইশতেহারকে সহজ ভাষায় লিফলেট, পকেটবুক, ভিডিও আকারে প্রচার করতে হবে।
ধাপ ৪: PR পদ্ধতিতে কৌশলগত ভোট বৃদ্ধিঃ
১) এক প্রতীক ব্যবহার করা যাতে ভোট বিভক্ত না হয়।
২) এমন অঞ্চলে প্রচারণা বাড়ানো যেখানে বড় দলগুলোর (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) ভোট বিভক্ত।
৩) ভোটারদের বোঝানো যে PR পদ্ধতিতে একটি ছোট ভোটও আসন বাড়াতে পারে।
ধাপ ৫: মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী ক্যাম্পেইনঃ
১) গ্রাসরুট ক্যাম্পেইন:
ক) শ্রমিক ইউনিয়ন, কৃষক সমিতি, স্থানীয় সমবায়ের মাধ্যমে দ্বারেদ্বারে ভোটার যোগাযোগ।
খ) প্রত্যেক ওয়ার্ডে “ভোটার সহায়ক দল” তৈরি।
২) ডিজিটাল ক্যাম্পেইন:
ক) সামাজিক মাধ্যমে তথ্যচিত্র, লাইভ অনুষ্ঠান, তরুণদের জন্য পডকাস্ট।
গ) ইন্টারনেটমুখী তরুণ ভোটারদের আকর্ষণ করতে গেরিলা মার্কেটিং কৌশল।
ধাপ ৬: অর্থায়ন ও স্বচ্ছতাঃ
১) স্বচ্ছ তহবিল সংগ্রহ: ছোট ছোট ডোনেশন ক্যাম্পেইন (১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ফান্ডিং মডেল)।
২) প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে অনলাইন ক্রাউডফান্ডিং।
৩) প্রতিটি ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ—যাতে বিশ্বাস তৈরি হয়।
ধাপ ৭: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবস্থান পরিষ্কার করাঃ
স্পষ্টভাবে জানাতে হবে—
“আমরা গণতান্ত্রিক বামপন্থী সরকার গড়তে চাই, মানবাধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করব।”
এতে আন্তর্জাতিক মহলে আস্থা বাড়বে এবং ভীতি কমবে।
সব শেষে বলা যায় -
PR পদ্ধতিতে কমিউনিস্ট পার্টি যদি সত্যিই বড় সাফল্য চায়, তাহলে—
ক) বাম ঐক্য জোট গঠন করতে হবে
খ) শ্রমিক-কৃষক ও তরুণ ভোটারদের সাথে দৃঢ় সংযোগ করতে হবে
গ) একটি স্পষ্ট, ইতিবাচক ইশতেহার এবং এক প্রতীকে ভোট আদায়ের পরিকল্পনা নিতে হবে
ঘ) ডিজিটাল ও মাঠপর্যায়ে সমানভাবে কাজ করতে হবে
এই ধরণের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা ও সংগঠন গড়তে পারলে, তাত্ত্বিকভাবে সিপিবি একটি বড় ভোট ব্লকে পরিণত হয়ে PR পদ্ধতিতে সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে আসতে পারে।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশে কোন মৌলিক কমিউনিস্ট দল প্রয়োজন নেই। সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রাটিক দল হলেও একটা কথা থেকে যেত।
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের আদর্শকে বুঝতে আমাদের কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের দিকে তাকাতে হবে। এই দলটিকে বুঝার ব্যাপারে তাঁর মতামতই যথেষ্ট। আমরা হয়তো কম জেনেই তাঁদের সাপোর্ট করছি না।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের আদর্শকে বুঝতে আমাদের কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের দিকে তাকাতে হবে।
দুঃখিত, আমি কোন "কমরেড" বা তার আদর্শকে গ্রহণ করতে নারাজ। আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সবাই সব দল সাপোর্ট করবে, তা নাও হতে পারে।
তবে, তবে যে দলকে নবীজীর একজন সন্তান সাপোর্ট করে গিয়েছেন, লিড দিয়েছেন, সেই দলকে আমি সাপোর্ট করি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৪০
মাথা পাগলা বলেছেন: মধ্যযুগীয় চিন্তা-ভাবনা ও শাসনের ধরণ একবিংশ শতাব্দির প্রগতিশীল মানসিকতা ও বাস্তবতার সঙ্গে কখনোই টিকতে পারে না। সময়ের দাবিই হলো যুক্তি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্যের সম্মান - যেখানে ভয়, দমন ও অন্ধ আনুগত্যের আর জায়গা নেই।
ইমাম মাহদিরা বছর ধরে "আমার আব্বা, আমার বঙ্গবন্ধু" বলে জনতার মন জিতলো। অথচ বিজয়ের পর যা করলো - শেখ মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে দেখালো, আবেগ ছিল মুখে, কাজে ছিল প্রতারণা। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে এরা এমনভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষা আর আদর্শকে সামনে আনলো যেন তারাই বাংলাদেশ জন্মের প্রকৃত উত্তরসূরি।
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাংলাদেশে চলমান সব রাজনৈতিক 'তন্ত্র'-ই অন্য দেশ থেকে ধার করা।
ধার যখন করতেই হবে, তখন, বেস্ট-টা করা উচিৎ।
নতুন কিছু করতে পারলে, করেন। সেটা আপনাদের পক্ষে করা সম্ভব হবে।
আর, আমার কথা বললে, আমি নিজের জাতের 'তন্ত্র'-ই সাপোর্ট করি।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন:বাংলাদেশে চলমান সব রাজনৈতিক 'তন্ত্র'-ই অন্য দেশ থেকে ধার করা।
ধার যখন করতেই হবে, তখন, বেস্ট-টা করা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি এসব বাদ দিয়ে নতুন আইডিয়া নিয়ে লিখেন ।